হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট বা মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা প্রায় সময়ই প্রতিষ্ঠানের সবচেয়ে জটিল ও দুরূহ কাজগুলোর একটি হিসেবে বিবেচিত হয়! এর কারণও আছে। প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের ধারাবাহিক পরিবর্তনশীলতা এবং সেই পরিবর্তনের সাথে সাথে ক্রমবর্ধমান চাহিদা, মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনাকে জটিল ও দুরূহ করে তোলে। তাই এইচআর ম্যানেজমেন্ট পেশার সাথে জড়িত প্রতিটি কর্মীকে প্রায়শই কিছু জটিল পরিস্থিতি বা সমস্যার ভেতর দিয়ে যেতে হয়।
আমরা আজকে হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট বা মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত এমনই ৭টি জটিল সমস্যা এবং সমস্যাগুলোর সমাধান নিয়ে আলোচনা করবো। তো চলুন প্রথমেই দেখে নেয়া যাক, কি থাকছে আমাদের আজকের আলোচনায়।
ব্লগে যা থাকছে-
হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট: ৭টি জটিল সমস্যার সহজ সমাধান
একটি বৃহৎ প্রতিষ্ঠানে হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট এর পরিধি এক রকম এবং একটি অপেক্ষাকৃত ছোট প্রতিষ্ঠানে এর পরিধি ভিন্ন রকম হতে পারে। ছোট প্রতিষ্ঠানের প্রধান চ্যালেঞ্জ থাকে জনবলের অভাব। এখানে মাত্র এক বা দুই জন এইচআর কর্মীর মাধ্যমে পুরো প্রতিষ্ঠানের হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট সামলানো হয়ে থাকে।
পক্ষান্তরে, বড় বা বৃহৎ প্রতিষ্ঠানের প্রধান চ্যালেঞ্জ থাকে, বিশাল একটি জনবলের জন্য সঠিক কর্মসংস্থান এবং সুন্দর ও পেশাদার একটি কর্মক্ষেত্র পরিচালানা করা। এখানে প্রতিষ্ঠানটির এইচআর ম্যানেজমেন্টও তার ব্র্যান্ড ইমেজের অংশ হয়ে উঠতে পারে! তবে এখানে জনবলের অভাব সাধারণত থাকে না। বড় প্রতিষ্ঠানে হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট এর জন্য একটি পুরো টিম থাকে। যাদের প্রধান ও একমাত্র কাজই হলো, মানবসম্পদ উন্নয়ন এবং কর্মী ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত বিভিন্ন আধুনিক ও যুগোপযোগী উপায় খুঁজে বের করে সেগুলোকে কাজে লাগানো।
তবে প্রতিষ্ঠান যেমনই হোক আর যে আকারেরই হোক, হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট (এইচআরএম) বা মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনার কিছু সাধারণ বা কমন সমস্যা আছে। এগুলোর মধ্যে সবচেয়ে জটিল ৭টি সমস্যা এবং তাদের থেকে বাঁচার উপায় জেনে নেবো।
হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট সংক্রান্ত আইন ও বিধিমালা মেনে চলা
পরিধি বা আকার যেমনই হোক না কেন, প্রতিটি প্রতিষ্ঠানকে মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত সুনির্দিষ্ট কিছু আইন ও বিধিমালা মেনে চলতে হয়। আইন বা বিধিমালাগুলো লোকাল বা জাতীয় শ্রম আইন (Labor Law) হতে পারে, আবার ইন্টারন্যাশনাল শ্রম আইনও (Labor Law) হতে পারে।
এক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠান ও এইচআর ম্যানেজারদের (HR Manager) সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ বা সমস্যা গুলো হলো-
- প্রতিষ্ঠানের প্রতিটি সেক্টরে জাতীয় শ্রম আইন বা ইন্টারন্যাশনাল শ্রম আইনের প্রয়োগ নিশ্চিত করা।
- অফিস পরিচালনা, কর্মী নিয়োগ এবং কর্মী ব্যবস্থাপনার প্রতিটি ধাপে জাতীয় শ্রম আইনের প্রয়োগ নিশ্চিত করা।
- হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট সংক্রান্ত লোকাল আইন ও কোম্পানির নিজস্ব বিধিমালার মধ্যে সমন্বয় সাধন করা।
- হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট সংক্রান্ত আইন সম্পর্কে কম অভিজ্ঞতা থাকা এবং এসব ব্যাপারে রিসার্চের জন্য কম সময় পাওয়া।
- এই সমস্যাগুলো একটি প্রতিষ্ঠানকে অনেক দূর পর্যন্ত ভোগাতে পারে। তাই গুরুত্ব দিয়ে সমাধানের চেষ্টা করতে হবে।
সমাধানের লক্ষ্যে যা করতে হবে-
- প্রতিষ্ঠানের হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট টিমে অবশ্যই কমপক্ষে একজন থাকতে হবে যিনি জাতীয় শ্রম আইন (Labor Law) এবং ইন্টারন্যাশনাল শ্রম আইন (International Labor Law) সম্পর্কে ভালো ধারণা রাখেন।
- এই ব্যক্তি বা কর্মীকে শ্রম আইন সংক্রান্ত বিষয়গুলো নির্ধারণ করতে যথেষ্ট সময় ও সুযোগ দিতে হবে। এক্ষেত্রে তাড়াহুড়ো করলে আরও দেরি হওয়ার সম্ভাবনা বেশি!
