কর্মীদের আচরণ বুঝে নেতৃত্ব প্রদান এবং দলগঠনের কৌশল

 

একজন দক্ষ দলনেতা হতে হলে শুধুমাত্র নির্দেশনা দেয়াই যথেষ্ট নয়। কর্মীদের আচরণ, মানসিকতা ও দক্ষতা বুঝে সঠিক সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষমতাও থাকা দরকার। একজন দলনেতার জন্য ‘নেতৃত্ব এবং দলগঠন (Leadership And Team Building)’ এমন একটি দক্ষতা, যা সফলভাবে দল পরিচালনা এবং লক্ষ্য অর্জনের জন্য অপরিহার্য। 

এই ব্লগে আমরা নেতৃত্ব ও দলগঠন এর কৌশল এবং কর্মীদের আচরণ বিশ্লেষণের মাধ্যমে দলের ভিত্তি স্থাপন ও পরিচালনার উপায় সম্পর্কে আলোচনা করব।

ব্লগে যা থাকছে-

নেতৃত্ব এবং দলগঠনের গুরুত্ব

আসলে, নেতৃত্ব বা লিডারশিপ কি? নেতৃত্ব এমন একটি দক্ষতা বা গুণ, যা দলবদ্ধ  মানুষকে একটি অভিন্ন লক্ষ্য অর্জনের জন্য প্রেরণা এবং দিকনির্দেশনা দেয়। একটি সফল দলগঠনের পূর্বশর্তই হলো, একটি ভালো নেতৃত্ব!

একটি দলের সাফল্য নির্ভর করে সঠিক নেতৃত্ব এবং দলগঠনের দক্ষতার উপর। ইতিবাচক নেতৃত্ব (Positive Leadership) কর্মীদের উদ্দীপনা বাড়ায় এবং কাজের প্রতি তাদের মনোযোগ ও বিশ্বস্ততা বৃদ্ধি করে। সঠিক দলগঠনের মাধ্যমে বিভিন্ন দক্ষতার একাধিক ব্যক্তিকে একত্রিত করে তাদের মধ্যে সহযোগিতা বাড়ানো যায়। এটি শুধু কাজের গতি বাড়ায় না, বরং কর্মক্ষেত্রে সন্তুষ্টিও নিশ্চিত করে।

কর্মীদের আচরণ বিশ্লেষণের গুরুত্ব

কর্মীদের আচরণ বিশ্লেষণ (Employee Behavior Analysis) দল পরিচালনার ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। প্রতিটি কর্মীর মানসিকতা, শক্তি, দক্ষতা এবং দুর্বলতা আলাদা আলাদা। একজন দলনেতা সঠিকভাবে তাদের আচরণ বিশ্লেষণ করতে পারলে কিছু সুবিধা অবশ্যই পাবেন, যেমন-

  • সঠিক প্রত্যাশা নির্ধারণ: কর্মীর সক্ষমতা অনুযায়ী কাজের দায়িত্ব ভাগ করে দেওয়া যায়। অসামঞ্জস্যপূর্ণ প্রত্যাশা নির্ধারণ করলে কর্মীরা সবসময় চাপের মধ্যে থাকেন।
  • দলগত সহযোগিতা বৃদ্ধি: এতে করে কর্মীদের মধ্যে পারস্পরিক বোঝাপড়া বেড়ে যায়। দলের সকলের কমতি খামতিগুলো সকলের জানা থাকে, ফলে সহযোগিতা করার সুযোগ তৈরি হয়।
  • সমস্যার সমাধান: দলের ভেতরে বা কর্মক্ষেত্রে তৈরি হওয়া সমস্যাগুলো দ্রুত এবং দক্ষতার সাথে সমাধান করা যায়। কারণ, টিম লিডার হিসেবে আপনি জানেন কোন কর্মী কোন কাজে দক্ষ। তাই আপনি সমস্যা সমাধানের জন্য সঠিক পদক্ষেপ নিতে পারবেন। 

কর্মীদের আচরণ বুঝে কীভাবে দলগঠন করবেন?

দলগঠন বা টিম বিল্ডিং এমন একটি প্রক্রিয়া, যেখানে দলকে সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যের দিকে পরিচালিত করা হয়। কর্মীদের আচরণ বিশ্লেষণের মাধ্যমে একটি কার্যকর টিম বিল্ডিং করা সম্ভব হয়। নেতৃত্ব ও দলগঠন এর জন্য কর্মীদের আচরণ কীভাবে কাজে লাগাবেন?

  • কর্মীদের শক্তি ও দুর্বলতা চিহ্নিত করুন: এটি আপনাকে বুঝতে সাহায্য করবে, কে কোন দায়িত্বে সেরা।
  • দায়িত্ব কাজ ভাগ করুন: কর্মীর সামর্থ্য অনুযায়ী কাজ ভাগ করুন, তাহলে দল আরও কার্যকর হবে।
  • সঠিক ও খোলামেলা যোগাযোগ করুন: কর্মীদের সঙ্গে খোলামেলা আলোচনা এবং মতবিনিময় নিশ্চিত করুন।
  • প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ দিন: কর্মীদের দক্ষতা বাড়াতে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করুন। এর বিকল্প নেই!

