রিমোট কর্মীদের প্রোডাক্টিভিটি বাড়ানোর ৭টি টিপস

রিমোট কর্মীদের প্রোডাক্টিভিটি বাড়ানোর ৭টি টিপস

বর্তমান সময়ে রিমোট ওয়ার্কিং বা দূরবর্তীভাবে কাজ করার চাহিদা দিন দিন বাড়ছে। ঘরে বসেই এখন মানুষ তার দক্ষতা অনুযায়ী বিশ্বের যেকোন প্রতিষ্ঠানের জন্য কাজ করছে। কেউ ফ্রিল্যান্সিং করছে আবার কেউ কোন প্রতিষ্ঠানের কর্মী হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত হয়ে কাজ করছে। বিশেষ করে বাংলাদেশে রিমোট ওয়ার্কের চাহিদা প্রচুর। ফলাফল, প্রযুক্তির প্রসারের সাথে সাথে রিমোট কর্মীদের প্রোডাক্টিভিটি বাড়ানোর প্রয়োজনীয়তাও দেখা দিয়েছে। 

সঠিক টুল, কৌশল এবং ব্যবস্থাপনা ছাড়া রিমোট কর্মী ব্যবস্থাপনা জটিল হয়ে উঠতে পারে। এই ব্লগে আমরা রিমোট কর্মীদের প্রোডাক্টিভিটি বাড়ানোর ৭টি কার্যকরী টিপস নিয়ে আলোচনা করবো।

ব্লগে যা থাকছে-

১. স্পষ্ট লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করুন

প্রথমত, রিমোট কর্মীদের মধ্যে কাজের দায়িত্ব এবং কাজের লক্ষ্য সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা থাকা অত্যন্ত জরুরি। যখন টিমের প্রত্যেক সদস্য তাদের কাজের উদ্দেশ্য এবং সময়সীমা জানবে, তখন তারা আরও প্রোডাক্টিভ হয়ে উঠে।

কীভাবে সহজে জানাবেন-

  • একটি এমপ্লয়ি ম্যানেজমেন্ট অ্যাপ ব্যবহার করুন, যেখানে কর্মীদের কাজের তালিকা এবং সময়সীমা ট্র্যাক করা যায়। যেমন- হাজিরা অ্যাপটি বাংলাদেশের জন্য সবচেয়ে ভালো সমাধান।
  • প্রোজেক্ট ম্যানেজমেন্ট টুল যেমন- ট্রেলো (Trello) বা আসনা (Asana) ব্যবহার করে টাস্ক নির্ধারণ করুন।

টিপস:

ধরুন, আপনার রিমোট টিম একটি সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্টে কাজ করছে। তাহলে প্রজেক্টের প্রতিটি ধাপ এবং দায়িত্ব নির্ধারণ করে এগুলোকে একটি অ্যাপে আপলোড করুন। এতে সবাই নিজেদের কাজ সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা পাবে।

২. নিয়মিত যোগাযোগ বা কমিউনিকেশন করুন

রিমোট ওয়ার্কে প্রোডাক্টিভিটি বাড়াতে সময় মতো যোগাযোগ অপরিহার্য। ভার্চুয়াল টিম বিল্ডিং এবং রিমোট কর্মীদের শিফট প্ল্যানিংয়ের জন্য নিয়মিত মিটিং করা উচিৎ।

কীভাবে যোগাযোগ করবেন-

  • প্রতিদিন বা প্রতি সপ্তাহে এক বা একাধিক ভার্চুয়াল মিটিং আয়োজন করুন।
  • এক্ষেত্রে জুম (Zoom), গুগল মিট (Google Meet) বা মাইক্রোসফট টিমস (Microsoft Teams) ব্যবহার করে ভিডিও মিটিং আয়োজন করুন।
  • কর্মীদের কাছে প্রয়োজনীয় তথ্য বা আপডেট পৌঁছানোর জন্য একটি ইনস্ট্যান্ট বা তাৎক্ষণিক মেসেজিং টুল ব্যবহার করুন। যেমন- স্ল্যাক (Slack) ব্যবহার করুন।

টিপস:

