HR এর কাজ কি, কীভাবে নিজেকে দক্ষ করে তুলবেন?

একটি অফিসে বা কর্মক্ষেত্রে একজন এইচআর অফিসার অনেক গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন। HR প্রফেশনালরা যেকোনো প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের সাথে সংশ্লিষ্ট সকল বিষয় তদারকি করেন। এমপ্লয়িদের কল্যাণ নিশ্চিত করে প্রতিষ্ঠান বা মালিকের স্বার্থ ও মুনাফা বজায় রাখাই একজন দক্ষ HR এর কাজ! আর এই কাজ সঠিকভাবে করার জন্য জানতে হয়- HR এর কাজ কি এবং কীভাবে নিজেকে দক্ষ এইচআর হিসেবে গড়ে তুলতে হয়? 

মানবসম্পদ বা HR (Human Resources), যেকোনো প্রতিষ্ঠানের মূল চালিকা শক্তি। সঠিকভাবে পরিচালনা করতে পারলে কর্মীদের সন্তুষ্টি এবং প্রতিষ্ঠানের সফলতা দুটোই নিশ্চিত করা সম্ভব! তাই একজন আদর্শ বা দক্ষ HR প্রফেশনাল হতে গেলে কিছু বিশেষ গুণাবলি থাকা চাই। 

আমরা আজকের ব্লগে আলোচনা করবো, একজন HR এর কাজ কী, কীভাবে একজন HR প্রোফেশনাল দক্ষতার সাথে তার দায়িত্ব পালন করবেন? এমপ্লয়ি ম্যানেজমেন্ট অ্যাপ ‘হাজিরা’ কীভাবে একজন HR প্রফেশনালকে দক্ষ হতে সাহায্য করতে পারে।

ব্লগে যা থাকছে-

একজন HR এর প্রধান কাজ কী?

প্রথমেই জানা প্রয়োজন, একজন এইচ আর এর প্রধান কাজগুলো কী কী? একজন আদর্শ HR অফিসারের কাজ শুধুমাত্র কর্মী নিয়োগ, বেতন ও প্রশিক্ষণ প্রদানেই সীমাবদ্ধ নয়। এর বাইরেও একজন HR প্রফেশনালের আরও নানাবিধ দায়িত্ব রয়েছে। চলুন দেখি একজন HR এর কাজ কি কি এবং এগুলোর মধ্যে প্রধান প্রধান কাজ কোনগুলো-

০১. প্রতিষ্ঠানের জন্য কর্মী নিয়োগ এবং নির্বাচন (Recruitment and Selection)

প্রতিষ্ঠানের জন্য কর্মী নিয়োগ ও নির্বাচন প্রক্রিয়া একটি জটিল কাজ। আর এইচআর বিভাগের প্রধান কাজের মধ্যে অন্যতম হলো, প্রতিষ্ঠানটির জন্য যোগ্য কর্মী বাছাই করা বা নির্বাচন করা। HR প্রোফেশনালরা বিভিন্ন চ্যানেলে বা মাধ্যমে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেয়া, বাছাই প্রক্রিয়া, ইন্টারভিউ নেওয়া এবং প্রয়োজনীয় পরীক্ষা গ্রহণ করেন।

০২. কর্মীদের প্রশিক্ষণ প্রদান ও উন্নয়ন (Training and Development)

বর্তমান সময়ে নতুন নতুন দক্ষতা অর্জনের শেষ নেই! তাই নতুন কর্মীদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার পাশাপাশি, বিদ্যমান কর্মীদের দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা HR অফিসারের অন্যতম প্রধান কাজ।

০৩. এমপ্লয়িদের পারফর্মেন্স মূল্যায়ন (Performance Appraisal)

কর্মীদের কাজের সঠিক মূল্যায়ন করে তাদেরকে স্বীকৃতি প্রদান করবেন এইচআর অফিসার। যদি প্রয়োজন হয়, তাদের আরও উন্নয়নের জন্য পরিকল্পনা করা একজন HR প্রফেশনালের অন্যতম প্রধান কাজ।

০৪. অফিসের শৃঙ্খলা ও বিধি-নিষেধ পালন (Ensuring Compliance and Discipline)