কর্মক্ষেত্রে আচরণ বিশ্লেষণ করে কর্মী উন্নয়ন

কর্মক্ষেত্র বা অফিসের কর্মীদের আচরণ বিশ্লেষণ করে তাদের দক্ষতা বাড়ানো সম্ভব। এটি কেবলমাত্র তাদের পেশাগত উন্নয়নের জন্যই নয়, বরং প্রতিষ্ঠানের সাফল্যের জন্যও প্রয়োজনীয়। নেতৃত্ব ও দলগঠন এর জন্য আপনাকে যা করতে হবে-

  • কাজের ফিডব্যাক দিন: কর্মীদের কাজের পর্যালোচনা করে আরও ভালো করার বা উন্নতির জন্য পরামর্শ দিন।
  • আত্ম-উন্নয়নমূলক পরিকল্পনা: আপনি দলনেতা হিসেবে কর্মীদের জন্য ব্যক্তিগত উন্নয়নের পরিকল্পনা তৈরি করুন। যেমন- অফিসে মিনি লাইব্রেরি রাখতে পারেন, যেখানে আত্ম-উন্নয়নমূলক বই রাখা থাকবে।
  • প্রণোদনা প্রদান করুন: ভালো কাজের জন্য স্বীকৃতি দিলে কর্মীরা উৎসাহিত হয়। তাই প্রণোদনা প্রদান করার প্রচলন করুন, এটা অনেক কাজে দেয়। 
  • ট্রেনিং সেশন আয়োজন করুন: কর্মীদের আচরণ বিশ্লেষণের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় যোগাযোগ দক্ষতা শেখানোর উদ্যোগ নিতে হবে। কমতিটুকু জানিয়ে চুপচাপ বসে থাকলে আপনি কীসের লিডার?

কর্মীদের আচরণ বুঝে সিদ্ধান্ত নেওয়ার পদ্ধতি

নেতৃত্ব ও দলগঠনের জন্য সঠিক সিদ্ধান্ত নেয়া গুরুত্বপুর্ণ। এজন্য কর্মীদের আচরণ বিশ্লেষণ অত্যন্ত কার্যকর একটি কৌশল। যা করবেন-

  • প্রথমেই পরিস্থিতি মূল্যায়ন করুন। কর্মীদের মনোভাব এবং কাজের পরিবেশ বুঝে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
  • কর্মী সম্পর্কিত ডেটা বা তথ্যউপাত্ত কাজে লাগান। তার আচরণ বিশ্লেষণ করে, সেই ডেটার ভিত্তিতে তার ব্যাপারে সঠিক সিদ্ধান্ত নিন। একাজে সবচেয়ে সহায়ক হবে একটি ভালো এমপ্লয়ি ম্যানেজমেন্ট অ্যাপ। বাংলাদেশের জন্য সবচেয়ে সহজ ও সাশ্রয়ী এমপ্লয়ি ম্যানেজমেন্ট সফটওয়্যার ‘হাজিরা’ ব্যবহার করুন। এখানে কর্মীদের সকল তথ্য ও রিপোর্ট ডিজিটালি জেনারেট হয়।
  • সবসময় দলগত মতামত গ্রহণ করুন এবং গুরুত্ব দিন। যেকোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে টিমের সদস্যদের মতামত শুনুন। মনে রাখবেন, তাদের নিজেদের একটা আলাদা জগৎ আছে। সেখানে তারা আপনার নেতৃত্ব এবং দলগঠন এর দক্ষতা ও আপনার আচরণকে বিশ্লেষণ করে!

ইতিবাচক নেতৃত্ব কি এবং কৌশল

ইতিবাচক নেতৃত্ব কেবল কর্মীদের কাজ পরিচালনা করা নয়, বরং তাদের আত্মবিশ্বাস বাড়ানো এবং কাজের প্রতি আগ্রহ তৈরি করাও এর অন্তর্ভুক্ত।

আপনাকে নেতৃত্ব এবং দলগঠন এর ক্ষেত্রে উদাহরণ স্থাপন করতে হবে! কারণ, একজন নেতা বা টিম লিডার যখন নিজে উদাহরণ স্থাপন করেন, তখন কর্মীরাও তাকে অনুসরণ করতে আগ্রহী হয়।

  • ধরুন, একটি টিম মিটিংয়ে কর্মীদের মধ্যে মতভেদ দেখা দিল। একজন ইতিবাচক নেতা নিজে শান্ত থেকে একটি কার্যকর সমাধান প্রদান করবেন, যা কর্মীদের মধ্যে একতা তৈরি করবে। তা না করে আপনি যদি কোনো এক পক্ষের সাথে নিজেকে জড়িয়ে অপর পক্ষকে দমাতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন, তাহলে কিন্তু মহাবিপদ!

