বাংলাদেশে মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা সেক্টরে টেকনোলজির প্রভাব

আধুনিক মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা এখন অনেকটাই টেকনোলজি বা প্রযুক্তিনির্ভর একটি সেক্টর! শুনতে অবাক লাগলেও, হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট (Human Resource Management) এর সাথে জড়িত প্রতিটি কাজেই লেগেছে ডিজিটাল প্রযুক্তির ছোঁয়া। আগের সেই হাজিরা খাতা, ছুটি বা লিভ আবেদনের কাগুজে ব্যবস্থা আর কর্মীদের রেকর্ড রাখার ফাইল এখন প্রায় বিলুপ্তির পথে!

আসলে, টেকনোলজির ব্যবহার এখন আমাদের দৈনন্দিন জীবনের সাথেই ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে গেছে। আর ব্যবসা বর্তমান সময়ে সবচেয়ে বেশি টেকনোলজি নির্ভর হয়ে পড়েছে। তাহলে যেকোনো প্রতিষ্ঠান বা ব্যবসা পরিচালনার অতি গুরুত্বপূর্ণ সেক্টর, মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনাই কেনো বাদ পড়বে? সারাবিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে বাংলাদেশেও মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনায় টেকনোলজির ব্যবহার বৃদ্ধি পেয়েছে। ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো এর সুফলও পাচ্ছে।

আমরা আজকে মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা খাতের কোন কোন সেক্টরে প্রযুক্তির অবদান সবচেয়ে বেশি সেগুলো তুলে ধরবো। চলুন তাহলে দেখে নেয়া যাক, বাংলাদেশে মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনায় টেকনোলজির প্রভাব কতটুকু?

ব্লগে যা থাকছে-

মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনায় টেকনোলজির প্রভাব কতটুকু?

২০২১ সালে বিখ্যাত মার্কেট রিসার্চ প্রতিষ্ঠান ‘এলিড মার্কেট রিসার্চ (Allied market research)’ মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা বা হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট সংক্রান্ত একটি গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করে। সেখানে তারা তুলে ধরে-

“২০২১ সালে মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনার সাথে জড়িত টেকনোলজি বা প্রযুক্তির বিশ্বব্যাপী বাজারের আকার ছিলো প্রায় ৩২.৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার! এবং তাদের গবেষণা মতে, ২০২২ থেকে ২০৩১ সালের মধ্যে মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনার সাথে জড়িত টেকনোলজি বা প্রযুক্তির বাজারটি বাৎসরিক ৯.২% চক্রবৃদ্ধি হারে বাড়বে। তারা আরও জানায়, ২০৩১ সালে এসে বাজারটির আকার প্রায় ৭৬.৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পরিণত হবে!”

এখন ভেবে দেখা দরকার, বাজাটি কেনো বাড়ছে এবং কেনো বাড়বে? কারণ, পৃথিবীব্যাপি বিজনেস ওনার বা মালিক বা উদ্যোক্তারা বুঝে গেছেন, মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা খাতে ব্যয় করলে সেটা প্রতিষ্ঠানের জন্য লাভজনক। ব্যয়টি কয়েকগুণ ফিডব্যাক দেয়! একটি প্রতিষ্ঠানের যতো ধরনের সম্পদ থাকে, তার ভেতর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ হলো মানব সম্পদ! তাই এই সেক্টরের আধুনিকায়নে প্রস্তুত হচ্ছেন সকল ব্যবসায়ী।

মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনার এমপ্লয়ি ম্যানেজমেন্ট সেক্টরে টেকনোলজি

মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনার সবচেয়ে জটিল ও গুরুত্বপূর্ণ সেক্টরটির নাম হলো কর্মী ব্যবস্থপনা বা এমপ্লয়ি ম্যানেজমেন্ট। একটি প্রতিষ্ঠানের মালিক কিংবা এইচআর ম্যানেজার এই কাজটি যত সুচারুরূপে পরিচালনা করেন, সেই প্রতিষ্ঠান ততো সফলতার সাথে এগিয়ে যায়। কর্মী ব্যবস্থাপনা মূল লক্ষ্যই থাকে, কর্মীদের থেকে তাদের পূর্ণ ‍উৎপাদনশীলতা আদায় করা। কিন্তু কর্মীরাও যেন উৎসাহ নিয়ে প্রতিষ্ঠানের কল্যাণে কাজ করেন, এটিও মাথায় রাখতে হবে।

আর মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনার এমপ্লয়ি ম্যানেজমেন্ট সেক্টরে টেকনোলজি সবচেয়ে বড় গেম চেঞ্জার হিসেবে কাজ করেছে এবং করছে। একজন এইচআর ম্যানেজারের কাছে HR সফটওয়্যারের মাধ্যমে মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা এখন খুবই স্বাভাবিক একটা চিত্র। মানব সম্পদ উন্নয়ন এবং অফিসের কর্মীদের পরিচালানায় একটি ভালো এইচআর সফটওয়্যার কোন কোন জায়গায় কাজ করবে, চলুন দেখি-

০১. অফিসে কর্মীদের উপস্থিতির ডিজিটাল রেকর্ড

হাজিরা খাতায় ‍রেকর্ড টুকে রাখার দিনে আর নেই। এখন একটি সফটওয়্যারেই এমপ্লয়িরা তাদের প্রতিদিনের উপস্থিতির রেকর্ড রাখতে পারেন। সেটাও নিজের নিয়ন্ত্রণে রেখে, ফলে ভুল বোঝাবুঝিরও ঝামেলা থাকে না। পাঞ্চ ইন এবং পাঞ্চ আউট এখন মোবাইলেও দেয়া যায়। আর একজন এইচআর ম্যানেজার একটি স্মার্টফোনেই সবকিছু দেখতে পারেন।
তাই, কর্মীদের উপস্থিতির রেকর্ড রাখতে এখন আর হাজিরা খাতা লাগে না, প্রয়োজন ‘হাজিরা’ সফটওয়্যার! হ্যাঁ, হাজিরা হলো একটি সহজ ও সাশ্রয়ী এইচআর সফটওয়্যার। যার মাধ্যমে আপনি একটি প্ল্যাটফর্ম থেকেই কর্মী ব্যবস্থাপনা সকল কাজ করতে পারবেন।

