এমপ্লয়ি শিডিউলিং সফটওয়্যার বাছাই করবেন কীভাবে?

যেকোন সফল ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পরিচালনার জন্য কর্মীদের কাজের শিডিউলিং বা সময়সূচি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে আপনার প্রতিষ্ঠানে যদি একাধিক শিফটভিত্তিক কাজ হয়ে থাকে, তাহলে এমপ্লয়ি শিডিউলিং সফটওয়্যার ব্যবহার করা অপরিহার্য। এটি আপনাকে সময় ও সম্পদের সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করতে সাহায্য করবে। কিন্তু বাংলাদেশের জন্য উপযুক্ত এমপ্লয়ি শিডিউলিং সফটওয়্যার (Employee Scheduling Software) নির্বাচন করা সহজ নয়!

এই ব্লগে আমরা আলোচনা করবো কীভাবে আপনি সেরা এমপ্লয়ি ম্যানেজমেন্ট অ্যাপ নির্বাচন করবেন। এসময় আপনাকে কী কী বিষয় মাথায় রাখতে হবে?

ব্লগে যা থাকছে-

এমপ্লয়ি শিডিউলিং সফটওয়্যার কী?

এমপ্লয়ি শিডিউলিং সফটওয়্যার মূলত একটি ডিজিটাল এমপ্লয়ি ম্যানেজমেন্ট টুল। এটি একটি প্রতিষ্ঠানকে তার কর্মীদের কাজের শিডিউল তৈরি করা, সেটা ট্র্যাক করা এবং ম্যানেজ করতে সাহায্য করে। এটি কাজের শিফট ব্যবস্থাপনা, ছুটির আবেদন ও অনুমোদন, কাজের সময় বা কর্মঘণ্টা ট্র্যাকিং এবং অন্যান্য এইচআর সম্পর্কিত কাজ স্বয়ংক্রিয়ভাবে সম্পাদন করতে সাহায্য করে। এই সফটওয়্যার ব্যবহার করে আপনি সময় বাঁচাতে পারেন, কর্মীদের উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি করতে পারেন এবং কর্মীদের সন্তুষ্টি নিশ্চিত করতে পারেন।

এমপ্লয়ি শিডিউলিং সফটওয়্যার এর প্রয়োজনীয়তা

একটি মানসম্মত এমপ্লয়ি শিডিউলিং সফটওয়্যার আপনার ব্যবসার সময় ব্যবস্থাপনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। এমপ্লয়ি শিডিউলিং সফটওয়্যার ব্যবহার করে আপনি নিম্নলিখিত সুবিধাগুলো পেতে পারেন:

  • সময় সাশ্রয়: ম্যানুয়াল শিডিউলিং যেমন সময়সাপেক্ষ, তেমনি তাতে ভুলভ্রান্তি থাকার সম্ভাবনাও থাকে। সফটওয়্যার ব্যবহার করে আপনি দ্রুত এবং নির্ভুল শিডিউল তৈরি করতে পারেন।
  • কর্মীদের সন্তুষ্টি: কর্মীরা তাদের শিফট, ছুটি এবং কর্মঘণ্টা সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা পায়, যা তাদের সন্তুষ্টির কারণ হতে পারে। কর্মীদের কাজের শিডিউল পরিবর্তন হলে তারা নোটিফিকেশন পেয়ে থাকেন।
  • এইচআর প্রক্রিয়া সহজীকরণ: এটি অন্যান্য এইচআর সংক্রান্ত কাজগুলো যেমন- পে-রোল, কর্মী মূল্যায়ন ইত্যাদি সহজ করে। কর্মচারীদের উপস্থিতি ও অনুপস্থিতি ট্র্যাকিং করে, ফলে কর্মীদের হাজিরা ও ছুটির হিসাব করা সহজ হয়।
  • ডেটা বিশ্লেষণ: এই সফটওয়্যারটি কর্মীদের কর্মক্ষমতা এবং কাজের শিফট সম্পর্কিত ডেটা সংগ্রহ করে, যা ভবিষ্যতের সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য সহায়ক ভূমিকা রাখে।

