এমপ্লয়ি ম্যানেজমেন্ট অ্যাপে পে-রোল সুবিধা থাকা কেন জরুরি?

বাংলাদেশে যেকোন ধরনের প্রতিষ্ঠানের কর্মী ব্যবস্থাপনার জন্য এমপ্লয়ি ম্যানেজমেন্ট সফটওয়্যারের ব্যবহার এখন বেশ স্বাভাবিক একটি চিত্র। এই এমপ্লয়ি ম্যানেজমেন্ট অ্যাপগুলোর মৌলিক কিছু ফিচারের মধ্যে পে-রোল ম্যানেজমেন্ট অন্যতম একটি। এমনকি বর্তমানে বাংলাদেশে পে-রোল সফটওয়্যার আলাদ ভাবেও ব্যবহার হচ্ছে। মানে একটি প্রতিষ্ঠানের জন্য একটি পে-রোল সফটওয়্যার। 

তবে ছোট ও মাঝারি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোতে কর্মী ব্যবস্থাপনার সাথে সংশ্লিষ্ট প্রতিটি ক্ষেত্রের জন্য আলাদা আলাদা অ্যাপ বা সফটওয়্যার ব্যবহার করা কষ্টসাধ্য এবং ব্যয়বহুল। তাই বাংলাদেশে এমন এমপ্লয়ি ম্যানেজমেন্ট অ্যাপ ব্যবহার করা উচিৎ, যেটাতে পে-রোল সফটওয়্যার এর প্রায় সকল সুবিধা পাওয়া যাবে।

বাংলাদেশের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য এমনই একটি সহজ ও সাশ্রয়ী এমপ্লয়ি ম্যানেজমেন্ট অ্যাপ ‘হাজিরা’। আজকের ব্লগে আমরা এমপ্লয়ি ম্যানেজমেন্ট অ্যাপে পে-রোল ফিচার থাকার সুবিধাগুলো জানবো। বাংলাদেশে পে-রোল সফটওয়্যার কেনো ব্যবহার করা জরুরি এবং হাজিরা অ্যাপের পে-রোল ফিচার নিয়েও সংক্ষেপে আলোচনা করবো।

ব্লগে যা থাকছে-

এই ব্যাপারে বিস্তারিত আলোচনায় যাওয়ার আগে পে-রোল ম্যানেজমেন্টের গুরুত্বটা আপনাকে বুঝতে হবে। কোনো প্রতিষ্ঠানের পে-রোল ম্যানেজমেন্ট ভালো না হলে কর্মীরা সেখানে তাদের শতভাগ দক্ষতা প্রকাশ করতে পারেন না। তাই এর গুরুত্বটা আমাদের জানতে হবে সবার আগে-

পে-রোল ম্যানেজমেন্ট এর গুরুত্ব কতটুকু?

পে-রোল ম্যানেজমেন্ট হলো একটি প্রতিষ্ঠান বা কোম্পানির কর্মীদের বেতন, ভাতা, বোনাস এবং অন্যান্য আর্থিক সুযোগ সুবিধা সঠিকভাবে নির্ধারণ ও বিতরণের একটি প্রক্রিয়া। এটি প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ, কারণ কর্মচারীদের সন্তুষ্টি এবং তাদের কর্মক্ষমতা প্রতিষ্ঠানের সফলতার মূল চাবিকাঠি। একটি স্বয়ংক্রিয় এবং নির্ভুল পে-রোল ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম না থাকলে প্রতিষ্ঠানের আর্থিক হিসাবনিকাশ এবং কর্মচারীদের মনোবল নষ্ট হয়ে যেতে পারে।

আপনাকে মনে রাখতে হবে, পে-রোল ম্যানেজমেন্ট কেবল বেতন গণনা করার বিষয় নয়! এর সাথে গুরুত্বপূর্ণ যে বিষয়গুলো অন্তর্ভুক্ত- 

  • কর্মীদের কাজের সময় অনুযায়ী বেতন 
  • সরকারি ভ্যাট ট্যাক্স গণনা
  • কোম্পানির পলিসি অনুযায়ী নীতিমালা প্রণয়ন
  • দেশের শ্রম আইনের প্রয়োগ 
  • বিভিন্ন অডিটে সঠিক তথ্য উপাত্ত প্রদান করা এবং 
  • বেতন সহ অন্যান্য আর্থিক রেকর্ড সংরক্ষণ ইত্যাদি 

