ডকুমেন্ট সংরক্ষণের আধুনিক সমাধান ‘হাজিরা ডকুমেন্ট ভল্ট’

আমরা সময়ের সাথে সাথে বিভিন্ন ডিজিটাল টুলের উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ছি। অফিসের ড্রয়ার কিংবা লকার বন্দি করে নথিপত্র রাখার দিন শেষ! ডিজিটাল যুগে ডিজিটাল লকার ব্যবহার করার সময় এসেছে। কারণ, ডিজিটাল লকার ব্যবহার করলে কোম্পানির গুরুত্বপূর্ণ ডকুমেন্টের তাৎক্ষণিক আদান প্রদান এবং সুরক্ষা দুটিই নিশ্চিত করা যায়।

এখানেই এমপ্লয়ি ম্যানজমেন্ট অ্যাপ হাজিরা কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে। কারণ, হাজিরা বাংলাদেশি কোম্পানিগুলো জন্য বিশেষভাবে ডিজাইন করা একটি অ্যাপ। হাজিরা’তে ডকুমেন্ট ভল্ট ফিচার রাখা হয়েছে, যেটা যেকোনো প্রতিষ্ঠানের ডিজিটাল লকার হিসেবে কাজ করবে। ডিজিটাল লকার ছাড়াও এমপ্লয়ি ম্যানেজমেন্ট এর প্রয়োজনীয় প্রায় সকল ফিচার পেয়ে যাবেন হাজিরা’য়। আজকের লেখায় আমরা হাজিরা’র ডকুমেন্ট ভল্ট ফিচার নিয়ে আলোচনা করবো।

ব্লগে যা থাকছে-

ডিজিটাল লকারের প্রয়োজনীয়তা আগে বুঝতে হবে

ধরুন আপনি একটি ব্যবসা করেন। তাহলে আপনাকে প্রতিদিন বিভিন্ন ডকুমেন্ট বা ফাইল আদান প্রদান করতে হয়। এই ডকুমেন্টগুলোর মধ্যে থাকতে পারে-

  • কর্মীদের সম্পর্কিত তথ্য বা ফাইল
  • বিভিন্ন অংশীদারী চুক্তিপত্রের ফাইল
  • ব্যবসায়িক লেনদেনের বিভিন্ন ফাইল
  • কোম্পানির বিভিন্ন পলিসি
  • কোম্পানির আয়-ব্যয়ের রিপোর্ট
  • স্টেক হোল্ডারদের তথ্য
  • কোম্পানির বাজেট
  • অফিসের বিভিন্ন বায়নানামা
  • কোম্পানির লাইসেন্স ও রেজিস্ট্রেশন সংক্রান্ত ডকুমেন্ট
  • গ্রাহক বা কস্টমারদের তথ্য ইত্যাদি

যেকোনো প্রতিষ্ঠানের এই ধরনের প্রচুর ডকুমেন্ট থাকে, যেগুলোর গোপনীতা ও সুরক্ষা বিধান করা জরুরি। আবার কিছু ডকুমেন্ট থাকে যেগুলোর একটি সেন্ট্রাল জায়গায় থাকা জরুরি এবং প্রয়োজনে যেন সকলে সেই ফাইল দেখতে পারে। আবার কিছু ফাইল থাকে যেগুলো মালিক পক্ষ ছাড়া আর কারো অ্যাক্সেস করার অনুমতি থাকা উচিৎ নয়। তাহলে কার কাছে এত ধরনের ডকুমেন্ট বা নথিপত্র নিরাপদ? আবার ঐ ব্যক্তি নথিপত্রগুলো রাখবেনই বা কোথায়?

