বাংলাদেশে এইচআর সফটওয়্যার ব্যবহারের ৭টি উপকারিতা

কোনো প্রতিষ্ঠানকে যদি একটি গাড়ির সাথে তুলনা করা হয়, তাহলে এইচআর ম্যানেজমেন্ট বা হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট সেটার ইঞ্জিন! আর বর্তমান সময়ে এইচআর ম্যানেজমেন্ট সফটওয়্যার হলো সেই ইঞ্জিনের প্রধান ফুয়েল বা চালিকাশক্তি। যেকোন ছোট, বড় বা মাঝারি কোম্পানির প্রাতিষ্ঠানিক রূপ থাকলেই সেখানে এইচআর ম্যানেজমেন্ট সফটওয়্যারের প্রয়োজন আছে। সারা বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে বাংলাদেশে এইচআর সফটওয়্যার এর ব্যবহার এখন খুবই স্বাভাবিক একটি চিত্র। এমনকি কিছু বিশেষ কারণে বাংলাদেশে এইচআর সফটওয়্যার ব্যবহার করা বেশি প্রয়োজন!

আমরা আজকের এই লেখায় বাংলাদেশে এইচআর সফটওয়্যার ব্যবহার করার ৭টি বিশেষ উপকারিতা নিয়ে আলোচনা করবো।

ব্লগে যা থাকছে-

বাংলাদেশে এইচআর সফটওয়্যার ব্যবহারের ৭টি উপকারিতা

বাংলাদেশও এখন বিশ্ব বাণিজ্যের নতুন নতুন উদ্ভাবনের সাথে তাল মিলিয়ে চলছে। আর সে কারণেই বাংলাদেশি কোম্পানিগুলো নতুন প্রযুক্তিকে স্বাগতম জানাচ্ছে। বাংলাদেশে এইচআর সফটওয়্যার এর ব্যবহার তাই শুরু থেকেই গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছে। তাছাড়া বাংলাদেশে কর্মীদের কাজের পরিবেশ এবং অবকাঠামোগত দিক বিবেচনায় এইচআর ম্যানেজমেন্ট সফটওয়্যার ব্যবহার করা অত্যন্ত জরুরি। চলুন, দেখে নেয়া যাক বাংলাদেশে এইচআর সফটওয়্যার ব্যবহার করার ৭টি উপকারিতা-

০১. এইচআর সফটওয়্যার একটি প্ল্যাটফর্মেই কর্মীদের সকল ডেটা পাওয়ার নিশ্চয়তা দেয়

একটি প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের বিভিন্ন ধরনের ডেটা থাকে এবং বেশিরভাগ ডেটা প্রতিনিয়ত আপডেটও হতে থাকে। যেমন-

  • কর্মীদের ব্যক্তিগত তথ্য
  • কর্মীদের প্রতিদিনের কর্মঘন্টার তথ্য
  • কর্মীদের প্রতিদিনের উপস্থিতি সংক্রান্ত তথ্য
  • কর্মীদের ছুটি সংক্রান্ত তথ্য
  • কর্মীদের বেতন বোনাস বা পেমেন্ট সংক্রান্ত তথ্য
  • কমীদের উৎপাদনশীলতা এবং পারফরম্যান্স সংক্রান্ত তথ্য
  • কর্মীদের মাসিক ও বাৎসরিক রিপোর্ট ইত্যাদি

এইতো, কিছুদিন আগেও এই ডেটা বা তথ্যগুলো এইচআর প্রফেশনালরা ম্যানুয়ালি সংরক্ষণ করতেন। মানে, লেজার বা ফাইলে সংরক্ষণ করতে হতো। কিন্তু বাংলাদেশে এইচআর সফটওয়্যার এর ব্যবহার শুরু হবার পরে এই তথ্যগুলোই ডিজিটালি আপডেট করা শুরু হয়। সাথে বাড়তি পাওনা হিসেবে যুক্ত হয় ক্লাউডভিত্তিক ডেটা সংরক্ষণের সুবিধা। ফলে একটি প্রতিষ্ঠানের হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট সংক্রান্ত সকল ডেটা একটি প্ল্যাটফর্মেই পাওয়ার সুযোগ তৈরি হয়। বাংলাদেশী কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠানগুলো এইচআর সফটওয়্যার ব্যবহারের সবচেয়ে বড় সুবিধাটি পাওয়া শুরু করে। যেটা এখন প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের জন্য অপরিহার্য একটি চাহিদায় পরিণত হয়েছে।