একটি গ্রহণযোগ্য পে-রোল ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম ছাড়া প্রতিষ্ঠানগুলো নানা সমস্যার সম্মুখীন হতে পারে যেমন- 

  • বেতন প্রদান করতে ভুল হওয়া 
  • সময়মতো বেতন প্রদানে সমস্যা
  • দেশের প্রচলিত শ্রম আইন লঙ্ঘনের জন্য জরিমানা এবং 
  • কর্মীদের মনোবল হ্রাস পাওয়া ইত্যাদি

আর তাই, বাংলাদেশের মতো দেশে একটি এমপ্লয়ি ম্যানেজমেন্ট অ্যাপে পে-রোল ম্যানেজমেন্ট ফিচার থাকা অনেকক্ষেত্রে অপরিহার্য হয়ে ওঠে।

বাংলাদেশে পে-রোল সফটওয়্যার এবং হাজিরা অ্যাপ

বাংলাদেশের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার এখন খুব গুরুত্বপূর্ণ। বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে গেলে প্রচলিত বা ম্যানুয়াল অনেক ব্যবস্থাকে বিদায় জানাতে হবে। পে-রোল ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমে বেশিরভাগ সমস্যার প্রাথমিক কারণ হলো, কাগজে লিখে হাতে হাতে ক্যাশ বেতন ভাতা প্রদান করার প্রচলন।

আর এই প্রক্রিয়ায় সময় মতো বেতন প্রদান, সঠিক ট্যাক্স ক্যালকুলেশন, কর্মীদের ওভারটাইম গণনা এবং এই সংক্রান্ত অন্যান্য প্রক্রিয়াগুলোতে ভুল বা দেরি হতে পারে। এই সমস্যাগুলোর একটি পূর্ণাঙ্গ সমাধান নিয়ে হাজির হয়েছে এমপ্লয়ি ম্যানেজমেন্ট অ্যাপ হাজিরা। হাজিরা বাংলাদেশের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য বিশেষভাবে ডিজাইন করা একটি অ্যাপ। এখানে আপনি পে-রোল ম্যানেজমেন্ট ছাড়াও কর্মী ব্যবস্থাপনার প্রায় সকল সুবিধা পেয়ে যাবেন।  

হাজিরা অ্যাপের পে-রোল ম্যানেজমেন্ট এবং এর সুবিধাগুলো

হাজিরা পে-রোল আপনার প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের উপস্থিতি এবং কাজের সময়সীমা অনুযায়ী তাদের স্যালারি ও অন্যান্য পেমেন্টের হিসাবকে স্বয়ংক্রিয় ও সহজ করে দেবে। পাশাপাশি আপনার প্রতিষ্ঠানের নির্ভুল স্যালারি শিট তৈরি এবং সে অনুযায়ী ট্যাক্স পেমেন্ট করতে সাহায্য করবে। হাজিরা অ্যাপে পে-রোল ম্যানেজমেন্ট এর কিছু উল্লেখযোগ্য দিক-

বেতন কাঠামো বা স্যালারি স্ট্র্যাকচার তৈরি

হাজিরা অ্যাপের পে-রোল মডিউল থেকে আপনি আপনার কোম্পানির নিজস্ব পলিসি অনুযায়ী একটি বেতন কাঠামো বা স্যালারি স্ট্র্যাকচার তৈরি করতে পারবেন। যেটাকে অনুসরণ করে আপনি প্রতি মাসে পুরো কোম্পানির কর্মীদের বেতন প্রদান করবেন।

কোম্পানির ট্যাক্স ক্যালকুলেশন 

হাজিরা’য় আছে সহজে ট্যাক্স এবং ট্যাক্স রেট ম্যানেজ করার অপশন। বাংলাদেশের ট্যাক্স সংক্রান্ত আইন মেনে হাজিরা অ্যাপ স্বয়ংক্রিয়ভাবে কর্মচারীদের বেতনের উপর প্রযোজ্য ট্যাক্স হিসাব করবে। এর পরে প্রয়োজনীয় কাটছাঁট করে কর্মীদের হাতে বেতন প্রদান করবে। ফলে আপনার প্রতিষ্ঠানকে আলাদাভাবে ট্যাক্সের হিসাব কষতে হয় না। যা একজন কর্মীর কাজের সময় ও শ্রম সাশ্রয় করতে পারে। 