আপনার ডিজিটাল লকার ‘হাজিরা ডকুমেন্ট ভল্ট’

ঠিক এই সমস্যার সমাধান করতেই হাজিরা’য় রাখা হয়েছে ‘হাজিরা ডকুমেন্ট ভল্ট’ ফিচার! এই ধরনের প্রযুক্তি এখন সারা বিশ্বেই জনপ্রিয়। একটি কেন্দ্রিয় জায়গা থেকে কোম্পানির সকল ডকুমেন্টের আদান প্রদান পরিচালিত হবে। তাছাড়া ডিজিটাল লকারটি ক্লাউড সার্ভারে সংযুক্ত হওয়াতে কোন ডেটা হারিয়ে যাওয়ারও কোন ভয় থাকে না। বর্তমান যুগে ডকুমেন্ট হারিয়ে যাওয়া বা হ্যাক হয়ে যাওয়া থেকে বাঁচতে ডিজিটাল লকার সবচেয়ে নিরাপদ সমাধান।

ডিজিটাল লকার হিসেবে হাজিরা’র ডকুমেন্ট ভল্ট

ডিজিটাল লকার কেনো প্রয়োজন সেটা তো বোঝা গেলো। এবার আসি হাজিরা’র ডিজিটাল লকার সেবাটি কেন নির্বাচন করবেন? দেখুন, হাজিরা বাংলাদেশের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য বিশেষভাবে ডিজাইন করা একটি এমপ্লয়ি ম্যানেজমেন্ট অ্যাপ। এখানে দেশের ছোট বড় ও মাঝারি ব্যবসা ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের কথা মাথায় রেখেই ফিচারটি রাখা হয়েছে। অ্যাপটিতে এমপ্লয়ি ম্যানেজমেন্ট এর জন্য অন্যান্য আরও সার্ভিসের মধ্যে ডকুমেন্ট ভল্ট একটি।
হাজিরা’র ডকুমেন্ট ভল্ট কীভাবে আপনার প্রতিষ্ঠানের ডিজিটাল লকার হিসেবে কাজ করবে-

১. প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের প্রোফাইল সহ অন্যান্য রেকর্ড

হাজিরা’র ডকুমেন্ট ভল্টে প্রতিটি কর্মীর জন্য আলাদা আলাদা ফাইল পরিচালনা করা যাবে। যেমন- এমপ্লয়িদের অফার লেটার, তাদের সাথে বিভিন্ন ধরনের চুক্তি কিংবা অঙ্গিকারনামা ইত্যাদি।

২. কাস্টমাইজড ভাবে ডকুমেন্ট ভল্টটি সাজানো যাবে

আপনি চাইলেই আপনার প্রয়োজন মতো ফোল্ডার তৈরি করে নিতে পারবেন। যেখানে আপনি কোম্পানির বা প্রতিষ্ঠানের নির্দিষ্ট কোন কর্মীর পারফরম্যান্স রেকর্ড, কোনো টিমের পারফরমেন্স রেকর্ড, কোম্পানির বিভিন্ন পলিসি, বাজেট এবং বিভিন্ন রিপোর্টস ফোল্ডার আকারে সাজিয়ে রাখতে পারবেন।

৩. ফোল্ডারগুলোর অ্যাক্সেস নিয়ন্ত্রণ করা যাবে

হাজিরা’র ডকুমেন্ট ভল্টে আপনার তৈরি করা ফোল্ডারগুলোর অ্যাক্সেস নিয়ন্ত্রণ করা যাবে। মানে যে ফোল্ডারে বা ফাইলে যাদের অনুমতি দেয়া হবে তারাই শুধুমাত্র সেই ফোল্ডার অ্যাক্সেস করতে বা ফাইল আদান প্রদান করতে পারবেন। আবার এমন ডকুমেন্টও থাকবে যেগুলো প্রতিষ্ঠানের সকলেই দেখতে বা প্রয়োজনে আদার প্রদান করতে পারবেন।