নিজের প্রতিষ্ঠানের সকল নিয়ম নীতি এবং শৃঙ্খলা বজায় রাখা এইচআর প্রফেশনালদের আরেকটি গুরু দায়িত্ব। অফিসের কর্মচারীরা সেটি মেনে চলছেন কি না, তা নিশ্চিত করার দায়িত্ব তাদের। পাশাপাশি কোন সরকারি শ্রম আইন যাতে ভঙ্গ না হয় সে দিকটাও এইচআর অফিসারদের খেয়াল রাখতে হয়।

০৫. বেতন ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা প্রদানের ব্যবস্থা (Payroll Management)

বেতন প্রদান প্রক্রিয়াকে সঠিকভাবে পরিচালনা করা একজন HR এর অন্যতম প্রধান দায়িত্ব। কর্মীদের বেতন, বোনাস, এবং অন্যান্য ‍সুযোগ সুবিধা সঠিকভাবে প্রদান নিশ্চিত করা জরুরি। পে-রোল ম্যানেজমেন্ট প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের সন্তুষ্টি এবং তাদের ধরে রাখার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।

০৬. কর্মী সন্তুষ্টি ও কল্যাণ (Employee Satisfaction and Welfare)

প্রতিষ্ঠানে কর্মীদের মানসিক এবং শারীরিক স্বাস্থ্যের দিকে নজর রাখা, তাদের সন্তুষ্টি বৃদ্ধি এবং প্রয়োজনীয় সুযোগ-সুবিধা প্রদান করা HR টিমের দায়িত্ব। এখানে ছোট ছোট অনেক বিষয়ের দিকে নজর দিতে হয়। যেমন- পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা, অফিসের পরিবেশ ইত্যাদি।

০৭. আইনি ও নীতি বিষয়ক কাজ (Legal Compliance and Policies)

প্রতিষ্ঠান ও মালিক পক্ষকে সব ধরনের শ্রম আইন ও নীতিমালা মেনে চলতে সাহায্য করা। তাদের সময় মতো লিগ্যাল বিষয়ে অবগত করাও একজন এইচআর অফিসারের অন্যতম প্রধান কাজগুলোর একটি।

আদর্শ HR প্রফেশনাল হতে যে বিষয়ে দক্ষতা অর্জন জরুরি

একজন HR এর কাজ কি সেগুলো জানলাম। তবে একজন আদর্শ HR প্রোফেশনাল হতে গেলে কিছু বিশেষ দক্ষতা এবং গুণাবলি থাকা আবশ্যক। আসুন দেখি, কীভাবে নিজেকে একজন আদর্শ HR প্রোফেশনাল হিসেবে গড়ে তুলবেন-

যোগাযোগ বা কমিউনিকেশন দক্ষতা বৃদ্ধি করুন

HR প্রফেশনালদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ গুণ হচ্ছে যোগাযোগ বা কমিউনিকেশন দক্ষতা। আপনাকে প্রতিদিন বিভিন্ন ধরনের মানুষের সাথে যোগাযোগ করতে হবে। কর্মীদের সঙ্গে যেমন সুসম্পর্ক বজায় রাখতে হবে, তেমনি উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গেও যথাযথভাবে যোগাযোগ করতে হবে। তাই কমিউনিকেশন এবং বিজনেস  নেটওয়াকিং বাড়ান, দেখবেন মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনার কাজটি উপভোগ করছেন!

প্রযুক্তিগত বা টেকনিক্যাল দক্ষতা অর্জন করুন

আধুনিক এইচআর প্রফেশনালদের প্রযুক্তিগত জ্ঞান থাকা একান্ত জরুরি। এমপ্লয়ি ম্যানেজমেন্ট সফটওয়্যার, শিফট প্ল্যানিং টুলস এবং ডিজিটাল কন্ট্রাক্ট সাইনিং ব্যবস্থার মতো টেকনিক্যাল জিনিসগুলোর উপর দক্ষতা অর্জন করা জরুরি।

লিডারশিপ বা নেতৃত্বের গুণাবলি থাকা জরুরি

একজন আদর্শ HR প্রফেশনালকে কেবল কর্মচারীদের কাজ পরিচালনা করতে হয় না, বরং নেতৃত্ব দিয়ে কর্মীদের উজ্জীবিত রাখতে হবে। নেতৃত্বের গুণাবলি থাকলে কর্মীরা তাদের কাজ আরও মনোযোগ দিয়ে সম্পাদন করতে পারবে। তারা তাদের লক্ষ্য সম্পর্কে আরও ভালো ধারণা রাখবে এবং লক্ষ্য পূরণে সর্বোচ্চ মেধা ও শ্রম দেবে।