কর্মীদের বেতন ভাতা প্রদানের স্বয়ংক্রিয় হিসাব 

হাজিরা থেকে কর্মীদের বেতন, পে-স্লিপ তৈরি এবং তা অনুমোদনও স্বয়ংক্রিয়ভাবে করা যাবে। হাজিরা অ্যাপ স্বয়ংক্রিয়ভাবে কর্মচারীদের বেতন, বোনাস, এবং অন্যান্য ভাতা হিসাব করবে। হাজিরা’তে কোনো ধরনের ম্যানুয়াল এন্ট্রি করার প্রয়োজন নেই, ফলে স্যালারি প্রদান, স্যালারি শিট তৈরি এবং পে-স্লিপে ভুল হওয়ার সম্ভাবনা কমে যায়।

কর্মীদের ওয়ার্ক আওয়ার, ওভারটাইম এবং ছুটির হিসাব হাজিরা’য় 

হাজিরা অ্যাপে কর্মীদের কাজের কাজের শিফট প্ল্যান করা যাবে এবং কাজের সময়সীমাও নির্ধারণ করা যাবে। সাথে মোট ওয়ার্ক আওয়ারও ক্যালকুলেট করা যাবে। ফলে কর্মীদের ওভারটাইম ক্যালকুলেট করা খুবই সহজ হয়ে যাবে। এছাড়া কর্মীদের ছুটির হিসাবও হাজিরা’য় স্বয়ংক্রিয়ভাবে রেকর্ড হবে। এতে করে বেতন প্রদানে কোনো রকম অনিয়ম বা ভুলভ্রান্তি হবার সুযোগ প্রায় নেই।

এমপ্লয়িদের বেতন প্রদানের রিমাইন্ডার 

হাজিরা অ্যাপের মাধ্যমে আপনি নির্ধারিত তারিখে কর্মীদের বেতন প্রদান করতে পারবেন। পাশাপাশি অ্যাপটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে বেতন-বোনাস প্রদানের রিমাইন্ডার পাঠিয়ে দিতে সক্ষম, যা সময়মতো বেতন প্রদানে সহায়ক। আর এই ছোট ছোট ব্যাপারগুলোই কর্মীদেরকে কাজের প্রতি আগ্রহী করে তুলতে পারে!

এমপ্লয়ি ম্যানেজমেন্ট অ্যাপের সাথে পে-রোল ইন্টিগ্রেশন 

একটি পূর্ণাঙ্গ এমপ্লয়ি ম্যানেজমেন্ট অ্যাপে পে-রোল ম্যানেজমেন্ট সুবিধা থাকা জরুরি। কারণ, এটি প্রতিষ্ঠানের এইচআর ম্যানেজমেন্টকে  কর্মীদের বেতন সংক্রান্ত কাজগুলো সহজে এবং কম সময়ে করতে সাহায্য করে। 

পে-রোল ম্যানেজমেন্ট সফটওয়্যার যদি এককভাবে ব্যবহার করা হয় তাহলে খরচও বাড়তে পারে। আর এমপ্লয়ি ম্যানেজমেন্ট অ্যাপের মধ্যেই ইন্টিগ্রেটেড বা সমন্বিত করা থাকলে এক খরচে অনেক সার্ভিস পাওয়া যায়। যেমন- হাজিরা অ্যাপটির একটি প্ল্যাটফর্মে কর্মীদের অন্যান্য তথ্য এবং বেতন সংক্রান্ত সবকিছু একসাথে পরিচালনা করা যায়।

পে-রোল ম্যানেজমেন্ট সুবিধা সহ হাজিরা, নাকি অন্যকিছু?

