ছুটির আবেদন ও অনুমোদন প্রক্রিয়া সহজ করার ৫টি উপায়

কর্মক্ষেত্রে ছুটির আবেদন ও অনুমোদন প্রক্রিয়া অনেক সময় জটিল হয়ে ওঠে। কর্মীরা ছুটির আবেদন বা লিভ অ্যাপ্লিকেশন সংক্রান্ত বিষয়গুলোকে ক্লান্তিকর মনে করেন। দেরিতে অনুমোদন, কাগজপত্রের ঝামেলা এবং ভুল তথ্যের কারণে কর্মচারীরা প্রায়ই এই সমস্যায় পড়েন। তথ্য প্রযুক্তির এই দুনিয়ায় এই প্রক্রিয়াকে প্রথাগত ছকে বেঁধে রাখার কোন মানে হয় না। অফিসে ছুটির আবেদন ও অনুমোদন প্রক্রিয়া যদি জটিল এবং সময়সাপেক্ষ হয়, তাহলে তা কর্মীদের কাজের গতিকেও ব্যাহত করতে পারে। 

আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে এই প্রক্রিয়া সহজ ও স্বচ্ছ করা সম্ভব। আজ আমরা আলোচনা করব ছুটির আবেদন ও অনুমোদন প্রক্রিয়া সহজ করার ৫টি কার্যকর উপায় নিয়ে।

ব্লগে যা থাকছে-

১. ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করুন

যদি আপনার অফিসে এখনও কাগজে ছুটির আবেদন জমা নেওয়া হয়, তাহলে এটি পরিবর্তনের সময় এসেছে। ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে ছুটির আবেদন ও অনুমোদন প্রক্রিয়া অনেক সহজ করা যায়। এইচআর সফটওয়্যার বা এমপ্লয়ি ম্যানেজমেন্ট অ্যাপ ব্যবহার করে কর্মীরা অনলাইনে ছুটির আবেদন করতে পারেন। আর ম্যানেজাররা তাৎক্ষণিকভাবে সেই লিভ অ্যাপ্লিকেশন অনুমোদন বা বাতিল করতে পারেন।

কেন ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম বেশি কার্যকর?

  • কর্মীরা সহজেই অনলাইনে ছুটির আবেদন করতে পারেন।
  • সুপারভাইজার বা এইচআর টিম দ্রুত অনুমোদন বা বাতিল করে দিতে পারেন।
  • ছুটির রেকর্ড সংরক্ষিত থাকে, ফলে প্রশাসনিক জটিলতা কমে আসে।
  • অফিসে কাজের পরিবেশ ভালো থাকে এবং টিমের শৃঙ্খলা বজায় রাখা সহজ হয়।
  • এই পদ্ধতিতে সময় বাঁচে এবং প্রক্রিয়াটি সম্পূর্ণ স্বচ্ছ থাকে। 
  • ছুটির আবেদন ও অনুমোদন প্রক্রিয়া ট্র্যাক করা যায়, যা ভবিষ্যতে রিপোর্টিং এবং বিশ্লেষণের জন্য কাজে লাগে। ধুলো জমা ফাইলের স্তুপ থেকে প্রয়োজনীয় কাগজ দেখে সিদ্ধান্ত নিতে হয় না!

২. স্বয়ংক্রিয় অনুমোদন সিস্টেম চালু করুন

অনেক ক্ষেত্রে ছুটির আবেদন ও অনুমোদন প্রক্রিয়া দীর্ঘায়িত হয় কারণ ম্যানেজাররা ব্যস্ত থাকেন বা আবেদনটি দেখতে দেরি হয়। এই সমস্যা সমাধানের জন্য, স্বয়ংক্রিয় অনুমোদন সিস্টেম চালু করা যেতে পারে। এই সিস্টেমে, নির্দিষ্ট শর্ত পূরণ হলে ছুটির আবেদন স্বয়ংক্রিয়ভাবে অনুমোদিত হবে।

কীভাবে স্বয়ংক্রিয় সিস্টেম তৈরি করবেন?