বাংলাদেশে এমপ্লয়ি শিডিউলিং সফটওয়্যার বাছাই করার সময় বিবেচ্য বিষয়সমূহ

এমপ্লয়ি শিডিউলিং সফটওয়্যার বাছাই করার সময় নিম্নলিখিত বিষয়গুলো বিবেচনা করা উচিত:

১. আপনার ব্যবসার চাহিদা নির্ধারণ করুন

প্রথমেই আপনার ব্যবসার চাহিদা বুঝতে হবে। যদি আপনার কোম্পানিতে শিফটভিত্তিক কাজ হয়, তাহলে আপনাকে এমন একটি Employee Scheduling App বাছাই করতে হবে যা স্বয়ংক্রিয়ভাবে শিফট প্ল্যানিং করতে পারে।

২. সফটওয়্যারটি ব্যবহার করা সহজ কিনা?

আসলে, যে কোনো এইচআর সফটওয়্যার সহজেই ব্যবহারযোগ্য হওয়া উচিত। কর্মচারীরা যেন নিজেরাই তাদের শিডিউল দেখতে, এমনকি পরিবর্তন করতে পারে। এতে ম্যানেজমেন্টের ওপর চাপ অনেটাই কমবে। যদি সফটওয়্যারটি জটিল হয়, তাহলে এটি ব্যবহার করতে গিয়ে সময় এবং সম্পদ দুটোই ব্যয় হতে পারে। ব্যবহারকারী-বান্ধব ইন্টারফেস এবং সহজ নেভিগেশন একটি ভালো সফটওয়্যার এর প্রধান বৈশিষ্ট্য। 

৩. অ্যাপটি ক্লাউড-ভিত্তিক নাকি অফলাইন?

বর্তমানে ক্লাউড-ভিত্তিক এমপ্লয়ি ম্যানেজমেন্ট অ্যাপ বেশি জনপ্রিয়, কারণ এটি যেকোনো স্থান থেকে ব্যবহার করা যায়। তবে, কিছু প্রতিষ্ঠান এখনও অফলাইন সফটওয়্যারকেই বেশি পছন্দ করেন। 

৪. অ্যাপের কাস্টমাইজেশন সুবিধা

একটি ভালো Employee Scheduling Software কাস্টমাইজ করা যায়। কারণ, প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের প্রয়োজনীয়তা আলাদা। আপনি যদি নিজস্ব নিয়ম মেনে শিডিউল সেট করতে চান, তাহলে কাস্টমাইজ করা যায় এমন সফটওয়্যার বেছে নেওয়া উচিত।

৫. সহজ ইন্টিগ্রেশন সুবিধা

আপনার প্রতিষ্ঠানে যদি আগে থেকেই Payroll Software বা Attendance System থাকে, তাহলে এমন এমপ্লয়ি শিডিউলিং সফটওয়্যার বেছে নিন যা সহজেই ইন্টিগ্রেট করা যায়। মানে, সফটওয়্যারটি অন্যান্য ব্যবসায়িক টুল যেমন- পে-রোল সফটওয়্যার, এইচআর ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম ইত্যাদির সাথে ইন্টিগ্রেটেড হওয়া উচিত। এটি আপনার ব্যবসায়িক প্রক্রিয়াকে আরও সহজ করবে।

৬. মোবাইল অ্যাক্সেস থাকা জরুরি

বর্তমান সময়ে মোবাইল অ্যাক্সেস একটি গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার। একটি এমপ্লয়ি শিডিউলিং মোবাইল অ্যাপ থাকলে, কর্মীরা তাদের মোবাইল ডিভাইস থেকেই শিডিউল চেক করতে, ছুটির আবেদন করতে এবং অন্যান্য তথ্য পেতে পারেন।

৭. খরচ ও বাজেট বিবেচনায় রাখতে হবে

বাজারে অনেক ধরনের Employee Scheduling App রয়েছে, তবে সবগুলোর খরচ একরকম নয়। বিনামূল্যে ব্যবহারযোগ্য কিছু অ্যাপ থাকলেও, পেইড সফটওয়্যার বেশি ফিচারসমৃদ্ধ হয়ে থাকে। আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী উপযুক্ত এমপ্লয়ি ম্যানেজমেন্ট সফটওয়্যার বেছে নিতে হবে। বাংলাদেশে সবচেয়ে সহজ ও সাশ্রয়ী এমপ্লয়ি শিডিউলিং সফটওয়্যার ‘হাজিরা’।