  • মিটিংগুলো যতটা পারা যায় সংক্ষিপ্ত রাখার চেষ্টা করুন এবং মিটিং এজেন্ডা আগে থেকেই ঠিক করুন।
  • কর্মীদের মতামত নিন, এতে তারা কাজের সঙ্গে আরও বেশি একাত্বতা বা কাছাকাছি অনুভব করেন।

৩. প্রোডাক্টিভিটি ট্র্যাকিং টুল ব্যবহার করুন

রিমোট কর্মীদের প্রোডাক্টিভিটি বাড়ানোর জন্য একটি ভালো টুল ব্যবহার করুন। এটা অত্যন্ত কার্যকর ভূমিকা রাখবে।

কীভাবে কর্মীদের প্রোডাক্টিভিটি ট্র্যাক করবেন-

  •  হাজিরা’র (Hazira) মতো এইচআর সফটওয়্যার ব্যবহার করুন। হাজিরা আপনাকে কর্মীদের কাজের সময় ট্র্যাক করতে সাহায্য করবে।
  • টাইম ট্র্যাকিং টুল যেমন- Clockify বা Toggl ব্যবহার করুন।

টিপস:

  • যদি কোনো কর্মী একটি নির্দিষ্ট সময়ে কাজ করতে সক্ষম না হয়, তাহলে তার কাজের ধরন বা প্যাটার্ন বিশ্লেষণ করে শিফট প্ল্যানিংয়ের মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করুন।

৪. ভার্চুয়াল টিম বিল্ডিং করতে পদক্ষেপ নিন

দূরবর্তী দলগঠনের উপায় হিসেবে ভার্চুয়াল টিম বিল্ডিং অ্যাক্টিভিটি অত্যন্ত কার্যকর ভূমিকা রাখে। এটি কর্মীদের মধ্যে বন্ধুত্ব এবং কাজের প্রতি আগ্রহ বাড়ায়।

কী ধরনের পদক্ষেপ নেবেন-

  • প্রতিমাসে একবার ভার্চুয়াল গেম নাইট বা কুইজের আয়োজন করুন।
  • কর্মীদের ব্যক্তিগত ও কর্ম জীবনের গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার প্রশংসা করুন।
  • ভার্চুয়াল প্রশিক্ষণ সেশন আয়োজন করে দক্ষতা বাড়ানোর সুযোগ দিন।

টিপস: 

  • ধরুন, আপনার টিমের সদস্যরা বিভিন্ন শহরে বসবাস করেন। আপনি একটি ভার্চুয়াল কুইজ আয়োজন করলেন, যেখানে তারা তাদের প্রফেশনাল দক্ষতা এবং সাধারণ জ্ঞান প্রদর্শন করার সুযোগ পাবে। এটি টিমের মধ্যে বন্ধুত্ব ও বন্ধন তৈরি করবে।

৫. কর্মীদের জন্য নমনীয় সময়সূচি

রিমোট ওয়ার্কের সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো কাজের সময় নির্ধারণের স্বাধীনতা। কিন্তু মনে রাখতে হবে, সঠিক সময়সূচি না থাকলে রিমোট কর্মীদের প্রোডাক্টিভিটি কমে যেতে পারে।

কীভাবে সময়সূচি তৈরি করবেন-

  • কর্মীদের ব্যক্তিগত চাহিদাকে গুরুত্ব দিয়ে সময়সূচি এবং কাজের শিফট প্ল্যানিং করুন।
  • হাজিরা’র মতো একটি এমপ্লয়ি ম্যানেজমেন্ট অ্যাপ ব্যবহার করুন, যেখানে প্রতিটি কর্মী তাদের পছন্দের সময়সূচি আপডেট করতে পারে।

টিপস:

  • যদি কোনো কর্মী সকালবেলা কাজ করতে না পারে, তাহলে তাকে বিকেলের শিফটে কাজ করার অনুমতি দিন। নিশ্চিত থাকুন, এতে তার কাজের মান বজায় থাকবে আরও বেশি।