ন্যায়সঙ্গত সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষমতা থাকতে হবে

একজন HR প্রফেশনালের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব হলো সঠিক এবং সুবিবেচিত সিদ্ধান্ত নেয়া। কর্মচারীদের সমস্যা সমাধানে এবং প্রতিষ্ঠানের সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণে সাবধানী হওয়া অত্যন্ত জরুরি। একই সাথে ন্যায়পরায়ণ এবং সৎ থাকাটাও জরুরি।

প্রয়োজনে কর্মীদের প্রেরণা দিতে পারা

কর্মীদের মনোবল বৃদ্ধি এবং তাদেরকে কাজের প্রতি উদ্বুদ্ধ করা একজন HR প্রফেশনালের বড় কাজ। এতে প্রতিষ্ঠানের কাজের পরিবেশ ভালো থাকে এবং কর্মীরা আরও ‍উৎপাদনশীল হয়ে উঠে।

ব্যবহার করুন এমপ্লয়ি ম্যানেজমেন্ট অ্যাপ- হাজিরা

বাংলাদেশের কর্মক্ষেত্রে HR প্রফেশনালদের কাজকে সহজ করার জন্য বিভিন্ন ধরনের সফটওয়্যার ব্যবহৃত হয়। এগুলোর মধ্যে অন্যতম একটি হলো হাজিরা। এটি একটি এমপ্লয়ি ম্যানেজমেন্ট অ্যাপ যা HR প্রফেশনালদের সকল ধরনের কাজ পরিচালনা করতে সহায়তা করতে পারে। 

হাজিরা অ্যাপের মাধ্যমে আপনি কর্মীদের উপস্থিতি, ছুটি, বেতন, শিফট প্ল্যানিং, এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় কাজ খুব সহজেই পরিচালনা করতে পারবেন। এই অ্যাপের মাধ্যমে সময় বাঁচানোর পাশাপাশি কাজের গতি এবং কর্মীদের দক্ষতা বৃদ্ধি পাবে। ফলে প্রতিষ্ঠান পরিচালনা আরও সহজ এবং সুসংগঠিত হবে। মনে রাখবেন, একজন দক্ষ HR প্রোফেশনাল হতে গেলে শুধুমাত্র কাজের প্রতি যত্নশীল হওয়া যথেষ্ট নয়, প্রয়োজন সঠিক টেকনিক্যাল জ্ঞান এবং আধুনিক টুলসের ব্যবহার। তাহলে hr এর কাজ কি জেনে নিজেকে আরও দক্ষ করে তুলুন এবং একজন আদর্শ এইচআর প্রফেশনাল হয়ে উঠুন।

আপনার প্রতিষ্ঠানের জন্য সহজ ও সাশ্রয়ী সমাধান- হাজিরা

হাজিরা দেশের সবচেয়ে সাশ্রয়ী এমপ্লয়ি ম্যানেজমেন্ট অ্যাপগুলোর একটি। একটি অ্যাপ থেকেই আপনি পেতে পারেন কর্মী ব্যবস্থাপনার বিভিন্ন সাপোর্ট। যেমন-

  • দৈনিক হাজিরা
  • কর্মী তথ্যভাণ্ডার
  • কাজের শিফট প্লানিং
  • রিপোর্ট
  • পে-রোল ম্যানেজমেন্ট
  • ডিজিটাল চুক্তিপত্র
  • ডকুমেন্ট ভল্ট
  • কাস্টম সেটিংস
  • ফ্রি কাস্টমার সাপোর্ট

কেনো সাশ্রয়ী অ্যাপ বলছি সেটাও দেখে নেয়া যাক-  হাজিরা’র চারটি প্যাকেজ ও তাদের মূল্য

০১. বেসিক প্যাকেজ- 

কোম্পানির সাইজ-  ০ থেকে ২০ জন

  • ৳১,৫০০/ মাসিক
  • ৳১৫,০০০/ বাৎসরিক

০২. স্ট্যান্ডার্ড প্যাকেজ- 

কোম্পানির সাইজ-  ২১ থেকে ৫০ জন

  • ৳৩,০০০/ মাসিক
  • ৳৩০,০০০/ বাৎসরিক

০৩. প্রিমিয়াম প্যাকেজ-  

কোম্পানির সাইজ-  ৫০ থেকে ৯৯ জন

  • ৳৪,৫০০/ মাসিক
  • ৳৪৫,০০০/ বাৎসরিক

০৪. এন্টারপ্রাইজ প্যাকেজ- 

কোম্পানির সাইজ-  ১০০+ জন

  • আলোচনা সাপেক্ষে
  • যোগাযোগ করুন- 
  • ফোন: 01967391554
  • ইমেইল: info@hazira.com

সহজ তিনটি ধাপে হাজিরা’তে যাত্রা শুরু করুন!