০২. ছুটি বা লিভ ম্যানেজমেন্ট এখন অনেক সহজ

কর্মীদের ছুটি সামাল দিতে হিমশিম খেতে দেখা যায় ঝানু ঝানু সব এইচআর ম্যানেজারদের! মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনার একটি ছোট্ট দিক অনেক সময় এমপ্লয়ি ও ম্যানেজমেন্ট এর মন কষাকষির কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
আর এই সমস্যার স্থায়ী সমাধান করে দিয়েছে এইচআর সফটওয়্যারগুলো। লিভ আবেদনের কাগুজে ব্যবস্থাকে বিদায় করে, সম্পূর্ণ ডিজিটাল লিভ ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম এখন প্রায় প্রতিটি প্রতিষ্ঠানে। অযথা বিড়ম্বনারও কোন উপায় নেই। লিভ অ্যাপ্লিকেশন সাবমিট এবং অ্যাপ্রুভ এখন আমাদের হাতের মুঠোয়। বাংলাদেশের কোম্পানিগুলোর জন্য সেরা এইচআর সফটওয়্যার হাজিরা’ দেবে লিভ ম্যানেজমেন্ট এর ওয়ান-স্টপ সার্ভিস।

০৩. ক্লাউডভিত্তিক এইচআর সফটওয়্যার তাই ডেটা থাকে নিরাপত্তা

মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনার জন্য এইচআর সফটওয়্যারগুলো বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ক্লাউডভিত্তিক হয়ে থাকে। তাই ব্যবসার ডেটা থাকে নিরাপদ। কর্মীদের যেকোন ডেটা ইনপুট হওয়ার সাথে সাথেই সেগুলো একটি সার্ভারে সংরক্ষিত হয়।

০৪. একাধিক কর্মস্থল নিয়ন্ত্রণ করা যায় একটি অ্যাপের মাধ্যমে

প্রতিষ্ঠানের একাধিক স্টেশন পরিচালনা করা এখন অনেক সহজ! একটি অ্যাপের মাধ্যমেই মালিক কিংবা এইচআর ম্যানেজার একাধিক স্টেশনের কর্মী ব্যবস্থাপনা করতে পারেন। তাই হাজিরা’তেও রাখা হয়েছে ওয়ান স্টেশন ফিচার

০৫. কর্মীদের শিফট প্ল্যানিং হয়েছে সহজ

কর্মীদের শিফট প্ল্যানিংয়ের মতো কঠিন কাজটিও এখন আর কঠিন নেই। কারণ এইচআর অ্যাপের মাধ্যমে বাসায় বসেই করতে পারবেন এমপ্লয়িদের শিফট প্ল্যানিং। হাজিরা অ্যাপেও আছে কর্মীদের শিফট প্ল্যানিং সুবিধা।

০৬. পে-রোল সুবিধা

এখন কর্মীদের বেতন দেয়ার জন্য রাত জাগা খাটুনির কোনো দরকার নেই। এইচআর ম্যানেজমেন্ট সফটওয়্যারে থাকে পে-রোল সুবিধা। আপনি ডিজিটালি পুরো অফিসের বেতন দিতে পারেন কয়েকটি ক্লিকে!

০৭. এমপ্লয়ি রিপোর্টস রাখতে ফাইল সামলানো লাগে না!

এমপ্লয়িদের সকল তথ্য একটি ডেটাবেজে সংরক্ষিত থাকে। উপস্থিতি, ছুটি, কাজের পারফর্মেন্স সহ তাদের সাধারণ তথ্য রাখতে তাই আর ফাইল সামলাতে হয় না। মাস কিংবা বছর শেষে অটোমেটিক এমপ্লয়ি রিপোর্ট পাওয়া যায়। এতে করে এমপ্লয়ি পারফর্মেন্স পরিমাপ করা যায় সহজে।

এগুলোর বাহিরেও মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনার আরও অনেক সেবা নিশ্চিত করে এইচআর সফটওয়্যারগুলো। আর এই এইচআর সফটওয়্যারের বাহিরেও আছে নানান টেকনোলজি, যেগুলো মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা বা হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট এ বিশাল প্রভাব রাখছে।

মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনার কর্মী নিয়োগে টেকনোলজি

বর্তমান সময়ে প্রতিষ্ঠানের কর্মী খোঁজা থেকে শুরু করে কর্মী নিয়োগ, পুরো প্রক্রিয়াটিই ডিজিটালি সমাধান করা যায়। কর্মী খোঁজার জন্য আছে লিংকডইন সহ বিভিন্ন প্রফেশনাল জব সাইট। আবেদন বাছাই করার জন্যও আছে টুল। প্রাথমিক বাছাই করার জন্য এইচআর ম্যানেজার এখন অনলাইন ইন্টারভিউ নিয়ে থাকেন। পুরো প্রক্রিয়াটিতে উল্লেখযোগ্য সময় ও পরিশ্রম কমিয়ে দিয়েছে টেকনোলজি। মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনার অতি গুরুত্বপূর্ণ কাজ নতুন কর্মী নিয়োগ, এখন তাই অনেক বেশি প্রযুক্তিনির্ভর।

মানব সম্পদ উন্নয়নে ডিজিটাল ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা

কোনো একটি নির্দিষ্ট বিষয়ে প্রতিষ্ঠানের একজন বা একাধিক কর্মীর ট্রেনিং দরকার বা একটি পুরো টিমের ট্রেনিং দরকার বা পুরো অফিসের সবার টেনিংটি দরকার। আগে অনেক ঝামেলা করে দল ভাগ করে কোন জায়গায় ট্রেনিংয়ের জন্য পাঠানো হতো। আর এখন শুধুমাত্র প্রয়োজনীয় বিষয়ের উপর একটি ভালো ট্রেনিং কোর্স বাছাই করে সবাইকে একি সাথে ট্রেনিং করানো যায়। পুরো ব্যাপারটি অনলাইনে আয়োজন করা হয়। ফলে খরচ কমে, সময় বাঁচে, পরিশ্রম কমে এবং ট্রেনিংটির প্রতি এমপ্লয়িদের আগ্রহ থাকে।
আর এই বিষয়কে কেন্দ্র করেই পেশাদার দক্ষতা বৃদ্ধির একটি নতুন সেক্টরের জন্ম হয়েছে! যেখানে বিশ্বের নানা প্রান্তের দক্ষ প্রফেশনালরা তাদের দক্ষতা কোর্স আকারে বিক্রি করেন। যে কেউ নিজের জন্য বা প্রতিষ্ঠানের জন্য এই কোর্সগুলো কিনতে পারেন। মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা খাতে কর্মীদের উন্নয়ন বা দক্ষতা বৃদ্ধি তাই এখন অনেক সহজ ও সাশ্রয়ী।

বাংলাদেশের মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনার কিছু চ্যালেঞ্জ

প্রতিটি প্রাপ্তির কিছু চ্যালেঞ্জ থাকবে এটাই স্বাভাবিক। তাই বাংলাদেশের মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা খাতে টেকনোলজির যেমন পজেটিভ প্রভাব আছে, তেমনি আছে কিছু চ্যালেঞ্জ। যেমন-

০১. পরিবর্তনের সাথে কর্মী ও মালিকদের খাপ খাওয়ানো

পরিবর্তনের সাথে খাপ খাওয়ানো এবং সেটি গ্রহণে অনাগ্রহ ও অসহযোগিতা খুবই স্বাভাবিক একটি বিষয়। এটি মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা খাতে টেকনোলজি ব্যবহারের অন্যতম বড় চ্যালেঞ্জ। এই চ্যালেঞ্জটি মালিক পক্ষ থেকে যেমন আসতে পারে, তেমনি যাদের উন্নয়নে এই ব্যবস্থা, মানে কর্মীদের পক্ষ থেকেও আসতে পারে।
অনেক সময় মালিক বা ম্যানেজমেন্ট নতুন প্রযুক্তিতে অভ্যস্ত হতে চান না বা সেটার গুরুত্ব বুঝতে পারেন না। ফলে একটি নির্দিষ্ট সময় পরে তারা তাদের প্রতিযোগীদের থেকে পিছিয়ে পড়েন। আবার অনেক সময় এমপ্লয়িরা নতুন প্রযুক্তি গ্রহণে অসহযোগিতা করতে পারেন। এটিও মানব সম্পদ উন্নয়নে বড় বাধা হতে পারে। মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনার এই চ্যালেঞ্জটি মোকাবেলা করতে এইচআর ম্যানেজারকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে হয়।

০২. মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনায় টেকনোলজির খরচ

আরেকটি প্রধান চ্যালেঞ্জ হলো, মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনায় টেকনোলজির পেছনে ব্যয় করতে অনীহা। মালিক বা উদ্যোক্তারা অনেক সময় কর্মীদের পেছনে প্রয়োজনীয় ব্যয় করতে চান না। এটা যে বিনিয়োগ সেটা তারা শুরুতে বুঝতে পারেন না।
আর এটা এইচআর ম্যানেজারকে খুব ভোগায়! কারণ, প্রতিষ্ঠান চায় উন্নতি, কিন্তু প্রয়োজনীয় ব্যয় করতে অনীহা দেখানো বা কম খরচ করার ইচ্ছা থাকায় টেকনোলজির পুরো সুবিধা পাওয়া যায় না। ফলে দায় এসে পড়ে এইচআর ম্যানেজারের কাঁধে!

০৩. ডেটা নিরাপত্তা নিশ্চিত করা

মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনায় টেকনোলজির প্রভাব নিয়ে আলোচনা করলেই যে আশঙ্কাটি সবার আগে মাথায় আসে সেটি হলো, ডেটা নিরাপত্তা। কারণ, টেকনোলজি যেমন ডেটা নিরাপত্তা নিশ্চিত করার পথ দেখাচ্ছে, তেমনি টেকনোলজির অপব্যবহার ডেটা নিরাপত্তাকে হুমকির মুখে ফেলছে!
তাই যখনই মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনাকে টেকনোলজি নির্ভর করা হয়, তখন অবশ্যই ডেটা নিরাপত্তার জন্য ভালো ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। আর এটার সমাধানও আপনি পাবেন টেকনোলজি থেকে!

তারপরও প্রযুক্তিতেই স্মার্ট মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনার মুক্তি!

নিরাপত্তা ঝুঁকি এবং অন্যান্য চ্যালেঞ্জ যতই থাকুন না কেনো, টেকনোলজির সঠিক ব্যবহারেই স্মার্ট মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনার মুক্তি! আপনি যত তাড়াতাড়ি বাস্তবতাকে মেনে নেবেন ততোই মঙ্গল। আর যতো দেরি করবেন ততো আপানার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের পথ চলা কঠিন হবে। আপনার প্রতিষ্ঠান অন্যদের থেকে পিছিয়ে পড়বে।
যেখানো আপনার প্রাত্যাহিক জীবনে ডিজিটাল টেকনোলজির প্রভাব পড়েছে, সেখানে আপনার প্রতিষ্ঠান বাদ পড়বে কেন? তাই হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট বা মানব সম্পদ ব্যবস্থাপানায় টেকনোলজির প্রভাব মেনে নিতে হবে। প্রয়োজনীয় টেকনোলজি ব্যবহার করে সেগুলোর সর্বোচ্চ সুবিধা নিতে হবে, তবেই স্মার্ট মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত হবে।

আপনার প্রতিষ্ঠানের জন্য হাজিরা অ্যাপই কেনো?