৪. আলাদা ডকুমেন্ট ম্যানেজমেন্ট সফটওয়্যার ব্যবহার করতে হবে না

টিম বা দলগতভাবে কাজ করতে গেলে অনেক সময় ফাইল শেয়ার করতে হয় বা একটি নির্দিষ্ট জায়গায় রেখে কয়েকজন মিলে কাজ করতে হয়। জনপ্রিয় ও প্রচলিত গুগল ড্রাইভে যা ফ্রিতে করা যায় বটে! তবে গুগলের এই সার্ভিসটি খুবই সীমিত এবং এর কর্পোরেট অ্যাক্সেস অনেক ব্যয়বহুল। হাজিরা’তে যা অনেক সহজলভ্য। উপরের উল্লিখিত কারণগুলো ছাড়াও নির্দিষ্ট ফোল্ডারে অফিসিয়াল কাজের ক্ষেত্রেও ডকুমেন্ট ভল্ট ব্যবহার করতে পারবেন।

৫. একটি প্ল্যাটফর্মেই এমপ্লয়ি ম্যানেজমেন্টের সকল সার্ভিস

একটি প্ল্যাটফর্মেই আপনার প্রতিষ্ঠানের গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র বা ফাইলগুলোর সুরক্ষা নিশ্চিত করবে হাজিরা’র ডকুমেন্ট ভল্ট। ফলে আপনার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের গুরুত্বপূর্ণ ফাইলগুলোর নিরাপত্তা ও গোপনীয়তা বজায় থাকবে।

মনে রাখবেন-
তথ্যপ্রযুক্তি নির্ভর এই ডিজিটাল দুনিয়ায় ডকুমেন্ট সংগ্রহ করা সহজ, কিন্তু ডকুমেন্ট সংরক্ষণ করা কঠিন। আপনার ব্যবসার বা কোম্পানির গুরুত্বপূর্ণ ফাইল বা নথিপত্রের সুরক্ষা এবং গোপনীয়তা বজায় রাখার ব্যাপারে নতুন করে ভাবার সময় এসেছে। আর তাই আপনার ব্যবসার গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র রাখতে ব্যবহার করুন ক্লাউড-ভিত্তিক ডিজিটাল লকার- হাজিরা।

সবশেষে চলুন দেখে নেয়া যাক, হাজিরা’র চারটি প্যাকেজ ও তাদের মূল্য

০১. বেসিক প্যাকেজ-
কোম্পানির সাইজ- ০ থেকে ২০ জন
৳১,৫০০/ মাসিক
৳১৫,০০০/ বাৎসরিক

০২. স্ট্যান্ডার্ড প্যাকেজ-
কোম্পানির সাইজ- ২১ থেকে ৫০ জন
৳৩,০০০/ মাসিক
৳৩০,০০০/ বাৎসরিক

০৩. প্রিমিয়াম প্যাকেজ-
কোম্পানির সাইজ- ৫০ থেকে ৯৯ জন
৳৪,৫০০/ মাসিক
৳৪৫,০০০/ বাৎসরিক

০৪. এন্টারপ্রাইজ প্যাকেজ-
কোম্পানির সাইজ- ১০০+ জন
আলোচনা সাপেক্ষে
যোগাযোগ করুন-
ফোন: 01967391554
ইমেইল: 
info@hazira.com

কোম্পানির বাজেট ও সাইজ ভেদে হাজিরা’য় আছে সাশ্রয়ী সমাধান! আর এক অ্যাপেই পেয়ে যাবেন-

  • কর্মীদের দৈনিক হাজিরা
  • কর্মী তথ্যভাণ্ডার
  • কাজের শিফট প্লানিং
  • কর্মীদের রিপোর্ট
  • পে-রোল
  • ডিজিটাল চুক্তিপত্র
  • ডকুমেন্ট ভল্ট
  • কাস্টম সেটিংস
  • ফ্রি কাস্টমার সাপোর্ট

সহজ তিনটি ধাপে হাজিরা’তে যাত্রা শুরু করুন!

