প্রকল্প ব্যবস্থাপনা : হাতের মুঠোয় কর্মীদের উপস্থিতি ও শিফট প্ল্যানিং!

প্রকল্প ব্যবস্থাপনা (Project Management) হলো একটি সুসংগঠিত প্রক্রিয়া, যা একটি নির্দিষ্ট লক্ষ্য অর্জনের জন্য সম্পন্ন করা হয়। আরেকটু খোলাসা করে বললে, প্রকল্প ব্যবস্থাপনা হলো একটি নির্দিষ্ট লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য অর্জনের জন্য সম্পদ, সময় এবং কর্মীদের দক্ষতার সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করা। 

একটি প্রকল্পের সফল সমাপ্তি নিশ্চিত করতে প্রতিষ্ঠানের সামগ্রিক উৎপাদনশীলতা ও দক্ষতা ব্যবহার করাই একজন প্রজেক্ট ম্যানেজার বা প্রকল্প ব্যবস্থাপকের প্রধান কাজ। এক্ষেত্রে কর্মীদের উপস্থিতি ও শিফট প্ল্যানিং প্রকল্প ব্যবস্থাপনার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দিক। কর্মীদের সঠিকভাবে পরিচালনা করতে না পারলে প্রজেক্টের উৎপাদনশীলতা কমে যেতে পারে। তাই যেকোন প্রকল্প ব্যবস্থাপনায় প্রযুক্তিনির্ভর ডিজিটাল টুল ব্যবহার করে কর্মীদের উপস্থিতি ও কাজের শিফট প্ল্যানিং সহ এমপ্লয়ি ম্যানেজমেন্টের সকল কাজ নিয়ে আসুন হাতের মুঠোয়!

ব্লগে যা থাকছে-

প্রকল্প ব্যবস্থাপনা বা প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্ট কি?

প্রকল্প ব্যবস্থাপনা বা প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্ট হলো নির্দিষ্ট লক্ষ্য পূরণের জন্য নির্দিষ্ট সময়সীমা ও সম্পদ ব্যবহারের মাধ্যমে একটি প্রকল্প সফলভাবে সম্পন্ন করার প্রক্রিয়া। প্রকল্পের পরিকল্পনার সাথে জড়িত কর্মীদের উপস্থিতি ও কাজের শিফট প্ল্যানিংয়ের মতো কাজগুলো সম্পাদন করা। দক্ষ প্রকল্প ব্যবস্থাপকের মাধ্যমে একটি প্রতিষ্ঠানের উৎপাদনশীলতা ও কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি পেতে পারে।

প্রজেক্ট ম্যানেজারের প্রধান কাজ কী?

প্রজেক্ট ম্যানেজারের কাজ অনেক জটিল ও দায়িত্বপূর্ণ। তার প্রধান কাজগুলোর মধ্যে রয়েছে-

  • উদ্দেশ্য নির্ধারণ: প্রকল্পের লক্ষ্য ও ফলাফল সুনির্দিষ্ট করা।
  • সম্পদের ব্যবস্থাপনা: মানব সম্পদ, সময় এবং বাজেটের সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করা।
  • টিম ম্যানেজমেন্ট: কর্মীদের দক্ষভাবে পরিচালনা করা ও কাজ ভাগ করে দেয়া।
  • উপস্থিতি ও শিফট পরিকল্পনা: কর্মীদের উপস্থিতি পর্যবেক্ষণ ও কাজের শিফট প্ল্যানিং করা।
  • ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা: সম্ভাব্য সমস্যা চিহ্নিত করা ও সমাধান করা।

প্রকল্প ব্যবস্থাপনায় কর্মীদের উপস্থিতি রেকর্ড করা গুরুত্বপূর্ণ কেন?