হাজিরা দেশের সবচেয়ে সাশ্রয়ী এমপ্লয়ি ম্যানেজমেন্ট অ্যাপগুলোর একটি। একটি অ্যাপ থেকেই আপনি পেতে পারেন কর্মী ব্যবস্থাপনার বিভিন্ন সাপোর্ট। যেমন-

  • দৈনিক হাজিরা
  • কর্মী তথ্যভাণ্ডার
  • কাজের শিফট প্লানিং
  • রিপোর্ট
  • পে-রোল ম্যানেজমেন্ট
  • ডিজিটাল চুক্তিপত্র
  • ডকুমেন্ট ভল্ট
  • কাস্টম সেটিংস
  • ফ্রি কাস্টমার সাপোর্ট

কেনো সাশ্রয়ী অ্যাপ বলছি সেটাও দেখে নেয়া যাক-  হাজিরা’র চারটি প্যাকেজ ও তাদের মূল্য

০১. বেসিক প্যাকেজ- 

কোম্পানির সাইজ-  ০ থেকে ২০ জন

  • ৳১,৫০০/ মাসিক
  • ৳১৫,০০০/ বাৎসরিক

০২. স্ট্যান্ডার্ড প্যাকেজ- 

কোম্পানির সাইজ-  ২১ থেকে ৫০ জন

  • ৳৩,০০০/ মাসিক
  • ৳৩০,০০০/ বাৎসরিক

০৩. প্রিমিয়াম প্যাকেজ-  

কোম্পানির সাইজ-  ৫০ থেকে ৯৯ জন

  • ৳৪,৫০০/ মাসিক
  • ৳৪৫,০০০/ বাৎসরিক

০৪. এন্টারপ্রাইজ প্যাকেজ-

কোম্পানির সাইজ-  ১০০+ জন

  • আলোচনা সাপেক্ষে
  • যোগাযোগ করুন- 
  • ফোন: 01967391554
  • ইমেইল: info@hazira.com

সহজ তিনটি ধাপে হাজিরা’তে যাত্রা শুরু করুন!

১ম ধাপ- হাজিরা’তে রেজিস্ট্রেশন বা সাইন আপ করুন: 

প্রথমেই কোম্পানির মালিক হিসেবে রেজিস্ট্রেশন করে হাজিরা’য় আপনার জার্নি শুরু করুন। রেজিস্ট্রেশনের পরেই আপনার ইনবক্সে একটি ভেরিফিকেশন মেইল যাবে, এটি দিয়ে আপনার ই-মেইলটি ভেরিফাই করতে হবে। (ভেরিফিকেশন মেইলটি আপনার ইনবক্সে না পাওয়া গেলে অনুগ্রহ করে স্প্যাম ফোল্ডারে চেক করুন।)

২য় ধাপ- আপনার কোম্পানি সেট-আপ করুন: 

ভেরিফিকেশন সম্পন্ন হলে লগইন করুন। এবার আপনার কোম্পানি বা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের প্রয়োজনীয় সকল তথ্য দিয়ে হাজিরা’য় আপনার কোম্পানি সেট-আপ করুন।

৩য় ধাপ- হাজিরা’র বিভিন্ন ফিচার উপভোগ করুন: 

এরপর আপনি হাজিরা’র ড্যাশবোর্ডটি দেখতে পাবেন। হাজিরা’র বিভিন্ন ফিচার উপভোগ করুন সহজে এবং সাশ্রয়ী দামে! হাজিরা’র ওয়েব এবং মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন, দুটোই আছে। 

ওয়েব অ্যাপ্লিকেশন: আপনার প্রতিষ্ঠানের প্রশাসনিক কাজগুলো সম্পাদন করার জন্য ওয়েব অ্যাপ্লিকেশনটি ব্যবহার করতে হবে।
হাজিরা ওয়েব অ্যাপ্লিকেশন

মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন: হাজিরা’র মোবাইল অ্যাপ আপনার প্রতিষ্ঠানের দৈনন্দিন কাজগুলো পরিচালনা করা আরও সহজ করবে। এমপ্লয়ি ম্যানেজমেন্ট আরও সহজ করতে ডাউনলোড করুন হাজিরা’র মোবাইল অ্যাপ- 

অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ

আইওএস অ্যাপ 

হাজিরা অ্যাপের সকল কার্যক্রম সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ডেমো ভিডিও দেখুন-
Demo of Hazira- Employee Management Application

৩০ দিনের ফ্রি ট্রায়াল!

হাজিরা’য় আপনি চাইলেই প্রথম ৩০ দিন ফ্রি ট্রায়াল শুরু করতে পারেন। তারপর প্রয়োজন মতো আপনার ব্যবসার জন্য প্যাকেজ নিয়ে ব্যবসায় সফলতা অর্জন করুন। তাহলে আর দেরি না করে চলে আসুন হাজিরা’য়!

অফিসে কাজের পরিবেশ ভালো রাখতে HR প্রফেশনালদের করণীয়

নতুন কর্মী নিয়োগ থেকে শুরু করে অফিসের চেয়ার, কর্মক্ষেত্রে বা অফিসে কাজের পরিবেশ (Work Environment) ভালো রাখতে HR প্রফেশনালদের দায়িত্ব অনেক! কারণ, একটি প্রতিষ্ঠানের কাজের পরিবেশ তার কর্মীদের উপর অনেক প্রভাব ফেলে। অফিসের কাজের পরিবেশ ভালো হলে কর্মীরা উৎপাদনশীল হয়ে ওঠেন, আবার কাজের পরিবেশ ক্লান্তিকর হলে সেখানে কর্মীরা তাদের দক্ষতার পুরোটা দিতে পারেন না বা দিতে চান না।

এই আধুনিক সময়ে কর্মক্ষেত্র বা অফিসে কাজের পরিবেশ ভালো রাখতে প্রতিষ্ঠানের মালিকরা নানান উদ্যোগ নিয়ে থাকেন। তবে অফিসে কাজের পরিবেশ রক্ষায় এইচআর অফিসার বা HR প্রফেশনালদেরই মূল ভূমিকায় অবতীর্ণ হতে হয়। তাই আজকে আমরা জানবো, এইচআর এর কাজ কি? অফিসে কাজের পরিবেশ ভালো রাখতে এইচআর অফিসার বা HR প্রফেশনালদের করণীয় কী?