১ম ধাপ- হাজিরা’তে রেজিস্ট্রেশন বা সাইন আপ করুন: 

প্রথমেই কোম্পানির মালিক হিসেবে রেজিস্ট্রেশন করে হাজিরা’য় আপনার জার্নি শুরু করুন। রেজিস্ট্রেশনের পরেই আপনার ইনবক্সে একটি ভেরিফিকেশন মেইল যাবে, এটি দিয়ে আপনার ই-মেইলটি ভেরিফাই করতে হবে। 

(ভেরিফিকেশন মেইলটি আপনার ইনবক্সে না পাওয়া গেলে অনুগ্রহ করে স্প্যাম ফোল্ডারে চেক করুন।)

২য় ধাপ- আপনার কোম্পানি সেট-আপ করুন: 

ভেরিফিকেশন সম্পন্ন হলে লগইন করুন। এবার আপনার কোম্পানি বা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের প্রয়োজনীয় সকল তথ্য দিয়ে হাজিরা’য় আপনার কোম্পানি সেট-আপ করুন।

৩য় ধাপ- হাজিরা’র বিভিন্ন ফিচার উপভোগ করুন: 

এরপর আপনি হাজিরা’র ড্যাশবোর্ডটি দেখতে পাবেন। হাজিরা’র বিভিন্ন ফিচার উপভোগ করুন সহজে এবং সাশ্রয়ী দামে! হাজিরা’র ওয়েব এবং মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন, দুটোই আছে। 

ওয়েব অ্যাপ্লিকেশন: আপনার প্রতিষ্ঠানের প্রশাসনিক কাজগুলো সম্পাদন করার জন্য ওয়েব অ্যাপ্লিকেশনটি ব্যবহার করতে হবে।
হাজিরা ওয়েব অ্যাপ্লিকেশন

মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন: হাজিরা’র মোবাইল অ্যাপ আপনার প্রতিষ্ঠানের দৈনন্দিন কাজগুলো পরিচালনা করা আরও সহজ করবে। এমপ্লয়ি ম্যানেজমেন্ট আরও সহজ করতে ডাউনলোড করুন হাজিরা’র মোবাইল অ্যাপ- 

অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ

আইওএস অ্যাপ 

হাজিরা অ্যাপের সকল কার্যক্রম সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ডেমো ভিডিও দেখুন-
Demo of Hazira- Employee Management Application

৩০ দিনের ফ্রি ট্রায়াল!

হাজিরা’য় আপনি চাইলেই প্রথম ৩০ দিন ফ্রি ট্রায়াল শুরু করতে পারেন। তারপর প্রয়োজন মতো আপনার ব্যবসার জন্য প্যাকেজ নিয়ে ব্যবসায় সফলতা অর্জন করুন। তাহলে আর দেরি না করে চলে আসুন হাজিরা’য়!

প্রফেশনাল ফ্রিল্যান্সিংয়ে কাজের শিফট প্ল্যানিং কেনো জরুরি?

ফ্রিল্যান্সিং এখন বিশ্বজুড়ে জনপ্রিয় এবং পরিচিত একটি পেশা। বাংলাদেশেও বর্তমানে পেশাদার ফ্রিল্যান্সারদের সংখ্যা অনেক। এদের মধ্যে কেউ একা কাজ করেন আবার কেউ দল হিসেবে কাজ করেন। আবার অনেক ফ্রিল্যান্সিং টিমে বিভিন্ন এলাকার কর্মী, এমনকী বিভিন্ন দেশের কর্মীও একসাথে কাজ করতে দেখা যায়। তারা নিজেদের মধ্যে কাজের শিফট প্ল্যান করে কাজের সময় নির্ধারণ করেন। এই ধরনের পেশাদার ফ্রিল্যান্সিংয়ে শিফট প্ল্যানিং করা জরুরি হয়ে পড়ে। কারণ, দলের কর্মীরা ভিন্ন ভিন্ন সময়ে কাজে যুক্ত হতে পারেন। আর তাই তাদের কাজের শিফট প্ল্যানিং সহজ করতে দরকার পড়ে এমপ্লয়ি ম্যানেজমেন্ট সফটওয়্যার।
‘হাজিরা’ বাংলাদেশের ছোট বড় প্রতিষ্ঠানের জন্য আদর্শ একটি এমপ্লয়ি ম্যানেজমেন্ট অ্যাপ্লিকেশন। এটি দিয়ে প্রফেশনাল ফ্রিল্যান্সারদের জন্য কাজের শিফট প্ল্যানিং করা খুব সহজ। আজকে আমরা আলোচনা করবো, ফ্রিল্যান্সারদের জন্য শিফট প্ল্যানিং কেনো জরুরি? হাজিরা অ্যাপটি ব্যবহার করে প্রফেশনাল ফ্রিল্যান্সাররা কীভাবে নিজেদের কাজকে আর সহজে সম্পাদন করতে পারেন?