- কোম্পানির লিগ্যাল অ্যাডভাইজর বা আইনি পরামর্শদাতা হিসেবে একজন ভালো আইনজীবী বা আইনি সেবা দানকারী প্রতিষ্ঠানের সাথে চুক্তি করতে হবে।
- মাঝে মাঝে হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট সংক্রান্ত বিষয়গুলো অডিট বা রিভিউ করতে হবে।
মানবসম্পদ উন্নয়নে কর্মীদের নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্য সক্রান্ত সচেতনতা
একটি প্রতিষ্ঠানের কর্মীরা তাদের প্রাত্যাহিক জীবনের একটি বড় অংশ অফিসে বা অফিসের কাজে বিনিয়োগ করেন। তাই মানবসম্পদ উন্নয়নে কর্মীদের নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্য সক্রান্ত সচেতনতা নিশ্চিত করা অত্যন্ত জরুরি।
এক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ বা সমস্যা গুলো হলো–
- কর্মীদের নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্য সংক্রান্ত বিধিমালা বা নীতি প্রণয়ন করা এবং সেগুলো কার্যকর করা।
- প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্য সংক্রান্ত প্রশিক্ষণ প্রদান করার ব্যবস্থা করা এবং উৎসাহিত করা।
- এই খাতে খরচ ও সময় ব্যয়ের জন্য মালিক বা ম্যানেজমেন্ট এর সমর্থন অর্জন করা এবং দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন করা।
- কর্মক্ষেত্রে কর্মীদের অসুস্থতা এবং ইনজুরির হিসাব বা ট্র্যাক রাখা।
সমাধানের লক্ষ্যে যা করতে হবে-
- কর্মীদের নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্য সংক্রান্ত একটি কমিটি তৈরি করতে হবে এবং কমিটির একজন মালিকপক্ষের হতে হবে।
- কমিটির সবাইকে কর্মীদের নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্য সংক্রান্ত বই, ডকুমেন্ট বা ট্রেনিং দিতে হবে।
- কমিটিকে যথেষ্ট ক্ষমতা দিতে হবে, যাতে করে তার কোনো পরিবর্তন আনতে পারে এবং প্রয়োজনে কার্যক্রম বন্ধ করতে পারে।
প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজমেন্ট ও মালিক পরিবর্তনের সাথে মানিয়ে নেয়া
মালিক ও ম্যানেজমেন্ট এর পরিবর্তন হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট টিমের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ। নতুন ম্যানেজমেন্ট এবং তাদের নতুন চাহিদার সাথে প্রথমেই হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট টিমকে মানিয়ে নিতে হয়।
এক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানের এইচআর ম্যানেজারদের (HR Manager) সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হলো-
- নতুন এইচআর পলিসি প্রণয়ন এবং কার্যকর করতে হতে পারে।
- নতুন মালিক ও ম্যানেজমেন্ট এর নতুন চাওয়া পাওয়া এবং আইনি প্রক্রিয়াগুলো ঢেলে সাজানো হতে পারে।
- প্রতিষ্ঠানের সাধারণ কর্মীদের থেকেও প্রতিক্রিয়া আসতে পারে।
- সার্বিকভাবে হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট টিমের জন্য নেগেটিভ ফিডব্যাক আসতে পারে।
সমাধানের লক্ষ্যে যা করতে হবে-
- সবার প্রথমে প্রতিষ্ঠানের সকল এমপ্লয়িদের কাছে পরিবর্তনের বিষয়গুলো পরিস্কার করে নিতে হবে।
- কখন, কোথায় এবং কীভাবে পরিবর্তন আসবে সেটা জানিয়ে রাখতে হবে।
- প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের কাছে সৎ ও সাহসী ফিডব্যাক বা প্রতিক্রিয়া চাওয়া যেতে পারে।
- হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট টিমের অবস্থান কর্মীদের কাছে জলের মতো পরিস্কার হতে হবে। পুরো প্রক্রিয়ায় কর্মীদের কল্যাণের কথা সবার আগে ভাবতে হবে।
প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের প্রয়োজনীয় ক্ষতিপূরণ এবং সুবিধা নির্ধারণ করা
কর্মীদের প্রয়োজনীয় ক্ষতিপূরণ (Compensation) এবং সুবিধা বিষয়টি সরাসরি কর্মীদের সার্থের সাথে জড়িত। তাই এই বিষয়ে খুব সাবধানী হতে হবে।
এক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানের এইচআর ম্যানেজমেন্ট সংক্রান্ত সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ বা সমস্যাগুলো হলো-
- দক্ষতার সাথে কর্মীদের প্রয়োজনীয় ক্ষতিপূরণ এবং সুবিধা নির্ধারণ করতে জানতে হয়।
- আপনার ইন্ডাস্ট্রির অন্যেরা কেমন ক্ষতিপূরণ এবং সুবিধা দিচ্ছে তা জানতে হয়।
- কর্মী নিয়োগের সময় সুনির্দিষ্ট সুযোগ সুবিধা অফার করে ভালো এমপ্লয়ি বাছাই করতে হয়।
- সকল কর্মীদের খুশি করার মতো সুযোগ সুবিধা অফার করতে পারা।
সমাধানের লক্ষ্যে যা করতে হবে-
- অফিসে কর্মীবান্ধব পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে।
- কর্মীদের প্রয়োজনীয় ক্ষতিপূরণ এবং সুযোগ সুবিধার ব্যাপারে কোন ধোঁয়াশা রাখা যাবে না।
- মার্কেট এনালাইসিস করতে হবে, যাতে করে আপনার অফার করা সুযোগ সুবিধা সবার থেকে আকর্ষণী হয়।
- আপনার প্রতিষ্ঠানের ব্র্যান্ড ইমেজ মাথায় রেখে ক্ষতিপূরণ ও অন্যান্য সুযোগ সুবিধা নির্ধারণ করতে হবে।
প্রতিষ্ঠানে কর্মী নিয়োগের সময় দক্ষ, পরিশ্রমী ও সৎ কর্মী বাছাই করা
হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট টিমের বা একজন এইচআর ম্যানেজারের সহচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জগুলো মধ্যে একটি হলো দক্ষ, পরিশ্রমী ও সৎ কর্মী বাছাই করতে পারা।
এক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ বা সমস্যাগুলো হলো-
- দক্ষ, পরিশ্রমী ও সৎ কর্মী খুঁজে পাওয়া।
- কার্যকর সকল চ্যানেলে কর্মী নিয়োগের বার্তাটি পৌঁছে দেয়া।
- স্বল্প বাজেটে ভালো কর্মী বাছাই করতে পারা।
- নিজের বাছাই করা কর্মীরা দক্ষ, পরিশ্রমী ও সৎ না হওয়ার আশঙ্কা।
সমাধানের লক্ষ্যে যা করতে হবে-
- কর্মী নিয়োগের সময় যথেষ্ট দক্ষতা এবং সৃজনশীলতার পরিচয় দিতে হবে।
- শুধু চাকরির যোগ্যতা পূরণ হলেই কর্মী নিয়োগ দেয়া যাবে না।
- মানবিক দিকগুলো যথেষ্ট গুরুত্ব বহন করে। তাই সেদিকেও নজর রাখতে হবে।
- কার্যকর সকল চ্যানেলের সন্ধান করতে হবে, যেখানে নিয়োগের বার্তাটি দেয়া যাবে।
- সরাসরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে নবীণ বা ফ্রেশার নিয়োগ দেয়ার সাহস ও ইচ্ছা রাখতে হবে।
দক্ষ, পরিশ্রমী ও সৎ কর্মীদের ধরে রাখার চ্যালেঞ্জ নেয়া
এটি একটি প্রতিষ্ঠানের হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট এর দক্ষতার জায়গা। একজন দক্ষ, পরিশ্রমী ও সৎ কর্মী খুঁজে পাওয়া যেমন চ্যালেঞ্জ, তেমনি তাকে ধরে রাখাও চ্যালেঞ্জ। এটা অনেকটাই নির্ভর করে হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট এর দক্ষতার উপর।
এক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানের মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ বা সমস্যাগুলো হলো-
- একজন এইচআর ম্যানেজারের অনেক বড় একটা সময় বিনিয়োগ করতে হয় সৎ ও দক্ষ কর্মী ধরে রাখতে।