০২. HR সফটওয়্যার কর্মীদের সাথে যোগাযোগ এবং তাদের ক্ষমতায়নে বিশেষ ভূমিকা রাখছে

বাংলাদেশে এইচআর সফটওয়্যার শুধু তথ্য আপডেট ও সংরক্ষণে পরিবর্তন আনেছে তা কিন্তু নয়, কর্মীদের সাথে যোগাযোগ ও তাদের ক্ষমতায়নে বিশেষ ভূমিকা রাখছে।
পূর্বে একজন এইচআর অফিসার বা তার টিমের পক্ষে সকল কর্মীদের সাথে যোগাযোগ করা অত্যন্ত কঠিন একটি কাজ হিসেবে বিবেচিত হতো। কিন্তু এখন এই কাজটি খুব সহজ ও আরও কার্যকরভাবে করা যায়। একটি বার্তা বা মেসেজ সকল কর্মীদের কাছে পৌঁচ্ছানো যায় একটি ক্লিকেই। আবার নির্দিষ্ট কোন কর্মী বা কোন টিমের কাছে মেসেজ পাঠানো যায় আরও সহজে। প্রতিদিনের কাজের আপডেট থাকার কারণে এইচআর ও কর্মীদের মাঝে যোগাযোগটাও থাকে আপ-টু-ডেট।
এছাড়া বাংলাদেশে HR সফটওয়্যার এর ব্যবহার এমপ্লয়িদের ক্ষমতায়নে বিশেষ ভূমিকা রাখছে। কারণ, কর্মীদের সকল ডেটা প্রতিদিন আপডেট হচ্ছে এবং সবাই প্রয়োজনীয় তথ্যগুলো এক্সেস করতে পারছে। ফলে কর্মীরা নিজেদের কাজের এবং সময়ের সঠিক মূল্যায়ন করতে পারছে। একটি উদাহরণ দিলেই বিষয়টি পরিষ্কার হয়ে যাবে-
একজন কর্মী যখন তার লিভ বা ছুটি সংক্রান্ত সকল ডেটা নিজেই তদারকি করার সুযোগ পান তখন তিনি প্রতিষ্ঠানের চাহিদা ও নিজের চাহিদাকে ব্যালেন্স করতে পারেন। আবার কাজের প্রতিদিনের আপডেট থাকায় কর্মীরা নিজেদের পূর্বের তুলনায় আরও উৎপাদনশীল করার প্রতি মনোযোগী হতে পারেন। এবং দিন শেষে এই পরিবর্তনগুলো কর্মীদের ক্ষমতায়নে যেমন প্রভাব রাখে, তেমন প্রতিষ্ঠানের সার্বিক লক্ষ্য পূরণেও সহায়ক ভূমিকা রাখতে পারে।

০৩. প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের তথ্য স্বয়ংক্রিয়ভাবে বিশ্লেষণ করার সুযোগ

বাংলাদেশে এইচআর সফটওয়্যারগুলো ম্যানুয়ালী বা খাতা কলমে হিসাবনিকাশ করে প্রতিটি কর্মীর বিভিন্ন ডেটা বিশ্লেষণ করার দিনকে বিদায় জানিয়েছে। এখন যেকোনো প্রতিষ্ঠানের সকল কর্মীদের তথ্য স্বয়ংক্রিয়ভাবে বিশ্লেষণ করা কোন ব্যাপারই না!
কর্মীদের উপস্থিতি, ইন-আউট, ছুটি, বেতন, কর্মক্ষমতা ও কর্মদক্ষতা সংক্রান্ত সকল ডেটা একটি প্ল্যাটফর্মে সংরক্ষণ হচ্ছে। ফলে কর্মীদের এই ডেটা বা তথ্যগুলো স্বয়ংক্রিয়ভাবে বিশ্লেষণ করাও সহজ হয়েছে। এই কাজটি কর্মীদের মূল্যায়ন করার জন্য খুবই জরুরি।

০৪. কোম্পানির পলিসিগুলো কর্মীদের কাছে সহজে তুলে ধরা যায়

একজন কর্মী দীর্ঘদিন যাবৎ একটি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত থাকার পরেও প্রতিষ্ঠানের মৌলিক অনেক অনেক পলিসি সম্পর্কে জানেন না বা বিশদভাবে ধারণা রাখেন না! এই চিত্রটি বাংলাদেশের জন্য খুবই সাধারণ একটি ব্যাপার।
বাংলাদেশে এইচআর সফটওয়্যার এর ব্যবহার এই জায়গায় বিশাল পরিবর্তন এনেছে। বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠানগুলো এখন HR সফটওয়্যারগুলোর মাধ্যমে খুব সহজেই তাদের পলিসিগুলো কর্মীদের মাছে তুলে ধরে। কোন পরিবর্তন আসলে সেটাও জানিয়ে দেয়। ফলে প্রতিষ্ঠানের কর্মীরা কোম্পানির পলিসিগুলো সম্পর্কে আপডেট থাকেন।

০৫. বাংলাদেশে এইচআর সফটওয়্যার ব্যবহারের ফলে কাগুজে ব্যবস্থার ঝামেলা কমেছে

কর্মী ও প্রতিষ্ঠানের তথ্য সংক্রান্ত লেজার বুক আর পুরনো ফাইলের স্তূপ, এই ছিলো হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট বা মানব সম্পদ ব্যবস্থাপানার সাধারণ চিত্র! কোন একটি পূরনো তথ্য দেখতে হলেই ডুব দিতে হতো কাগজের সমুদ্রে! বাংলাদেশে এইচআর সফটওয়্যারগুলোর ব্যবহার বৃদ্ধি পাওয়ার ফলে এই কাগুজে ব্যবস্থার ঝামেলা অনেকটাই কমেছে।
এতে করে যেমন প্রতিষ্ঠান পরিচালনার খরচ কমেছে, তেমনি এইচআর অফিসারদের সময়ও বেঁচেছে। ফলে তাদের কাজের পরিধিতে এসেছে ভিন্নতা, তারা প্রতিষ্ঠানের লক্ষ্য পূরণে আরও কার্যকরী ভূমিকা রাখতে পারেন। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন হয়েছে কাজের গতিশীলতায়, যেটা বৃদ্ধি পেয়েছে কয়েকগুণ!

