অফিসে কাজের পরিবেশ ভালো রাখতে HR প্রফেশনালদের করণীয়

নতুন কর্মী নিয়োগ থেকে শুরু করে অফিসের চেয়ার, কর্মক্ষেত্রে বা অফিসে কাজের পরিবেশ (Work Environment) ভালো রাখতে HR প্রফেশনালদের দায়িত্ব অনেক! কারণ, একটি প্রতিষ্ঠানের কাজের পরিবেশ তার কর্মীদের উপর অনেক প্রভাব ফেলে। অফিসের কাজের পরিবেশ ভালো হলে কর্মীরা উৎপাদনশীল হয়ে ওঠেন, আবার কাজের পরিবেশ ক্লান্তিকর হলে সেখানে কর্মীরা তাদের দক্ষতার পুরোটা দিতে পারেন না বা দিতে চান না।

এই আধুনিক সময়ে কর্মক্ষেত্র বা অফিসে কাজের পরিবেশ ভালো রাখতে প্রতিষ্ঠানের মালিকরা নানান উদ্যোগ নিয়ে থাকেন। তবে অফিসে কাজের পরিবেশ রক্ষায় এইচআর অফিসার বা HR প্রফেশনালদেরই মূল ভূমিকায় অবতীর্ণ হতে হয়। তাই আজকে আমরা জানবো, এইচআর এর কাজ কি? অফিসে কাজের পরিবেশ ভালো রাখতে এইচআর অফিসার বা HR প্রফেশনালদের করণীয় কী?

আজকের ব্লগে যা থাকছে-

কর্মক্ষেত্রে বা অফিসে কাজের পরিবেশ কী?

কর্মক্ষেত্র বলতে একটি জায়গা বোঝায়, যেখানে কর্মীরা বা এমপ্লয়িরা পেশাগত কাজ করেন। এই জায়গাটি ফিজিক্যাল হতে পারে আবার ভার্চুয়ালও হতে পারে। আর এই কর্মক্ষেত্র বা অফিসে কাজের পরিবেশ বলতে এমন কিছু উপাদানের সমন্বয়কে বোঝানো হয়, যেগুলো অফিসের কর্মীদের শরীর ও মনের উপর প্রভাব ফেলে। এই উপাদানগুলো মধ্যে পড়তে পারে-

  • অফিসের নিয়ম নীতি
  • কোম্পানির এইচআর পলিসি
  • কোম্পানির মূল্যবোধ
  • অভ্যন্তরীণ রাজনীতি (ইন-হাউস পলিটিক্স)
  • কর্মীদের মাঝে অভ্যন্তরীণ সম্পর্ক (এমপ্লয়ি রিলেশন)
  • কর্মীদের শারীরিক ও মানসিক নিরাপত্তা
  • অবকাঠামোগত বিভিন্ন দিক, যেমন- বসার চেয়ার থেকে বাথরুমের পরিস্থিতি! ইত্যাদি।

সাধারণভাবে এই উপাদানগুলোর সমন্বয়কে আমরা কর্মক্ষেত্রে বা অফিসে কাজের পরিবেশ বলতে পারি। এগুলো একসাথে একটি অফিসের কাজের পরিবেশ তৈরি করে। এগুলোর কম প্রয়োগ, অতি প্রয়োগ কিংবা এক বা একাধিক উপাদানের অনুপস্থিতি কর্মক্ষেত্রে বা অফিসে কাজের পরিবেশ নষ্ট করতে পারে।

ভালো কাজের পরিবেশ কেমন হতে পারে?