১ম ধাপ- হাজিরা’তে রেজিস্ট্রেশন বা সাইন আপ করুন: 

প্রথমেই কোম্পানির মালিক হিসেবে রেজিস্ট্রেশন করে হাজিরা’য় আপনার জার্নি শুরু করুন। রেজিস্ট্রেশনের পরেই আপনার ইনবক্সে একটি ভেরিফিকেশন মেইল যাবে, এটি দিয়ে আপনার ই-মেইলটি ভেরিফাই করতে হবে। 

(ভেরিফিকেশন মেইলটি আপনার ইনবক্সে না পাওয়া গেলে অনুগ্রহ করে স্প্যাম ফোল্ডারে চেক করুন।)

২য় ধাপ- আপনার কোম্পানি সেট-আপ করুন: 

ভেরিফিকেশন সম্পন্ন হলে লগইন করুন। এবার আপনার কোম্পানি বা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের প্রয়োজনীয় সকল তথ্য দিয়ে হাজিরা’য় আপনার কোম্পানি সেট-আপ করুন।

৩য় ধাপ- হাজিরা’র বিভিন্ন ফিচার উপভোগ করুন: 

এরপর আপনি হাজিরা’র ড্যাশবোর্ডটি দেখতে পাবেন। হাজিরা’র বিভিন্ন ফিচার উপভোগ করুন সহজে এবং সাশ্রয়ী দামে! হাজিরা’র ওয়েব এবং মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন, দুটোই আছে। 

ওয়েব অ্যাপ্লিকেশন: আপনার প্রতিষ্ঠানের প্রশাসনিক কাজগুলো সম্পাদন করার জন্য ওয়েব অ্যাপ্লিকেশনটি ব্যবহার করতে হবে।
হাজিরা ওয়েব অ্যাপ্লিকেশন

মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন: হাজিরা’র মোবাইল অ্যাপ আপনার প্রতিষ্ঠানের দৈনন্দিন কাজগুলো পরিচালনা করা আরও সহজ করবে। এমপ্লয়ি ম্যানেজমেন্ট আরও সহজ করতে ডাউনলোড করুন হাজিরা’র মোবাইল অ্যাপ- 

অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ

আইওএস অ্যাপ 

হাজিরা অ্যাপের সকল কার্যক্রম সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ডেমো ভিডিও দেখুন-
Demo of Hazira- Employee Management Application
৩০ দিনের ফ্রি ট্রায়াল!

হাজিরা’য় আপনি চাইলেই প্রথম ৩০ দিন ফ্রি ট্রায়াল শুরু করতে পারেন। তারপর প্রয়োজন মতো আপনার ব্যবসার জন্য প্যাকেজ নিয়ে ব্যবসায় সফলতা অর্জন করুন। তাহলে আর দেরি না করে চলে আসুন হাজিরা’য়!

এমপ্লয়িদের প্রোডাক্টিভিটি বাড়ানোর ৭টি কৌশল!

বর্তমান সময়ে কর্পোরেট দুনিয়ার এমপ্লয়িদের প্রোডাক্টিভিটি বা কর্মীদের উৎপাদনশীলতা কীভাবে বাড়ানো যায়, তা নিয়ে বিস্তর গবেষণা চলছে! বিশেষ করে, কর্মীদের সন্তুষ্ট রেখেই কীভাবে কম সময়ে আরও বেশি মানসম্পন্ন কাজ আদায় করা যায়, সেটাই মূল প্রয়াস। স্বাভাবিকভাবেই প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের জন্য এমপ্লয়িদের প্রোডাক্টিভিটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। তাই সঠিক কৌশল ব্যবহার না করলে প্রতিষ্ঠান তার কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে ব্যর্থ হবে এটাও স্বাভাবিক!