০৬. বাংলাদেশে এইচআর সফটওয়্যারগুলো এইচআর ম্যানেজারদের কাজ সহজ করেছে

বাংলাদেশে এইচআর ম্যানেজমেন্ট সফটওয়্যারগুলো হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট বা মানব সম্পদ ব্যবস্থাপানার প্রতিটি সেক্টরে অবদান রাখছে। ফলে এইচআর ম্যানেজারদের কাজ অনেক সহজ হয়েছে। বিশেষ করে কর্মীদের লিভ ম্যানেজমেন্ট এবং দৈনিক হাজিরা স্বয়ংক্রিয়ভাবে দেখভাল করার সুবিধা তাদের কাজকে সহজ করেছে। আমরা সকলেই জানি, হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট বা মানব সম্পদ ব্যবস্থাপানা সবসময়ই একটি জটিল প্রক্রিয়া। তাই এই জটিল কাজগুলো ডিজিটালি সম্পাদন করার সুবিধা তাদের সার্বিক কর্মক্ষমতাকে আরও বৃদ্ধি করছে।

০৭. মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া সহজ করেছে

বর্তমানে যেকোনো প্রতিষ্ঠনের মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত নিতে এইচআর সফটওয়্যারগুলো বিশেষ ভূমিকা রাখছে। কর্মী নিয়োগ থেকে শুরু করে কর্মীদের বেতন ভাতা দেয়া, সকল কাজেই এই প্রভাব লক্ষণীয়।
কর্মীদের কর্মদক্ষতা যাচাই ও তাদের কর্মক্ষমতা অনুযায়ী প্রতিষ্ঠান সিদ্ধান্ত নিতে পারে সহজেই। মাসিক এবং বাৎসরিক কাজের রিপোর্ট দেখে কর্মীদের যোগ্যতা মূল্যায়ন করা যায়। নতুন কর্মী নিয়োগ করার সময় সহজেই তাদের কাজ ও কোম্পানির পলিসি তুলে ধরা যায়। ফলে এইচআর ম্যানেজার ও কর্মী, দুই পক্ষের জন্যই সিদ্ধান্ত নেয়া সহজ হয়।

মোট দাগে বললে, বাংলাদেশে এইচআর সফটওয়্যার এর ব্যবহার এখন অপরিহার্য। ছোট বড় কিংবা মাঝারি, সকল প্রতিষ্ঠানের জন্য ভালো মানের একটি এইচআর সফটওয়্যার ব্যবহার করা এখন সময়ের দাবি। আর এমনই একটি সহজ ও সাশ্রয়ী এইচআর সফটওয়্যার হাজিরা। বাংলাদেশি কোম্পানির জন্য সেরা এইচআর সফটওয়্যার হাজিরা।

হাজিরা সাশ্রয়ী ও সহজ এইচআর ম্যানেজমেন্ট সফটওয়্যার

একদম ক্ষুদ্র ও ছোট থেকে শুরু করে মাঝারি ও বড় প্রতিষ্ঠানের চাহিদা বিবেচনা করেই হাজিরা’র সাবস্ক্রিপশন ফি নির্ধারণ করা হয়েছে। আপনার প্রতিষ্ঠানের আকার অনুযায়ী মাসিক ও বাৎসরিক, দুটি মেয়াদে সাবস্ক্রিপশন কিনতে পারবেন। বাংলাদেশের সবচেয়ে সাশ্রয়ী দামের এইচআর সফটওয়্যার এখন হাজিরা! হাজিরা’য় কম দামে পেয়ে যাবেন সেরা সার্ভিস!
তাই এমপ্লয়ি ম্যানেজমেন্টের জটিল ও কষ্টসাধ্য দায়িত্ব হাজিরা’র কাঁধে দিয়ে নিশ্চিন্ত থাকুন। হাজিরা আপনার প্রতিষ্ঠানের এমপ্লয়ি ম্যানেজমেন্টকে আরও গতিশীল করবে এবং প্রতিষ্ঠানের কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য অর্জনে সহায়ক ভূমিকা রাখবে। 

আপনার প্রতিষ্ঠানের জন্য হাজিরা অ্যাপই কেনো?

হাজিরা দেশের সবচেয়ে সাশ্রয়ী এমপ্লয়ি ম্যানেজমেন্ট অ্যাপগুলোর একটি। একটি অ্যাপ থেকেই আপনি পেতে পারেন কর্মী ব্যবস্থাপনার বিভিন্ন সাপোর্ট। যেমন-

  • দৈনিক হাজিরা
  • কর্মী তথ্যভাণ্ডার
  • কাজের শিফট প্লানিং
  • রিপোর্ট
  • পে-রোল ম্যানেজমেন্ট
  • ডিজিটাল চুক্তিপত্র
  • ডকুমেন্ট ভল্ট
  • কাস্টম সেটিংস
  • ফ্রি কাস্টমার সাপোর্ট

কেনো সাশ্রয়ী অ্যাপ বলছি সেটাও দেখে নেয়া যাক-  হাজিরা’র চারটি প্যাকেজ ও তাদের মূল্য