  • নির্দিষ্ট ছুটির ক্যাটাগরি নির্ধারণ করুন (যেমন: বার্ষিক ছুটি, অসুস্থতার ছুটি, মাতৃত্বকালীন ছুটি ইত্যাদি)।
  • কতদিন আগে, কোন ছুটি, কয়দিনের ছুটি, কীভাবে আবেদন করতে হবে সেগুলো নির্ধারণ করে দিন।
  • একটি নির্দিষ্ট সীমার বাইরে বা বিশেষ ছুটির প্রয়োজন হলে অতিরিক্ত অনুমোদনের ব্যবস্থা রাখুন।
  • এইচআর সফটওয়্যার ব্যবহার করে অটো-আপডেটেড ছুটির ব্যালেন্স প্রদর্শনের ব্যবস্থা করুন।

কোনো কর্মী আগে থেকে নির্ধারিত ছুটির দিনগুলিতে নিয়ম মেনে আবেদন করেন, তাহলে সিস্টেমটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে তা অনুমোদন করতে পারে। এই পদ্ধতিতে ছুটির আবেদন ও অনুমোদন প্রক্রিয়া দ্রুত ও সহজ হবে।

৩. মোবাইল নির্ভর বা মোবাইল ফ্রেন্ডলি সল্যুশন ব্যবহার করুন

মানতে কষ্ট হলেও এটা সত্য যে, বর্তমানে অনেক কর্মী তাদের কাজের অনেকাংশ মোবাইল ডিভাইসের মাধ্যমেই সম্পন্ন করেন। তাই, ছুটির আবেদন ও অনুমোদন প্রক্রিয়া মোবাইল ফ্রেন্ডলি হলে তা কর্মীদের জন্য অনেক সুবিধাজনক হয়। এমপ্লয়ি ম্যানেজমেন্ট অ্যাপ বা এইচআর সফটওয়্যার ‘হাজিরা’ ব্যবহার করে কর্মীরা যেকোনো সময় এবং যেকোনো স্থান থেকে ছুটির আবেদন করতে পারেন।

মোবাইল ফ্রেন্ডলি ছুটির আবেদন ও অনুমোদন প্রক্রিয়া দ্রুত এবং সহজ হয়। এছাড়াও, মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে নোটিফিকেশন পাঠানো যায়, যা কর্মী এবং ম্যানেজার উভয়কে আবেদনগুলোর ব্যাপারে আপ-টু-ডেট রাখে।

৪. ছুটির নীতি বা লিভ পলিসি সহজ এবং স্বচ্ছ রাখুন

অনেক সময় ছুটির আবেদন ও অনুমোদন প্রক্রিয়া জটিল হয় কারণ, ছুটির নীতিমালা বা পলিসির স্বচ্ছতা থাকে না। এক এক টিম বা ব্যক্তির জন্য ভিন্ন ভিন্ন ছুটির পলিসি দেখা যায়। যদি ছুটির নীতিমালা সহজ এবং স্বচ্ছ হয়, তাহলে কর্মীরা সহজেই বুঝতে পারবেন কীভাবে এবং কখন ছুটির আবেদন করতে হবে।

লিভ পলিসি সহজ করার জন্য, নিম্নলিখিত পদক্ষেপগুলি অনুসরণ করুন-

  • ছুটির ধরন (বেতনসহ ছুটি, বেতনবিহীন ছুটি, অসুস্থতার ছুটি, বার্ষিক ছুটি, মাতৃত্বকালীন ছুটি, ক্যাজুয়াল লিভ ইত্যাদি) পরিষ্কারভাবে উল্লেখ করুন।
  • ছুটির আবেদনের জন্য সর্বনিম্ন এবং সর্বোচ্চ সময়সীমা নির্ধারণ করুন।
  • ছুটির আবেদনের জন্য অল্প কিন্তু প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টেশন বা তথ্য পরিষ্কারভাবে উল্লেখ করুন।

ছুটির নীতিমালা স্বচ্ছ এবং সহজ হলে, ছুটির আবেদন ও অনুমোদন প্রক্রিয়া অনেক দ্রুত এবং সহজ হয়।