তাহলে সমাধান কোথায়? সমাধান আছে প্রযুক্তির সঠিক এবং কৌশলী ব্যবহারে! আজকের বিশ্বে এমপ্লয়ি ম্যানেজমেন্ট টুল এবং বিভিন্ন সফটওয়্যার ব্যবহারের মাধ্যমে প্রোডাক্টিভিটি বাড়ানো সম্ভব। বাংলাদেশের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোর এমপ্লয়ি ম্যানেজমেন্ট সফটওয়্যার হিসেবে ‘হাজিরা’ হতে পারে অন্যতম চমৎকার একটি সমাধান! এই অ্যাপটি এমপ্লয়িদের প্রোডাক্টিভিটি বাড়ানোর জন্য বিভিন্ন ফিচারসহ বিশেষভাবে ডিজাইন করা হয়েছে।

আজকে আমরা এমপ্লয়িদের প্রোডাক্টিভিটি বাড়ানোর ৭টি কৌশল নিয়ে আলোচনা করব। সাথে হাজিরা অ্যাপের বিভিন্ন ফিচার ব্যবহার করে সেগুলো বাস্তবায়ন করার উপায় নিয়ে জানবো।

ব্লগে যা থাকছে-

১. শুরুতেই নজর দিতে হবে কর্মীদের সঠিক সময় ব্যবস্থাপনায়!

সঠিক সময় ব্যবস্থাপনা বা টাইম ম্যানেজমেন্ট একজন প্রোডাক্টিভ কর্মী গড়ে তোলার মূল রসদ। সময় ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে হাজিরা অ্যাপটি অনেকটা টাইম ট্র্যাকিং সফটওয়্যারের মতোই কাজ করবে। এর ইন-আউট টাইম ক্লক ফিচার খুবই কার্যকর। 

প্রতিদিনের কাজের শুরু এবং শেষের সময় সঠিকভাবে মনিটরিং করার মাধ্যমে HR ম্যানেজাররা কর্মীদের উৎপাদনশীলতা সম্পর্কে ধারণা পেতে পারেন। এছাড়া সময় অপচয় রোধ করাও সম্ভব! কারণ, হাজিরা ব্যবহার করলে ম্যানেজমেন্টের হাতে থাকবে নির্ভুল উপস্থিতি, ব্রেক টাইম বা বিরতি এবং  ইন-আউট এর রিপোর্ট। ব্যক্তিগত ও কর্মজীবনের টাইম ম্যানেজমেন্ট নিয়ে আরও জানতে পড়ুন-
টাইম ম্যানেজমেন্ট: কর্মজীবনে সফলতার মূলমন্ত্র!

২. কর্মীদের জন্য কার্যকর শিফট পরিকল্পনা বা প্ল্যানিং

প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের কাজের প্রোডাক্টিভিটি বাড়াতে কার্যকর শিফট পরিকল্পনার গুরুত্ব অপরিসীম। বর্তমান সময়ে বিভিন্ন সময় ও বিভিন্ন ব্রাঞ্চের কর্মীরা একটি একসাথে কাজ করেন। কারও সময় সকালে, তো কারও সময় বিকেলে, আবার কেউ হয়তো অন্য জেলা বা দেশ থেকে তার সময় অনুযায়ী কাজে যোগদান করেন। এমন পরিস্থিতিতে একটি নির্ভুল কাজের শিফট প্ল্যান অনুসরণ করা অত্যন্ত জরুরি। 

হাজিরা’র শিফট প্ল্যানিং ফিচারের মাধ্যমে আপনি সহজিই শিফট তৈরি করতে এবং সেটা পরিচালনা করতে পারবেন। নির্দিষ্ট সময়ে নির্দিষ্ট কর্মীকে কাজে নিয়োগ করার মাধ্যমে অফিসের কার্যক্রমকে আরো গতিশীল করে তোলা সম্ভব হয়। সঠিক শিফট প্ল্যানিং বা পরিকল্পনা থাকলে কর্মীদের মধ্যে কাজের চাপ কমে, যা তাদের প্রোডাক্টিভিটিকে আরও বাড়ায়! সাথে কাজের মানও ভালো থাকে। হাজিরা’র শিফট প্ল্যানিং নিয়ে আরও জানতে পড়ুন- প্রফেশনাল ফ্রিল্যান্সিংয়ে কাজের শিফট প্ল্যানিং কেনো জরুরি?