একজন ইতিবাচক বা পজেটিভ লিডারের দায়িত্ব হলো, কর্মীদের প্রয়োজনীয় নির্দেশনা এবং তাদের কাজের উন্নতির জন্য গঠনমূলক সমালোচনা করা। প্রয়োজনে কর্মীদের মতামত গ্রহণ করে কাজের প্রতি আরও বেশি সম্পৃক্ত এবং দায়িত্বশীল করে তোলা।

সঠিক নেতৃত্ব এবং দলগঠন এর কৌশল

নেতৃত্ব নিয়ে অনেক আলোচনা হয়েছে, এবার আসি দলগঠন করার উপায় নিয়ে। দলগঠন বলতে কী বুঝায়? দলগঠন হলো এমন একটি প্রক্রিয়া, যার মাধ্যমে বিভিন্ন দক্ষতাসম্পন্ন ব্যক্তিদের একত্রিত করে একটি অভিন্ন লক্ষ্য অর্জনের জন্য প্রস্তুত করা হয়। এজন্য যে কৌশলগুলো কাজে দেবে-

  • সঠিক ব্যক্তিদের নির্বাচন: প্রতিটি কাজের জন্য সঠিক দক্ষতাসম্পন্ন ব্যক্তিকে নির্বাচন করতে হবে। এভাবে একটি সফল টিম তৈরি হয়।
  • দলগত উৎসাহ উদ্দীপনা তৈরি: দলকে একটি অভিন্ন লক্ষ্য অর্জনের জন্য প্রেরণা দিতে হবে। যেটা কর্মীদেরকে আরও পরিশ্রমী হয়ে উঠতে উৎসাহ দেয়।
  • দলের অভ্যন্তরে ইফেক্টিভ যোগাযোগ: কর্মীদের মধ্যে খোলামেলা এবং কার্যকর যোগাযোগ নিশ্চিত করতে হবে। দলগঠনের জন্য কমিউনিকেশন জরুরি।

ধরুন, একটি প্রতিষ্ঠানে নতুন পণ্য বিপনণ করার জন্য একটি টিম তৈরি করতে হবে। এক্ষেত্রে, টিম লিডার হিসেবে আপনাকে এমন ব্যক্তিদের নির্বাচন করতে হবে, যারা মার্কেটিং, প্রোডাক্ট ডিজাইন এবং কাস্টমার সাপোর্টে দক্ষ। পরে টিম লিডারকে তার দলের সদস্যদের আচরণ পর্যবেক্ষণ করে বুঝতে হবে, দলের কজন সদস্য চাপের মুখে ভালো কাজ করতে পারেন না। সেই ভিত্তিতে প্রতিটি সদস্যের কাজের চাপ কমাতে কাজ ভাগ করে দিতে হবে। পাশাপশি ব্যক্তিগতভাবে প্রতিটি সদস্যকে উৎসাহ দিতে হবে। 

নেতৃত্ব এবং দলগঠনে ‘হাজিরা’ অ্যাপের ভূমিকা

কর্মীদের আচরণ বিশ্লেষণ এবং দল পরিচালনার ক্ষেত্রে এমপ্লয়ি ম্যানেজমেন্ট অ্যাপ হাজিরা কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে। কীভাবে?

  • উপস্থিতি এবং পারফরম্যান্স ট্র্যাকিং: কর্মীদের সময়নিষ্ঠতা এবং কাজের সময় পর্যবেক্ষণ করতে সাহায্য করে।
  • রিপোর্ট বিশ্লেষণ: কর্মীদের কাজের ডেটা ও সময় মতো রিপোর্ট বিশ্লেষণ করে তাদের দুর্বলতা চিহ্নিত করা যাবে।
  • শিফট প্ল্যানিং সুবিধা: কাজের শিফট প্ল্যানিং করে দলনেতা তার কর্মীদের থেকে সর্বোচ্চ কাজ আদায় করতে পারেন।

টিম লিডারদের জন্য কিছু চ্যালেঞ্জ

এরপরও কর্মক্ষেত্রে অনেক সময় টিম লিডারের সামনে চ্যালেঞ্জ আসতে পারে, যেমন-

  • দলের মধ্যে মতবিরোধ
  • কর্মীদের মনোবল কমে যাওয়া
  • কাজের অগ্রাধিকার নির্ধারণ নিয়ে জটিলতা

এগুলো সমাধান করার জন্য একজন দলনেতাকে নিরপেক্ষ এবং কৌশলী হতে হবে। সবার মতামতকে গুরুত্ব দিতে হবে। প্রশংসা এবং উন্নয়নের সুযোগ দিয়ে তাদের মনোবল বাড়ানো যেতে পারে। আর যেকোন প্রোজেক্টের জন্য জরুরি কাজগুলো চিহ্নিত করে সেগুলোর জন্য আগাম পরিকল্পনা করতে হবে।