আজকের ব্লগে যা থাকছে-

কর্মক্ষেত্রে বা অফিসে কাজের পরিবেশ কী?

কর্মক্ষেত্র বলতে একটি জায়গা বোঝায়, যেখানে কর্মীরা বা এমপ্লয়িরা পেশাগত কাজ করেন। এই জায়গাটি ফিজিক্যাল হতে পারে আবার ভার্চুয়ালও হতে পারে। আর এই কর্মক্ষেত্র বা অফিসে কাজের পরিবেশ বলতে এমন কিছু উপাদানের সমন্বয়কে বোঝানো হয়, যেগুলো অফিসের কর্মীদের শরীর ও মনের উপর প্রভাব ফেলে। এই উপাদানগুলো মধ্যে পড়তে পারে-

  • অফিসের নিয়ম নীতি
  • কোম্পানির এইচআর পলিসি
  • কোম্পানির মূল্যবোধ
  • অভ্যন্তরীণ রাজনীতি (ইন-হাউস পলিটিক্স)
  • কর্মীদের মাঝে অভ্যন্তরীণ সম্পর্ক (এমপ্লয়ি রিলেশন)
  • কর্মীদের শারীরিক ও মানসিক নিরাপত্তা
  • অবকাঠামোগত বিভিন্ন দিক, যেমন- বসার চেয়ার থেকে বাথরুমের পরিস্থিতি! ইত্যাদি।

সাধারণভাবে এই উপাদানগুলোর সমন্বয়কে আমরা কর্মক্ষেত্রে বা অফিসে কাজের পরিবেশ বলতে পারি। এগুলো একসাথে একটি অফিসের কাজের পরিবেশ তৈরি করে। এগুলোর কম প্রয়োগ, অতি প্রয়োগ কিংবা এক বা একাধিক উপাদানের অনুপস্থিতি কর্মক্ষেত্রে বা অফিসে কাজের পরিবেশ নষ্ট করতে পারে।

ভালো কাজের পরিবেশ কেমন হতে পারে?

ভালো কাজের পরিবেশ হলো, যেখানে কর্মীরা নিরাপত্তা, বিশ্বাস, সাহায্য সহযোগিতা, জবাবদিহীতা, সাম্য এবং ক্যারিয়ারের উন্নতির আশ্বাস পায়। যদিও এই সকল বিষয়ই খুব বেশি বিমূর্ত বা অ্যাবস্ট্রাক্ট, তাই সহজে বোঝার জন্য এভাবে দেখুন-

অফিসের নিয়ম নীতি, কোম্পানির এইচআর পলিসি, কোম্পানির মূল্যবোধ, অভ্যন্তরীণ রাজনীতি (ইন-হাউস পলিটিক্স), কর্মীদের মাঝে অভ্যন্তরীণ সম্পর্ক (এমপ্লয়ি রিলেশন), কর্মীদের শারীরিক ও মানসিক নিরাপত্তা, অবকাঠামোগত বিভিন্ন দিক (বসার চেয়ার থেকে বাথরুমের পরিস্থিতি!) ইত্যাদির একটি ভালো ব্যালেন্স বা সমন্বয়ই একটি কর্মক্ষেত্রে বা অফিসে ভালো কাজের পরিবেশ (Good Work Environment) নিশ্চিত করতে পারে।

অফিসে কাজের পরিবেশ ভালো রাখতে এইচআর অফিসার কী করবেন?

কর্মক্ষেত্রে বা অফিসে কাজের পরিবেশ ভালো রাখতে একজন এইচআর ম্যানেজার বা হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট টিমের দায়িত্ব সবচেয়ে বেশি। তবে এর সাথে মালিক ও ম্যানেজমেন্ট এর সদস্যদেরও সদিচ্ছা থাকতে হবে এবং তাদেরও কাজ করার অনেক জায়গা রয়েছে। আর এ সংক্রান্ত সকল কাজের সেট-আপ ঠিক করেন এক বা একাধিক এইচআর ম্যানেজার। তাই আমরা এখন জানবো, অফিসে কাজের পরিবেশ ভালো রাখতে একজন এইচআর অফিসার এর অবশ্য করণীয় কাজ কী কী?

কোম্পানির মূল্যবোধ যথার্থভাবে কর্মীদের মাঝে তুলে ধরতে হবে

প্রতিটি কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠানের আলাদা আলাদা মূল্যবোধ বা ভ্যালু থাকে। প্রতিষ্ঠানের মূল্যবোধগুলোকে কর্মীদের মাঝে ছড়িয়ে দিতে একজন এইচআর অফিসারকে নেতৃত্বের ভূমিকায় আসতে হয়। তিনি এই বিষয়গুলোর গুরুত্ব তুলে ধরবেন এবং এগুলো প্রতিষ্ঠিত করতে বিভিন্ন উদ্যোগ নেবেন। তাহলে অফিসের বাকি এমপ্লয়িরা অনুপ্রাণিত হয়ে সেই মূল্যবোধের অনুশীলন করবেন।

মনে রাখতে হবে, কোম্পানির শক্ত মূল্যবোধ ও লক্ষ্য কর্মীদের ভেতর অনুপেরণা হিসেবে কাজ করে। সেটা তৈরি করাটাই একজন এইচআর অফিসার এর কাজ। এজন্য কোম্পানির সুস্পষ্ট মূল্যবোধ বা ভ্যালু এবং লক্ষ্য বিভিন্ন কার্যক্রমের মাধ্যমে তুলে ধরে অফিসে কাজের পরিবেশ ভালো রাখতে হবে।

নতুন কর্মী বাছাই ও নিয়োগে আরও সতর্ক হতে হবে

একজন এইচআর অফিসার এর প্রধান কাজ হলো প্রতিষ্ঠানের জন্য লোকবল নিয়োগ দেয়া। আর এখানে তাকে তার আসল যোগ্যতার প্রমাণ রাখতে হয়। এক্ষেত্রে একজন এইচআর অফিসারকে কিছু বিষয় খেয়াল রাখতে হয়-

