‘চাকরির বাজার খারাপ!’ চাকরি প্রত্যাশীদের মুখে এই কথা আমরা হরহামেশাই শুনে থাকি। হ্যাঁ, বাংলাদেশে বা বিশ্বের যেকোন জায়গায় ভালো চাকরি জোগাড় করা বেশ কঠিন। তবে বিপরীত চিত্রও কিন্তু আছে! অনেক প্রতিষ্ঠান তাদের চাহিদা অনুযায়ী দক্ষ ও কর্মঠ কর্মী খুঁজে পায় না। আবার অনেক সময় দক্ষ ও কর্মঠ কর্মী পেলেও তাদের ধরে রাখা যায় না। তাই প্রতিটি ভালো প্রতিষ্ঠানের এইচআর টিমের প্রধান কাজগুলোর একটি হলো দক্ষ ও কর্মঠ কর্মী ধরে রাখার উপায় খুঁজে বের করা।
এ ব্লগে আমরা আলোচনা করবো দক্ষ কর্মী ধরে রাখার উপায় এবং কেন এটি প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
ব্লগে যা থাকছে-
দক্ষ কর্মী ধরে রাখার উপায় জানবেন কেন?
প্রতিষ্ঠানের মালিক বা এইচআর ম্যানেজার তাদের দক্ষ কর্মী ধরে রাখার উপায় না জানলে মহাবিপদ। কারণ, দক্ষ কর্মী চলে গেলে শুধুমাত্র প্রতিষ্ঠানের কর্মক্ষমতা কমে যায় না, বরং নতুন কর্মী নিয়োগ ও প্রশিক্ষণের পেছনে বাড়তি খরচও হয়। সাথে প্রতিষ্ঠানের ইমেজও সংকটে পড়ে। তাই বাংলাদেশে কর্মী ধরে রাখার উপায় বা কৌশল জানা জরুরি।
একটি পরিসংখ্যান দেখলেই বিষয়টি পরিষ্কার হয়ে যাবে-
- দক্ষ কর্মীদের চাকরি ছাড়ার ৭০% কারণ ভালো কাজের পরিবেশ না থাকা।
- অধিকাংশ কর্মী ভালো সুযোগ-সুবিধার অভাবে প্রতিষ্ঠান পরিবর্তন করে।
তাহলে তো বোঝাই যাচ্ছে, কোথায় নজর দিলে আপনি কর্মী ধরে রাখতে পারবেন।
কর্মী ধরে রাখার উপায় হিসেবে যে পদক্ষেপগুলো নেবেন
বর্তমান প্রতিযোগিতামূলক চাকরির বাজারে দক্ষ ও কর্মঠ কর্মী ধরে রাখা প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের জন্য বড় একটি চ্যালেঞ্জ। কর্মীরা প্রতিষ্ঠানের মেরুদণ্ড। একজন দক্ষ কর্মী প্রতিষ্ঠানকে শুধু এগিয়েই নেয় না, বরং তার কাজের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানের ইমেজ উজ্বল করেন। এজন্য কর্মী ধরে রাখার উপায় ও কৌশল সম্পর্কে জানা অত্যন্ত জরুরি।
১. স্বচ্ছ ও বন্ধুত্বপূর্ণ কাজের পরিবেশ সৃষ্টি করুন
কর্মক্ষেত্রে বন্ধুত্বপূর্ণ পরিবেশ প্রতিষ্ঠানের কর্মী ধরে রাখার অন্যতম কৌশল। কর্মীরা যদি মনে করেন, তাদের মতামতকে মূল্যায়ন করা হয় এবং তারা কাজের পরিবেশে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন, তাহলে তারা প্রতিষ্ঠানের প্রতি বিশ্বস্ত থাকেন।
কীভাবে করবেন-
- সবাইকে খোলামেলা আলোচনা ও মতামতের সুযোগ দিন।
- টিম মিটিং করুন এবং ফিডব্যাক সেশন আয়োজন করুন।
- কর্মীদের সমস্যা শুনুন এবং দ্রুত সমাধান দিন।
২. কর্মীদের প্রশংসা ও পুরস্কৃত করুন
কর্মী ধরে রাখার উপায় এর মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হলো তাদের কাজের স্বীকৃতি দেয়া। একজন কর্মী তার কাজের প্রশংসা পেলে প্রতিষ্ঠানটির প্রতি আরও বেশি দায়িত্বশীল হয়ে ওঠে।
ধরুন, একটি সফটওয়্যার কোম্পানি প্রতি মাসে “Employee of the Month” পুরস্কার প্রদান করা শুরু করলো। এর প্রভাব পড়বে গোটা অফিসে! এর ফলে কর্মীদের মধ্যে কাজের প্রতি উৎসাহ অনেকগুণ বেড়ে যাবে।
৩. প্রতিযোগিতামূলক বেতন ও সুযোগ-সুবিধা প্রদান