৫. নিয়মিত কর্মীদের ফিডব্যাক নিন

ছুটির আবেদন ও অনুমোদন প্রক্রিয়া সহজ করার জন্য, নিয়মিত এমপ্লয়িদের ফিডব্যাক নেয়া যায়। কর্মী এবং ম্যানেজার উভয়ের কাছ থেকে ফিডব্যাক নিয়ে প্রক্রিয়াটি আরও উন্নতি করা যায়। কারণ, একটি পদ্ধতি সময়ের ব্যবধানে অকেজো হয়ে যাবে এটাই স্বাভাবিক।

ফিডব্যাক নেওয়ার জন্য এই পদ্ধতিগুলো অনুসরণ করুন-

  • কর্মীদের সাথে নিয়মিত মিটিং করুন এবং তাদের অভিজ্ঞতা জানুন।
  • অনলাইন সার্ভে বা ফিডব্যাক ফর্ম ব্যবহার করতে পারেন।
  • ফিডব্যাকের ভিত্তিতে লিভ পলিসি এবং প্রক্রিয়াটির উন্নতি করুন। 
  • অবশ্যই নতুন পরিবর্তনগুলো কর্মীদের সাথে যথা সময়ে শেয়ার করুন।

ছুটির আবেদন ও অনুমোদন প্রক্রিয়া সহজ করার মাধ্যমে, আপনি আপনার কর্মীদের কাজের গতি এবং উৎপাদনশীলতা বাড়াতে পারেন। এই পদ্ধতিগুলো অনুসরণ করে, আপনি আপনার অফিসে ছুটির আবেদন ও অনুমোদন প্রক্রিয়া দ্রুত ও সহজ করতে পারেন। এমপ্লয়ি ম্যানেজমেন্ট অ্যাপ এবং এইচআর সফটওয়্যার ব্যবহার করে এই প্রক্রিয়া আরও উন্নত করা যায়। তাহলে আর দেরি কেন? আজই আপনার অফিসে ছুটির আবেদন ও অনুমোদন প্রক্রিয়া সহজ করার পদক্ষেপ নিন।

আপনার প্রতিষ্ঠানের জন্য সহজ ও সাশ্রয়ী সমাধান- হাজিরা

হাজিরা দেশের সবচেয়ে সাশ্রয়ী এমপ্লয়ি ম্যানেজমেন্ট অ্যাপগুলোর একটি। একটি অ্যাপ থেকেই আপনি পেতে পারেন কর্মী ব্যবস্থাপনার বিভিন্ন সাপোর্ট। যেমন-

  • দৈনিক হাজিরা
  • কর্মী তথ্যভাণ্ডার
  • কাজের শিফট প্লানিং
  • রিপোর্ট
  • পে-রোল ম্যানেজমেন্ট
  • ডিজিটাল চুক্তিপত্র
  • ডকুমেন্ট ভল্ট
  • কাস্টম সেটিংস
  • ফ্রি কাস্টমার সাপোর্ট

কেনো সাশ্রয়ী অ্যাপ বলছি সেটাও দেখে নেয়া যাক-  হাজিরা’র চারটি প্যাকেজ ও তাদের মূল্য

০১. বেসিক প্যাকেজ- 

কোম্পানির সাইজ-  ০ থেকে ২০ জন

  • ৳১,৫০০/ মাসিক
  • ৳১৫,০০০/ বাৎসরিক

০২. স্ট্যান্ডার্ড প্যাকেজ- 

কোম্পানির সাইজ-  ২১ থেকে ৫০ জন

  • ৳৩,০০০/ মাসিক
  • ৳৩০,০০০/ বাৎসরিক

০৩. প্রিমিয়াম প্যাকেজ-  

কোম্পানির সাইজ-  ৫০ থেকে ৯৯ জন

  • ৳৪,৫০০/ মাসিক
  • ৳৪৫,০০০/ বাৎসরিক

০৪. এন্টারপ্রাইজ প্যাকেজ- 

কোম্পানির সাইজ-  ১০০+ জন

  • আলোচনা সাপেক্ষে
  • যোগাযোগ করুন- 
  • ফোন: 01967391554
  • ইমেইল: info@hazira.com

সহজ তিনটি ধাপে হাজিরা’তে যাত্রা শুরু করুন!