কর্মীদের উপস্থিতি নিশ্চিত করা যেকোনো প্রতিষ্ঠানের জন্য একটি মৌলিক চ্যালেঞ্জ। এটি বিশেষভাবে আরও গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প ভিত্তিক কাজে। যেখানে প্রতিটি কাজ বা টাস্ক নির্দিষ্ট কর্মীর দক্ষতার উপর নির্ভর করে। কর্মীদের উপস্থিতির উপর নির্ভর করে প্রকল্পের অগ্রগতি। যদি উপস্থিতি ট্র্যাক না করা হয়, তাহলে অনেক কাজ পিছিয়ে যেতে পারে। একটি ভালো এমপ্লয়ি ম্যানেজমেন্ট অ্যাপ (যেমন: হাজিরা) ব্যবহার করে উপস্থিতি স্বয়ংক্রিয়ভাবে ট্র্যাক করা যায়। এটি সময় ও শ্রম বাঁচাতে সাহায্য করে।

  • উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি: নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে প্রকল্প সম্পন্ন করতে হলে নির্ভুল উপস্থিতি নিশ্চিত করা জরুরি।
  • কাজের স্বচ্ছতা বজায় রাখা: কোনো কর্মী অনুপস্থিত থাকলে তার পরিবর্তে কার দায়িত্ব পড়বে তা জানা যায়।
  • সময় ও বাজেট নিয়ন্ত্রণ: উপস্থিতি ঠিকমতো না থাকলে সময় ও বাজেট উভয়ই নষ্ট হয়।
  • কর্মীদের মনোবল বৃদ্ধি: সঠিক সময়ে কাজ সম্পন্ন হলে কর্মীদের মধ্যে সন্তুষ্টি থাকে।

প্রকল্প ব্যবস্থাপনায় কাজের শিফট প্ল্যানিং কেন গুরুত্বপূর্ণ?

শিফট প্ল্যানিং নিশ্চিত করে যে, প্রতিটি শিফটে পর্যাপ্ত সংখ্যক কর্মী কাজ করছেন। সঠিক শিফট প্ল্যানিং করলে কর্মীদের কাজের ভারসাম্য রক্ষা করা যায়। নির্ধারিত শিফট অনুযায়ী কাজ ভাগ করে নিলে নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে প্রকল্প সম্পন্ন হয়। এর মাধ্যমে ওভারটাইম এবং অনুপস্থিতির সমস্যা অনেকটা দূর করা যায়। 

সঠিকভাবে শিফট প্ল্যান করা হলে, কর্মীরা বেশি দক্ষতার সাথে কাজ করতে পারে এবং ওভারটাইম বা অতিরিক্ত কাজের চাপ কমে আসে। হাজিরা অ্যাপ এর মাধ্যমে স্বয়ংক্রিয় শিফট প্ল্যানিং করে কর্মীদের কাজের সময় নির্ধারণ করা যায়।

প্রকল্প ব্যবস্থাপনার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশ হলো কর্মীদের উপস্থিতি এবং শিফট পরিকল্পনা। সঠিক পরিকল্পনা ছাড়া প্রকল্পের সময়মতো সম্পন্ন হওয়া কঠিন।

এমপ্লয়ি ম্যানেজমেন্ট অ্যাপ হাজিরা: প্রকল্প ব্যবস্থাপনার আধুনিক সমাধান

হাজিরা হলো একটি আধুনিক এমপ্লয়ি ম্যানেজমেন্ট অ্যাপ যা প্রকল্প ব্যবস্থাপনায় উপস্থিতি ও শিফট পরিকল্পনাকে সহজ করে তোলে। এটি ছোট থেকে বড় যে কোনো ব্যবসার জন্য বেশ উপযোগী। হাজিরা অ্যাপে আপনি কর্মীদের ইন-আউট, শিফট প্ল্যান, স্যালারি শিট তৈরি, ছুটির আবেদন, ডকুমেন্ট ভল্ট সুবিধা, ডিজিটাল সাইনিং ইত্যাদি সেবা পেয়ে যাবেন।  

হাজিরা অ্যাপের সুবিধাগুলো:

১. স্বয়ংক্রিয় উপস্থিতি ও লোকেশন ট্র্যাকিং 

হাজিরা অ্যাপ ব্যবহার করে কর্মীদের উপস্থিতি লোকেশন সহ স্বয়ংক্রিয়ভাবে রেকর্ড করা যায়। এটি ক্লাউড-ভিত্তিক হওয়ায় কর্মীরা অফিসে বা রিমোটলি থাকলেও তাদের উপস্থিতি সহজেই ট্র্যাক করা সম্ভব হয়।