আগেই বলেছি, বাংলাদেশে এমপ্লয়ি ম্যানেজমেন্ট অ্যাপগুলোর ব্যবহার দিন দিন বাড়ছে এবং এর আসল কারণ হলো ‘সময়ের প্রয়োজন’। সত্যি কথা বলতে, বর্তমান সময়ে এই ধরনের অ্যাপ্লিকেশনের ব্যবহার ব্যবসায়িক কিংবা প্রাতিষ্ঠানিক কার্যক্রম পরিচালনাকে সহজ ও স্বয়ংক্রিয় করতে অপরিহার্য! 

এমপ্লয়ি ম্যানেজমেন্ট অ্যাপে পে-রোল ম্যানেজমেন্ট সুবিধা থাকা কেন জরুরি সেটা যেমন জানলাম, তেমনি বাংলাদেশে পে-রোল সফটওয়্যার এর ব্যবহারের গুরুত্বও জানলাম। এখন আপনাকে ঠিক করতে হবে, আলাদাভাবে একটি পে-রোল সফটওয়্যার ব্যবহার করে খরচ বাড়াবেন? নাকি হাজিরা’র মতো একটি সহজ ও সাশ্রয়ী এমপ্লয়ি ম্যানেজমেন্ট অ্যাপ ব্যবহার করবেন, যেটাতে পে-রোল সফটওয়্যারের প্রায় সকল সুবিধা পাওয়া যায়।

আপনার প্রতিষ্ঠানের জন্য হাজিরা অ্যাপই কেনো?

হাজিরা দেশের সবচেয়ে সাশ্রয়ী এমপ্লয়ি ম্যানেজমেন্ট অ্যাপগুলোর একটি। একটি অ্যাপ থেকেই আপনি পেতে পারেন কর্মী ব্যবস্থাপনার বিভিন্ন সাপোর্ট। যেমন-

  • দৈনিক হাজিরা
  • কর্মী তথ্যভাণ্ডার
  • কাজের শিফট প্লানিং
  • রিপোর্ট
  • পে-রোল ম্যানেজমেন্ট
  • ডিজিটাল চুক্তিপত্র
  • ডকুমেন্ট ভল্ট
  • কাস্টম সেটিংস
  • ফ্রি কাস্টমার সাপোর্ট

কেনো সাশ্রয়ী অ্যাপ বলছি সেটাও দেখে নেয়া যাক-  হাজিরা’র চারটি প্যাকেজ ও তাদের মূল্য

০১. বেসিক প্যাকেজ- 

কোম্পানির সাইজ-  ০ থেকে ২০ জন

  • ৳১,৫০০/ মাসিক
  • ৳১৫,০০০/ বাৎসরিক

০২. স্ট্যান্ডার্ড প্যাকেজ- 

কোম্পানির সাইজ-  ২১ থেকে ৫০ জন

  • ৳৩,০০০/ মাসিক
  • ৳৩০,০০০/ বাৎসরিক

০৩. প্রিমিয়াম প্যাকেজ-  

কোম্পানির সাইজ-  ৫০ থেকে ৯৯ জন

  • ৳৪,৫০০/ মাসিক
  • ৳৪৫,০০০/ বাৎসরিক

০৪. এন্টারপ্রাইজ প্যাকেজ- 

কোম্পানির সাইজ-  ১০০+ জন

  • আলোচনা সাপেক্ষে
  • যোগাযোগ করুন- 
  • ফোন: 01967391554
  • ইমেইল: info@hazira.com

সহজ তিনটি ধাপে হাজিরা’তে যাত্রা শুরু করুন!

১ম ধাপ- হাজিরা’তে রেজিস্ট্রেশন বা সাইন আপ করুন: 

প্রথমেই কোম্পানির মালিক হিসেবে রেজিস্ট্রেশন করে হাজিরা’য় আপনার জার্নি শুরু করুন। রেজিস্ট্রেশনের পরেই আপনার ইনবক্সে একটি ভেরিফিকেশন মেইল যাবে, এটি দিয়ে আপনার ই-মেইলটি ভেরিফাই করতে হবে। 

(ভেরিফিকেশন মেইলটি আপনার ইনবক্সে না পাওয়া গেলে অনুগ্রহ করে স্প্যাম ফোল্ডারে চেক করুন।)

২য় ধাপ- আপনার কোম্পানি সেট-আপ করুন: 

ভেরিফিকেশন সম্পন্ন হলে লগইন করুন। এবার আপনার কোম্পানি বা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের প্রয়োজনীয় সকল তথ্য দিয়ে হাজিরা’য় আপনার কোম্পানি সেট-আপ করুন।