- অনেক সময় অনেক টাকা ও শ্রম দিয়ে দক্ষ কর্মী নিয়োগ দেয়ার পরে তিনি আপনার প্রতিষ্ঠানে আর থাকেন না।
- ছোট খাটো অনেক বিষয়ের জন্য কর্মীরা নাখোশ থাকেন। যেমন- অফিসের খাওয়া, ট্র্যান্সপোর্ট, লাঞ্চ টাইম, কাজের পরিবেশ ইত্যাদি। ফলে তারা ভিন্ন সুযোগ খুঁজতে থাকেন এবং একসময় চলেও যান। সকল কিছুর প্রভাব হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট এর উপর পড়ে।
সমাধানের লক্ষ্যে যা করতে হবে-
- সবার প্রথমে কাজের পরিবেশ ঠিক করতে হবে।
- কালচার বা সংস্কৃতি ও ধর্ম ভেদে যেন কোন পলিসিগত বৈষম্য না থাকে।
- কর্মীদের সাথে একা কথা বলার ব্যবস্থা রাখাতে পারেন।
- ছোট অভিযোগও গুরুত্ব দিয়ে শুনতে হবে।
- বেতন ও অন্যান্য সুযোগ সুবিধা দিয়ে ইন্ডাস্ট্রির অন্যদের সাথে ভিন্ন হওয়ার চেষ্টা করতে হবে।
প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের কর্মক্ষমতা এবং উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির চ্যালেঞ্জ
প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের কর্মক্ষমতা এবং উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে নতুন নতুন সিদ্ধান্ত নিতে হবে। নতুন টেকনোলজির সাথে পরিচিত হতে হবে। প্রয়োজনে নতুন এবং উন্নত কর্মী ব্যবস্থাপনার ডিজিটাল টুল ব্যবহার করতে হবে।
এক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানের মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ বা সমস্যাগুলো হলো-
- প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের পারফরমেন্স এর রেকর্ড রাখা।
- কর্মীদের ছুটি ব্যবস্থাপনা বা লিভ ম্যানেজমেন্ট করতে ক্লান্ত হয়ে যাওয়া।
- বড় প্রতিষ্ঠানের শিফট ম্যানেজমেন্ট করতে হিমশিম অবস্থা।
- নতুন টেকনোলজির সাথে প্রতিনিয়ত চলার ক্ষমতা।
- ম্যানেজমেন্ট থেকে অভিযোগ আসা এবং সেগুলোর প্রভাব কর্মীদের উপর পড়তে না দিয়ে কাজের পরিবেশ ঠিক রাখা।
সমাধানের লক্ষ্যে যা করতে হবে-
- সময় উপযোগী HR ম্যানেজমেন্ট সফটওয়্যার ব্যবহার করতে হবে। যেমন- হাজিরা
- এমন HR ম্যানেজমেন্ট সফটওয়্যার ব্যবহার করতে হবে যেটাতে প্রতিষ্ঠান পরিচালনার সকল সেবা পাওয়া যায়। যেমন- লিভ ম্যানেজমেন্ট থেকে শিফট ম্যানেজমেন্ট।
- প্রতিষ্ঠানের কাজের পরিবেশ ঠিক করতে বাজেট রেডি করতে হবে।
এইচআর সফটওয়্যারের মাধ্যমে মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা
হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট (এইচআরএম) এর মাধ্যমে একটি প্রতিষ্ঠান যেমন তার মানবসম্পদ উন্নয়ন করে, তেমনি কর্মীদের দ্বারা প্রতিষ্ঠানের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য পূরণ করে সাফল্য নিশ্চিত করে সামনে এগিয়ে যায়। এই যাত্রায় হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট টিমের কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন সেক্টর নিয়ে কাজ করার প্রয়োজন পড়ে। তাই এমন কিছু এইচআরএম টুল বা HR সফটওয়্যার ব্যবহার করা উচিত যেগুলো কাজকে সহজ করবে। বাংলাদেশে এইচআর সফটওয়্যারের মাধ্যমে মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা এখন সাধারণ একটি চিত্র। আপনিও আপনার প্রতিষ্ঠানের জন্য বাংলাদেশি কোম্পানির জন্য সেরা এইচআর সফটওয়্যার বেছে নিয়ে জটিল এই কাজকে সহজ করুন।
আপনার প্রতিষ্ঠানের জন্য হাজিরা অ্যাপই কেনো?