ভালো কাজের পরিবেশ হলো, যেখানে কর্মীরা নিরাপত্তা, বিশ্বাস, সাহায্য সহযোগিতা, জবাবদিহীতা, সাম্য এবং ক্যারিয়ারের উন্নতির আশ্বাস পায়। যদিও এই সকল বিষয়ই খুব বেশি বিমূর্ত বা অ্যাবস্ট্রাক্ট, তাই সহজে বোঝার জন্য এভাবে দেখুন-

অফিসের নিয়ম নীতি, কোম্পানির এইচআর পলিসি, কোম্পানির মূল্যবোধ, অভ্যন্তরীণ রাজনীতি (ইন-হাউস পলিটিক্স), কর্মীদের মাঝে অভ্যন্তরীণ সম্পর্ক (এমপ্লয়ি রিলেশন), কর্মীদের শারীরিক ও মানসিক নিরাপত্তা, অবকাঠামোগত বিভিন্ন দিক (বসার চেয়ার থেকে বাথরুমের পরিস্থিতি!) ইত্যাদির একটি ভালো ব্যালেন্স বা সমন্বয়ই একটি কর্মক্ষেত্রে বা অফিসে ভালো কাজের পরিবেশ (Good Work Environment) নিশ্চিত করতে পারে।

অফিসে কাজের পরিবেশ ভালো রাখতে এইচআর অফিসার কী করবেন?

কর্মক্ষেত্রে বা অফিসে কাজের পরিবেশ ভালো রাখতে একজন এইচআর ম্যানেজার বা হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট টিমের দায়িত্ব সবচেয়ে বেশি। তবে এর সাথে মালিক ও ম্যানেজমেন্ট এর সদস্যদেরও সদিচ্ছা থাকতে হবে এবং তাদেরও কাজ করার অনেক জায়গা রয়েছে। আর এ সংক্রান্ত সকল কাজের সেট-আপ ঠিক করেন এক বা একাধিক এইচআর ম্যানেজার। তাই আমরা এখন জানবো, অফিসে কাজের পরিবেশ ভালো রাখতে একজন এইচআর অফিসার এর অবশ্য করণীয় কাজ কী কী?

কোম্পানির মূল্যবোধ যথার্থভাবে কর্মীদের মাঝে তুলে ধরতে হবে

প্রতিটি কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠানের আলাদা আলাদা মূল্যবোধ বা ভ্যালু থাকে। প্রতিষ্ঠানের মূল্যবোধগুলোকে কর্মীদের মাঝে ছড়িয়ে দিতে একজন এইচআর অফিসারকে নেতৃত্বের ভূমিকায় আসতে হয়। তিনি এই বিষয়গুলোর গুরুত্ব তুলে ধরবেন এবং এগুলো প্রতিষ্ঠিত করতে বিভিন্ন উদ্যোগ নেবেন। তাহলে অফিসের বাকি এমপ্লয়িরা অনুপ্রাণিত হয়ে সেই মূল্যবোধের অনুশীলন করবেন।

মনে রাখতে হবে, কোম্পানির শক্ত মূল্যবোধ ও লক্ষ্য কর্মীদের ভেতর অনুপেরণা হিসেবে কাজ করে। সেটা তৈরি করাটাই একজন এইচআর অফিসার এর কাজ। এজন্য কোম্পানির সুস্পষ্ট মূল্যবোধ বা ভ্যালু এবং লক্ষ্য বিভিন্ন কার্যক্রমের মাধ্যমে তুলে ধরে অফিসে কাজের পরিবেশ ভালো রাখতে হবে।

নতুন কর্মী বাছাই ও নিয়োগে আরও সতর্ক হতে হবে

একজন এইচআর অফিসার এর প্রধান কাজ হলো প্রতিষ্ঠানের জন্য লোকবল নিয়োগ দেয়া। আর এখানে তাকে তার আসল যোগ্যতার প্রমাণ রাখতে হয়। এক্ষেত্রে একজন এইচআর অফিসারকে কিছু বিষয় খেয়াল রাখতে হয়-

  • প্রতিষ্ঠানের প্রয়োজন ও কালচার অনুপাতে লোকবল বাছাই করা।
  • দক্ষ, পরিশ্রমী ও সৎ কর্মী বাছাইয়ের চেষ্টা করা।
  • নিয়োগ প্রাপ্ত কর্মীকে সঠিক সুযোগ সুবিধা দেয়ার পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানের লক্ষ্য ও মূল্যবোধ সম্পর্কে পরিস্কার ধারণা দেয়া।