ব্লগে যা থাকছে-

ফ্রিল্যান্সিংয়ে শিফট প্ল্যানিং কখন প্রয়োজনীয় হয়ে ওঠে?

একটু খেয়াল করলেই দেখবেন, ফ্রিল্যান্সিং পেশার সাথে জড়িত মানুষগুলো সাধারণত দুই ভাগে বিভক্ত।
একটি অংশ হলো-
যারা ব্যক্তি হিসেবে এক বা একাধিক কাজ নেন এবং একাই কাজ সম্পন্ন করেন। মানে, এক বা একাধিক ক্লায়েন্টদের কাছ থেকে প্রোজেক্ট নিয়ে নিজের সময় ভাগ করে কাজ করে থাকেন।
আরেকটি অংশ হলো-
যারা ব্যক্তি অথবা দল হিসেবে এক বা একাধিক কাজ নেন এবং দলীয়ভাবে ভাগ করে কাজ সম্পন্ন করেন। মানে, তারা অফিসভিত্তিক কিংবা রিমোট একটি টিম তৈরি করেন।
এক্ষেত্রে একজন থাকেন যিনি সকলের হয়ে মূল কাজটি দেখভাল করেন। মানে পুরো টিমটি তিনি তদারকি করেন। তিনি একা কাজগুলো সম্পাদন করতে পারবেন না, তাই টিম হিসেবে কাজগুলো করেন। অনেক সময় তাদের ক্লায়েন্টও তাদের টিমের কথা জেনেই কাজ দিয়ে থাকেন। এভাবে একসময় তারা নিজেদের প্রতিষ্ঠান বা এজেন্সি তৈরি করে ফেলেন!

এই দুই ক্ষেত্রের প্রফেশনাল ফ্রিল্যান্সারদের জন্য কাজের শিফট প্ল্যানিং অনেক জরুরি হয়ে উঠতে পারে। তবে দলগতভাবে যারা ফ্রিল্যান্সিং করে থাকেন তাদের জন্য কাজের শিফট প্ল্যানিং করা বিশেষভাবে দরকার।

প্রফেশনাল ফ্রিল্যান্সারদের জন্য শিফট প্ল্যানিং কেনো জরুরি?

পেশাদার ফ্রিল্যান্সাররা প্রায়শই একাধিক প্রোজেক্ট, ক্লায়েন্ট এবং সেগুলোর নির্দিষ্ট সময়সীমা অনুযায়ী কাজ করে থাকেন। যখন এই কাজগুলো দলীয়ভাবে করতে হয়, তখন সকল কর্মীদের সময়ের সাথে সমন্বয় করে কাজের শিফট প্ল্যানিং সাজাতে হয়। যে সকল কারণে ফ্রিল্যান্সিংয়ে শিফট প্ল্যানিং জরুরি-

১. সর্বোচ্চ উৎপাদনশীলতা নিশ্চিত করে: প্রোফেশনাল ফ্রিল্যান্সাররা বিভিন্ন প্রোজেক্টের জন্য নির্দিষ্ট সময় বরাদ্দ পেয়ে থাকেন। ফলে তাদের প্রতিটি কাজের জন্য শিফট প্ল্যানিং করা থাকলে উৎপাদনশীলতা নিশ্চিতভাবে বৃদ্ধি পায়। একটি টিমের জন্য শিফট প্ল্যান করা থাকলে দৈনন্দিন কাজের সময় নিয়ে বিভ্রান্তিও থাকে না।