কর্মীদের আচরণ বুঝে নেতৃত্ব প্রদান এবং দলগঠনের কৌশল একটি প্রতিষ্ঠানের সাফল্যের মূলমন্ত্র। সঠিক নেতৃত্ব এবং দলগঠন কর্মক্ষেত্রে ইতিবাচক পরিবেশ তৈরি করে এবং লক্ষ্য অর্জনে সহায়ক হয়। হাজিরা অ্যাপ এই প্রক্রিয়াকে আরও সহজ করে তোলে।

আপনার প্রতিষ্ঠানের জন্য সহজ ও সাশ্রয়ী সমাধান- হাজিরা

হাজিরা দেশের সবচেয়ে সাশ্রয়ী এমপ্লয়ি ম্যানেজমেন্ট অ্যাপগুলোর একটি। একটি অ্যাপ থেকেই আপনি পেতে পারেন কর্মী ব্যবস্থাপনার বিভিন্ন সাপোর্ট। যেমন-

  • দৈনিক হাজিরা
  • কর্মী তথ্যভাণ্ডার
  • কাজের শিফট প্লানিং
  • রিপোর্ট
  • পে-রোল ম্যানেজমেন্ট
  • ডিজিটাল চুক্তিপত্র
  • ডকুমেন্ট ভল্ট
  • কাস্টম সেটিংস
  • ফ্রি কাস্টমার সাপোর্ট

কেনো সাশ্রয়ী অ্যাপ বলছি সেটাও দেখে নেয়া যাক-  হাজিরা’র চারটি প্যাকেজ ও তাদের মূল্য

০১. বেসিক প্যাকেজ- 

কোম্পানির সাইজ-  ০ থেকে ২০ জন

  • ৳১,৫০০/ মাসিক
  • ৳১৫,০০০/ বাৎসরিক

০২. স্ট্যান্ডার্ড প্যাকেজ- 

কোম্পানির সাইজ-  ২১ থেকে ৫০ জন

  • ৳৩,০০০/ মাসিক
  • ৳৩০,০০০/ বাৎসরিক

০৩. প্রিমিয়াম প্যাকেজ-  

কোম্পানির সাইজ-  ৫০ থেকে ৯৯ জন

  • ৳৪,৫০০/ মাসিক
  • ৳৪৫,০০০/ বাৎসরিক

০৪. এন্টারপ্রাইজ প্যাকেজ- 

কোম্পানির সাইজ-  ১০০+ জন

  • আলোচনা সাপেক্ষে
  • যোগাযোগ করুন- 
  • ফোন: 01967391554
  • ইমেইল: info@hazira.com

সহজ তিনটি ধাপে হাজিরা’তে যাত্রা শুরু করুন!

১ম ধাপ- হাজিরা’তে রেজিস্ট্রেশন বা সাইন আপ করুন: 

প্রথমেই কোম্পানির মালিক হিসেবে রেজিস্ট্রেশন করে হাজিরা’য় আপনার জার্নি শুরু করুন। রেজিস্ট্রেশনের পরেই আপনার ইনবক্সে একটি ভেরিফিকেশন মেইল যাবে, এটি দিয়ে আপনার ই-মেইলটি ভেরিফাই করতে হবে। 

(ভেরিফিকেশন মেইলটি আপনার ইনবক্সে না পাওয়া গেলে অনুগ্রহ করে স্প্যাম ফোল্ডারে চেক করুন।)

২য় ধাপ- আপনার কোম্পানি সেট-আপ করুন: 

ভেরিফিকেশন সম্পন্ন হলে লগইন করুন। এবার আপনার কোম্পানি বা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের প্রয়োজনীয় সকল তথ্য দিয়ে হাজিরা’য় আপনার কোম্পানি সেট-আপ করুন।

৩য় ধাপ- হাজিরা’র বিভিন্ন ফিচার উপভোগ করুন: 

এরপর আপনি হাজিরা’র ড্যাশবোর্ডটি দেখতে পাবেন। হাজিরা’র বিভিন্ন ফিচার উপভোগ করুন সহজে এবং সাশ্রয়ী দামে! হাজিরা’র ওয়েব এবং মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন, দুটোই আছে। 

ওয়েব অ্যাপ্লিকেশন: আপনার প্রতিষ্ঠানের প্রশাসনিক কাজগুলো সম্পাদন করার জন্য ওয়েব অ্যাপ্লিকেশনটি ব্যবহার করতে হবে।
হাজিরা ওয়েব অ্যাপ্লিকেশন

মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন: হাজিরা’র মোবাইল অ্যাপ আপনার প্রতিষ্ঠানের দৈনন্দিন কাজগুলো পরিচালনা করা আরও সহজ করবে। এমপ্লয়ি ম্যানেজমেন্ট আরও সহজ করতে ডাউনলোড করুন হাজিরা’র মোবাইল অ্যাপ- 

অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ

আইওএস অ্যাপ 

হাজিরা অ্যাপের সকল কার্যক্রম সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ডেমো ভিডিও দেখুন-
Demo of Hazira- Employee Management Application
৩০ দিনের ফ্রি ট্রায়াল!