১ম ধাপ- হাজিরা’তে রেজিস্ট্রেশন বা সাইন আপ করুন: 

প্রথমেই কোম্পানির মালিক হিসেবে রেজিস্ট্রেশন করে হাজিরা’য় আপনার জার্নি শুরু করুন। রেজিস্ট্রেশনের পরেই আপনার ইনবক্সে একটি ভেরিফিকেশন মেইল যাবে, এটি দিয়ে আপনার ই-মেইলটি ভেরিফাই করতে হবে। 

(ভেরিফিকেশন মেইলটি আপনার ইনবক্সে না পাওয়া গেলে অনুগ্রহ করে স্প্যাম ফোল্ডারে চেক করুন।)

২য় ধাপ- আপনার কোম্পানি সেট-আপ করুন: 

ভেরিফিকেশন সম্পন্ন হলে লগইন করুন। এবার আপনার কোম্পানি বা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের প্রয়োজনীয় সকল তথ্য দিয়ে হাজিরা’য় আপনার কোম্পানি সেট-আপ করুন।

৩য় ধাপ- হাজিরা’র বিভিন্ন ফিচার উপভোগ করুন: 

এরপর আপনি হাজিরা’র ড্যাশবোর্ডটি দেখতে পাবেন। হাজিরা’র বিভিন্ন ফিচার উপভোগ করুন সহজে এবং সাশ্রয়ী দামে! হাজিরা’র ওয়েব এবং মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন, দুটোই আছে। 

ওয়েব অ্যাপ্লিকেশন: আপনার প্রতিষ্ঠানের প্রশাসনিক কাজগুলো সম্পাদন করার জন্য ওয়েব অ্যাপ্লিকেশনটি ব্যবহার করতে হবে।
হাজিরা ওয়েব অ্যাপ্লিকেশন

মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন: হাজিরা’র মোবাইল অ্যাপ আপনার প্রতিষ্ঠানের দৈনন্দিন কাজগুলো পরিচালনা করা আরও সহজ করবে। এমপ্লয়ি ম্যানেজমেন্ট আরও সহজ করতে ডাউনলোড করুন হাজিরা’র মোবাইল অ্যাপ- 

অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ

আইওএস অ্যাপ 

হাজিরা অ্যাপের সকল কার্যক্রম সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ডেমো ভিডিও দেখুন-
Demo of Hazira- Employee Management Application
৩০ দিনের ফ্রি ট্রায়াল!

হাজিরা’য় আপনি চাইলেই প্রথম ৩০ দিন ফ্রি ট্রায়াল শুরু করতে পারেন। তারপর প্রয়োজন মতো আপনার ব্যবসার জন্য প্যাকেজ নিয়ে ব্যবসায় সফলতা অর্জন করুন। তাহলে আর দেরি না করে চলে আসুন হাজিরা’য়!

কর্মীদের নেতিবাচক আচরণ সামলানোর কৌশল

কর্মীদের নেতিবাচক আচরণ (Negative Employee Behavior) যেকোনো প্রতিষ্ঠানের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ। এটি শুধু উৎপাদনশীলতা কমায় না, বরং অফিসের পরিবেশও নষ্ট করে। অনেক সময় এই সমস্যা এতটাই গভীরে চলে যায় যে, এটি দলগত কাজকে ব্যাহত করে এবং প্রতিষ্ঠানের লক্ষ্য অর্জনে বাধা সৃষ্টি করে। তবে সঠিক কৌশল প্রয়োগ করে আপনি এই সমস্যা সামলাতে পারেন। 

আজকের ব্লগে আমরা কর্মীদের নেতিবাচক আচরণ সামলানোর কার্যকরী কৌশল হিসেবে কিছু অফিস ম্যানেজমেন্ট টিপস (Office Management Tips) নিয়ে আলোচনা করবো।

ব্লগে যা থাকছে-

কর্মীদের নেতিবাচক আচরণ কী এবং কেন গুরুত্ব দেবেন?