২. ব্যক্তিজীবন ও কর্মজীবনের মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখে: প্রতিদিনের কাজের জন্য নির্দিষ্ট একটি সময় নির্ধারণ করা থাকলে সেটা ব্যক্তিজীবনের সাথে সাংঘর্ষিক হয় না। এই সহজ নিয়মটি ফ্রিল্যান্সিং পেশায় মেনে চলাটা খুব জরুরি। তা না হলে ব্যক্তিজীবন ও কর্মজীবনের মধ্যে ভারসাম্য বজায় থাকে না। তাই পেশাদার ফ্রিল্যান্সিংয়ে শিফট প্ল্যানিং খুবই জরুরি হয়ে উঠে।

৩. ক্লায়েন্টদের কাজের ডেডলাইন ফলো করা যায়: ফ্রিল্যান্সিং পেশায় কাজের ডেডলাইন অনুযায়ী কাজ জমা দেয়া খুব জরুরি। এটা ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ারের জন্য বিশেষ গুরুত্ব বহন করে। তাই ফ্রিল্যান্সিংয়ে শিফট প্ল্যানিং করে কাজ করাটা জরুরি। এটি শুধুমাত্র ক্লায়েন্টের সন্তুষ্টি বাড়ায় না বরং এই সেক্টরে একজন ফ্রিল্যান্সারের খ্যাতিও তৈরি করে।

হাজিরা’য় পেশাদার ফ্রিল্যান্সররা শিফট প্ল্যানিং করবেন কীভাবে?

হাজিরা’য় আপনার ফ্রিল্যান্সিং টিমের ভিন্ন ভিন্ন ব্রাঞ্চ এবং ভিন্ন সময় অনুযায়ী এমপ্লয়ি বা সদস্যদের কাজের শিফট প্ল্যান করা যায়। যদিও হাজিরা অ্যাপটির ফিচারগুলো মাঝারি ও বড় ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের জন্য তৈরি করা হয়েছে। তবুও এই অ্যাপ ব্যবহার করে প্রোফেশনাল ফ্রিল্যান্সাররা শিফট প্ল্যানিং করে নিজেদের কাজ এবং অফিস সহজে পরিচালিত করতে পারবেন।

১. কর্মীদের নির্দিষ্ট সময়ের জন্য শিফট প্ল্যান করুন

পেশাদার ফ্রিল্যান্সাররা নিজেদের জন্য এবং তাদের কর্মীদের জন্য বিভিন্ন মেয়াদের শিফট প্ল্যান করতে পারবেন। শিফট প্ল্যান করার পরে আপনি মাস, সপ্তাহ, এমনকি দিনের জন্যও শিফট দেখার অপশন নির্বাচন করতে পারবেন। আপনি একজন ম্যানেজমেন্ট হিসেবে একটি কর্মী বান্ধব শিফট প্ল্যান করতে পারেন এবং সেটা ফলো করে আপনার কর্মীরা নিজেদের কাজের রুটিন তৈরি করে ফেলবে।

২. প্রতিদিনের কাজের শুরু এবং শেষ সময় নির্ধারণ করুন

ফ্রিল্যান্সররা তাদের প্রতিদিনের কাজের শিফটগুলো আলাদাভাবে শুরু ও শেষ করার সময় সহ তৈরি করতে পারবেন। আবার একসাথে একাধিক শিফটও তৈরি করতে পারবেন।
ধরুন, আপনার দলের একজন কর্মী সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৫টা অবধি কাজ করবেন। আবার একজন কর্মী রাত ১২টা থেকে সকাল ৮টা অবধি কাজ করবেন। আবার কেউ একদিনে দুটি শিফটে ভাগ করে কাজ করবেন। এসব ক্ষেত্রে আপনি শিফট প্ল্যান করার সময় আলাদা আলাদাভাবে কাজের সময় নির্ধারণ করতে পারবেন। এগুলো সব আপনি হাজিরর’র শিফট প্ল্যানিং ফিচারে কন্ট্রোল করতে পারবেন।