সফটওয়্যার এর মূল্য আপনার বাজেটের মধ্যে হওয়া উচিত। তবে, শুধু দামের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেবেন না। সফটওয়্যারের বৈশিষ্ট্য এবং সুবিধাগুলোও বিবেচনা করুন।

৮. কাস্টমার সাপোর্ট

সফটওয়্যার ব্যবহারের সময় যদি কোনো সমস্যা হয়, তখন দ্রুত সাপোর্ট পাওয়া গুরুত্বপূর্ণ। এমন সফটওয়্যার নির্বাচন করুন, যার লোকাল কাস্টমার সাপোর্ট ব্যবস্থা রয়েছে।

বাংলাদেশে জনপ্রিয় কিছু এমপ্লয়ি শিডিউলিং সফটওয়্যার

বাংলাদেশে বেশ কিছু এমপ্লয়ি শিডিউলিং সফটওয়্যার পাওয়া যায়, যা স্থানীয় এবং আন্তর্জাতিক উভয় ক্ষেত্রেই জনপ্রিয়। নিচে কিছু জনপ্রিয় সফটওয়্যার এর তালিকা দেওয়া হল:

হাজিরা (Hazira): বাংলাদেশি কোম্পানিগুলোর জন্য একটি সহজ ও সাশ্রয়ী এমপ্লয়ি ম্যানেজমেন্ট অ্যাপ হাজিরা। এখানে আপনি কর্মীদের কাজের শিডিউলিং থেকে শুরু করে পেরোল সংক্রান্ত সকল সুবিধা পারেন। এই সফটওয়্যারটি বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের জন্য উপযোগী করে তৈরি করা হয়েছে। আরও জানতে হলে পড়ৃন- বাংলাদেশি কোম্পানির জন্য সেরা এইচআর সফটওয়্যার

শিফটবোর্ড (Shiftboard): এটি একটি শক্তিশালী শিডিউলিং টুল যা শিফট ম্যানেজমেন্ট, টাইম ট্র্যাকিং এবং কমিউনিকেশন সুবিধা দিয়ে থাকে।

হোমবেস (Homebase): এই সফটওয়্যারটি ছোট এবং মাঝারি ব্যবসার জন্য উপযুক্ত। এটি শিডিউলিং, টাইম ট্র্যাকিং এবং পে-রোল ম্যানেজমেন্ট সুবিধা প্রদান করে।

জোহ ওয়ার্কফোর্স (Zoho Workforce): এটি একটি পূর্ণাঙ্গ এইচআর সফটওয়্যার যা শিডিউলিং, অ্যাটেন্ডেন্স এবং পে-রোল ম্যানেজমেন্ট সুবিধা প্রদান করে।

টিন্ডা (Tanda): এই সফটওয়্যারটি কর্মীদের শিডিউলিং, টাইম ট্র্যাকিং এবং পে-রোল ম্যানেজমেন্টের জন্য ব্যবহৃত হয়।

বাংলাদেশের জন্য উপযুক্ত এমপ্লয়ি শিডিউলিং সফটওয়্যার নির্বাচন করা সহজ নয়। তবে চাহিদা অনুযায়ী সফটওয়্যার বাছাই করলে এটি আপনার ব্যবসার উৎপাদনশীলতা বাড়াতে সাহায্য করবে। সঠিক এমপ্লয়ি ম্যানেজমেন্ট সফটওয়্যার বেছে নিয়ে আপনার কর্মীদের কর্মদক্ষতা বৃদ্ধি করুন!