  • প্রতিষ্ঠানের প্রয়োজন ও কালচার অনুপাতে লোকবল বাছাই করা।
  • দক্ষ, পরিশ্রমী ও সৎ কর্মী বাছাইয়ের চেষ্টা করা।
  • নিয়োগ প্রাপ্ত কর্মীকে সঠিক সুযোগ সুবিধা দেয়ার পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানের লক্ষ্য ও মূল্যবোধ সম্পর্কে পরিস্কার ধারণা দেয়া।

একজন বা একধিক কর্মীর অপ্রত্যাশিত আচরণ পুরো টিমের উপর প্রভাব ফেলে। তাই অফিসে কাজের পরিবেশ ভালো রাখতে একজন এইচআর অফিসার বা ম্যানেজারকে নতুন কর্মী বাছাই ও নিয়োগে আরও সতর্ক হতে হবে।

এইচআর অফিসারকে ভালো এইচআর সফটওয়্যার ব্যবহার করতে হবে

প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের সময় ব্যবস্থাপনার বা টাইম ম্যানেজমেন্টের জন্য ভালো হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট টুল ব্যবহার করতে হবে। বাংলাদেশি কোম্পানির জন্য সেরা এইচআর সফটওয়্যার বাছাই করতে হবে। যেখানে একটি প্ল্যাটফর্মেই আপনি আপনার সকল কর্মীদের উপস্থিতি থেকে রিপোর্ট, সকল সাপোর্ট পাবেন। এমনই একটি সহজ ও সাশ্রয়ী এইচআর সফটওয়্যার হাজিরা।
একজন এইচআর অফিসার বা ম্যানেজারের জটিল কাজকে সহজ করতে বেছে নিন হাজিরা সফটওয়্যার। অফিসে কাজের পরিবেশ ভালো রাখতে কেনো হাজিরা সাজেস্ট করছি সেটাও দেখা যাক।

  • হাজিরা HR ম্যানেজমেন্ট সংক্রান্ত একটি ক্লাউডভিত্তিক সফটওয়্যার বা অ্যাপ্লিকেশন। প্রতিষ্ঠান এবং প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের সকল তথ্য হাজিরা’তে সংরক্ষিত থাকবে, তাই ডেটা হারিয়ে যাওয়ার ভয় থাকবে না।
  • হাজিরা অ্যাপটি মোবাইলের জন্য অ্যান্ড্রয়েড ও আইওএস ভার্সন এবং ওয়েবের জন্য ওয়েব ভার্সন আলাদাভাবে পাওয়া যায়। পাশাপাশি এইচআর ম্যানেজমেন্ট সফটওয়্যারটি সহজ বাংলা এবং ইংরেজি দুটি ভাষাতেই এভেইলেবল।
  • হাজিরা’য় ছোট, মাঝারি বা বড় ব্যবসার জন্য শিফট প্ল্যানিং সুবিধা রাখা হয়েছে। হাজিরা’র ওয়েব অ্যাপ্লিকেশনটি ব্যবহার করে শিফট প্ল্যান করা এখন খুব সহজ।
  • কর্মীদের প্রতিদিনের অফিস টাইম এবং কাজের সময়ের নির্ভুল রেকর্ড রাখতে ব্যবহার করুন হাজিরা। হাজিরা অ্যাপের ‘ইন-আউট টাইম ক্লক’ ফিচারে থাকছে কর্মীদের উপস্থিতির পাশাপাশি অফিস নোটিস এবং নির্দেশনা শেয়ার করার সুবিধা।
  • হাজিরা’র লিভ ম্যানেজমেন্ট ফিচারটি থেকে প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের জেনারেল লিভ, পেইড বা আনপেইড লিভ, লিভ ব্যালেন্স, লিভ অ্যাপলিকেশন সাবমিট এবং লিভের অনুমোদন হয়েছে কিনা, এই সবকিছুর ওয়ান-স্টপ সার্ভিস পেয়ে যাবেন!

প্রশিক্ষণের মাধ্যমে কর্মীদের দক্ষতা বাড়াতে হবে

অফিসে কাজের পরিবেশ শতভাগ ভালো হবে তখনই যখন প্রতিষ্ঠানের কর্মীরা দক্ষ হবেন। তাই এইচআর অফিসার এর অন্যতম প্রধান কাজ হলো, কোম্পানির সাথে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ের উপর প্রশিক্ষণ আয়োজনের উদ্যোগ নেয়া। এটা হতে পারে কোন টিমের জন্য আবার হতে পারে কোন একক এমপ্লয়ির জন্য। এই কাজে খরচ হলে সেটা মালিক বা ম্যানেজমেন্ট এর সদস্যদের প্রশিক্ষণের গুরুত্ব বুঝিয়ে ব্যবস্থা করতে হবে।

নিজেকে প্রযুক্তির সাথে আপ-টু-ডেট রাখতে হবে

বর্তমানে একজন এইচআর অফিসার বা ম্যানেজারের কাজ শুধু নিয়োগ দেয়া আর বেতন দেয়ার মাঝে সীমাবদ্ধ নয়। তাদের নানাবিধ কাজের সাথে জড়িত থাকতে হয়। একটি অফিসে কাজের পরিবেশ রক্ষা করতে তাকে যোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তিতে সবসময় আপ-টু-ডেট থাকতে হয়।

যেমন- প্রতিষ্ঠানের কর্মী ব্যবস্থাপনার জন্য এইচআর সফটওয়্যার যেমন- ‘হাজিরা’ ব্যবহার করা, প্রতিদিনের অফিসের খরচের হিসাব রাখতে অ্যাকাউন্টিং টুল হিসেবে ‘হিসাবপাতি’ অ্যাপের ব্যবহার করা। এছাড়া রিমোট কর্মী ব্যবস্থাপনায় টোগল ট্র্যাক, ওয়ার্কভাইব, টেলিয়ো ইত্যাদি টুলগুলো ব্যবহার করে কর্মীদের কাজের সময় এবং কার্যক্রম ট্র্যাক করতে পারা। অফিসের প্রফেশনাল যোগাযোগের জন্য মেইল, হোয়াটসআপ, স্ল্যাক, জুম, গুগল মিট ইত্যাদির স্বচ্ছন্দ ব্যবহার করতে পারা ইত্যাদি।