৩. কর্মীদের উপস্থিতি এবং ছুটির তথ্য জেনে শিফট প্ল্যান করুন

আপনি একজন পেশাদার ফ্রিল্যান্সার হলে আপনার নিজের কাজের প্রচুর চাপ থাকবে এটাই স্বাভাবিক। তাই আপনার টিমের অন্যদের উপস্থিতি এবং ছুটি ছাটার বিষয়ে সবসময় অবগত থাকার সুযোগ হয় না।
হাজিরা আপনাকে কোনো কর্মী যদি ছুটিতে থাকে বা কোনো নির্দিষ্ট দিনে অনুপস্থিত থাকে সেটা কাজের শিফট প্ল্যানিংয়ের সময় জানিয়ে দেবে। শিফট তৈরি এবং পাবলিশ করার পরে আপনার দলের কর্মীরা সেই অনুযায়ী পাঞ্চ ইন, পাঞ্চ আউট করতে পারবেন। এর ভিত্তিতেই পরবর্তীতে স্বয়ংক্রিয়ভাবে বিভিন্ন এমপ্লয়ি রিপোর্ট জেনারেট হবে।

৪. হাজিরা টাইম ক্লক ফিচার থেকে প্রতিদিনের কাজের আপডেট নিন

হাজিরা’র টাইম ক্লক থেকে আপনি কর্মীদের প্রাত্যাহিক কাজকর্ম চেক করতে পারবেন। কোনো কর্মী পাঞ্চ ইন বা আউট করতে ভুলে গেলে আপনি ‘অ্যাড ক্লক টাইম’ এর মাধ্যমে তা যুক্ত করতে পারবেন।
হাজিরা’য় ‘আপলোড টাইমশিট’ মেন্যু থেকে টাইম শিট আপলোড করা যাবে। এছাড়াও ‘ম্যানেজ টাইমশিট’ অপশন থেকে আপনি নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে সকল কর্মীর কাজের সময় বা ওয়ার্ক আওয়ার দেখতে পারবেন। আপনি চাইলেই এটি সংশোধন করতে পারবেন।

৫. কাজের শিফট সংক্রান্ত বিভিন্ন রিপোর্ট দেখুন

আপনার ফ্রিল্যান্সিং টিমের সকল কার্যক্রমের উপর ভিত্তি করে হাজিরা’য় বিভিন্ন রিপোর্ট তৈরি হবে, যেগুলো অত্যন্ত কার্যকর। যেমন- শিডিউল সামারি রিপোর্ট, শিফট শিডিউল রিপোর্ট, পজিশন সামারি রিপোর্ট, কাজের সময়সীমা সহ বিভিন্ন রিপোর্ট। রিপোর্টগুলো আপনি পরবর্তীতে বিশ্লেষণ করতে পারবেন।

হাজিরা’র সহজ ও সাবলীল ড্যাশবোর্ড থেকে আপনার টিমের সকল আপডেট এক নিমিষেই পেয়ে যাবেন। শিফট প্ল্যানিং হাজিরা’র সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ফিচারগুলোর মধ্যে একটি। এমন আরও চমৎকার কিছু ফিচার নিয়ে বাংলাদেশের সবচেয়ে সহজ ও সাশ্রয়ী এমপ্লয়ি ম্যানেজমেন্ট অ্যাপ হাজিরা।

ফ্রিল্যান্সিং টিম সামলাতে হাজিরা অ্যাপ কেনো ব্যবহার করবেন?

হাজিরা দেশের সবচেয়ে সাশ্রয়ী এমপ্লয়ি ম্যানেজমেন্ট অ্যাপগুলোর একটি। একটি অ্যাপ থেকেই আপনি পেতে পারেন কর্মী ব্যবস্থাপনার বিভিন্ন সাপোর্ট। যেমন-

  • দৈনিক হাজিরা
  • কর্মী তথ্যভাণ্ডার
  • কাজের শিফট প্লানিং
  • রিপোর্ট
  • পে-রোল
  • ডিজিটাল চুক্তিপত্র
  • ডকুমেন্ট ভল্ট
  • কাস্টম সেটিংস
  • ফ্রি কাস্টমার সাপোর্ট