৩. প্রতিষ্ঠানে স্বয়ংক্রিয় পে-রোল ম্যানেজমেন্ট নিশ্চিত করুন

কর্মীদের সময়মতো বেতন দেয়া প্রোডাক্টিভিটি বাড়ানোর অন্যতম সেরা উপায়! শুধু সময় মতো বেতন নয়, তাদের সকল পাওনার নির্ভুল হিসাব এবং ট্যাক্স পেমেন্ট সহজ করলে সেটা আরও বেশি সুফল এনে দেয়। তাই প্রতিষ্ঠানে অবশ্যই স্বয়ংক্রিয় পে-রোল ম্যানেজমেন্ট নিশ্চিত করুন। 

হাজিরা’র পে-রোল ম্যানেজমেন্ট ফিচারটি স্যালারি শিট তৈরি, বেতনের হিসাব, ট্যাক্স পেমেন্ট এর হিসাব এবং বিতরণের প্রক্রিয়া স্বয়ংক্রিয় করে তুলবে। এতে করে লেজার বইতে ম্যানুয়াল হিসাবের ঝামেলা কমে যায়। এইচআর ও অ্যাকাউন্ট ম্যানেজার বেতন প্রদানের কাজটি দ্রুত ও সঠিকভাবে সম্পন্ন করতে পারেন। আর সঠিক সময়ে বেতন পেলে কর্মীদের মধ্যে সন্তুষ্টি বাড়বে এবং তাদের প্রোডাক্টিভিটি বা উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি পাবে। হাজিরা পে-রোল সম্পর্কে আরও জানতে পড়ুন-
এমপ্লয়ি ম্যানেজমেন্ট অ্যাপে পে-রোল সুবিধা থাকা কেন জরুরি?

৪. লিভ ম্যানেজমেন্ট হতে হবে সহজ ও নির্ভুল

প্রোডাক্টিভ ও মনোযোগী কর্মী তৈরির জন্য ছুটি ব্যবস্থাপনা গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, কর্মীদের যথাসময়ে ছুটি বা বিশ্রামের সুযোগ তাদের সৃজনশীলতা ও পরিশ্রমের সামর্থ বাড়িয়ে দেয়। এটা পরীক্ষিত একটা সমাধান! লক্ষ করে দেখবেন, ছুটির পরিকল্পনা থাকলে সেই কর্মীরা যখন অফিসে আসেন, তখন তারা অনেক বেশি ফোকাসড ও প্রোডাক্টিভ হয়ে থাকেন। তাই প্রতিষ্ঠানের লিভ ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম হতে হবে স্বচ্ছ এবং সহজ। যাতে সহজেই ছুটির আবেদন করা যায়, অনুমোদন করা যায় এবং ছুটির স্ট্যাটাস চেক করা যায়।

হাজিরা’র লিভ ম্যানেজমেন্ট ফিচারের মাধ্যমে সহজেই ছুটির আবেদন ও অনুমোদন করা যায়। লিভ অ্যাপ্লিকেশনের নোটিফিকেশন চলে যাবে সংশ্লিষ্ঠ ব্যক্তিদের কাছে। এমপ্লয়ি ম্যানেজমেন্ট অ্যাপ  হাজিরা’র লিভ ম্যানেজমেন্ট সম্পর্কে আরও জানতে পড়ুন-
ছুটির জন্য আবেদন, অনুমোদন ও রিপোর্ট সবকিছু এক অ্যাপে!

৫. পেশাগত রিমাইন্ডার সিস্টেম কর্মীদের আপডেট রাখে

অফিশিয়াল কাজের রিমাইন্ডার কর্মীদের সময়মত কাজ সম্পাদনে উৎসাহিত করে। হাজিরা’য় নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ করার জন্য নির্দিষ্ট সময়ে রিমাইন্ডার দিয়ে কর্মীদের কাজের দায়িত্ব স্মরণ করিয়ে দেওয়া যায়। সময়মতো রিমাইন্ডার পেলে কর্মীরা নিজের কাজ সম্পর্কে সচেতন থাকে এবং নির্দিষ্ট সময়ে কাজ সম্পন্ন করার প্রবণতাও বাড়ে। এটা তাদের প্রোডাক্টিভিটি বাড়ানোর একটি কার্যকর উপায়।