অফিসে কর্মীদের নেতিবাচক আচরণ বলতে বোঝায় এমন আচরণ যা প্রতিষ্ঠানের নীতিমালা, সহকর্মী বা কাজের পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর। এটি হতে পারে, অফিসে অযথা বিরোধ সৃষ্টি করা, কাজে অনীহা দেখানো, সহকর্মীদের সাথে খারাপ আচরণ করা বা প্রতিষ্ঠানের সময় ও সম্পদ অপচয় করা।

এই ধরনের আচরণ শুধু ব্যক্তিগত সম্পর্কের ক্ষতি করে না, বরং পুরো টিমের মনোবলও নষ্ট করে। তাই, কর্মীদের নেতিবাচক আচরণ দ্রুত শনাক্ত করে তা সমাধান করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

কর্মীদের নেতিবাচক আচরণ চিহ্নিত করার উপায়

কর্মস্থলে কর্মীদের নেতিবাচক আচরণ বিভিন্নভাবে প্রকাশ পেতে পারে। এটি কর্মীর কাজের ধরন, সহকর্মীদের সাথে সম্পর্ক কিংবা অফিসের নিয়মনীতি অনুসরণের উপর প্রভাব ফেলে। সাধারণ কিছু নেতিবাচক আচরণের ধরন এমন হতে পারে-

  • অফিসের নিয়মকানুন উপেক্ষা করা বা সময়মতো কাজ না করা।
  • সবকিছু নিয়ে অভিযোগ করা, কোনো কিছুতেই সন্তুষ্ট না হয়ে নেতিবাচক মনোভাব প্রকাশ করা।
  • দলগত কাজে বা টিমওয়ার্কে সমস্যা তৈরি করা, সহকর্মীদের সহযোগিতা না করা এবং ছোট ছোট ব্যাপারে অপ্রয়োজনীয় বিরোধ সৃষ্টি করা।
  • নিজের দায়িত্ব এড়িয়ে যাওয়ার প্রবণতা। নিজের কাজ অন্যের ওপর চাপিয়ে দিয়ে দায়িত্ব এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করা।
  • গুরুত্বপূর্ণ তথ্য শেয়ার না করা, যেটা ভুল বোঝাবুঝির কারণ হতে পারে।
  • যোগাযোগে অসহযোগিতা করা- যেমন: ফোন না ধরা, ইমেইলের জবাব না দেয়া, সময়মতো মিটিংয়ে না আসা ইত্যাদি।

মনে রাখবেন, যদি কোনো কর্মী নিয়মিতভাবে এসব আচরণ প্রদর্শন করেন, তাহলে দ্রুত পদক্ষেপ নিন। হঠাৎ কোন সমস্যার জন্য তাকে সতর্ক করুন বা আলোচনা করুন। 

কর্মীদের নেতিবাচক আচরণের সাধারণ কারণ

কর্মীদের নেতিবাচক আচরণের পেছনে বিভিন্ন কারণ থাকতে পারে। যেমন-

  • কাজের চাপ এবং মানসিক চাপ: অতিরিক্ত কাজের চাপ বা ব্যক্তিগত সমস্যার কারণে কর্মীরা নেতিবাচক আচরণ করতে পারেন।
  • প্রাতিষ্ঠানিক অসন্তোষ: বেতন, সুযোগ-সুবিধা বা পদোন্নতি নিয়ে অসন্তোষ থাকলে কর্মীরা হতাশ হয়ে পড়তে পারেন।
  • যোগাযোগের ঘাটতি: ম্যানেজমেন্ট এবং কর্মীদের মধ্যে দুর্বল যোগাযোগের কারণে অনেক সময় বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়।
  • বিষাক্ত কাজের পরিবেশ: অস্বাস্থ্যকর ও নেগেটিভ কাজের পরিবেশ কর্মীদের বিরক্তির কারণ হতে পারে।