০১. বেসিক প্যাকেজ- 

কোম্পানির সাইজ-  ০ থেকে ২০ জন

  • ৳১,৫০০/ মাসিক
  • ৳১৫,০০০/ বাৎসরিক

০২. স্ট্যান্ডার্ড প্যাকেজ- 

কোম্পানির সাইজ-  ২১ থেকে ৫০ জন

  • ৳৩,০০০/ মাসিক
  • ৳৩০,০০০/ বাৎসরিক

০৩. প্রিমিয়াম প্যাকেজ-  

কোম্পানির সাইজ-  ৫০ থেকে ৯৯ জন

  • ৳৪,৫০০/ মাসিক
  • ৳৪৫,০০০/ বাৎসরিক

০৪. এন্টারপ্রাইজ প্যাকেজ-

কোম্পানির সাইজ-  ১০০+ জন

  • আলোচনা সাপেক্ষে
  • যোগাযোগ করুন- 
  • ফোন: 01967391554
  • ইমেইল: info@hazira.com

সহজ তিনটি ধাপে হাজিরা’তে যাত্রা শুরু করুন!

১ম ধাপ- হাজিরা’তে রেজিস্ট্রেশন বা সাইন আপ করুন: 

প্রথমেই কোম্পানির মালিক হিসেবে রেজিস্ট্রেশন করে হাজিরা’য় আপনার জার্নি শুরু করুন। রেজিস্ট্রেশনের পরেই আপনার ইনবক্সে একটি ভেরিফিকেশন মেইল যাবে, এটি দিয়ে আপনার ই-মেইলটি ভেরিফাই করতে হবে। (ভেরিফিকেশন মেইলটি আপনার ইনবক্সে না পাওয়া গেলে অনুগ্রহ করে স্প্যাম ফোল্ডারে চেক করুন।)

২য় ধাপ- আপনার কোম্পানি সেট-আপ করুন: 

ভেরিফিকেশন সম্পন্ন হলে লগইন করুন। এবার আপনার কোম্পানি বা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের প্রয়োজনীয় সকল তথ্য দিয়ে হাজিরা’য় আপনার কোম্পানি সেট-আপ করুন।

৩য় ধাপ- হাজিরা’র বিভিন্ন ফিচার উপভোগ করুন: 

এরপর আপনি হাজিরা’র ড্যাশবোর্ডটি দেখতে পাবেন। হাজিরা’র বিভিন্ন ফিচার উপভোগ করুন সহজে এবং সাশ্রয়ী দামে! হাজিরা’র ওয়েব এবং মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন, দুটোই আছে। 

ওয়েব অ্যাপ্লিকেশন: আপনার প্রতিষ্ঠানের প্রশাসনিক কাজগুলো সম্পাদন করার জন্য ওয়েব অ্যাপ্লিকেশনটি ব্যবহার করতে হবে।
হাজিরা ওয়েব অ্যাপ্লিকেশন

মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন: হাজিরা’র মোবাইল অ্যাপ আপনার প্রতিষ্ঠানের দৈনন্দিন কাজগুলো পরিচালনা করা আরও সহজ করবে। এমপ্লয়ি ম্যানেজমেন্ট আরও সহজ করতে ডাউনলোড করুন হাজিরা’র মোবাইল অ্যাপ- 

অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ

আইওএস অ্যাপ 

হাজিরা অ্যাপের সকল কার্যক্রম সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ডেমো ভিডিও দেখুন-
Demo of Hazira- Employee Management Application

৩০ দিনের ফ্রি ট্রায়াল!

হাজিরা’য় আপনি চাইলেই প্রথম ৩০ দিন ফ্রি ট্রায়াল শুরু করতে পারেন। তারপর প্রয়োজন মতো আপনার ব্যবসার জন্য প্যাকেজ নিয়ে ব্যবসায় সফলতা অর্জন করুন। তাহলে আর দেরি না করে চলে আসুন হাজিরা’য়!

বাংলাদেশে মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা সেক্টরে টেকনোলজির প্রভাব

আধুনিক মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা এখন অনেকটাই টেকনোলজি বা প্রযুক্তিনির্ভর একটি সেক্টর! শুনতে অবাক লাগলেও, হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট (Human Resource Management) এর সাথে জড়িত প্রতিটি কাজেই লেগেছে ডিজিটাল প্রযুক্তির ছোঁয়া। আগের সেই হাজিরা খাতা, ছুটি বা লিভ আবেদনের কাগুজে ব্যবস্থা আর কর্মীদের রেকর্ড রাখার ফাইল এখন প্রায় বিলুপ্তির পথে!

আসলে, টেকনোলজির ব্যবহার এখন আমাদের দৈনন্দিন জীবনের সাথেই ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে গেছে। আর ব্যবসা বর্তমান সময়ে সবচেয়ে বেশি টেকনোলজি নির্ভর হয়ে পড়েছে। তাহলে যেকোনো প্রতিষ্ঠান বা ব্যবসা পরিচালনার অতি গুরুত্বপূর্ণ সেক্টর, মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনাই কেনো বাদ পড়বে? সারাবিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে বাংলাদেশেও মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনায় টেকনোলজির ব্যবহার বৃদ্ধি পেয়েছে। ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো এর সুফলও পাচ্ছে।

আমরা আজকে মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা খাতের কোন কোন সেক্টরে প্রযুক্তির অবদান সবচেয়ে বেশি সেগুলো তুলে ধরবো। চলুন তাহলে দেখে নেয়া যাক, বাংলাদেশে মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনায় টেকনোলজির প্রভাব কতটুকু?