হাজিরা’য় আপনি চাইলেই প্রথম ৩০ দিন ফ্রি ট্রায়াল শুরু করতে পারেন। তারপর প্রয়োজন মতো আপনার ব্যবসার জন্য প্যাকেজ নিয়ে ব্যবসায় সফলতা অর্জন করুন। তাহলে আর দেরি না করে চলে আসুন হাজিরা’য়!

কর্মক্ষেত্রে দ্বন্দ্ব বা মতবিরোধ সামলানোর ৭টি কৌশল!

কর্মক্ষেত্রে মতবিরোধ বা দ্বন্দ্ব খুব স্বাভাবিক একটি ঘটনা। বিভিন্ন ব্যক্তিত্ব সম্পন্ন কর্মী ও তাদের ভিন্ন ভিন্ন মতামত এবং কাজের চাপের কারণে দ্বন্দ্ব বা মতবিরোধ তৈরি হওয়া অস্বাভাবিক নয়। তবে, এই দ্বন্দ্ব বা মতবিরোধ যদি সমাধান করা না হয়, তাহলে এটি কর্মীদের কর্মক্ষমতা, মনোবল এবং প্রতিষ্ঠানের সামগ্রিক পরিবেশে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। তাই, কর্মক্ষেত্রে কনফ্লিক্ট ম্যানেজমেন্ট (Conflict Management ) অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে একজন এইচআর ম্যানেজার হিসেবে কর্মক্ষেত্রে দ্বন্দ্ব বা মতবিরোধ ম্যানেজ করা একটি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব।

এই ব্লগে আমরা জানবো কর্মক্ষেত্রে দ্বন্দ্ব বা মতবিরোধ কেন হয়, কীভাবে তা সামলানো যায়? সাথে জানবো, এমপ্লয়ি ম্যানেজমেন্ট অ্যাপ হাজিরা এই সমস্যা সমাধানে কীভাবে সহায়তা করতে পারে?

ব্লগে যা থাকছে-

কনফ্লিক্ট ম্যানেজমেন্ট কী?

একটি গবেষণায় দেখা গেছে, ৮৫% মানুষ তাদের কর্মক্ষেত্রে কোন না কোনভাবে দ্বন্দ্ব বা মতবিরোধের মুখোমুখি হন! (তথ্য- প্রথম আলো) আসলে, একাধিক মানুষ একত্রিত হয়ে কিছু করতে গেলেই মতবিরোধ তৈরি হবে। সেটা হোক ব্যক্তি জীবন আর হোক কর্মক্ষেত্র। এজন্য মতবিরোধকে কখনও স্থায়ীভাবে শেষ করে দেয়া যায় না। এটি বার বার ফিরে আসবে! তাই কর্মক্ষেত্রে কনফ্লিক্ট ম্যানেজমেন্ট বা দ্বন্দ্ব ব্যবস্থাপনার  প্রয়োজন পড়ে।

কনফ্লিক্ট ম্যানেজমেন্ট বা দ্বন্দ্ব ব্যবস্থাপনা হলো একটি প্রক্রিয়া, যার মাধ্যমে কর্মক্ষেত্রে কর্মীদের মতবিরোধ বা দ্বন্দ্বগুলো চিহ্নিত করে দ্রুত সমাধান করা হয়। এই প্রক্রিয়ায় এইচআর ম্যানেজার বা মালিক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারেন।

কর্মক্ষেত্রে মতবিরোধ বা দ্বন্দ্বের কারণগুলো

  • ভিন্ন মতামত: প্রতিটি কর্মীর নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গি এবং কাজ সম্পাদনের ভিন্ন ভিন্ন পদ্ধতি থাকতে পারে। এই ভিন্নতা থেকেই অনেক সময় মতবিরোধ দেখা দেয়।
  • কাজের চাপ: অফিসে কাজের চাপ যখন অত্যাধিক বেড়ে যায়, তখন কর্মীদের মধ্যে কমিউনিকেশনের অভাব এবং ভুল বোঝাবুঝি দেখা দেয়। যা মতবিরোধের জন্ম দেয়।
  • ভুল বোঝাবুঝি: কর্মীদের মধ্যে কাজ নিয়ে অপ্রয়োজনীয় বিতর্ক সৃষ্টি হতে পারে। যেটা ভুল বোঝাবুঝির মূল কারণ। ফলে কনফ্লিক্ট বা দ্বন্দ্ব তৈরি হয়।
  • সীমিত সম্পদ বা সুবিধা: যখন একটি অফিসের সকল কর্মী একই সময়ে সীমিত সম্পদ ব্যবহার করতে চান, তখন দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হতে পারে।
  • নেতৃত্বের সমস্যা: অযোগ্য নেতৃত্ব বা পক্ষপাতিত্ব দ্বন্দ্ব তৈরি বা বাড়িয়ে দিতে পারে। একজন কর্মীর প্রতি অন্য এক বা একাধিক কর্মীর  অবিচারমূলক আচরণ এক্ষেত্রে বড় কারণ হিসেবে বিবেচিত হয়।

কনফ্লিক্ট ম্যানেজমেন্ট কেন প্রয়োজন?