কর্মক্ষেত্রে কর্মীদের নেতিবাচক আচরণ সামলানোর কার্যকর কৌশল

একটি সুসংগঠিত অফিস পরিচালনার জন্য কর্মীদের ইতিবাচক মনোভাব অপরিহার্য। কিন্তু বাস্তবতা হলো, অনেক সময় কর্মীদের নেতিবাচক আচরণ অফিসের পরিবেশ নষ্ট করে, সার্বিক কর্মক্ষমতা কমায় এবং টিমওয়ার্ক বাধাগ্রস্ত করে। কর্মীদের নেতিবাচক আচরণ যদি সঠিকভাবে সামলানো না হয়, তাহলে সেটা পুরো প্রতিষ্ঠানের ইমেজ এবং উৎপাদনশীলতার ওপর প্রভাব ফেলতে পারে। তাই আপনাকে কর্মীদের নেতিবাচক আচরণ চিহ্নিত করা জানতে হবে এবং সে অনুযায়ী কিছু পদক্ষেপ নিতে হবে।

১. ইতিবাচক অফিস সংস্কৃতি গড়ে তুলুন

একটি অফিসের পজেটিভ কালচার কর্মীদের মাঝে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে পারে। কর্মক্ষেত্রে সুস্থ ও পজিটিভ পরিবেশ তৈরি করুন, যাতে কর্মীরা অফিসে আসতে ভালোবাসেন এবং তাদের কাজ উপভোগ করেন। কীভাবে করবেন-

  • অফিসের নিয়মকানুন বা নীতিমালা সবার জন্য উন্মুক্ত করতে হবে।
  • কর্মীদের মতামতকে সবসময় গুরুত্ব দিতে হবে।
  • সুযোগ পেলেই কর্মীদের প্রশংসা করতে হবে, পারলে তাদের ইতিবাচক কাজের বা আচরণের জন্য পুরস্কার দিতে হবে। 

২. কর্মীদের নেতিবাচক আচরণের কারণ বোঝার চেষ্টা করুন

অনেক সময় কর্মীদের নেতিবাচক আচরণ ব্যক্তিগত বা কর্মস্থলের কোনো সমস্যার কারণে হতে পারে। তাই আগে তাদের সমস্যা বোঝার চেষ্টা করুন।

  • মাঝে মাঝে একান্ত আলাপচারিতার মাধ্যমে কর্মীদের সমস্যার কারণ জানার চেষ্টা করুন।
  • অফিসে চাপ বা স্ট্রেস ম্যানেজমেন্ট এর জন্য কাউন্সেলিংয়ের ব্যবস্থা রাখতে পারেন।
  • আর অবশ্যই কর্মীদের সাথে সহানুভূতিশীল আচরণ করুন।

৩. প্রয়োজনীয় ও কার্যকর যোগাযোগ বজায় রাখুন

একটি সুসংগঠিত অফিস পরিচালনার জন্য কার্যকর যোগাযোগ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

  • কর্মীদের সাথে খোলামেলা ও সরাসরি আলোচনায় কার্পণ্য করবেন না।
  • নেতিবাচক আচরণ সম্পর্কে আগে সতর্ক করুন এবং সেগুলো থেকে বেরিয়ে আসার জন্য পরামর্শ দিন।
  • অফিসের নিয়মকানুন সম্পর্কে কর্মীদের মাঝেমাঝেই সচেতন করুন।