একজন বা একধিক কর্মীর অপ্রত্যাশিত আচরণ পুরো টিমের উপর প্রভাব ফেলে। তাই অফিসে কাজের পরিবেশ ভালো রাখতে একজন এইচআর অফিসার বা ম্যানেজারকে নতুন কর্মী বাছাই ও নিয়োগে আরও সতর্ক হতে হবে।

এইচআর অফিসারকে ভালো এইচআর সফটওয়্যার ব্যবহার করতে হবে

প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের সময় ব্যবস্থাপনার বা টাইম ম্যানেজমেন্টের জন্য ভালো হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট টুল ব্যবহার করতে হবে। বাংলাদেশি কোম্পানির জন্য সেরা এইচআর সফটওয়্যার বাছাই করতে হবে। যেখানে একটি প্ল্যাটফর্মেই আপনি আপনার সকল কর্মীদের উপস্থিতি থেকে রিপোর্ট, সকল সাপোর্ট পাবেন। এমনই একটি সহজ ও সাশ্রয়ী এইচআর সফটওয়্যার হাজিরা।
একজন এইচআর অফিসার বা ম্যানেজারের জটিল কাজকে সহজ করতে বেছে নিন হাজিরা সফটওয়্যার। অফিসে কাজের পরিবেশ ভালো রাখতে কেনো হাজিরা সাজেস্ট করছি সেটাও দেখা যাক।

  • হাজিরা HR ম্যানেজমেন্ট সংক্রান্ত একটি ক্লাউডভিত্তিক সফটওয়্যার বা অ্যাপ্লিকেশন। প্রতিষ্ঠান এবং প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের সকল তথ্য হাজিরা’তে সংরক্ষিত থাকবে, তাই ডেটা হারিয়ে যাওয়ার ভয় থাকবে না।
  • হাজিরা অ্যাপটি মোবাইলের জন্য অ্যান্ড্রয়েড ও আইওএস ভার্সন এবং ওয়েবের জন্য ওয়েব ভার্সন আলাদাভাবে পাওয়া যায়। পাশাপাশি এইচআর ম্যানেজমেন্ট সফটওয়্যারটি সহজ বাংলা এবং ইংরেজি দুটি ভাষাতেই এভেইলেবল।
  • হাজিরা’য় ছোট, মাঝারি বা বড় ব্যবসার জন্য শিফট প্ল্যানিং সুবিধা রাখা হয়েছে। হাজিরা’র ওয়েব অ্যাপ্লিকেশনটি ব্যবহার করে শিফট প্ল্যান করা এখন খুব সহজ।
  • কর্মীদের প্রতিদিনের অফিস টাইম এবং কাজের সময়ের নির্ভুল রেকর্ড রাখতে ব্যবহার করুন হাজিরা। হাজিরা অ্যাপের ‘ইন-আউট টাইম ক্লক’ ফিচারে থাকছে কর্মীদের উপস্থিতির পাশাপাশি অফিস নোটিস এবং নির্দেশনা শেয়ার করার সুবিধা।
  • হাজিরা’র লিভ ম্যানেজমেন্ট ফিচারটি থেকে প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের জেনারেল লিভ, পেইড বা আনপেইড লিভ, লিভ ব্যালেন্স, লিভ অ্যাপলিকেশন সাবমিট এবং লিভের অনুমোদন হয়েছে কিনা, এই সবকিছুর ওয়ান-স্টপ সার্ভিস পেয়ে যাবেন!