আপনার প্রতিষ্ঠানের জন্য সহজ ও সাশ্রয়ী সমাধান- হাজিরা

হাজিরা দেশের সবচেয়ে সাশ্রয়ী এমপ্লয়ি ম্যানেজমেন্ট অ্যাপগুলোর একটি। একটি অ্যাপ থেকেই আপনি পেতে পারেন কর্মী ব্যবস্থাপনার বিভিন্ন সাপোর্ট। যেমন-

  • দৈনিক হাজিরা
  • কর্মী তথ্যভাণ্ডার
  • কাজের শিফট প্লানিং
  • রিপোর্ট
  • পে-রোল ম্যানেজমেন্ট
  • ডিজিটাল চুক্তিপত্র
  • ডকুমেন্ট ভল্ট
  • কাস্টম সেটিংস
  • ফ্রি কাস্টমার সাপোর্ট

কেনো সাশ্রয়ী অ্যাপ বলছি সেটাও দেখে নেয়া যাক-  হাজিরা’র চারটি প্যাকেজ ও তাদের মূল্য

০১. বেসিক প্যাকেজ- 

কোম্পানির সাইজ-  ০ থেকে ২০ জন

  • ৳১,৫০০/ মাসিক
  • ৳১৫,০০০/ বাৎসরিক

০২. স্ট্যান্ডার্ড প্যাকেজ- 

কোম্পানির সাইজ-  ২১ থেকে ৫০ জন

  • ৳৩,০০০/ মাসিক
  • ৳৩০,০০০/ বাৎসরিক

০৩. প্রিমিয়াম প্যাকেজ-  

কোম্পানির সাইজ-  ৫০ থেকে ৯৯ জন

  • ৳৪,৫০০/ মাসিক
  • ৳৪৫,০০০/ বাৎসরিক

০৪. এন্টারপ্রাইজ প্যাকেজ- 

কোম্পানির সাইজ-  ১০০+ জন

  • আলোচনা সাপেক্ষে
  • যোগাযোগ করুন- 
  • ফোন: 01967391554
  • ইমেইল: info@hazira.com

সহজ তিনটি ধাপে হাজিরা’তে যাত্রা শুরু করুন!

১ম ধাপ- হাজিরা’তে রেজিস্ট্রেশন বা সাইন আপ করুন: 

প্রথমেই কোম্পানির মালিক হিসেবে রেজিস্ট্রেশন করে হাজিরা’য় আপনার জার্নি শুরু করুন। রেজিস্ট্রেশনের পরেই আপনার ইনবক্সে একটি ভেরিফিকেশন মেইল যাবে, এটি দিয়ে আপনার ই-মেইলটি ভেরিফাই করতে হবে। 

(ভেরিফিকেশন মেইলটি আপনার ইনবক্সে না পাওয়া গেলে অনুগ্রহ করে স্প্যাম ফোল্ডারে চেক করুন।)

২য় ধাপ- আপনার কোম্পানি সেট-আপ করুন: 

ভেরিফিকেশন সম্পন্ন হলে লগইন করুন। এবার আপনার কোম্পানি বা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের প্রয়োজনীয় সকল তথ্য দিয়ে হাজিরা’য় আপনার কোম্পানি সেট-আপ করুন।

৩য় ধাপ- হাজিরা’র বিভিন্ন ফিচার উপভোগ করুন: 

এরপর আপনি হাজিরা’র ড্যাশবোর্ডটি দেখতে পাবেন। হাজিরা’র বিভিন্ন ফিচার উপভোগ করুন সহজে এবং সাশ্রয়ী দামে! হাজিরা’র ওয়েব এবং মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন, দুটোই আছে। 

ওয়েব অ্যাপ্লিকেশন: আপনার প্রতিষ্ঠানের প্রশাসনিক কাজগুলো সম্পাদন করার জন্য ওয়েব অ্যাপ্লিকেশনটি ব্যবহার করতে হবে।
হাজিরা ওয়েব অ্যাপ্লিকেশন

মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন: হাজিরা’র মোবাইল অ্যাপ আপনার প্রতিষ্ঠানের দৈনন্দিন কাজগুলো পরিচালনা করা আরও সহজ করবে। এমপ্লয়ি ম্যানেজমেন্ট আরও সহজ করতে ডাউনলোড করুন হাজিরা’র মোবাইল অ্যাপ- 

অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ

আইওএস অ্যাপ 

হাজিরা অ্যাপের সকল কার্যক্রম সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ডেমো ভিডিও দেখুন-
Demo of Hazira- Employee Management Application
৩০ দিনের ফ্রি ট্রায়াল!