অফিসে কাজের পরিবেশ আরামদায়ক ও কর্মীবান্ধব করতে হবে

অফিসটিকে কর্মীদের জন্য আরামদায়ক করে তৈরি করতে হবে। অবকাঠামোগত কোনো পরিবর্তন লাগলে করতে হবে। একজন এমপ্লয়ির তার দিনের তিনটি প্রহর বা প্রায় ৯ ঘন্টা এখানে কাটাবেন, এজন্য তাকে একটি আরামদায়ক ও কর্মীবান্ধব পরিবেশ দিতে হবে। এটি এইচআর অফিসার বা ম্যানেজারের জন্য বড় একটি চ্যালেঞ্জ।

যেমন, কর্মীদের জন্য পরিচ্ছন্ন বাথরুম, নারী কর্মীদের জন্য আলাদা বাথরুম, বসার জন্য আরামদায়ক চেয়ার টেবিল, মনোযোগ ধরে রাখতে শব্দ প্রতিরোধী ব্যবস্থা, প্রয়োজনীয় উপকরণ ইত্যাদি। মানে অফিসে কাজের পরিবেশ এমন হতে হবে যেন একজন কর্মী কাজ করার সময় বিরক্ত হয়ে না থাকেন। তাহলে অফিসে কাজের পরিবেশ ভালো থাকবে এবং কর্মীরা আরও উৎপাদনশীল হয়ে উঠবেন।

যোগাযোগে স্বচ্ছতা এবং মত প্রকাশের পরিবেশ দিতে হবে

এমপ্লয়ি ও মালিক বা ম্যানেজমেন্টের সাথে যোগাযোগে স্বচ্ছতা আনতে হবে। একজন এইচআর অফিসার হবেন অফিসের যোগাযোগের কেন্দ্র। তার কাছে সকলেই আসবেন। তাই যোগাযোগে স্বচ্ছতা থাকা চাই। এক্ষেত্রে অপ্রয়োজনীয় গোপনীয়তা পরিহার করতে হবে।

পাশাপাশি কর্মীদের মতামত প্রকাশের পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে। তাহলে তারা তাদের বেস্ট ইফোর্ট দিয়ে কাজে মনোনিবেশ করতে পারবেন এবং প্রয়োজনীয় মতামত দিয়ে প্রতিষ্ঠানের কল্যাণে কাজ করে যাবেন। এতে করে তারা নিজেদের মূল্যবান মনে করবেন, এটাও অফিসে কাজের পরিবেশ ভালো রাখতে সহায়তা করে।

ভালো কাজের স্বীকৃতি ও পুরস্কারের ব্যবস্থা করতে হবে

কোন কর্মী ভালো কোন কাজ করলে বা কোম্পানির জন্য কোনো অর্জনে ভূমিকা রাখলে সেটার স্বীকৃতি দেয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। কাজের প্রশংসার পাশাপাশি তাকে বা তাদেরকে পুরস্কার দেয়া যেতে পারে। এতে করে যেমন তার উৎসাহ পায় তেমনি বাকিরাও কাজের প্রতি আর মনোযোগী হয়। এই কাজে এইচআর অফিসার এর ভূমিকা সবার আগে।

দক্ষতা, সততা ও কাজের প্রতি আন্তরিকতা দেখে বেতন বাড়ানোর সুপারিশ করতে হবে

এমপ্লয়িদের রিপোর্ট এইচআর অফিসার বা ম্যানেজার তৈরি করেন। তার কাছেই অনেক সময় ম্যানেজমেন্ট জানতে চায়, কর্মীদের অবস্থা কেমন? তাই দক্ষতা, সততা ও কাজের প্রতি আন্তরিকতা দেখে কর্মীদের বেতন বাড়ানোর সুপারিশ করতে হবে। যোগ্য কর্মীরা যোগ্য অবস্থানে থাকলে তারাই অফিসে কাজের পরিবেশ ভালো রাখতে সহায়তা করবেন।

এমপ্লয়িদের কর্মজীবন ও ব্যক্তিজীবনের মধ্যে সমন্বয় সাধন করা

এই দায়িত্ব একা এইচআর অফিসার এর নয়। এখানে কর্মীদেরও বিরাট ভূমিকা আছে। তবে অফিসে কাজের পরিবেশ ভালো রাখতে হলে সকলের কর্মজীবন ও ব্যক্তিজীবনের মধ্যে সমন্বয় সাধন করতে হবে। এখানে এইচআর অফিসারও একজন কর্মী মাত্র!

বাড়তি চাপ, অগোছালো কাজের চাপ, অপ্রয়োজনীয় কড়াকড়ি ইত্যাদি যেন কর্মীদেরকে ক্লান্ত করে না ফেলে। টিমের নেতৃত্বে যারা আছেন তাদের সাথে মাঝেমাঝে মিটিং করতে হবে, যাতে তারা তাদের টিমের সকলের কর্মজীবন ও ব্যক্তিজীবনের খোঁজ খবর রাখেন। প্রয়োজনে পরামর্শ বা সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন। টাইম ম্যানেজমেন্ট কর্মজীবনের সফলতার মূল মন্ত্র, এটি যেন তারা তাদের বোঝাতে সক্ষম হন।

কর্মীদের উপস্থিতি ও ছুটি সংক্রান্ত নির্ভুল রেকর্ড রাখতে হবে

এই বিষয়টি যদিও এইচআর সফটওয়্যার ব্যবহার করেই একজন এইচআর অফিসার ম্যানেজ করতে পারেন, তবুও আলাদা করে বলার কারণ আছে। এই ছোট্ট বিষয়টিকে কেন্দ্র করে অনেক সময় ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি হয়। কারণ, কর্মীরা ছুটি ও উপস্থিতির ব্যাপারে বেশিরভাগ সময় উদাসীন হয়ে থাকেন। যখন রিপোর্ট পান তখন তাদের নিজেদের মেনে নিতেই কষ্ট হয়। আবার একিভাবে, বেশি কড়াকড়ি করে এইচআর অফিসার যখন হিসাব টানেন তখনও ঝামেলা তৈরি হতে পারে।