ব্লগে যা থাকছে-

মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনায় টেকনোলজির প্রভাব কতটুকু?

২০২১ সালে বিখ্যাত মার্কেট রিসার্চ প্রতিষ্ঠান ‘এলিড মার্কেট রিসার্চ (Allied market research)’ মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা বা হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট সংক্রান্ত একটি গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করে। সেখানে তারা তুলে ধরে-

“২০২১ সালে মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনার সাথে জড়িত টেকনোলজি বা প্রযুক্তির বিশ্বব্যাপী বাজারের আকার ছিলো প্রায় ৩২.৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার! এবং তাদের গবেষণা মতে, ২০২২ থেকে ২০৩১ সালের মধ্যে মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনার সাথে জড়িত টেকনোলজি বা প্রযুক্তির বাজারটি বাৎসরিক ৯.২% চক্রবৃদ্ধি হারে বাড়বে। তারা আরও জানায়, ২০৩১ সালে এসে বাজারটির আকার প্রায় ৭৬.৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পরিণত হবে!”

এখন ভেবে দেখা দরকার, বাজাটি কেনো বাড়ছে এবং কেনো বাড়বে? কারণ, পৃথিবীব্যাপি বিজনেস ওনার বা মালিক বা উদ্যোক্তারা বুঝে গেছেন, মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা খাতে ব্যয় করলে সেটা প্রতিষ্ঠানের জন্য লাভজনক। ব্যয়টি কয়েকগুণ ফিডব্যাক দেয়! একটি প্রতিষ্ঠানের যতো ধরনের সম্পদ থাকে, তার ভেতর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ হলো মানব সম্পদ! তাই এই সেক্টরের আধুনিকায়নে প্রস্তুত হচ্ছেন সকল ব্যবসায়ী।

মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনার এমপ্লয়ি ম্যানেজমেন্ট সেক্টরে টেকনোলজি

মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনার সবচেয়ে জটিল ও গুরুত্বপূর্ণ সেক্টরটির নাম হলো কর্মী ব্যবস্থপনা বা এমপ্লয়ি ম্যানেজমেন্ট। একটি প্রতিষ্ঠানের মালিক কিংবা এইচআর ম্যানেজার এই কাজটি যত সুচারুরূপে পরিচালনা করেন, সেই প্রতিষ্ঠান ততো সফলতার সাথে এগিয়ে যায়। কর্মী ব্যবস্থাপনা মূল লক্ষ্যই থাকে, কর্মীদের থেকে তাদের পূর্ণ ‍উৎপাদনশীলতা আদায় করা। কিন্তু কর্মীরাও যেন উৎসাহ নিয়ে প্রতিষ্ঠানের কল্যাণে কাজ করেন, এটিও মাথায় রাখতে হবে।

আর মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনার এমপ্লয়ি ম্যানেজমেন্ট সেক্টরে টেকনোলজি সবচেয়ে বড় গেম চেঞ্জার হিসেবে কাজ করেছে এবং করছে। একজন এইচআর ম্যানেজারের কাছে HR সফটওয়্যারের মাধ্যমে মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা এখন খুবই স্বাভাবিক একটা চিত্র। মানব সম্পদ উন্নয়ন এবং অফিসের কর্মীদের পরিচালানায় একটি ভালো এইচআর সফটওয়্যার কোন কোন জায়গায় কাজ করবে, চলুন দেখি-

০১. অফিসে কর্মীদের উপস্থিতির ডিজিটাল রেকর্ড

হাজিরা খাতায় ‍রেকর্ড টুকে রাখার দিনে আর নেই। এখন একটি সফটওয়্যারেই এমপ্লয়িরা তাদের প্রতিদিনের উপস্থিতির রেকর্ড রাখতে পারেন। সেটাও নিজের নিয়ন্ত্রণে রেখে, ফলে ভুল বোঝাবুঝিরও ঝামেলা থাকে না। পাঞ্চ ইন এবং পাঞ্চ আউট এখন মোবাইলেও দেয়া যায়। আর একজন এইচআর ম্যানেজার একটি স্মার্টফোনেই সবকিছু দেখতে পারেন।
তাই, কর্মীদের উপস্থিতির রেকর্ড রাখতে এখন আর হাজিরা খাতা লাগে না, প্রয়োজন ‘হাজিরা’ সফটওয়্যার! হ্যাঁ, হাজিরা হলো একটি সহজ ও সাশ্রয়ী এইচআর সফটওয়্যার। যার মাধ্যমে আপনি একটি প্ল্যাটফর্ম থেকেই কর্মী ব্যবস্থাপনা সকল কাজ করতে পারবেন।