মতবিরোধ যদি সঠিক সময়ে, সঠিকভাবে সমাধান করা না হয়, তবে তা কর্মক্ষেত্রের পরিবেশ নষ্ট করতে পারে। এমনকী, দীর্ঘমেয়াদে এটি কর্মক্ষেত্রের দলগত পরিবেশও নষ্ট করতে পারে। তবে কনফ্লিক্ট ম্যানেজমেন্ট বা দ্বন্দ্ব ব্যবস্থাপনা করতে পারলে কর্মক্ষেত্রের পরিবেশ উন্নত হয় এবং টিম আরও কার্যকর হয়ে ওঠে।

কর্মক্ষেত্রে কনফ্লিক্ট ম্যানেজমেন্টের ৭টি কার্যকর কৌশল

১. সমস্যার মূল কারণ চিহ্নিত করতে হবে

একজন এইচআর বা মালিক হিসেবে আপনার প্রথম কাজ হলো, দ্বন্দ্ব বা মতবিরোধের মূল কারণ খুঁজে বের করা। কারণটি না বুঝে সমাধান খোঁজাটা হবে অর্থহীন। তাই কর্মক্ষেত্রে কোনো দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হলে, সমস্যার মূল কারণ খুঁজে বের করুন। উদাহরণস্বরূপ, কোনো কর্মীর যদি মনে হয় তার কাজ সঠিকভাবে মূল্যায়ন করা হচ্ছে না, তাহলে তার সুপারভাইজার বা টিম লিডারের সাথে আলোচনা করে সমাধান বের করুন।

এইচআর ম্যানেজার হিসেবে করণীয়-

  • সংশ্লিষ্ট কর্মীদের সঙ্গে এককভাবে কথা বলুন
  • সমস্যাটি বোঝার চেষ্টা করুন
  •  আপনি তৃতীয় পক্ষ, তাই নিরপেক্ষ থাকুন

২. সকল পক্ষের সাথে খোলামেলা আলোচনা করুন

যে কোন কনফ্লিক্ট সমাধানের জন্য আলোচনা বা সংলাপ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। একটি বন্ধুত্বপূর্ণ পরিবেশ তৈরি করতে হবে যেখানে সবাই নির্ভয়ে তাদের মতামত জানাতে পারে। কর্মীদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি দূর করতে স্পষ্ট নির্দেশনা এবং নিয়মিত আলোচনা প্রয়োজন।

এইচআর ম্যানেজার হিসেবে করণীয়-

  • একটি নিরপেক্ষ স্থান নির্বাচন করুন
  • সকল পক্ষের কর্মীদের দৃষ্টিভঙ্গি প্রকাশ করতে উৎসাহিত করুন
  • কারও ভাবনাকে হেয় করবেন না

৩. সমাধান নির্ধারণের জন্য সমঝোতায় আসুন

কনফ্লিক্ট ম্যানেজমেন্ট এর জন্য একটি উইন-উইন (Win Win) পরিস্থিতি তৈরি করুন। কারণ, উভয় পক্ষের সম্মতি ছাড়া দ্বন্দ্ব সম্পূর্ণ মিটবে না। এটি নিশ্চিত করুন যে, উভয় পক্ষই সন্তুষ্ট।

এইচআর ম্যানেজার হিসেবে করণীয়-

  • সবার মতামত শুনুন: কনফ্লিক্ট ম্যানেজমেন্ট করতে সবার বক্তব্য শোনা জরুরি। এতে সমস্যা বুঝতে সুবিধা হয় এবং কর্মীদের মনে হয়, তাদের মতামত গুরুত্ব পাচ্ছে।
  • নিরপেক্ষ আচরণ করুন: একটি নিরপেক্ষ দৃষ্টিভঙ্গি বজায় রাখা খুব গুরুত্বপূর্ণ। পক্ষপাতিত্ব কর্মক্ষেত্রের পরিবেশকে আরও খারাপ করে দিতে পারে।

৪. প্রযুক্তির সহায়তা নিন

আজকের দিনে, প্রযুক্তি কনফ্লিক্ট ম্যানেজমেন্টে একটি বড় ভূমিকা রাখতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, হাজিরা অ্যাপের শিফট প্ল্যানিং ফিচারটি নিশ্চিত করবে, প্রতিটি কর্মী তাদের কাজের সময় সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা পাচ্ছে। যা কাজের সময় সংক্রান্ত ভুল বোঝাবুঝি কমিয়ে দিতে পারে। অ্যাপটিতে আরও আছে ইন-আউট টাইম ক্লক, ডকুমেন্ট ভল্ট, রিমাইন্ডার সুবিধা ইত্যাদি।

তাই একজন এইচআর হিসেবে আপনি একটি সহজ ও সাশ্রয়ী এমপ্লয়ি ম্যানেজমেন্ট অ্যাপ ব্যবহার করুন।