৩য় ধাপ- হাজিরা’র বিভিন্ন ফিচার উপভোগ করুন: 

এরপর আপনি হাজিরা’র ড্যাশবোর্ডটি দেখতে পাবেন। হাজিরা’র বিভিন্ন ফিচার উপভোগ করুন সহজে এবং সাশ্রয়ী দামে! হাজিরা’র ওয়েব এবং মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন, দুটোই আছে। 

ওয়েব অ্যাপ্লিকেশন: আপনার প্রতিষ্ঠানের প্রশাসনিক কাজগুলো সম্পাদন করার জন্য ওয়েব অ্যাপ্লিকেশনটি ব্যবহার করতে হবে।
হাজিরা ওয়েব অ্যাপ্লিকেশন

মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন: হাজিরা’র মোবাইল অ্যাপ আপনার প্রতিষ্ঠানের দৈনন্দিন কাজগুলো পরিচালনা করা আরও সহজ করবে। এমপ্লয়ি ম্যানেজমেন্ট আরও সহজ করতে ডাউনলোড করুন হাজিরা’র মোবাইল অ্যাপ- 

অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ

আইওএস অ্যাপ 

হাজিরা অ্যাপের সকল কার্যক্রম সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ডেমো ভিডিও দেখুন-
Demo of Hazira- Employee Management Application

৩০ দিনের ফ্রি ট্রায়াল!

হাজিরা’য় আপনি চাইলেই প্রথম ৩০ দিন ফ্রি ট্রায়াল শুরু করতে পারেন। তারপর প্রয়োজন মতো আপনার ব্যবসার জন্য প্যাকেজ নিয়ে ব্যবসায় সফলতা অর্জন করুন। তাহলে আর দেরি না করে চলে আসুন হাজিরা’য়!

সরকারি প্রতিষ্ঠানের নৈমিত্তিক ছুটির আবেদন হোক ডিজিটাল

তথ্যপ্রযুক্তির এই যুগে যেকোনো অফিস কিংবা প্রতিষ্ঠান পরিচালনায় ডিজিটাল প্রযুক্তির ব্যবহার খুবই স্বাভাবিক হয়ে উঠছে। অফিস পরিচালনা থেকে শুরু করে অফিসের কর্মী ব্যবস্থাপনা, সবখানেই ডিজিটাল প্রযুক্তির ছোয়া লেগেছে। এমনকি সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোও এর ব্যতিক্রম নয়! বর্তমানে বেশকিছু সরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের নৈমিত্তিক ছুটির আবেদনও ডিজিটাল মাধ্যমে সম্পন্ন হচ্ছে। সামনের দিনগুলোতে সরকারি প্রতিষ্ঠানের নৈমিত্তিক ছুটির আবেদন করতে কাগজে ব্যবস্থা আর থাকবে না। পুরো প্রক্রিয়াটি ডিজিটালি সম্পন্ন হবে খুব অল্প সময়ের মধ্যে। এতে কর্মীদের কষ্ট ও সময় কমবে, সাথে প্রতিষ্ঠানগুলোর ম্যানেজমেন্ট কর্মীদের ছুটির নির্ভুল হিসাব রাখতে পারবে।
সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোতে এই সময় উপযোগী পরিবর্তনে এমপ্লয়ি ম্যানেজমেন্ট সফটওয়্যার হাজিরা গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখতে পারে। কারণ, হাজিরা বাংলাদেশের সবচেয়ে সহজ ও সাশ্রয়ী এমপ্লয়ি ম্যানেজমেন্ট অ্যাপ্লিকেশনগুলোর মধ্যে একটি। চলুন দেখে আসি হাজিরা অ্যাপটি কীভাবে সরকারি প্রতিষ্ঠানের নৈমিত্তিক ছুটির আবেদনকে সহজ ও ঝামেলামুক্ত করতে পারে।

ব্লগে যা থাকছে-

সরকারি অফিসগুলোতে নৈমিত্তিক ছুটির আবেদনে বিড়ম্বনা!