হাজিরা’য় আপনি চাইলেই প্রথম ৩০ দিন ফ্রি ট্রায়াল শুরু করতে পারেন। তারপর প্রয়োজন মতো আপনার ব্যবসার জন্য প্যাকেজ নিয়ে ব্যবসায় সফলতা অর্জন করুন। তাহলে আর দেরি না করে চলে আসুন হাজিরা’য়!

প্রকল্প ব্যবস্থাপনা : হাতের মুঠোয় কর্মীদের উপস্থিতি ও শিফট প্ল্যানিং!

প্রকল্প ব্যবস্থাপনা (Project Management) হলো একটি সুসংগঠিত প্রক্রিয়া, যা একটি নির্দিষ্ট লক্ষ্য অর্জনের জন্য সম্পন্ন করা হয়। আরেকটু খোলাসা করে বললে, প্রকল্প ব্যবস্থাপনা হলো একটি নির্দিষ্ট লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য অর্জনের জন্য সম্পদ, সময় এবং কর্মীদের দক্ষতার সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করা। 

একটি প্রকল্পের সফল সমাপ্তি নিশ্চিত করতে প্রতিষ্ঠানের সামগ্রিক উৎপাদনশীলতা ও দক্ষতা ব্যবহার করাই একজন প্রজেক্ট ম্যানেজার বা প্রকল্প ব্যবস্থাপকের প্রধান কাজ। এক্ষেত্রে কর্মীদের উপস্থিতি ও শিফট প্ল্যানিং প্রকল্প ব্যবস্থাপনার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দিক। কর্মীদের সঠিকভাবে পরিচালনা করতে না পারলে প্রজেক্টের উৎপাদনশীলতা কমে যেতে পারে। তাই যেকোন প্রকল্প ব্যবস্থাপনায় প্রযুক্তিনির্ভর ডিজিটাল টুল ব্যবহার করে কর্মীদের উপস্থিতি ও কাজের শিফট প্ল্যানিং সহ এমপ্লয়ি ম্যানেজমেন্টের সকল কাজ নিয়ে আসুন হাতের মুঠোয়!

ব্লগে যা থাকছে-

প্রকল্প ব্যবস্থাপনা বা প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্ট কি?

প্রকল্প ব্যবস্থাপনা বা প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্ট হলো নির্দিষ্ট লক্ষ্য পূরণের জন্য নির্দিষ্ট সময়সীমা ও সম্পদ ব্যবহারের মাধ্যমে একটি প্রকল্প সফলভাবে সম্পন্ন করার প্রক্রিয়া। প্রকল্পের পরিকল্পনার সাথে জড়িত কর্মীদের উপস্থিতি ও কাজের শিফট প্ল্যানিংয়ের মতো কাজগুলো সম্পাদন করা। দক্ষ প্রকল্প ব্যবস্থাপকের মাধ্যমে একটি প্রতিষ্ঠানের উৎপাদনশীলতা ও কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি পেতে পারে।

প্রজেক্ট ম্যানেজারের প্রধান কাজ কী?

প্রজেক্ট ম্যানেজারের কাজ অনেক জটিল ও দায়িত্বপূর্ণ। তার প্রধান কাজগুলোর মধ্যে রয়েছে-

  • উদ্দেশ্য নির্ধারণ: প্রকল্পের লক্ষ্য ও ফলাফল সুনির্দিষ্ট করা।
  • সম্পদের ব্যবস্থাপনা: মানব সম্পদ, সময় এবং বাজেটের সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করা।
  • টিম ম্যানেজমেন্ট: কর্মীদের দক্ষভাবে পরিচালনা করা ও কাজ ভাগ করে দেয়া।
  • উপস্থিতি ও শিফট পরিকল্পনা: কর্মীদের উপস্থিতি পর্যবেক্ষণ ও কাজের শিফট প্ল্যানিং করা।
  • ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা: সম্ভাব্য সমস্যা চিহ্নিত করা ও সমাধান করা।

প্রকল্প ব্যবস্থাপনায় কর্মীদের উপস্থিতি রেকর্ড করা গুরুত্বপূর্ণ কেন?