৫. প্রশিক্ষণ এবং ওয়ার্কশপের আয়োজন করুন

প্রয়োজনে কর্মীদের জন্য নিয়মিত কনফ্লিক্ট ম্যানেজমেন্ট প্রশিক্ষণ এবং ওয়ার্কশপ আয়োজন করুন। এটি কর্মীদের মধ্যে নেতৃত্ব এবং সমস্যা সমাধানের দক্ষতা বাড়াবে।

৬. একা নয়, দলগত কাজে উৎসাহিত করুন

যেকোন রকমের দ্বন্দ্ব এড়াতে এবং কর্মক্ষেত্রে সৌহার্দ্য বজায় রাখতে দলগত কাজের পরিবেশ অপরিহার্য। দলগত কার্যক্রম পরিচালনা কর্মীদের মধ্যে পারস্পরিক শ্রদ্ধা বৃদ্ধি করে। তাই ছোট বড় টিম তৈরি করার নির্দেশনা দিন।

এইচআর ম্যানেজার হিসেবে করণীয়-

  • কর্মীদের মধ্যে পারস্পরিক শ্রদ্ধা বৃদ্ধি: শ্রদ্ধাশীল পরিবেশ তৈরি করা একজন এইচআর ম্যানেজারের অন্যতম কাজ। দলীয় কার্যক্রমের মাধ্যমে কর্মীদের মাঝেমাঝেই একত্রিত করুন।
  • আউটিং প্ল্যান করুন: দলীয় আউটিং যেমন- ইনডোর আউটডোর খেলাধুলা, পিকনিক, ব্রেইন স্ট্রমিং সেশন, ইভিনিং স্ন্যাকস আড্ডার আয়োজন করুন। মোদ্দাকথা, একসঙ্গে যেকোন কাজ করার সুযোগ বাড়ান।

৭. লক্ষ্য অর্জনের দিকে মনোযোগ দিন

মনে রাখবেন, একটি অফিসে কনফ্লিক্ট বা মতবিরোধ কখনোই প্রধান বিষয় হওয়া উচিত নয়। টিমকে সবমময় মনে করিয়ে দিতে হবে যে, তাদের মূল লক্ষ্য প্রতিষ্ঠানের উন্নতি। 

আর এইচআর ম্যানেজার হিসেবে সবসময় খেয়াল রাখবেন, এ ধরনের জটিলতায় দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। দ্বন্দ্ব বা কনফ্লিক্ট তৈরি হওয়ার সাথে সাথে দ্রুত সমাধানের চেষ্টা করা উচিত। এমনি এমনি ঠিক হয়ে যাবে, এটা ভাববেন না! দেরি হলে এটি আরও বড় আকার ধারণ করতে পারে। 

আমার নিজের দেখা সমস্যা ও সমাধানের গল্প!

একটি সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট প্রোজেক্টে দুটি টিম কাজ করছিল। কাজের চাপ এবং সঠিক নির্দেশনার অভাবে তাদের মধ্যে মতবিরোধ দেখা দেয়। টিম মেম্বাররা একে অপরকে দোষারোপ করতে শুরু করে, যার ফলে প্রোজেক্টের অগ্রগতি প্রায় থেমে যায়। কেউই নিজের দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করছিলো না।

সমাধান:

আমাদের এইচআর টিম একটি মিটিংয়ের আয়োজন করার সিদ্ধান্ত নেয়। মিটিংয়ে প্রতিটি টিম মেম্বারকে তাদের সমস্যার কথা বলার সুযোগ দেওয়া হয়। একটা সময় তারা আলোচনা করতে করতে বুঝতে পারে যে, মূল সমস্যা ছিলো সময় ব্যবস্থাপনায় এবং কাজের বণ্টনে। এরপর তারা ‘হাজিরা’ অ্যাপ ব্যবহার করে একটি শিফট প্ল্যান তৈরি করে। অ্যাপটিতে সকলের কাজ সঠিকভাবে বণ্টন করা হয় এবং সময়মতো সম্পন্ন হচ্ছে কিনা তদারকি করা হয়। ব্যাস, সমস্যার ৯০% সমাধান। বাকিটুকু কাজের গতিতেই ঠিক হয়ে যায়। মজার ব্যাপার হলো- কিছুদিন আগে যে কর্মী চাকরি ছেড়ে দেয়ার প্ল্যান করছিলো, সে এখন টিমের সবচেয়ে পরিশ্রমী কর্মী!