০২. ছুটি বা লিভ ম্যানেজমেন্ট এখন অনেক সহজ

কর্মীদের ছুটি সামাল দিতে হিমশিম খেতে দেখা যায় ঝানু ঝানু সব এইচআর ম্যানেজারদের! মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনার একটি ছোট্ট দিক অনেক সময় এমপ্লয়ি ও ম্যানেজমেন্ট এর মন কষাকষির কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
আর এই সমস্যার স্থায়ী সমাধান করে দিয়েছে এইচআর সফটওয়্যারগুলো। লিভ আবেদনের কাগুজে ব্যবস্থাকে বিদায় করে, সম্পূর্ণ ডিজিটাল লিভ ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম এখন প্রায় প্রতিটি প্রতিষ্ঠানে। অযথা বিড়ম্বনারও কোন উপায় নেই। লিভ অ্যাপ্লিকেশন সাবমিট এবং অ্যাপ্রুভ এখন আমাদের হাতের মুঠোয়। বাংলাদেশের কোম্পানিগুলোর জন্য সেরা এইচআর সফটওয়্যার হাজিরা’ দেবে লিভ ম্যানেজমেন্ট এর ওয়ান-স্টপ সার্ভিস।

০৩. ক্লাউডভিত্তিক এইচআর সফটওয়্যার তাই ডেটা থাকে নিরাপত্তা

মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনার জন্য এইচআর সফটওয়্যারগুলো বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ক্লাউডভিত্তিক হয়ে থাকে। তাই ব্যবসার ডেটা থাকে নিরাপদ। কর্মীদের যেকোন ডেটা ইনপুট হওয়ার সাথে সাথেই সেগুলো একটি সার্ভারে সংরক্ষিত হয়।

০৪. একাধিক কর্মস্থল নিয়ন্ত্রণ করা যায় একটি অ্যাপের মাধ্যমে

প্রতিষ্ঠানের একাধিক স্টেশন পরিচালনা করা এখন অনেক সহজ! একটি অ্যাপের মাধ্যমেই মালিক কিংবা এইচআর ম্যানেজার একাধিক স্টেশনের কর্মী ব্যবস্থাপনা করতে পারেন। তাই হাজিরা’তেও রাখা হয়েছে ওয়ান স্টেশন ফিচার

০৫. কর্মীদের শিফট প্ল্যানিং হয়েছে সহজ

কর্মীদের শিফট প্ল্যানিংয়ের মতো কঠিন কাজটিও এখন আর কঠিন নেই। কারণ এইচআর অ্যাপের মাধ্যমে বাসায় বসেই করতে পারবেন এমপ্লয়িদের শিফট প্ল্যানিং। হাজিরা অ্যাপেও আছে কর্মীদের শিফট প্ল্যানিং সুবিধা।

০৬. পে-রোল সুবিধা

এখন কর্মীদের বেতন দেয়ার জন্য রাত জাগা খাটুনির কোনো দরকার নেই। এইচআর ম্যানেজমেন্ট সফটওয়্যারে থাকে পে-রোল সুবিধা। আপনি ডিজিটালি পুরো অফিসের বেতন দিতে পারেন কয়েকটি ক্লিকে!

০৭. এমপ্লয়ি রিপোর্টস রাখতে ফাইল সামলানো লাগে না!

এমপ্লয়িদের সকল তথ্য একটি ডেটাবেজে সংরক্ষিত থাকে। উপস্থিতি, ছুটি, কাজের পারফর্মেন্স সহ তাদের সাধারণ তথ্য রাখতে তাই আর ফাইল সামলাতে হয় না। মাস কিংবা বছর শেষে অটোমেটিক এমপ্লয়ি রিপোর্ট পাওয়া যায়। এতে করে এমপ্লয়ি পারফর্মেন্স পরিমাপ করা যায় সহজে।

এগুলোর বাহিরেও মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনার আরও অনেক সেবা নিশ্চিত করে এইচআর সফটওয়্যারগুলো। আর এই এইচআর সফটওয়্যারের বাহিরেও আছে নানান টেকনোলজি, যেগুলো মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা বা হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট এ বিশাল প্রভাব রাখছে।

মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনার কর্মী নিয়োগে টেকনোলজি

বর্তমান সময়ে প্রতিষ্ঠানের কর্মী খোঁজা থেকে শুরু করে কর্মী নিয়োগ, পুরো প্রক্রিয়াটিই ডিজিটালি সমাধান করা যায়। কর্মী খোঁজার জন্য আছে লিংকডইন সহ বিভিন্ন প্রফেশনাল জব সাইট। আবেদন বাছাই করার জন্যও আছে টুল। প্রাথমিক বাছাই করার জন্য এইচআর ম্যানেজার এখন অনলাইন ইন্টারভিউ নিয়ে থাকেন। পুরো প্রক্রিয়াটিতে উল্লেখযোগ্য সময় ও পরিশ্রম কমিয়ে দিয়েছে টেকনোলজি। মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনার অতি গুরুত্বপূর্ণ কাজ নতুন কর্মী নিয়োগ, এখন তাই অনেক বেশি প্রযুক্তিনির্ভর।

মানব সম্পদ উন্নয়নে ডিজিটাল ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা

কোনো একটি নির্দিষ্ট বিষয়ে প্রতিষ্ঠানের একজন বা একাধিক কর্মীর ট্রেনিং দরকার বা একটি পুরো টিমের ট্রেনিং দরকার বা পুরো অফিসের সবার টেনিংটি দরকার। আগে অনেক ঝামেলা করে দল ভাগ করে কোন জায়গায় ট্রেনিংয়ের জন্য পাঠানো হতো। আর এখন শুধুমাত্র প্রয়োজনীয় বিষয়ের উপর একটি ভালো ট্রেনিং কোর্স বাছাই করে সবাইকে একি সাথে ট্রেনিং করানো যায়। পুরো ব্যাপারটি অনলাইনে আয়োজন করা হয়। ফলে খরচ কমে, সময় বাঁচে, পরিশ্রম কমে এবং ট্রেনিংটির প্রতি এমপ্লয়িদের আগ্রহ থাকে।
আর এই বিষয়কে কেন্দ্র করেই পেশাদার দক্ষতা বৃদ্ধির একটি নতুন সেক্টরের জন্ম হয়েছে! যেখানে বিশ্বের নানা প্রান্তের দক্ষ প্রফেশনালরা তাদের দক্ষতা কোর্স আকারে বিক্রি করেন। যে কেউ নিজের জন্য বা প্রতিষ্ঠানের জন্য এই কোর্সগুলো কিনতে পারেন। মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা খাতে কর্মীদের উন্নয়ন বা দক্ষতা বৃদ্ধি তাই এখন অনেক সহজ ও সাশ্রয়ী।

বাংলাদেশের মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনার কিছু চ্যালেঞ্জ

প্রতিটি প্রাপ্তির কিছু চ্যালেঞ্জ থাকবে এটাই স্বাভাবিক। তাই বাংলাদেশের মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা খাতে টেকনোলজির যেমন পজেটিভ প্রভাব আছে, তেমনি আছে কিছু চ্যালেঞ্জ। যেমন-

০১. পরিবর্তনের সাথে কর্মী ও মালিকদের খাপ খাওয়ানো

পরিবর্তনের সাথে খাপ খাওয়ানো এবং সেটি গ্রহণে অনাগ্রহ ও অসহযোগিতা খুবই স্বাভাবিক একটি বিষয়। এটি মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা খাতে টেকনোলজি ব্যবহারের অন্যতম বড় চ্যালেঞ্জ। এই চ্যালেঞ্জটি মালিক পক্ষ থেকে যেমন আসতে পারে, তেমনি যাদের উন্নয়নে এই ব্যবস্থা, মানে কর্মীদের পক্ষ থেকেও আসতে পারে।
অনেক সময় মালিক বা ম্যানেজমেন্ট নতুন প্রযুক্তিতে অভ্যস্ত হতে চান না বা সেটার গুরুত্ব বুঝতে পারেন না। ফলে একটি নির্দিষ্ট সময় পরে তারা তাদের প্রতিযোগীদের থেকে পিছিয়ে পড়েন। আবার অনেক সময় এমপ্লয়িরা নতুন প্রযুক্তি গ্রহণে অসহযোগিতা করতে পারেন। এটিও মানব সম্পদ উন্নয়নে বড় বাধা হতে পারে। মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনার এই চ্যালেঞ্জটি মোকাবেলা করতে এইচআর ম্যানেজারকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে হয়।

০২. মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনায় টেকনোলজির খরচ

আরেকটি প্রধান চ্যালেঞ্জ হলো, মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনায় টেকনোলজির পেছনে ব্যয় করতে অনীহা। মালিক বা উদ্যোক্তারা অনেক সময় কর্মীদের পেছনে প্রয়োজনীয় ব্যয় করতে চান না। এটা যে বিনিয়োগ সেটা তারা শুরুতে বুঝতে পারেন না।
আর এটা এইচআর ম্যানেজারকে খুব ভোগায়! কারণ, প্রতিষ্ঠান চায় উন্নতি, কিন্তু প্রয়োজনীয় ব্যয় করতে অনীহা দেখানো বা কম খরচ করার ইচ্ছা থাকায় টেকনোলজির পুরো সুবিধা পাওয়া যায় না। ফলে দায় এসে পড়ে এইচআর ম্যানেজারের কাঁধে!

০৩. ডেটা নিরাপত্তা নিশ্চিত করা

মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনায় টেকনোলজির প্রভাব নিয়ে আলোচনা করলেই যে আশঙ্কাটি সবার আগে মাথায় আসে সেটি হলো, ডেটা নিরাপত্তা। কারণ, টেকনোলজি যেমন ডেটা নিরাপত্তা নিশ্চিত করার পথ দেখাচ্ছে, তেমনি টেকনোলজির অপব্যবহার ডেটা নিরাপত্তাকে হুমকির মুখে ফেলছে!
তাই যখনই মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনাকে টেকনোলজি নির্ভর করা হয়, তখন অবশ্যই ডেটা নিরাপত্তার জন্য ভালো ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। আর এটার সমাধানও আপনি পাবেন টেকনোলজি থেকে!

তারপরও প্রযুক্তিতেই স্মার্ট মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনার মুক্তি!

নিরাপত্তা ঝুঁকি এবং অন্যান্য চ্যালেঞ্জ যতই থাকুন না কেনো, টেকনোলজির সঠিক ব্যবহারেই স্মার্ট মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনার মুক্তি! আপনি যত তাড়াতাড়ি বাস্তবতাকে মেনে নেবেন ততোই মঙ্গল। আর যতো দেরি করবেন ততো আপানার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের পথ চলা কঠিন হবে। আপনার প্রতিষ্ঠান অন্যদের থেকে পিছিয়ে পড়বে।
যেখানো আপনার প্রাত্যাহিক জীবনে ডিজিটাল টেকনোলজির প্রভাব পড়েছে, সেখানে আপনার প্রতিষ্ঠান বাদ পড়বে কেন? তাই হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট বা মানব সম্পদ ব্যবস্থাপানায় টেকনোলজির প্রভাব মেনে নিতে হবে। প্রয়োজনীয় টেকনোলজি ব্যবহার করে সেগুলোর সর্বোচ্চ সুবিধা নিতে হবে, তবেই স্মার্ট মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত হবে।

আপনার প্রতিষ্ঠানের জন্য হাজিরা অ্যাপই কেনো?