২. কাজের শিফট প্ল্যানিং স্বয়ংক্রিয় করা

প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য শিফট প্ল্যানিং একটি বড় চ্যালেঞ্জ। হাজিরা অ্যাপ ব্যবহার করে সহজেই শিফট নির্ধারণ করা যায়, যা কর্মীদের সময়মতো কাজ করার সুযোগ দেয়। আপনি একসাথে একাধিক প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের শিফট প্ল্যান করতে পারবেন।

৩. মোবাইল অ্যাপ সাপোর্ট

হাজিরা’র মোবাইল অ্যাপ থাকায় ম্যানেজার ও কর্মীরা যে কোনো স্থান থেকে অ্যাক্সেস করতে পারে।

৪.  রেকর্ড সংরক্ষণ এবং বিশ্লেষণ

হাজিরা অ্যাপে উপস্থিতি ও শিফট সম্পর্কিত বিস্তারিত রিপোর্ট পাওয়া যায়, যা প্রজেক্ট ম্যানেজারদের সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে সহায়তা করে।

৫. মাল্টি-লোকেশন ব্যবস্থাপনা

যেসব প্রকল্প একাধিক লোকেশনে পরিচালিত হয়, সেখানে হাজিরা অ্যাপ ব্যবহার করে সমস্ত কর্মীদের কার্যক্রম এক প্ল্যাটফর্মে পরিচালনা করা যায়।

৬. ফ্রি হাজিরা স্টেশন সাপোর্ট

হাজিরা’র প্যাকেজ নিলে হাজিরা স্টেশন সল্যুশন ফ্রিতেই ব্যবহার করতে পারবেন। এর ফলে একটি ট্যাবের মাধ্যমে আপনি আপনার অফিসের ইন-আউট ট্র্যাক করেতে পারবেন।

প্রকল্প ব্যবস্থাপনায় সেরা অ্যাপ ও সফটওয়্যার

বর্তমানে অনেক জনপ্রিয় সফটওয়্যার আছে যা প্রকল্প ব্যবস্থাপনাকে সহজ করে দেয়। যেমন-

  • Hazira: বাংলাদেশের জন্য বিশেষভাবে তৈরি এমপ্লয়ি ম্যানেজমেন্ট সফটওয়্যার। 
  • Trello: প্রজেক্ট টাস্ক ম্যানেজমেন্টের জন্য কার্যকরী একটি সফটওয়্যার।
  • Slack: টিম ম্যানেজমেন্ট ও যোগাযোগের জন্য সারা বিশ্বে জনপ্রিয় টুল।
  • Asana: বড় প্রকল্পের জন্য বিশেষভাবে ডিজাইন করা অ্যাপ। 

প্রকল্প ব্যবস্থাপনায় কর্মীদের উপস্থিতি ও শিফট প্ল্যানিং একটি অপরিহার্য অংশ। সঠিকভাবে পরিচালনা করা গেলে এটি কর্মীদের উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি করে, সময় ও বাজেট নিয়ন্ত্রণ করে প্রতিষ্ঠানের সাফল্য নিশ্চিত করা যায়। তাই, প্রযুক্তির ব্যবহার নিশ্চিত করে প্রকল্প ব্যবস্থাপনা সহজ করা এখন সময়ের দাবি!

আপনার প্রতিষ্ঠানের জন্য সহজ ও সাশ্রয়ী সমাধান- হাজিরা

হাজিরা দেশের সবচেয়ে সাশ্রয়ী এমপ্লয়ি ম্যানেজমেন্ট অ্যাপগুলোর একটি। একটি অ্যাপ থেকেই আপনি পেতে পারেন কর্মী ব্যবস্থাপনার বিভিন্ন সাপোর্ট। যেমন-

  • দৈনিক হাজিরা
  • কর্মী তথ্যভাণ্ডার
  • কাজের শিফট প্লানিং
  • রিপোর্ট
  • পে-রোল ম্যানেজমেন্ট
  • ডিজিটাল চুক্তিপত্র
  • ডকুমেন্ট ভল্ট
  • কাস্টম সেটিংস
  • ফ্রি কাস্টমার সাপোর্ট