দেশের বেশিরভাগ সরকারি অফিসগুলোতে এখনও কাগুজে পদ্ধতিতে নৈমিত্তিক ছুটির আবেদন করতে হয়। এই প্রক্রিয়ায় ছুটির আবেদন করতে কর্মীদের পোহাতে হয় অনেক ঝামেলায়, আর প্রতিষ্ঠানগুলোর ম্যানেজমেন্টকেও পড়তে হয় বিড়ম্বনায়।

১. কাগুজে ছুটির আবেদন প্রক্রিয়া সময়সাপেক্ষ: এক্ষেত্রে কর্মীদের হাতে লিখে বা ফর্ম পূরণ করে নৈমিত্তিক ছুটির আবেদন জমা দিতে হয়। এরপর অনেক সময় আবেদনটি বিভিন্ন টেবিলে টেবিলে ঘুরতে থাকতে দেখা যায়। মানে প্রক্রিয়াটি যেমন ঝামেলার তেমনি সময়সাপেক্ষ।

২. হাতে লিখার কারণে ভুল-ত্রুটি থাকতে পারে: যেহুতু হাতে লেখা হয়, তাই অফিসে ছুটির জন্য আবেদন পত্রগুলোতে ভুল-ত্রুটি থাকার সম্ভাবনা বেশি থাকে।

৩. ছুটির হিসাবের স্বচ্ছতা বজায় রাখা কঠিন: কাগুজে ব্যবস্থায় পরিচালিত অফিসগুলোতে ছুটির হিসাবের রেকর্ড রাখা এটি বড় চ্যালেঞ্জ। ফলে স্বচ্ছতা বজায় রাখা কঠিন হয়ে পড়ে।

৪. চুক্তিভিত্তিক বা রিমোট কর্মীদের জন্য বাড়তি ঝামেলা: এখন বিভিন্ন সরকারি অফিসেও চুক্তিভিত্তিক এবং রিমোট কর্মী নিয়োগ দেয়া হয়। এক্ষেত্রে তাদের প্রতিবার নৈমিত্তিক ছুটির আবেদন করতে অফিসে আসাটা বাড়তি একটি চাপ।

সরকারি অফিসগুলোতে কেনো ডিজিটাল সল্যুশন দরকার?

উপরে উল্লিখিত বিড়ম্বনাগুলোর দিকে নজর দিলে এই প্রশ্নের উত্তর সহজেই পাওয়া যায়! সরকারি প্রতিষ্ঠানের নৈমিত্তিক ছুটির আবেদন, অনুমোদন ও রেকর্ড রাখতে ডিজিটাল সল্যুশন যা দেবে-

  • ঝামেলা ছাড়াই অল্প সময়ে ছুটির আবেদন করার সুবিধা
  • ছুটির দরখাস্ততে ভুল-ভ্রান্তি প্রায় থাকবে না
  • দুই পক্ষ থেকেই ছুটির হিসাব রক্ষণে স্বচ্ছতা বজায় থাকবে
  • যেকোনো সময় যেকোনো জায়গা থেকে ছুটির আবেদন করার সুবিধা

অফিসের নৈমিত্তিক ছুটির আবেদন এর ডিজিটাল সল্যুশন ‘হাজিরা’

হাজিরা একটি এমপ্লয়ি ম্যানেজমেন্ট অ্যাপ্লিকেশন। কর্মী ব্যবস্থাপনার অন্যান্য অনেক ফিচারের সাথে হাজিরা’তে ছুটির আবেদন, অনুমোদন ও রিপোর্ট সবকিছু এক অ্যাপে সম্পাদন করার সুবিধা আছে। কর্মীদের নৈমিত্তিক ছুটির আবেদন করতে হাজিরা’য় পাবেন-

১. কোন ধরনের কাগুজে ব্যবস্থা ছাড়াই ছুটির আবেদন

এমপ্লয়ি ম্যানেজমেন্ট অ্যাপ হাজিরা’তে কোন ধরনের হাতে লেখা আবেদনের প্রয়োজন নেই। পুরো প্রক্রিয়াটিই সম্পন্ন হয়ে ডিজিটালি। আর এজন্য হাজিরা’য় আছে-

  • সহজ ব্যবহারবিধি এবং ইউজার ফ্রেন্ডলি ইন্টারফেস
  • নৈমিত্তিক ছুটির আবেদন অনুমোদনের প্রক্রিয়াটিও স্বয়ংসম্পন্ন
  • ছুটির আবেদনটির সকল আপডেট তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়
  • ছুটির নির্ভুল হিসাব কর্মীদের প্রোফাইলে যুক্ত হয়

২. হাজিরা’য় ছুটির জন্য আবেদন হবে এক মিনিটে!