কর্মক্ষেত্রে মতবিরোধ একটি সাধারণ ঘটনা, তবে এটি সঠিকভাবে সামলাতে পারলে প্রতিষ্ঠানের জন্য ইতিবাচক ফলাফল বয়ে আনতে পারে। কনফ্লিক্ট ম্যানেজমেন্ট এর মাধ্যমে কর্মক্ষেত্রে একটি সুস্থ পরিবেশ তৈরি করা সম্ভব। তাই, একজন এইচআর ম্যানেজার বা মালিক হিসেবে কর্মক্ষেত্রে সবার মধ্যে একটি সুন্দর সম্পর্ক নিশ্চিত করুন।

আপনার প্রতিষ্ঠানের জন্য সহজ ও সাশ্রয়ী সমাধান- হাজিরা

হাজিরা দেশের সবচেয়ে সাশ্রয়ী এমপ্লয়ি ম্যানেজমেন্ট অ্যাপগুলোর একটি। একটি অ্যাপ থেকেই আপনি পেতে পারেন কর্মী ব্যবস্থাপনার বিভিন্ন সাপোর্ট। যেমন-

  • দৈনিক হাজিরা
  • কর্মী তথ্যভাণ্ডার
  • কাজের শিফট প্লানিং
  • রিপোর্ট
  • পে-রোল ম্যানেজমেন্ট
  • ডিজিটাল চুক্তিপত্র
  • ডকুমেন্ট ভল্ট
  • কাস্টম সেটিংস
  • ফ্রি কাস্টমার সাপোর্ট

কেনো সাশ্রয়ী অ্যাপ বলছি সেটাও দেখে নেয়া যাক-  হাজিরা’র চারটি প্যাকেজ ও তাদের মূল্য

০১. বেসিক প্যাকেজ- 

কোম্পানির সাইজ-  ০ থেকে ২০ জন

  • ৳১,৫০০/ মাসিক
  • ৳১৫,০০০/ বাৎসরিক

০২. স্ট্যান্ডার্ড প্যাকেজ- 

কোম্পানির সাইজ-  ২১ থেকে ৫০ জন

  • ৳৩,০০০/ মাসিক
  • ৳৩০,০০০/ বাৎসরিক

০৩. প্রিমিয়াম প্যাকেজ-  

কোম্পানির সাইজ-  ৫০ থেকে ৯৯ জন

  • ৳৪,৫০০/ মাসিক
  • ৳৪৫,০০০/ বাৎসরিক

০৪. এন্টারপ্রাইজ প্যাকেজ- 

কোম্পানির সাইজ-  ১০০+ জন

  • আলোচনা সাপেক্ষে
  • যোগাযোগ করুন- 
  • ফোন: 01967391554
  • ইমেইল: info@hazira.com

সহজ তিনটি ধাপে হাজিরা’তে যাত্রা শুরু করুন!

১ম ধাপ- হাজিরা’তে রেজিস্ট্রেশন বা সাইন আপ করুন: 

প্রথমেই কোম্পানির মালিক হিসেবে রেজিস্ট্রেশন করে হাজিরা’য় আপনার জার্নি শুরু করুন। রেজিস্ট্রেশনের পরেই আপনার ইনবক্সে একটি ভেরিফিকেশন মেইল যাবে, এটি দিয়ে আপনার ই-মেইলটি ভেরিফাই করতে হবে। 

(ভেরিফিকেশন মেইলটি আপনার ইনবক্সে না পাওয়া গেলে অনুগ্রহ করে স্প্যাম ফোল্ডারে চেক করুন।)

২য় ধাপ- আপনার কোম্পানি সেট-আপ করুন: 

ভেরিফিকেশন সম্পন্ন হলে লগইন করুন। এবার আপনার কোম্পানি বা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের প্রয়োজনীয় সকল তথ্য দিয়ে হাজিরা’য় আপনার কোম্পানি সেট-আপ করুন।

৩য় ধাপ- হাজিরা’র বিভিন্ন ফিচার উপভোগ করুন: 

এরপর আপনি হাজিরা’র ড্যাশবোর্ডটি দেখতে পাবেন। হাজিরা’র বিভিন্ন ফিচার উপভোগ করুন সহজে এবং সাশ্রয়ী দামে! হাজিরা’র ওয়েব এবং মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন, দুটোই আছে। 

ওয়েব অ্যাপ্লিকেশন: আপনার প্রতিষ্ঠানের প্রশাসনিক কাজগুলো সম্পাদন করার জন্য ওয়েব অ্যাপ্লিকেশনটি ব্যবহার করতে হবে।
হাজিরা ওয়েব অ্যাপ্লিকেশন

মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন: হাজিরা’র মোবাইল অ্যাপ আপনার প্রতিষ্ঠানের দৈনন্দিন কাজগুলো পরিচালনা করা আরও সহজ করবে। এমপ্লয়ি ম্যানেজমেন্ট আরও সহজ করতে ডাউনলোড করুন হাজিরা’র মোবাইল অ্যাপ- 

অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ

আইওএস অ্যাপ 

হাজিরা অ্যাপের সকল কার্যক্রম সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ডেমো ভিডিও দেখুন-
Demo of Hazira- Employee Management Application
৩০ দিনের ফ্রি ট্রায়াল!

হাজিরা’য় আপনি চাইলেই প্রথম ৩০ দিন ফ্রি ট্রায়াল শুরু করতে পারেন। তারপর প্রয়োজন মতো আপনার ব্যবসার জন্য প্যাকেজ নিয়ে ব্যবসায় সফলতা অর্জন করুন। তাহলে আর দেরি না করে চলে আসুন হাজিরা’য়!