প্রশিক্ষণের মাধ্যমে কর্মীদের দক্ষতা বাড়াতে হবে

অফিসে কাজের পরিবেশ শতভাগ ভালো হবে তখনই যখন প্রতিষ্ঠানের কর্মীরা দক্ষ হবেন। তাই এইচআর অফিসার এর অন্যতম প্রধান কাজ হলো, কোম্পানির সাথে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ের উপর প্রশিক্ষণ আয়োজনের উদ্যোগ নেয়া। এটা হতে পারে কোন টিমের জন্য আবার হতে পারে কোন একক এমপ্লয়ির জন্য। এই কাজে খরচ হলে সেটা মালিক বা ম্যানেজমেন্ট এর সদস্যদের প্রশিক্ষণের গুরুত্ব বুঝিয়ে ব্যবস্থা করতে হবে।

নিজেকে প্রযুক্তির সাথে আপ-টু-ডেট রাখতে হবে

বর্তমানে একজন এইচআর অফিসার বা ম্যানেজারের কাজ শুধু নিয়োগ দেয়া আর বেতন দেয়ার মাঝে সীমাবদ্ধ নয়। তাদের নানাবিধ কাজের সাথে জড়িত থাকতে হয়। একটি অফিসে কাজের পরিবেশ রক্ষা করতে তাকে যোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তিতে সবসময় আপ-টু-ডেট থাকতে হয়।

যেমন- প্রতিষ্ঠানের কর্মী ব্যবস্থাপনার জন্য এইচআর সফটওয়্যার যেমন- ‘হাজিরা’ ব্যবহার করা, প্রতিদিনের অফিসের খরচের হিসাব রাখতে অ্যাকাউন্টিং টুল হিসেবে ‘হিসাবপাতি’ অ্যাপের ব্যবহার করা। এছাড়া রিমোট কর্মী ব্যবস্থাপনায় টোগল ট্র্যাক, ওয়ার্কভাইব, টেলিয়ো ইত্যাদি টুলগুলো ব্যবহার করে কর্মীদের কাজের সময় এবং কার্যক্রম ট্র্যাক করতে পারা। অফিসের প্রফেশনাল যোগাযোগের জন্য মেইল, হোয়াটসআপ, স্ল্যাক, জুম, গুগল মিট ইত্যাদির স্বচ্ছন্দ ব্যবহার করতে পারা ইত্যাদি।

অফিসে কাজের পরিবেশ আরামদায়ক ও কর্মীবান্ধব করতে হবে

অফিসটিকে কর্মীদের জন্য আরামদায়ক করে তৈরি করতে হবে। অবকাঠামোগত কোনো পরিবর্তন লাগলে করতে হবে। একজন এমপ্লয়ির তার দিনের তিনটি প্রহর বা প্রায় ৯ ঘন্টা এখানে কাটাবেন, এজন্য তাকে একটি আরামদায়ক ও কর্মীবান্ধব পরিবেশ দিতে হবে। এটি এইচআর অফিসার বা ম্যানেজারের জন্য বড় একটি চ্যালেঞ্জ।

যেমন, কর্মীদের জন্য পরিচ্ছন্ন বাথরুম, নারী কর্মীদের জন্য আলাদা বাথরুম, বসার জন্য আরামদায়ক চেয়ার টেবিল, মনোযোগ ধরে রাখতে শব্দ প্রতিরোধী ব্যবস্থা, প্রয়োজনীয় উপকরণ ইত্যাদি। মানে অফিসে কাজের পরিবেশ এমন হতে হবে যেন একজন কর্মী কাজ করার সময় বিরক্ত হয়ে না থাকেন। তাহলে অফিসে কাজের পরিবেশ ভালো থাকবে এবং কর্মীরা আরও উৎপাদনশীল হয়ে উঠবেন।

যোগাযোগে স্বচ্ছতা এবং মত প্রকাশের পরিবেশ দিতে হবে

এমপ্লয়ি ও মালিক বা ম্যানেজমেন্টের সাথে যোগাযোগে স্বচ্ছতা আনতে হবে। একজন এইচআর অফিসার হবেন অফিসের যোগাযোগের কেন্দ্র। তার কাছে সকলেই আসবেন। তাই যোগাযোগে স্বচ্ছতা থাকা চাই। এক্ষেত্রে অপ্রয়োজনীয় গোপনীয়তা পরিহার করতে হবে।