৬. যেকোন জায়গা থেকে ডিজিটাল চুক্তি স্বাক্ষর সুবিধা

কাগজপত্রের ঝামেলা কমিয়ে ডিজিটাল কন্ট্রাক্ট সাইনিং অত্যন্ত আধুনিক ও কার্যকর একটি পদ্ধতি। আপনার কর্মীরা কোন পার্টি বা ক্লায়েন্টের সাথে কোন চুক্তি করতে চাইলে সেটা অনলাইনেই করা যাবে। মালিক হিসেবে আপনার শারীরিক উপস্থিতির প্রয়োজন নেই। এমনকি এইচআর অফিসারা ডিজিটাল চুক্তির মাধ্যমে কর্মী নিয়োগ দিতে পারেন। 

হাজিরা’র ডিজিটাল চুক্তি ফিচারটি ব্যবহার করে দ্রুত ও সহজে চুক্তি সই করা যায়, যা সময় সাশ্রয় করে এবং কাজের গতি বাড়ায়। ফলে, কাগজের কাজের চাপ কমে যায় এবং কর্মীদের প্রোডাক্টিভিটিতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলে। হাজিরা’র ডিজিটাল কন্ট্রাক্ট সাইনিং সম্পর্কে আরও জানতে পড়ুন-
হাজিরা অ্যাপে ডিজিটাল কন্ট্রাক্ট সাইনিং করবেন কীভাবে?

৭. প্রত্যেকটি কর্মীর সার্বিক রিপোর্ট বিশ্লেষণ করা

কর্মীদের কাজের বিশ্লেষণ করতে না পারলে কোন কর্মী কীভাবে ও কেমন কাজ করছে তার সঠিক ধারণা পাওয়া সম্ভব নয়। হাজিরা’র এমপ্লয়ি রিপোর্ট ফিচারটি প্রতিটি কর্মীর কার্যকলাপ পর্যবেক্ষণ এবং বিশ্লেষণের সুযোগ করে দেয়। কর্মীদের সাপ্তাহিক বা মাসিক পারফরমেন্স রিপোর্ট দেখে ম্যানেজাররা বুঝতে পারেন, কার প্রোডাক্টিভিটি কমছে এবং কীভাবে সেটি বাড়ানো যায়। তাছাড়া এটা ভালো কর্মীদের কাজের স্বীকৃতি দেয় এবং অন্যদের উৎসাহ পেতে সাহায্য করে।

এমপ্লয়িদের প্রোডাক্টিভিটি বাড়ানোর জন্য ‘হাজিরা’ কেনো?

বাংলাদেশের কর্পোরেট ক্ষেত্রে ‘হাজিরা’ এমপ্লয়ি ম্যানেজমেন্ট সফটওয়্যার হিসেবে একটি নির্ভরযোগ্য ও কার্যকরী টুল। এটি যেকোনো প্রতিষ্ঠানে উন্নত ও গতিশীল কাজের পরিবেশ গড়ে তুলতে সাহায্য করে। একদম সহজে যদি বলা যায় তাহলে ব্যাপারটা এমন, হাজিরা’র ব্যবহার আপনার প্রতিষ্ঠানের-

  • সময় বাঁচায়
  • খরচ কমায় 
  • কর্মীদের সন্তুষ্ট রাখে
  • সময়মতো কাজ শেষ করায়
  • কর্মীদের ধারাবাহিক উন্নতির ব্যবস্থা করে

এমপ্লয়িদের প্রোডাক্টিভিটি বাড়াতে সময়ের সঠিক ব্যবস্থাপনা, শিফট প্ল্যানিং বা পরিকল্পনা, নির্ভুল রিপোর্টিং ইত্যাতি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। হাজিরা শুধুমাত্র প্রোডাক্টিভিটি বাড়াতেই সাহায্য করে না, কর্মীদের কাজের মানও উন্নত করে। তাই, বাংলাদেশে আপনার প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের প্রোডাক্টিভিটি বাড়াতে হাজিরা হতে পারে সহজ ও সাশ্রয়ী সমাধান।

আপনার প্রতিষ্ঠানের জন্য সহজ ও সাশ্রয়ী সমাধান- হাজিরা

হাজিরা দেশের সবচেয়ে সাশ্রয়ী এমপ্লয়ি ম্যানেজমেন্ট অ্যাপগুলোর একটি। একটি অ্যাপ থেকেই আপনি পেতে পারেন কর্মী ব্যবস্থাপনার বিভিন্ন সাপোর্ট। যেমন-