যেকোন প্রতিষ্ঠানের একজন কর্মী মাত্র এক মিনিটে হাজিরা’য় একটি ছুটির আবেদন করতে পারবেন। কারণ-

  • হাজিরা’য় ছুটির আবেদনের ফর্মটির বেসিক তথ্যগুলো অটো পূরণ করা থাকে।
  • কর্মীদের শুধুমাত্র নৈমিত্তিক ছুটির আবেদন এর কারণটি লিখে, তারিখ দিয়ে সাবমিট করতে হয়।
  • সাবমিট করার সাথে সাথেই আবেদনটি যথাযথ কতৃপক্ষের নিকট মেইল এবং নোটিফিকেশন আকারে চলে যাবে।
  • এরপর কর্মী তার আবেদনটি অনুমোদন কিংবা বাতিলের হলে মেইল কিংবা নোটিফিকেশনের মাধ্যমে জানতে পারবেন।

৩. প্রতিষ্ঠানের পলিসি অনুযায়ী ভিন্ন ভিন্ন ছুটির নীতিমালা তৈরি

হাজিরা’য় প্রতিষ্ঠানের পলিসি অনুযায়ী ভিন্ন ভিন্ন ছুটির নীতিমালা তৈরি করা যায়। কর্মীরা অ্যাপের লিভ ম্যানেজমেন্ট ফিচারে গেলে প্রতিষ্ঠানের ছুটির নীতিমালা দেখতে পাবেন। সে অনুযায়ী তারা নৈমিত্তিক ছুটির আবেদন করতে পারবেন। কর্মী অসুস্থাতজনিত ছুটি নিচ্ছেন নাকি বাৎসরিক ছুটি নিচ্ছেন নাকি ক্যাজুয়াল ছুটি নিচ্ছেন সেটার উপর ভিত্তি করে লিভ বা ছুটির ব্যালেন্স আপডেট হয়ে যাবে অটোমেটিক।

হাজিরা অ্যাপটি সরকারি অফিসে যে পরিবর্তন নিয়ে আসবে

দেশের সরকারি অফিস পরিচলনায় ইতিমধ্যেই অনেক পরিবর্তন লক্ষণীয়। এগুলোর সাথে হাজিরা অ্যাপটির সংযোজন অফিসের এমপ্লয়ি ম্যানেজমেন্টকে আমূল বদলে দেবে। শুধু নৈমিত্তিক ছুটির আবেদন ক্ষেত্রেই নয়, হাজিরা শিফট প্ল্যানিং, পে-রোল, ইন-আউট, ডকুমেন্ট সংরক্ষণ, ডিজিটাল চুক্তি সাক্ষর ইত্যাদি বিভিন্ন বিষয়েও অফিসের ম্যানেজমেন্টকে সাহায্য করে।

  • ১. অফিসের কর্মীদের কার্যকারিতা বৃদ্ধি করে এবং প্রশাসনিক কাজগুলোকে সহজ করে।
  • ২. যেকোন বিষয়ের তথ্যগত নির্ভুলতা নিশ্চিত করে। সকল তথ্য ক্লাউড সার্ভারে সংরক্ষিত থাকে, ফলে ডেটা হারিয়ে যাওয়ারও ভয়ে থাকে না।
  • ৩. প্রতিষ্ঠানের কর্মী ও ব্যবস্থাপনা টিমের মাঝে স্বচ্ছতা আনয়ন করে তাদের মাঝে সুসম্পর্ক বজায় রাখতে সহায়তা করে।
  • ৪. হাজিরা অ্যাপ ব্যবহার করে যেকোনো স্থান থেকে, যেকোনো সময়ে ছুটির আবেদন সহ বিভিন্ন সুবিধা নেয়া যায়। এতে কর্মী ও প্রতিষ্ঠান উভয়ই লাভবান হয়।
  • ৫. ছুটি, কাজের শিফট, ইন-আউট এবং পে-রোল সংক্রান্ত বিভিন্ন নোটিফিকেশন কর্মীদের আপডেট থাকতে সহায়তা করে।
  • ৬. একটি প্ল্যাটফর্ম থেকেই নৈমিত্তিক ছুটির আবেদন এর মতো আরও অনেক ডিজিটাল সুবিধা পাওয়া যায়। এবং অ্যাপটি মোবাইলেও ব্যবহার করা যায়।