বেশিরভাগ কর্মী ভালো বেতন ও সুযোগ-সুবিধার অভাবে চাকরি ছেড়ে দেয়। তাই প্রতিযোগিতামূলক বেতন কাঠামো ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য অত্যন্ত জরুরি। এগুলোকে কীভাবে আরও আকর্ষণীয় করে তোলা যায় সেই চেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে।
যা নিশ্চিত করার চেষ্টা করবেন-
- সময়মতো বেতন প্রদান করুন।
- বোনাস এবং ইনসেন্টিভ দেয়া নিয়ে কার্পণ্য করবেন না।
- সুবিধামতো স্বাস্থ্যসেবা সুবিধা প্রদান করুন।
- অবসরের জন্য ভালো একটা প্ল্যান রাখুন।
৪. প্রফেশনাল ক্যারিয়ার উন্নয়নের সুযোগ দিন
দক্ষ ও পরিশ্রমী কর্মীরা সবসময় নিজেদের উন্নয়ন চায়। যদি প্রতিষ্ঠানে ক্যারিয়ার উন্নয়নের সুনির্দিষ্ট পথ না থাকে, তাহলে কর্মীরা অন্য প্রতিষ্ঠানের দিকে ঝুঁকবে। এট আপনি কোনকিছু দিয়ে ঠেকাতে পারবেন না।
কী করবেন-
- উন্নত ট্রেনিং সেশন আয়োজন করুন।
- প্রতিষ্ঠানের প্রমোশন পলিসি স্বচ্ছ করুন।
- কর্মীদের দক্ষতার উপর ভিত্তি করে নতুন দায়িত্ব দিন।
- যেকোন কর্মীই ভালো করতে পারে এমন পরিবেশ নিশ্চিত করুন।
৫. এইচআর সফটওয়্যার ব্যবহার করুন
একটি আধুনিক এমপ্লয়ি ম্যানেজমেন্ট অ্যাপ প্রতিষ্ঠানের কর্মী ধরে রাখার ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা রাখতে পারে। এই ধরনের সফটওয়্যার ব্যবহারে কর্মীদের জন্য কাজ করা সহজ হয় এবং প্রতিষ্ঠান পরিচালনায় স্বচ্ছতা বাড়ে।
কর্মীদের কাজের রেকর্ড, উপস্থিতি, ইন-আউট, শিফট প্ল্যান ও পে-রোল ম্যানেজমেন্ট করতে বাংলাদেশের সবচেয়ে সহজ ও সাশ্রয়ী এমপ্লয়ি ম্যানেজমেন্ট অ্যাপ হাজিরা ব্যবহার করুন।
৬. মানসিক স্বাস্থ্য ও ওয়ার্ক-লাইফ ব্যালেন্স নিশ্চিত করুন
কর্মক্ষেত্রে চাপ কমানো এবং কর্মীদের মানসিক স্বাস্থ্য রক্ষা করা কর্মী ধরে রাখার উপায় হিসেবে অন্যতম। কর্মীদের ব্যক্তিগত জীবন এবং কাজের মধ্যে ভারসাম্য আনতে প্রতিষ্ঠানকে সহায়ক ভূমিকা নিতে হবে।
কী করবেন-
- সম্ভব হলে সুবিধাজনক কর্মঘন্টা বা ফ্লেক্সিবল ওয়ার্কিং আওয়ার চালু করতে পারেন।
- মানসিক স্বাস্থ্য সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করুন।
- কর্মীদের ছুটি নেওয়ার ব্যাপারে সহযোগিতামূলক আচরণ করুন, প্রয়োজনে ছুটি নিতে উৎসাহিত করুন।
৭. কর্মীদের যেকোন সমস্যা দ্রুত সমাধানের চেষ্ঠা করুন
কর্মক্ষেত্রে সমস্যার সমাধান দ্রুত না হলে কর্মীরা হতাশ হয়ে পড়ে। এটি প্রতিষ্ঠান ছেড়ে দেওয়ার বড় কারণ হতে পারে। তাই, সমস্যা চিহ্নিত করে দ্রুত সমাধানের চেষ্টা করুন। সমস্যা সমাধানের জন্য একটি আলাদা টিম গঠন করতে পারেন। কর্মীরা এতে করে বুঝতে পারেন, প্রতিষ্ঠান কর্মীদের সমস্যার প্রতি গুরুত্ব দিচ্ছে।
একটি প্রতিষ্ঠানের কর্মী ধরে রাখার সফল গল্প!
ঢাকার একটি স্টার্টআপ কোম্পানি তাদের দক্ষ ও সৎ কর্মী ধরে রাখার জন্য ‘Feedback Friday’ নামে একটি পদ্ধতি চালু করে। প্রতি শুক্রবার কর্মীরা তাদের মতামত শেয়ার করে এবং প্রতিষ্ঠান সেই মতামত অনুসারে ব্যবস্থা নেয়। এর ফলে, তাদের কর্মীদের চাকরি পরিবর্তনের হার প্রায় ৫০% কমে যায়। এমন কিছু আপনিও করতে পারেন!