কেনো সাশ্রয়ী অ্যাপ বলছি সেটাও দেখে নেয়া যাক-  হাজিরা’র চারটি প্যাকেজ ও তাদের মূল্য

০১. বেসিক প্যাকেজ- 

কোম্পানির সাইজ-  ০ থেকে ২০ জন

  • ৳১,৫০০/ মাসিক
  • ৳১৫,০০০/ বাৎসরিক

০২. স্ট্যান্ডার্ড প্যাকেজ- 

কোম্পানির সাইজ-  ২১ থেকে ৫০ জন

  • ৳৩,০০০/ মাসিক
  • ৳৩০,০০০/ বাৎসরিক

০৩. প্রিমিয়াম প্যাকেজ-  

কোম্পানির সাইজ-  ৫০ থেকে ৯৯ জন

  • ৳৪,৫০০/ মাসিক
  • ৳৪৫,০০০/ বাৎসরিক

০৪. এন্টারপ্রাইজ প্যাকেজ- 

কোম্পানির সাইজ-  ১০০+ জন

  • আলোচনা সাপেক্ষে
  • যোগাযোগ করুন- 
  • ফোন: 01967391554
  • ইমেইল: info@hazira.com

সহজ তিনটি ধাপে হাজিরা’তে যাত্রা শুরু করুন!

১ম ধাপ- হাজিরা’তে রেজিস্ট্রেশন বা সাইন আপ করুন: 

প্রথমেই কোম্পানির মালিক হিসেবে রেজিস্ট্রেশন করে হাজিরা’য় আপনার জার্নি শুরু করুন। রেজিস্ট্রেশনের পরেই আপনার ইনবক্সে একটি ভেরিফিকেশন মেইল যাবে, এটি দিয়ে আপনার ই-মেইলটি ভেরিফাই করতে হবে। 

(ভেরিফিকেশন মেইলটি আপনার ইনবক্সে না পাওয়া গেলে অনুগ্রহ করে স্প্যাম ফোল্ডারে চেক করুন।)

২য় ধাপ- আপনার কোম্পানি সেট-আপ করুন: 

ভেরিফিকেশন সম্পন্ন হলে লগইন করুন। এবার আপনার কোম্পানি বা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের প্রয়োজনীয় সকল তথ্য দিয়ে হাজিরা’য় আপনার কোম্পানি সেট-আপ করুন।

৩য় ধাপ- হাজিরা’র বিভিন্ন ফিচার উপভোগ করুন: 

এরপর আপনি হাজিরা’র ড্যাশবোর্ডটি দেখতে পাবেন। হাজিরা’র বিভিন্ন ফিচার উপভোগ করুন সহজে এবং সাশ্রয়ী দামে! হাজিরা’র ওয়েব এবং মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন, দুটোই আছে। 

ওয়েব অ্যাপ্লিকেশন: আপনার প্রতিষ্ঠানের প্রশাসনিক কাজগুলো সম্পাদন করার জন্য ওয়েব অ্যাপ্লিকেশনটি ব্যবহার করতে হবে।
হাজিরা ওয়েব অ্যাপ্লিকেশন

মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন: হাজিরা’র মোবাইল অ্যাপ আপনার প্রতিষ্ঠানের দৈনন্দিন কাজগুলো পরিচালনা করা আরও সহজ করবে। এমপ্লয়ি ম্যানেজমেন্ট আরও সহজ করতে ডাউনলোড করুন হাজিরা’র মোবাইল অ্যাপ- 

অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ

আইওএস অ্যাপ 

হাজিরা অ্যাপের সকল কার্যক্রম সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ডেমো ভিডিও দেখুন-
Demo of Hazira- Employee Management Application
৩০ দিনের ফ্রি ট্রায়াল!

হাজিরা’য় আপনি চাইলেই প্রথম ৩০ দিন ফ্রি ট্রায়াল শুরু করতে পারেন। তারপর প্রয়োজন মতো আপনার ব্যবসার জন্য প্যাকেজ নিয়ে ব্যবসায় সফলতা অর্জন করুন। তাহলে আর দেরি না করে চলে আসুন হাজিরা’য়!