হাজিরা দেশের সবচেয়ে সাশ্রয়ী এমপ্লয়ি ম্যানেজমেন্ট অ্যাপগুলোর একটি। একটি অ্যাপ থেকেই আপনি পেতে পারেন কর্মী ব্যবস্থাপনার বিভিন্ন সাপোর্ট। যেমন-
- দৈনিক হাজিরা
- কর্মী তথ্যভাণ্ডার
- কাজের শিফট প্লানিং
- রিপোর্ট
- পে-রোল ম্যানেজমেন্ট
- ডিজিটাল চুক্তিপত্র
- ডকুমেন্ট ভল্ট
- কাস্টম সেটিংস
- ফ্রি কাস্টমার সাপোর্ট
কেনো সাশ্রয়ী অ্যাপ বলছি সেটাও দেখে নেয়া যাক- হাজিরা’র চারটি প্যাকেজ ও তাদের মূল্য–
০১. বেসিক প্যাকেজ-
কোম্পানির সাইজ- ০ থেকে ২০ জন
- ৳১,৫০০/ মাসিক
- ৳১৫,০০০/ বাৎসরিক
০২. স্ট্যান্ডার্ড প্যাকেজ-
কোম্পানির সাইজ- ২১ থেকে ৫০ জন
- ৳৩,০০০/ মাসিক
- ৳৩০,০০০/ বাৎসরিক
০৩. প্রিমিয়াম প্যাকেজ-
কোম্পানির সাইজ- ৫০ থেকে ৯৯ জন
- ৳৪,৫০০/ মাসিক
- ৳৪৫,০০০/ বাৎসরিক
০৪. এন্টারপ্রাইজ প্যাকেজ-
কোম্পানির সাইজ- ১০০+ জন
- আলোচনা সাপেক্ষে
- যোগাযোগ করুন-
- ফোন: 01967391554
- ইমেইল: info@hazira.com
সহজ তিনটি ধাপে হাজিরা’তে যাত্রা শুরু করুন!
১ম ধাপ- হাজিরা’তে রেজিস্ট্রেশন বা সাইন আপ করুন:
প্রথমেই কোম্পানির মালিক হিসেবে রেজিস্ট্রেশন করে হাজিরা’য় আপনার জার্নি শুরু করুন। রেজিস্ট্রেশনের পরেই আপনার ইনবক্সে একটি ভেরিফিকেশন মেইল যাবে, এটি দিয়ে আপনার ই-মেইলটি ভেরিফাই করতে হবে। (ভেরিফিকেশন মেইলটি আপনার ইনবক্সে না পাওয়া গেলে অনুগ্রহ করে স্প্যাম ফোল্ডারে চেক করুন।)
২য় ধাপ- আপনার কোম্পানি সেট-আপ করুন:
ভেরিফিকেশন সম্পন্ন হলে লগইন করুন। এবার আপনার কোম্পানি বা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের প্রয়োজনীয় সকল তথ্য দিয়ে হাজিরা’য় আপনার কোম্পানি সেট-আপ করুন।
৩য় ধাপ- হাজিরা’র বিভিন্ন ফিচার উপভোগ করুন:
এরপর আপনি হাজিরা’র ড্যাশবোর্ডটি দেখতে পাবেন। হাজিরা’র বিভিন্ন ফিচার উপভোগ করুন সহজে এবং সাশ্রয়ী দামে! হাজিরা’র ওয়েব এবং মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন, দুটোই আছে।
ওয়েব অ্যাপ্লিকেশন: আপনার প্রতিষ্ঠানের প্রশাসনিক কাজগুলো সম্পাদন করার জন্য ওয়েব অ্যাপ্লিকেশনটি ব্যবহার করতে হবে।
হাজিরা ওয়েব অ্যাপ্লিকেশন
মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন: হাজিরা’র মোবাইল অ্যাপ আপনার প্রতিষ্ঠানের দৈনন্দিন কাজগুলো পরিচালনা করা আরও সহজ করবে। এমপ্লয়ি ম্যানেজমেন্ট আরও সহজ করতে ডাউনলোড করুন হাজিরা’র মোবাইল অ্যাপ-
হাজিরা অ্যাপের সকল কার্যক্রম সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ডেমো ভিডিও দেখুন-
Demo of Hazira- Employee Management Application
৩০ দিনের ফ্রি ট্রায়াল!
হাজিরা’য় আপনি চাইলেই প্রথম ৩০ দিন ফ্রি ট্রায়াল শুরু করতে পারেন। তারপর প্রয়োজন মতো আপনার ব্যবসার জন্য প্যাকেজ নিয়ে ব্যবসায় সফলতা অর্জন করুন। তাহলে আর দেরি না করে চলে আসুন হাজিরা’য়!