হাজিরা’র ৩০ দিনের ফ্রি ট্রায়াল শুরু করুন আজই!

তাই, বাংলাদেশের সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোতে নৈমিত্তিক ছুটির আবেদন ও অনুমোদন হোক ডিজিটালি! সাথে সাথে এমপ্লয়ি ম্যানেজমেন্ট এর বিভিন্ন কাজ আরও সহজে এবং কম সময়ে সম্পাদন করার জন্য হাজিরা অ্যাপ ব্যবহার করা যেতে পারে।

সহজ তিনটি ধাপে হাজিরা’তে যাত্রা শুরু করুন!

১ম ধাপ- হাজিরা’তে রেজিস্ট্রেশন বা সাইন আপ করুন: 

প্রথমেই কোম্পানির মালিক হিসেবে রেজিস্ট্রেশন করে হাজিরা’য় আপনার জার্নি শুরু করুন। রেজিস্ট্রেশনের পরেই আপনার ইনবক্সে একটি ভেরিফিকেশন মেইল যাবে, এটি দিয়ে আপনার ই-মেইলটি ভেরিফাই করতে হবে। 

(ভেরিফিকেশন মেইলটি আপনার ইনবক্সে না পাওয়া গেলে অনুগ্রহ করে স্প্যাম ফোল্ডারে চেক করুন।)

২য় ধাপ- আপনার কোম্পানি সেট-আপ করুন: 

ভেরিফিকেশন সম্পন্ন হলে লগইন করুন। এবার আপনার কোম্পানি বা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের প্রয়োজনীয় সকল তথ্য দিয়ে হাজিরা’য় আপনার কোম্পানি সেট-আপ করুন।

৩য় ধাপ- হাজিরা’র বিভিন্ন ফিচার উপভোগ করুন: 

এরপর আপনি হাজিরা’র ড্যাশবোর্ডটি দেখতে পাবেন। হাজিরা’র বিভিন্ন ফিচার উপভোগ করুন সহজে এবং সাশ্রয়ী দামে! হাজিরা’র ওয়েব এবং মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন, দুটোই আছে। 

ওয়েব অ্যাপ্লিকেশন: আপনার প্রতিষ্ঠানের প্রশাসনিক কাজগুলো সম্পাদন করার জন্য ওয়েব অ্যাপ্লিকেশনটি ব্যবহার করতে হবে।
হাজিরা ওয়েব অ্যাপ্লিকেশন

মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন: হাজিরা’র মোবাইল অ্যাপ আপনার প্রতিষ্ঠানের দৈনন্দিন কাজগুলো পরিচালনা করা আরও সহজ করবে। এমপ্লয়ি ম্যানেজমেন্ট আরও সহজ করতে ডাউনলোড করুন হাজিরা’র মোবাইল অ্যাপ- 

অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ

আইওএস অ্যাপ 

হাজিরা অ্যাপের সকল কার্যক্রম সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ডেমো ভিডিও দেখুন-
Demo of Hazira- Employee Management Application

৩০ দিনের ফ্রি ট্রায়াল!

হাজিরা’য় আপনি চাইলেই প্রথম ৩০ দিন ফ্রি ট্রায়াল শুরু করতে পারেন। তারপর প্রয়োজন মতো আপনার ব্যবসার জন্য প্যাকেজ নিয়ে ব্যবসায় সফলতা অর্জন করুন। তাহলে আর দেরি না করে চলে আসুন হাজিরা’য়!

একটি ভালো লিভ ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম ব্যবহার করা কেন জরুরি তা জানতে আরও পড়ুন-

কর্মীদের লিভ ম্যানেজমেন্ট: এই ৫টি ভুল কখনোই করবেন না!