৪. এমপ্লয়ি ম্যানেজমেন্ট অ্যাপ ব্যবহার করুন

একটি ভালো এমপ্লয়ি ম্যানেজমেন্ট অ্যাপ অফিস পরিচালনাকে সহজ করে এবং কর্মীদের সক্ষমতা ট্র্যাক করতে সাহায্য করে। একটি অ্যাপের মাধ্যমেই মানবসম্পদের স্মার্ট ম্যানেজমেন্ট নিশ্চিত করতে পারেন। পাশাপাশি আপনার প্রতিষ্ঠানের সমৃদ্ধি ও লক্ষ্য পূরণে এই অ্যাপ হতে পারে আসল গেম চেঞ্জার! তাই মহাগুরুত্বপূর্ণ এই কাজের দায়িত্ব দেশের অন্যতম সেরা এইচআর ম্যানেজমেন্ট সফটওয়্যার ‘হাজিরা’র উপর দিতে পারেন। কারণ, হাজিরা যেকোনো প্রতিষ্ঠানের কর্মী ব্যবস্থাপনার কাজটিকে করে তুলবে সহজ ও ইফেক্টিভ! এই বিষয়ে আরও জানতে পড়ুন- বাংলাদেশি কোম্পানির জন্য সেরা এইচআর সফটওয়্যার

৫. কিছুক্ষেত্রে কঠোর হন কিন্তু ন্যায্য শাস্তির ব্যবস্থা রাখুন

কর্মীদের নেতিবাচক আচরণ বারবার ঘটলে শাস্তির ব্যবস্থা রাখা জরুরি। তবে শাস্তি যেন ন্যায্য ও প্রাসঙ্গিক হয়।

  • অফিসের নিয়ম একাধিকবার ভঙ্গ করলে লিখিত সতর্কবার্তা দিন।
  • এরপরও বারবার সমস্যা সৃষ্টি করলে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য আর্থিক জরিমানা করুন।
  • চূড়ান্ত পর্যায়ে সমস্যার সমাধান না হলে কর্মীকে ছাঁটাই করার সিদ্ধান্তু জাননা।

৬. কর্মক্ষেত্রে নেতিবাচক আচরণ সামলাতে অতিরিক্ত টিপস

  • বৈষম্য পরিহার করুন, সকল কর্মীর প্রতি সমান আচরণ করুন।
  • কোনো সমস্যা দেখা দিলে দ্রুত সমাধানের চেষ্টা করুন।
  • কর্মীদের পেশাদার আচরণের জন্য প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করুন।
  • কর্মীদের নেতিবাচক আচরণ পরিবর্তনের জন্য সময় দিন।
  • কর্মীদের সঙ্গে ব্যক্তিগত আলোচনার প্রয়োজনীয় গোপনীয়তা বজায় রাখুন।

কর্মীদের নেতিবাচক আচরণ সঠিকভাবে সামলানো চ্যালেঞ্জিং কাজ। তবে উপযুক্ত কৌশল ও পদক্ষেপ নিলে এটি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। অফিসের পরিবেশ উন্নত করতে এইচআর সফটওয়্যার বা এমপ্লয়ি ম্যানেজমেন্ট অ্যাপ ব্যবহার করে অফিস ম্যানেজমেন্ট আরও সহজ করা যায়। খেয়াল রাখবেন, একসাথে কাজ করলে একটি সুন্দর এবং পজিটিভ কর্মপরিবেশ গড়ে তোলা অসম্ভব নয়। আরও নতুন কিছু জানতে পড়ুন-  

অফিসে কাজের পরিবেশ ভালো রাখতে HR প্রফেশনালদের করণীয়

আপনার প্রতিষ্ঠানের জন্য সহজ ও সাশ্রয়ী সমাধান- হাজিরা

হাজিরা দেশের সবচেয়ে সাশ্রয়ী এমপ্লয়ি ম্যানেজমেন্ট অ্যাপগুলোর একটি। একটি অ্যাপ থেকেই আপনি পেতে পারেন কর্মী ব্যবস্থাপনার বিভিন্ন সাপোর্ট। যেমন-

  • দৈনিক হাজিরা
  • কর্মী তথ্যভাণ্ডার
  • কাজের শিফট প্লানিং
  • রিপোর্ট
  • পে-রোল ম্যানেজমেন্ট
  • ডিজিটাল চুক্তিপত্র
  • ডকুমেন্ট ভল্ট
  • কাস্টম সেটিংস
  • ফ্রি কাস্টমার সাপোর্ট

কেনো সাশ্রয়ী অ্যাপ বলছি সেটাও দেখে নেয়া যাক-  হাজিরা’র চারটি প্যাকেজ ও তাদের মূল্য