  • দৈনিক হাজিরা
  • কর্মী তথ্যভাণ্ডার
  • কাজের শিফট প্লানিং
  • রিপোর্ট
  • পে-রোল ম্যানেজমেন্ট
  • ডিজিটাল চুক্তিপত্র
  • ডকুমেন্ট ভল্ট
  • কাস্টম সেটিংস
  • ফ্রি কাস্টমার সাপোর্ট

কেনো সাশ্রয়ী অ্যাপ বলছি সেটাও দেখে নেয়া যাক-  হাজিরা’র চারটি প্যাকেজ ও তাদের মূল্য

০১. বেসিক প্যাকেজ- 

কোম্পানির সাইজ-  ০ থেকে ২০ জন

  • ৳১,৫০০/ মাসিক
  • ৳১৫,০০০/ বাৎসরিক

০২. স্ট্যান্ডার্ড প্যাকেজ- 

কোম্পানির সাইজ-  ২১ থেকে ৫০ জন

  • ৳৩,০০০/ মাসিক
  • ৳৩০,০০০/ বাৎসরিক

০৩. প্রিমিয়াম প্যাকেজ-  

কোম্পানির সাইজ-  ৫০ থেকে ৯৯ জন

  • ৳৪,৫০০/ মাসিক
  • ৳৪৫,০০০/ বাৎসরিক

০৪. এন্টারপ্রাইজ প্যাকেজ- 

কোম্পানির সাইজ-  ১০০+ জন

  • আলোচনা সাপেক্ষে
  • যোগাযোগ করুন- 
  • ফোন: 01967391554
  • ইমেইল: info@hazira.com

সহজ তিনটি ধাপে হাজিরা’তে যাত্রা শুরু করুন!

১ম ধাপ- হাজিরা’তে রেজিস্ট্রেশন বা সাইন আপ করুন: 

প্রথমেই কোম্পানির মালিক হিসেবে রেজিস্ট্রেশন করে হাজিরা’য় আপনার জার্নি শুরু করুন। রেজিস্ট্রেশনের পরেই আপনার ইনবক্সে একটি ভেরিফিকেশন মেইল যাবে, এটি দিয়ে আপনার ই-মেইলটি ভেরিফাই করতে হবে। 

(ভেরিফিকেশন মেইলটি আপনার ইনবক্সে না পাওয়া গেলে অনুগ্রহ করে স্প্যাম ফোল্ডারে চেক করুন।)

২য় ধাপ- আপনার কোম্পানি সেট-আপ করুন: 

ভেরিফিকেশন সম্পন্ন হলে লগইন করুন। এবার আপনার কোম্পানি বা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের প্রয়োজনীয় সকল তথ্য দিয়ে হাজিরা’য় আপনার কোম্পানি সেট-আপ করুন।

৩য় ধাপ- হাজিরা’র বিভিন্ন ফিচার উপভোগ করুন: 

এরপর আপনি হাজিরা’র ড্যাশবোর্ডটি দেখতে পাবেন। হাজিরা’র বিভিন্ন ফিচার উপভোগ করুন সহজে এবং সাশ্রয়ী দামে! হাজিরা’র ওয়েব এবং মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন, দুটোই আছে। 

ওয়েব অ্যাপ্লিকেশন: আপনার প্রতিষ্ঠানের প্রশাসনিক কাজগুলো সম্পাদন করার জন্য ওয়েব অ্যাপ্লিকেশনটি ব্যবহার করতে হবে।
হাজিরা ওয়েব অ্যাপ্লিকেশন

মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন: হাজিরা’র মোবাইল অ্যাপ আপনার প্রতিষ্ঠানের দৈনন্দিন কাজগুলো পরিচালনা করা আরও সহজ করবে। এমপ্লয়ি ম্যানেজমেন্ট আরও সহজ করতে ডাউনলোড করুন হাজিরা’র মোবাইল অ্যাপ- 

অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ

আইওএস অ্যাপ 

হাজিরা অ্যাপের সকল কার্যক্রম সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ডেমো ভিডিও দেখুন-
Demo of Hazira- Employee Management Application
৩০ দিনের ফ্রি ট্রায়াল!

হাজিরা’য় আপনি চাইলেই প্রথম ৩০ দিন ফ্রি ট্রায়াল শুরু করতে পারেন। তারপর প্রয়োজন মতো আপনার ব্যবসার জন্য প্যাকেজ নিয়ে ব্যবসায় সফলতা অর্জন করুন। তাহলে আর দেরি না করে চলে আসুন হাজিরা’য়!