কেনো সাশ্রয়ী অ্যাপ বলছি সেটাও দেখে নেয়া যাক- হাজিরা’র চারটি প্যাকেজ ও তাদের মূল্য

০১. বেসিক প্যাকেজ-
কোম্পানির সাইজ- ০ থেকে ২০ জন
৳১,৫০০/ মাসিক
৳১৫,০০০/ বাৎসরিক

০২. স্ট্যান্ডার্ড প্যাকেজ-
কোম্পানির সাইজ- ২১ থেকে ৫০ জন
৳৩,০০০/ মাসিক
৳৩০,০০০/ বাৎসরিক

০৩. প্রিমিয়াম প্যাকেজ-
কোম্পানির সাইজ- ৫০ থেকে ৯৯ জন
৳৪,৫০০/ মাসিক
৳৪৫,০০০/ বাৎসরিক

০৪. এন্টারপ্রাইজ প্যাকেজ-
কোম্পানির সাইজ- ১০০+ জন
আলোচনা সাপেক্ষে
যোগাযোগ করুন-
ফোন: 01967391554
ইমেইল: 
info@hazira.com

সহজ তিনটি ধাপে হাজিরা’তে যাত্রা শুরু করুন!

১ম ধাপ- হাজিরা’তে রেজিস্ট্রেশন বা সাইন আপ করুন: 

প্রথমেই কোম্পানির মালিক হিসেবে রেজিস্ট্রেশন করে হাজিরা’য় আপনার জার্নি শুরু করুন। রেজিস্ট্রেশনের পরেই আপনার ইনবক্সে একটি ভেরিফিকেশন মেইল যাবে, এটি দিয়ে আপনার ই-মেইলটি ভেরিফাই করতে হবে। 

(ভেরিফিকেশন মেইলটি আপনার ইনবক্সে না পাওয়া গেলে অনুগ্রহ করে স্প্যাম ফোল্ডারে চেক করুন।)

২য় ধাপ- আপনার কোম্পানি সেট-আপ করুন: 

ভেরিফিকেশন সম্পন্ন হলে লগইন করুন। এবার আপনার কোম্পানি বা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের প্রয়োজনীয় সকল তথ্য দিয়ে হাজিরা’য় আপনার কোম্পানি সেট-আপ করুন।

৩য় ধাপ- হাজিরা’র বিভিন্ন ফিচার উপভোগ করুন: 

এরপর আপনি হাজিরা’র ড্যাশবোর্ডটি দেখতে পাবেন। হাজিরা’র বিভিন্ন ফিচার উপভোগ করুন সহজে এবং সাশ্রয়ী দামে! হাজিরা’র ওয়েব এবং মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন, দুটোই আছে। 

ওয়েব অ্যাপ্লিকেশন: আপনার প্রতিষ্ঠানের প্রশাসনিক কাজগুলো সম্পাদন করার জন্য ওয়েব অ্যাপ্লিকেশনটি ব্যবহার করতে হবে।
হাজিরা ওয়েব অ্যাপ্লিকেশন

মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন: হাজিরা’র মোবাইল অ্যাপ আপনার প্রতিষ্ঠানের দৈনন্দিন কাজগুলো পরিচালনা করা আরও সহজ করবে। এমপ্লয়ি ম্যানেজমেন্ট আরও সহজ করতে ডাউনলোড করুন হাজিরা’র মোবাইল অ্যাপ- 

অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ

আইওএস অ্যাপ 

হাজিরা অ্যাপের সকল কার্যক্রম সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ডেমো ভিডিও দেখুন-
Demo of Hazira- Employee Management Application

৩০ দিনের ফ্রি ট্রায়াল!

হাজিরা’য় আপনি চাইলেই প্রথম ৩০ দিন ফ্রি ট্রায়াল শুরু করতে পারেন। তারপর প্রয়োজন মতো আপনার ব্যবসার জন্য প্যাকেজ নিয়ে ব্যবসায় সফলতা অর্জন করুন। তাহলে আর দেরি না করে চলে আসুন হাজিরা’য়!