০১. বেসিক প্যাকেজ- 

কোম্পানির সাইজ-  ০ থেকে ২০ জন

  • ৳১,৫০০/ মাসিক
  • ৳১৫,০০০/ বাৎসরিক

০২. স্ট্যান্ডার্ড প্যাকেজ- 

কোম্পানির সাইজ-  ২১ থেকে ৫০ জন

  • ৳৩,০০০/ মাসিক
  • ৳৩০,০০০/ বাৎসরিক

০৩. প্রিমিয়াম প্যাকেজ-  

কোম্পানির সাইজ-  ৫০ থেকে ৯৯ জন

  • ৳৪,৫০০/ মাসিক
  • ৳৪৫,০০০/ বাৎসরিক

০৪. এন্টারপ্রাইজ প্যাকেজ- 

কোম্পানির সাইজ-  ১০০+ জন

  • আলোচনা সাপেক্ষে
  • যোগাযোগ করুন- 
  • ফোন: 01967391554
  • ইমেইল: info@hazira.com

সহজ তিনটি ধাপে হাজিরা’তে যাত্রা শুরু করুন!

১ম ধাপ- হাজিরা’তে রেজিস্ট্রেশন বা সাইন আপ করুন: 

প্রথমেই কোম্পানির মালিক হিসেবে রেজিস্ট্রেশন করে হাজিরা’য় আপনার জার্নি শুরু করুন। রেজিস্ট্রেশনের পরেই আপনার ইনবক্সে একটি ভেরিফিকেশন মেইল যাবে, এটি দিয়ে আপনার ই-মেইলটি ভেরিফাই করতে হবে। 

(ভেরিফিকেশন মেইলটি আপনার ইনবক্সে না পাওয়া গেলে অনুগ্রহ করে স্প্যাম ফোল্ডারে চেক করুন।)

২য় ধাপ- আপনার কোম্পানি সেট-আপ করুন: 

ভেরিফিকেশন সম্পন্ন হলে লগইন করুন। এবার আপনার কোম্পানি বা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের প্রয়োজনীয় সকল তথ্য দিয়ে হাজিরা’য় আপনার কোম্পানি সেট-আপ করুন।

৩য় ধাপ- হাজিরা’র বিভিন্ন ফিচার উপভোগ করুন: 

এরপর আপনি হাজিরা’র ড্যাশবোর্ডটি দেখতে পাবেন। হাজিরা’র বিভিন্ন ফিচার উপভোগ করুন সহজে এবং সাশ্রয়ী দামে! হাজিরা’র ওয়েব এবং মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন, দুটোই আছে। 

ওয়েব অ্যাপ্লিকেশন: আপনার প্রতিষ্ঠানের প্রশাসনিক কাজগুলো সম্পাদন করার জন্য ওয়েব অ্যাপ্লিকেশনটি ব্যবহার করতে হবে।
হাজিরা ওয়েব অ্যাপ্লিকেশন

মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন: হাজিরা’র মোবাইল অ্যাপ আপনার প্রতিষ্ঠানের দৈনন্দিন কাজগুলো পরিচালনা করা আরও সহজ করবে। এমপ্লয়ি ম্যানেজমেন্ট আরও সহজ করতে ডাউনলোড করুন হাজিরা’র মোবাইল অ্যাপ- 

অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ

আইওএস অ্যাপ 

হাজিরা অ্যাপের সকল কার্যক্রম সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ডেমো ভিডিও দেখুন-
Demo of Hazira- Employee Management Application
৩০ দিনের ফ্রি ট্রায়াল!

হাজিরা’য় আপনি চাইলেই প্রথম ৩০ দিন ফ্রি ট্রায়াল শুরু করতে পারেন। তারপর প্রয়োজন মতো আপনার ব্যবসার জন্য প্যাকেজ নিয়ে ব্যবসায় সফলতা অর্জন করুন। তাহলে আর দেরি না করে চলে আসুন হাজিরা’য়!