তাই পুরো বিষয়টি সহ কর্মী ব্যবস্থাপনার পুরো কাজটির জন্য এইচআর সফটওয়্যার ‘হাজিরা’ ব্যবহার করুন। আর ছুটি এবং উপস্থিতির ব্যাপারটি এমপ্লয়িদের নিজেদের নিয়ন্ত্রণে দিয়ে দিলেই সবচেয়ে ভালো। এতে করে কর্মীদের উপস্থিতি ও ছুটি সংক্রান্ত নির্ভুল রেকর্ড সয়ংক্রিয়ভাবে ইনপুট ও আপডেট হবে। কারও ভুল বোঝার ঝামেলা থাকবে না। অফিসের কাজের পরিবেশও থাকবে ঝঞ্ঝাট মুক্ত!

আপনার প্রতিষ্ঠানের জন্য হাজিরা অ্যাপই কেনো?

হাজিরা দেশের সবচেয়ে সাশ্রয়ী এমপ্লয়ি ম্যানেজমেন্ট অ্যাপগুলোর একটি। একটি অ্যাপ থেকেই আপনি পেতে পারেন কর্মী ব্যবস্থাপনার বিভিন্ন সাপোর্ট। যেমন-

  • দৈনিক হাজিরা
  • কর্মী তথ্যভাণ্ডার
  • কাজের শিফট প্লানিং
  • রিপোর্ট
  • পে-রোল ম্যানেজমেন্ট
  • ডিজিটাল চুক্তিপত্র
  • ডকুমেন্ট ভল্ট
  • কাস্টম সেটিংস
  • ফ্রি কাস্টমার সাপোর্ট

কেনো সাশ্রয়ী অ্যাপ বলছি সেটাও দেখে নেয়া যাক-  হাজিরা’র চারটি প্যাকেজ ও তাদের মূল্য

০১. বেসিক প্যাকেজ- 

কোম্পানির সাইজ-  ০ থেকে ২০ জন

  • ৳১,৫০০/ মাসিক
  • ৳১৫,০০০/ বাৎসরিক

০২. স্ট্যান্ডার্ড প্যাকেজ- 

কোম্পানির সাইজ-  ২১ থেকে ৫০ জন

  • ৳৩,০০০/ মাসিক
  • ৳৩০,০০০/ বাৎসরিক

০৩. প্রিমিয়াম প্যাকেজ-  

কোম্পানির সাইজ-  ৫০ থেকে ৯৯ জন

  • ৳৪,৫০০/ মাসিক
  • ৳৪৫,০০০/ বাৎসরিক

০৪. এন্টারপ্রাইজ প্যাকেজ-

কোম্পানির সাইজ-  ১০০+ জন

  • আলোচনা সাপেক্ষে
  • যোগাযোগ করুন- 
  • ফোন: 01967391554
  • ইমেইল: info@hazira.com

সহজ তিনটি ধাপে হাজিরা’তে যাত্রা শুরু করুন!

১ম ধাপ- হাজিরা’তে রেজিস্ট্রেশন বা সাইন আপ করুন: 

প্রথমেই কোম্পানির মালিক হিসেবে রেজিস্ট্রেশন করে হাজিরা’য় আপনার জার্নি শুরু করুন। রেজিস্ট্রেশনের পরেই আপনার ইনবক্সে একটি ভেরিফিকেশন মেইল যাবে, এটি দিয়ে আপনার ই-মেইলটি ভেরিফাই করতে হবে। (ভেরিফিকেশন মেইলটি আপনার ইনবক্সে না পাওয়া গেলে অনুগ্রহ করে স্প্যাম ফোল্ডারে চেক করুন।)

২য় ধাপ- আপনার কোম্পানি সেট-আপ করুন: 

ভেরিফিকেশন সম্পন্ন হলে লগইন করুন। এবার আপনার কোম্পানি বা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের প্রয়োজনীয় সকল তথ্য দিয়ে হাজিরা’য় আপনার কোম্পানি সেট-আপ করুন।

৩য় ধাপ- হাজিরা’র বিভিন্ন ফিচার উপভোগ করুন: 

এরপর আপনি হাজিরা’র ড্যাশবোর্ডটি দেখতে পাবেন। হাজিরা’র বিভিন্ন ফিচার উপভোগ করুন সহজে এবং সাশ্রয়ী দামে! হাজিরা’র ওয়েব এবং মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন, দুটোই আছে। 

ওয়েব অ্যাপ্লিকেশন: আপনার প্রতিষ্ঠানের প্রশাসনিক কাজগুলো সম্পাদন করার জন্য ওয়েব অ্যাপ্লিকেশনটি ব্যবহার করতে হবে।
হাজিরা ওয়েব অ্যাপ্লিকেশন

মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন: হাজিরা’র মোবাইল অ্যাপ আপনার প্রতিষ্ঠানের দৈনন্দিন কাজগুলো পরিচালনা করা আরও সহজ করবে। এমপ্লয়ি ম্যানেজমেন্ট আরও সহজ করতে ডাউনলোড করুন হাজিরা’র মোবাইল অ্যাপ- 

অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ

আইওএস অ্যাপ 

হাজিরা অ্যাপের সকল কার্যক্রম সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ডেমো ভিডিও দেখুন-
Demo of Hazira- Employee Management Application

৩০ দিনের ফ্রি ট্রায়াল!

হাজিরা’য় আপনি চাইলেই প্রথম ৩০ দিন ফ্রি ট্রায়াল শুরু করতে পারেন। তারপর প্রয়োজন মতো আপনার ব্যবসার জন্য প্যাকেজ নিয়ে ব্যবসায় সফলতা অর্জন করুন। তাহলে আর দেরি না করে চলে আসুন হাজিরা’য়!