কর্মীদের উপস্থিতি নিশ্চিত করা যেকোনো প্রতিষ্ঠানের জন্য একটি মৌলিক চ্যালেঞ্জ। এটি বিশেষভাবে আরও গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প ভিত্তিক কাজে। যেখানে প্রতিটি কাজ বা টাস্ক নির্দিষ্ট কর্মীর দক্ষতার উপর নির্ভর করে। কর্মীদের উপস্থিতির উপর নির্ভর করে প্রকল্পের অগ্রগতি। যদি উপস্থিতি ট্র্যাক না করা হয়, তাহলে অনেক কাজ পিছিয়ে যেতে পারে। একটি ভালো এমপ্লয়ি ম্যানেজমেন্ট অ্যাপ (যেমন: হাজিরা) ব্যবহার করে উপস্থিতি স্বয়ংক্রিয়ভাবে ট্র্যাক করা যায়। এটি সময় ও শ্রম বাঁচাতে সাহায্য করে।

  • উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি: নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে প্রকল্প সম্পন্ন করতে হলে নির্ভুল উপস্থিতি নিশ্চিত করা জরুরি।
  • কাজের স্বচ্ছতা বজায় রাখা: কোনো কর্মী অনুপস্থিত থাকলে তার পরিবর্তে কার দায়িত্ব পড়বে তা জানা যায়।
  • সময় ও বাজেট নিয়ন্ত্রণ: উপস্থিতি ঠিকমতো না থাকলে সময় ও বাজেট উভয়ই নষ্ট হয়।
  • কর্মীদের মনোবল বৃদ্ধি: সঠিক সময়ে কাজ সম্পন্ন হলে কর্মীদের মধ্যে সন্তুষ্টি থাকে।

প্রকল্প ব্যবস্থাপনায় কাজের শিফট প্ল্যানিং কেন গুরুত্বপূর্ণ?

শিফট প্ল্যানিং নিশ্চিত করে যে, প্রতিটি শিফটে পর্যাপ্ত সংখ্যক কর্মী কাজ করছেন। সঠিক শিফট প্ল্যানিং করলে কর্মীদের কাজের ভারসাম্য রক্ষা করা যায়। নির্ধারিত শিফট অনুযায়ী কাজ ভাগ করে নিলে নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে প্রকল্প সম্পন্ন হয়। এর মাধ্যমে ওভারটাইম এবং অনুপস্থিতির সমস্যা অনেকটা দূর করা যায়। 

সঠিকভাবে শিফট প্ল্যান করা হলে, কর্মীরা বেশি দক্ষতার সাথে কাজ করতে পারে এবং ওভারটাইম বা অতিরিক্ত কাজের চাপ কমে আসে। হাজিরা অ্যাপ এর মাধ্যমে স্বয়ংক্রিয় শিফট প্ল্যানিং করে কর্মীদের কাজের সময় নির্ধারণ করা যায়।

প্রকল্প ব্যবস্থাপনার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশ হলো কর্মীদের উপস্থিতি এবং শিফট পরিকল্পনা। সঠিক পরিকল্পনা ছাড়া প্রকল্পের সময়মতো সম্পন্ন হওয়া কঠিন।

এমপ্লয়ি ম্যানেজমেন্ট অ্যাপ হাজিরা: প্রকল্প ব্যবস্থাপনার আধুনিক সমাধান

হাজিরা হলো একটি আধুনিক এমপ্লয়ি ম্যানেজমেন্ট অ্যাপ যা প্রকল্প ব্যবস্থাপনায় উপস্থিতি ও শিফট পরিকল্পনাকে সহজ করে তোলে। এটি ছোট থেকে বড় যে কোনো ব্যবসার জন্য বেশ উপযোগী। হাজিরা অ্যাপে আপনি কর্মীদের ইন-আউট, শিফট প্ল্যান, স্যালারি শিট তৈরি, ছুটির আবেদন, ডকুমেন্ট ভল্ট সুবিধা, ডিজিটাল সাইনিং ইত্যাদি সেবা পেয়ে যাবেন।  

হাজিরা অ্যাপের সুবিধাগুলো:

১. স্বয়ংক্রিয় উপস্থিতি ও লোকেশন ট্র্যাকিং 

হাজিরা অ্যাপ ব্যবহার করে কর্মীদের উপস্থিতি লোকেশন সহ স্বয়ংক্রিয়ভাবে রেকর্ড করা যায়। এটি ক্লাউড-ভিত্তিক হওয়ায় কর্মীরা অফিসে বা রিমোটলি থাকলেও তাদের উপস্থিতি সহজেই ট্র্যাক করা সম্ভব হয়।