কর্মক্ষেত্রে দক্ষ ও কর্মঠ কর্মী ধরে রাখা কোনো সহজ কাজ নয়। তবে সঠিক কৌশল ও কর্মী ধরে রাখার উপায় ব্যবহার করলে এটি সম্ভব।
আপনার প্রতিষ্ঠানের জন্য সহজ ও সাশ্রয়ী সমাধান- হাজিরা
হাজিরা দেশের সবচেয়ে সাশ্রয়ী এমপ্লয়ি ম্যানেজমেন্ট অ্যাপগুলোর একটি। একটি অ্যাপ থেকেই আপনি পেতে পারেন কর্মী ব্যবস্থাপনার বিভিন্ন সাপোর্ট। যেমন-
- দৈনিক হাজিরা
- কর্মী তথ্যভাণ্ডার
- কাজের শিফট প্লানিং
- রিপোর্ট
- পে-রোল ম্যানেজমেন্ট
- ডিজিটাল চুক্তিপত্র
- ডকুমেন্ট ভল্ট
- কাস্টম সেটিংস
- ফ্রি কাস্টমার সাপোর্ট
কেনো সাশ্রয়ী অ্যাপ বলছি সেটাও দেখে নেয়া যাক- হাজিরা’র চারটি প্যাকেজ ও তাদের মূল্য–
০১. বেসিক প্যাকেজ-
কোম্পানির সাইজ- ০ থেকে ২০ জন
- ৳১,৫০০/ মাসিক
- ৳১৫,০০০/ বাৎসরিক
০২. স্ট্যান্ডার্ড প্যাকেজ-
কোম্পানির সাইজ- ২১ থেকে ৫০ জন
- ৳৩,০০০/ মাসিক
- ৳৩০,০০০/ বাৎসরিক
০৩. প্রিমিয়াম প্যাকেজ-
কোম্পানির সাইজ- ৫০ থেকে ৯৯ জন
- ৳৪,৫০০/ মাসিক
- ৳৪৫,০০০/ বাৎসরিক
০৪. এন্টারপ্রাইজ প্যাকেজ-
কোম্পানির সাইজ- ১০০+ জন
- আলোচনা সাপেক্ষে
- যোগাযোগ করুন-
- ফোন: 01967391554
- ইমেইল: info@hazira.com
সহজ তিনটি ধাপে হাজিরা’তে যাত্রা শুরু করুন!
১ম ধাপ- হাজিরা’তে রেজিস্ট্রেশন বা সাইন আপ করুন:
প্রথমেই কোম্পানির মালিক হিসেবে রেজিস্ট্রেশন করে হাজিরা’য় আপনার জার্নি শুরু করুন। রেজিস্ট্রেশনের পরেই আপনার ইনবক্সে একটি ভেরিফিকেশন মেইল যাবে, এটি দিয়ে আপনার ই-মেইলটি ভেরিফাই করতে হবে।
(ভেরিফিকেশন মেইলটি আপনার ইনবক্সে না পাওয়া গেলে অনুগ্রহ করে স্প্যাম ফোল্ডারে চেক করুন।)
২য় ধাপ- আপনার কোম্পানি সেট-আপ করুন:
ভেরিফিকেশন সম্পন্ন হলে লগইন করুন। এবার আপনার কোম্পানি বা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের প্রয়োজনীয় সকল তথ্য দিয়ে হাজিরা’য় আপনার কোম্পানি সেট-আপ করুন।
৩য় ধাপ- হাজিরা’র বিভিন্ন ফিচার উপভোগ করুন:
এরপর আপনি হাজিরা’র ড্যাশবোর্ডটি দেখতে পাবেন। হাজিরা’র বিভিন্ন ফিচার উপভোগ করুন সহজে এবং সাশ্রয়ী দামে! হাজিরা’র ওয়েব এবং মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন, দুটোই আছে।
ওয়েব অ্যাপ্লিকেশন: আপনার প্রতিষ্ঠানের প্রশাসনিক কাজগুলো সম্পাদন করার জন্য ওয়েব অ্যাপ্লিকেশনটি ব্যবহার করতে হবে।
হাজিরা ওয়েব অ্যাপ্লিকেশন
মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন: হাজিরা’র মোবাইল অ্যাপ আপনার প্রতিষ্ঠানের দৈনন্দিন কাজগুলো পরিচালনা করা আরও সহজ করবে। এমপ্লয়ি ম্যানেজমেন্ট আরও সহজ করতে ডাউনলোড করুন হাজিরা’র মোবাইল অ্যাপ-
হাজিরা অ্যাপের সকল কার্যক্রম সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ডেমো ভিডিও দেখুন-
Demo of Hazira- Employee Management Application
৩০ দিনের ফ্রি ট্রায়াল!
হাজিরা’য় আপনি চাইলেই প্রথম ৩০ দিন ফ্রি ট্রায়াল শুরু করতে পারেন। তারপর প্রয়োজন মতো আপনার ব্যবসার জন্য প্যাকেজ নিয়ে ব্যবসায় সফলতা অর্জন করুন। তাহলে আর দেরি না করে চলে আসুন হাজিরা’য়!