হাজিরা দেশের সবচেয়ে সাশ্রয়ী এমপ্লয়ি ম্যানেজমেন্ট অ্যাপগুলোর একটি। একটি অ্যাপ থেকেই আপনি পেতে পারেন কর্মী ব্যবস্থাপনার বিভিন্ন সাপোর্ট। যেমন-

  • দৈনিক হাজিরা
  • কর্মী তথ্যভাণ্ডার
  • কাজের শিফট প্লানিং
  • রিপোর্ট
  • পে-রোল ম্যানেজমেন্ট
  • ডিজিটাল চুক্তিপত্র
  • ডকুমেন্ট ভল্ট
  • কাস্টম সেটিংস
  • ফ্রি কাস্টমার সাপোর্ট

কেনো সাশ্রয়ী অ্যাপ বলছি সেটাও দেখে নেয়া যাক-  হাজিরা’র চারটি প্যাকেজ ও তাদের মূল্য

০১. বেসিক প্যাকেজ- 

কোম্পানির সাইজ-  ০ থেকে ২০ জন

  • ৳১,৫০০/ মাসিক
  • ৳১৫,০০০/ বাৎসরিক

০২. স্ট্যান্ডার্ড প্যাকেজ- 

কোম্পানির সাইজ-  ২১ থেকে ৫০ জন

  • ৳৩,০০০/ মাসিক
  • ৳৩০,০০০/ বাৎসরিক

০৩. প্রিমিয়াম প্যাকেজ-  

কোম্পানির সাইজ-  ৫০ থেকে ৯৯ জন

  • ৳৪,৫০০/ মাসিক
  • ৳৪৫,০০০/ বাৎসরিক

০৪. এন্টারপ্রাইজ প্যাকেজ-

কোম্পানির সাইজ-  ১০০+ জন

  • আলোচনা সাপেক্ষে
  • যোগাযোগ করুন- 
  • ফোন: 01967391554
  • ইমেইল: info@hazira.com

সহজ তিনটি ধাপে হাজিরা’তে যাত্রা শুরু করুন!

১ম ধাপ- হাজিরা’তে রেজিস্ট্রেশন বা সাইন আপ করুন: 

প্রথমেই কোম্পানির মালিক হিসেবে রেজিস্ট্রেশন করে হাজিরা’য় আপনার জার্নি শুরু করুন। রেজিস্ট্রেশনের পরেই আপনার ইনবক্সে একটি ভেরিফিকেশন মেইল যাবে, এটি দিয়ে আপনার ই-মেইলটি ভেরিফাই করতে হবে। (ভেরিফিকেশন মেইলটি আপনার ইনবক্সে না পাওয়া গেলে অনুগ্রহ করে স্প্যাম ফোল্ডারে চেক করুন।)

২য় ধাপ- আপনার কোম্পানি সেট-আপ করুন: 

ভেরিফিকেশন সম্পন্ন হলে লগইন করুন। এবার আপনার কোম্পানি বা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের প্রয়োজনীয় সকল তথ্য দিয়ে হাজিরা’য় আপনার কোম্পানি সেট-আপ করুন।

৩য় ধাপ- হাজিরা’র বিভিন্ন ফিচার উপভোগ করুন: 

এরপর আপনি হাজিরা’র ড্যাশবোর্ডটি দেখতে পাবেন। হাজিরা’র বিভিন্ন ফিচার উপভোগ করুন সহজে এবং সাশ্রয়ী দামে! হাজিরা’র ওয়েব এবং মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন, দুটোই আছে। 

ওয়েব অ্যাপ্লিকেশন: আপনার প্রতিষ্ঠানের প্রশাসনিক কাজগুলো সম্পাদন করার জন্য ওয়েব অ্যাপ্লিকেশনটি ব্যবহার করতে হবে।
হাজিরা ওয়েব অ্যাপ্লিকেশন

মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন: হাজিরা’র মোবাইল অ্যাপ আপনার প্রতিষ্ঠানের দৈনন্দিন কাজগুলো পরিচালনা করা আরও সহজ করবে। এমপ্লয়ি ম্যানেজমেন্ট আরও সহজ করতে ডাউনলোড করুন হাজিরা’র মোবাইল অ্যাপ- 

অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ

আইওএস অ্যাপ 

হাজিরা অ্যাপের সকল কার্যক্রম সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ডেমো ভিডিও দেখুন-
Demo of Hazira- Employee Management Application

৩০ দিনের ফ্রি ট্রায়াল!

হাজিরা’য় আপনি চাইলেই প্রথম ৩০ দিন ফ্রি ট্রায়াল শুরু করতে পারেন। তারপর প্রয়োজন মতো আপনার ব্যবসার জন্য প্যাকেজ নিয়ে ব্যবসায় সফলতা অর্জন করুন। তাহলে আর দেরি না করে চলে আসুন হাজিরা’য়!