২. কাজের শিফট প্ল্যানিং স্বয়ংক্রিয় করা

প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য শিফট প্ল্যানিং একটি বড় চ্যালেঞ্জ। হাজিরা অ্যাপ ব্যবহার করে সহজেই শিফট নির্ধারণ করা যায়, যা কর্মীদের সময়মতো কাজ করার সুযোগ দেয়। আপনি একসাথে একাধিক প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের শিফট প্ল্যান করতে পারবেন।

৩. মোবাইল অ্যাপ সাপোর্ট

হাজিরা’র মোবাইল অ্যাপ থাকায় ম্যানেজার ও কর্মীরা যে কোনো স্থান থেকে অ্যাক্সেস করতে পারে।

৪.  রেকর্ড সংরক্ষণ এবং বিশ্লেষণ

হাজিরা অ্যাপে উপস্থিতি ও শিফট সম্পর্কিত বিস্তারিত রিপোর্ট পাওয়া যায়, যা প্রজেক্ট ম্যানেজারদের সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে সহায়তা করে।

৫. মাল্টি-লোকেশন ব্যবস্থাপনা

যেসব প্রকল্প একাধিক লোকেশনে পরিচালিত হয়, সেখানে হাজিরা অ্যাপ ব্যবহার করে সমস্ত কর্মীদের কার্যক্রম এক প্ল্যাটফর্মে পরিচালনা করা যায়।

৬. ফ্রি হাজিরা স্টেশন সাপোর্ট

হাজিরা’র প্যাকেজ নিলে হাজিরা স্টেশন সল্যুশন ফ্রিতেই ব্যবহার করতে পারবেন। এর ফলে একটি ট্যাবের মাধ্যমে আপনি আপনার অফিসের ইন-আউট ট্র্যাক করেতে পারবেন।

প্রকল্প ব্যবস্থাপনায় সেরা অ্যাপ ও সফটওয়্যার

বর্তমানে অনেক জনপ্রিয় সফটওয়্যার আছে যা প্রকল্প ব্যবস্থাপনাকে সহজ করে দেয়। যেমন-

  • Hazira: বাংলাদেশের জন্য বিশেষভাবে তৈরি এমপ্লয়ি ম্যানেজমেন্ট সফটওয়্যার। 
  • Trello: প্রজেক্ট টাস্ক ম্যানেজমেন্টের জন্য কার্যকরী একটি সফটওয়্যার।
  • Slack: টিম ম্যানেজমেন্ট ও যোগাযোগের জন্য সারা বিশ্বে জনপ্রিয় টুল।
  • Asana: বড় প্রকল্পের জন্য বিশেষভাবে ডিজাইন করা অ্যাপ। 

প্রকল্প ব্যবস্থাপনায় কর্মীদের উপস্থিতি ও শিফট প্ল্যানিং একটি অপরিহার্য অংশ। সঠিকভাবে পরিচালনা করা গেলে এটি কর্মীদের উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি করে, সময় ও বাজেট নিয়ন্ত্রণ করে প্রতিষ্ঠানের সাফল্য নিশ্চিত করা যায়। তাই, প্রযুক্তির ব্যবহার নিশ্চিত করে প্রকল্প ব্যবস্থাপনা সহজ করা এখন সময়ের দাবি!

আপনার প্রতিষ্ঠানের জন্য সহজ ও সাশ্রয়ী সমাধান- হাজিরা

হাজিরা দেশের সবচেয়ে সাশ্রয়ী এমপ্লয়ি ম্যানেজমেন্ট অ্যাপগুলোর একটি। একটি অ্যাপ থেকেই আপনি পেতে পারেন কর্মী ব্যবস্থাপনার বিভিন্ন সাপোর্ট। যেমন-

  • দৈনিক হাজিরা
  • কর্মী তথ্যভাণ্ডার
  • কাজের শিফট প্লানিং
  • রিপোর্ট
  • পে-রোল ম্যানেজমেন্ট
  • ডিজিটাল চুক্তিপত্র
  • ডকুমেন্ট ভল্ট
  • কাস্টম সেটিংস
  • ফ্রি কাস্টমার সাপোর্ট