৬. কর্মীদের সাফল্যের স্বীকৃতি দিন

রিমোট কর্মীদের প্রোডাক্টিভিটি বাড়ানোর অন্যতম উপায় হল তাদের কাজের সাফল্যের স্বীকৃতি দেওয়া। এটি কর্মীদের মনোবল বাড়ায়, পরবর্তী কাজের জন্য অনুপ্রেরণা যোগায়।

কীভাবে সাফল্য তুলে ধরবেন-

  • প্রতিমাসে কর্মীদের কাজের মূল্যায়ন করুন। ভালো কাজের প্রশংসা করুন মন খুলে।
  • ভার্চুয়াল অ্যাওয়ার্ড প্রদান করুন, যেমন- Employee of the Month বা মাসের সেরা কর্মী।

টিপস: 

  • ধরুন, আপনার টিমের একজন সদস্য নির্ধারিত সময়ের আগেই একটি বড় প্রজেক্ট শেষ করেছে। তাকে একটি অ্যাওয়ার্ড দিন এবং পুরো টিমের সামনে তার প্রশংসা করুন।

৭. সঠিক টেকনোলজির ব্যবহার নিশ্চিত করুন

রিমোট ওয়ার্কে সফলতার মূলমন্ত্র হলো সঠিক টেকনোলজির ব্যবহার। এটি কাজকে সহজ, দ্রুত এবং কার্যকর করে তোলে। এটি আপনার অপারেশনাল খরচও কমায়।

কোথায় আছে সঠিক টুল-

  • ফাইল শেয়ারিংয়ের জন্য গুগল ড্রাইভ (Google Drive) বা ড্রপ বক্স (Dropbox) ব্যবহার করুন।
  • টাস্ক ম্যানেজমেন্টের জন্য মানডে ডট কম (Monday.com) ব্যবহার করুন।
  • হাজিরা’র মতো একটি অল-ইন-ওয়ান এমপ্লয়ি ম্যানেজমেন্ট অ্যাপ ব্যবহার করুন, যা রিমোট কর্মী ব্যবস্থাপনার জন্য সহজ ও সাশ্রয়ী।

টিপস:

  • আপনার টিম যদি বিভিন্ন লোকেশন থেকে যুক্ত থাকেন, তাহলে একটি কেন্দ্রীয় প্ল্যাটফর্মে কাজের সমস্ত তথ্য সংরক্ষণ করুন। এতে কাজের অগ্রগতি সহজে পর্যবেক্ষণ করা যায়। 

রিমোট কর্মী ব্যবস্থাপনা কার্যকর করতে এবং তাদের প্রোডাক্টিভিটি বাড়াতে সঠিক কৌশল এবং টুল ব্যবহার করা অপরিহার্য। কাজের লক্ষ্য নির্ধারণ, নিয়মিত যোগাযোগ, ভার্চুয়াল টিম বিল্ডিং এবং হাজিরা’র মতো একটি এইচআর সফটওয়্যার ব্যবহার করে আপনি সহজেই আপনার রিমোট টিমের কার্যকারিতা বাড়াতে পারবেন।

আপনার প্রতিষ্ঠানের জন্য সহজ ও সাশ্রয়ী সমাধান- হাজিরা

হাজিরা দেশের সবচেয়ে সাশ্রয়ী এমপ্লয়ি ম্যানেজমেন্ট অ্যাপগুলোর একটি। একটি অ্যাপ থেকেই আপনি পেতে পারেন কর্মী ব্যবস্থাপনার বিভিন্ন সাপোর্ট। যেমন-

  • দৈনিক হাজিরা
  • কর্মী তথ্যভাণ্ডার
  • কাজের শিফট প্লানিং
  • রিপোর্ট
  • পে-রোল ম্যানেজমেন্ট
  • ডিজিটাল চুক্তিপত্র
  • ডকুমেন্ট ভল্ট
  • কাস্টম সেটিংস
  • ফ্রি কাস্টমার সাপোর্ট

কেনো সাশ্রয়ী অ্যাপ বলছি সেটাও দেখে নেয়া যাক-  হাজিরা’র চারটি প্যাকেজ ও তাদের মূল্য