কেনো সাশ্রয়ী অ্যাপ বলছি সেটাও দেখে নেয়া যাক-  হাজিরা’র চারটি প্যাকেজ ও তাদের মূল্য

০১. বেসিক প্যাকেজ- 

কোম্পানির সাইজ-  ০ থেকে ২০ জন

  • ৳১,৫০০/ মাসিক
  • ৳১৫,০০০/ বাৎসরিক

০২. স্ট্যান্ডার্ড প্যাকেজ- 

কোম্পানির সাইজ-  ২১ থেকে ৫০ জন

  • ৳৩,০০০/ মাসিক
  • ৳৩০,০০০/ বাৎসরিক

০৩. প্রিমিয়াম প্যাকেজ-  

কোম্পানির সাইজ-  ৫০ থেকে ৯৯ জন

  • ৳৪,৫০০/ মাসিক
  • ৳৪৫,০০০/ বাৎসরিক

০৪. এন্টারপ্রাইজ প্যাকেজ- 

কোম্পানির সাইজ-  ১০০+ জন

  • আলোচনা সাপেক্ষে
  • যোগাযোগ করুন- 
  • ফোন: 01967391554
  • ইমেইল: info@hazira.com

সহজ তিনটি ধাপে হাজিরা’তে যাত্রা শুরু করুন!

১ম ধাপ- হাজিরা’তে রেজিস্ট্রেশন বা সাইন আপ করুন: 

প্রথমেই কোম্পানির মালিক হিসেবে রেজিস্ট্রেশন করে হাজিরা’য় আপনার জার্নি শুরু করুন। রেজিস্ট্রেশনের পরেই আপনার ইনবক্সে একটি ভেরিফিকেশন মেইল যাবে, এটি দিয়ে আপনার ই-মেইলটি ভেরিফাই করতে হবে। 

(ভেরিফিকেশন মেইলটি আপনার ইনবক্সে না পাওয়া গেলে অনুগ্রহ করে স্প্যাম ফোল্ডারে চেক করুন।)

২য় ধাপ- আপনার কোম্পানি সেট-আপ করুন: 

ভেরিফিকেশন সম্পন্ন হলে লগইন করুন। এবার আপনার কোম্পানি বা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের প্রয়োজনীয় সকল তথ্য দিয়ে হাজিরা’য় আপনার কোম্পানি সেট-আপ করুন।

৩য় ধাপ- হাজিরা’র বিভিন্ন ফিচার উপভোগ করুন: 

এরপর আপনি হাজিরা’র ড্যাশবোর্ডটি দেখতে পাবেন। হাজিরা’র বিভিন্ন ফিচার উপভোগ করুন সহজে এবং সাশ্রয়ী দামে! হাজিরা’র ওয়েব এবং মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন, দুটোই আছে। 

ওয়েব অ্যাপ্লিকেশন: আপনার প্রতিষ্ঠানের প্রশাসনিক কাজগুলো সম্পাদন করার জন্য ওয়েব অ্যাপ্লিকেশনটি ব্যবহার করতে হবে।
হাজিরা ওয়েব অ্যাপ্লিকেশন

মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন: হাজিরা’র মোবাইল অ্যাপ আপনার প্রতিষ্ঠানের দৈনন্দিন কাজগুলো পরিচালনা করা আরও সহজ করবে। এমপ্লয়ি ম্যানেজমেন্ট আরও সহজ করতে ডাউনলোড করুন হাজিরা’র মোবাইল অ্যাপ- 

অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ

আইওএস অ্যাপ 

হাজিরা অ্যাপের সকল কার্যক্রম সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ডেমো ভিডিও দেখুন-
Demo of Hazira- Employee Management Application
৩০ দিনের ফ্রি ট্রায়াল!

হাজিরা’য় আপনি চাইলেই প্রথম ৩০ দিন ফ্রি ট্রায়াল শুরু করতে পারেন। তারপর প্রয়োজন মতো আপনার ব্যবসার জন্য প্যাকেজ নিয়ে ব্যবসায় সফলতা অর্জন করুন। তাহলে আর দেরি না করে চলে আসুন হাজিরা’য়!