০১. বেসিক প্যাকেজ- 

কোম্পানির সাইজ-  ০ থেকে ২০ জন

  • ৳১,৫০০/ মাসিক
  • ৳১৫,০০০/ বাৎসরিক

০২. স্ট্যান্ডার্ড প্যাকেজ- 

কোম্পানির সাইজ-  ২১ থেকে ৫০ জন

  • ৳৩,০০০/ মাসিক
  • ৳৩০,০০০/ বাৎসরিক

০৩. প্রিমিয়াম প্যাকেজ-  

কোম্পানির সাইজ-  ৫০ থেকে ৯৯ জন

  • ৳৪,৫০০/ মাসিক
  • ৳৪৫,০০০/ বাৎসরিক

০৪. এন্টারপ্রাইজ প্যাকেজ- 

কোম্পানির সাইজ-  ১০০+ জন

  • আলোচনা সাপেক্ষে
  • যোগাযোগ করুন- 
  • ফোন: 01967391554
  • ইমেইল: info@hazira.com

সহজ তিনটি ধাপে হাজিরা’তে যাত্রা শুরু করুন!

১ম ধাপ- হাজিরা’তে রেজিস্ট্রেশন বা সাইন আপ করুন: 

প্রথমেই কোম্পানির মালিক হিসেবে রেজিস্ট্রেশন করে হাজিরা’য় আপনার জার্নি শুরু করুন। রেজিস্ট্রেশনের পরেই আপনার ইনবক্সে একটি ভেরিফিকেশন মেইল যাবে, এটি দিয়ে আপনার ই-মেইলটি ভেরিফাই করতে হবে। 

(ভেরিফিকেশন মেইলটি আপনার ইনবক্সে না পাওয়া গেলে অনুগ্রহ করে স্প্যাম ফোল্ডারে চেক করুন।)

২য় ধাপ- আপনার কোম্পানি সেট-আপ করুন: 

ভেরিফিকেশন সম্পন্ন হলে লগইন করুন। এবার আপনার কোম্পানি বা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের প্রয়োজনীয় সকল তথ্য দিয়ে হাজিরা’য় আপনার কোম্পানি সেট-আপ করুন।

৩য় ধাপ- হাজিরা’র বিভিন্ন ফিচার উপভোগ করুন: 

এরপর আপনি হাজিরা’র ড্যাশবোর্ডটি দেখতে পাবেন। হাজিরা’র বিভিন্ন ফিচার উপভোগ করুন সহজে এবং সাশ্রয়ী দামে! হাজিরা’র ওয়েব এবং মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন, দুটোই আছে। 

ওয়েব অ্যাপ্লিকেশন: আপনার প্রতিষ্ঠানের প্রশাসনিক কাজগুলো সম্পাদন করার জন্য ওয়েব অ্যাপ্লিকেশনটি ব্যবহার করতে হবে।
হাজিরা ওয়েব অ্যাপ্লিকেশন

মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন: হাজিরা’র মোবাইল অ্যাপ আপনার প্রতিষ্ঠানের দৈনন্দিন কাজগুলো পরিচালনা করা আরও সহজ করবে। এমপ্লয়ি ম্যানেজমেন্ট আরও সহজ করতে ডাউনলোড করুন হাজিরা’র মোবাইল অ্যাপ- 

অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ

আইওএস অ্যাপ 

হাজিরা অ্যাপের সকল কার্যক্রম সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ডেমো ভিডিও দেখুন-
Demo of Hazira- Employee Management Application
৩০ দিনের ফ্রি ট্রায়াল!

হাজিরা’য় আপনি চাইলেই প্রথম ৩০ দিন ফ্রি ট্রায়াল শুরু করতে পারেন। তারপর প্রয়োজন মতো আপনার ব্যবসার জন্য প্যাকেজ নিয়ে ব্যবসায় সফলতা অর্জন করুন। তাহলে আর দেরি না করে চলে আসুন হাজিরা’য়!

সাম্প্রতিক পোস্টসমূহ
সাবস্ক্রাইব করুন
নতুন ফিচার ও অফারের আপডেট পেতে হাজিরা’র সাথে কানেক্ট থাকুন।