পাশাপাশি কর্মীদের মতামত প্রকাশের পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে। তাহলে তারা তাদের বেস্ট ইফোর্ট দিয়ে কাজে মনোনিবেশ করতে পারবেন এবং প্রয়োজনীয় মতামত দিয়ে প্রতিষ্ঠানের কল্যাণে কাজ করে যাবেন। এতে করে তারা নিজেদের মূল্যবান মনে করবেন, এটাও অফিসে কাজের পরিবেশ ভালো রাখতে সহায়তা করে।

ভালো কাজের স্বীকৃতি ও পুরস্কারের ব্যবস্থা করতে হবে

কোন কর্মী ভালো কোন কাজ করলে বা কোম্পানির জন্য কোনো অর্জনে ভূমিকা রাখলে সেটার স্বীকৃতি দেয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। কাজের প্রশংসার পাশাপাশি তাকে বা তাদেরকে পুরস্কার দেয়া যেতে পারে। এতে করে যেমন তার উৎসাহ পায় তেমনি বাকিরাও কাজের প্রতি আর মনোযোগী হয়। এই কাজে এইচআর অফিসার এর ভূমিকা সবার আগে।

দক্ষতা, সততা ও কাজের প্রতি আন্তরিকতা দেখে বেতন বাড়ানোর সুপারিশ করতে হবে

এমপ্লয়িদের রিপোর্ট এইচআর অফিসার বা ম্যানেজার তৈরি করেন। তার কাছেই অনেক সময় ম্যানেজমেন্ট জানতে চায়, কর্মীদের অবস্থা কেমন? তাই দক্ষতা, সততা ও কাজের প্রতি আন্তরিকতা দেখে কর্মীদের বেতন বাড়ানোর সুপারিশ করতে হবে। যোগ্য কর্মীরা যোগ্য অবস্থানে থাকলে তারাই অফিসে কাজের পরিবেশ ভালো রাখতে সহায়তা করবেন।

এমপ্লয়িদের কর্মজীবন ও ব্যক্তিজীবনের মধ্যে সমন্বয় সাধন করা

এই দায়িত্ব একা এইচআর অফিসার এর নয়। এখানে কর্মীদেরও বিরাট ভূমিকা আছে। তবে অফিসে কাজের পরিবেশ ভালো রাখতে হলে সকলের কর্মজীবন ও ব্যক্তিজীবনের মধ্যে সমন্বয় সাধন করতে হবে। এখানে এইচআর অফিসারও একজন কর্মী মাত্র!

বাড়তি চাপ, অগোছালো কাজের চাপ, অপ্রয়োজনীয় কড়াকড়ি ইত্যাদি যেন কর্মীদেরকে ক্লান্ত করে না ফেলে। টিমের নেতৃত্বে যারা আছেন তাদের সাথে মাঝেমাঝে মিটিং করতে হবে, যাতে তারা তাদের টিমের সকলের কর্মজীবন ও ব্যক্তিজীবনের খোঁজ খবর রাখেন। প্রয়োজনে পরামর্শ বা সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন। টাইম ম্যানেজমেন্ট কর্মজীবনের সফলতার মূল মন্ত্র, এটি যেন তারা তাদের বোঝাতে সক্ষম হন।

কর্মীদের উপস্থিতি ও ছুটি সংক্রান্ত নির্ভুল রেকর্ড রাখতে হবে

এই বিষয়টি যদিও এইচআর সফটওয়্যার ব্যবহার করেই একজন এইচআর অফিসার ম্যানেজ করতে পারেন, তবুও আলাদা করে বলার কারণ আছে। এই ছোট্ট বিষয়টিকে কেন্দ্র করে অনেক সময় ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি হয়। কারণ, কর্মীরা ছুটি ও উপস্থিতির ব্যাপারে বেশিরভাগ সময় উদাসীন হয়ে থাকেন। যখন রিপোর্ট পান তখন তাদের নিজেদের মেনে নিতেই কষ্ট হয়। আবার একিভাবে, বেশি কড়াকড়ি করে এইচআর অফিসার যখন হিসাব টানেন তখনও ঝামেলা তৈরি হতে পারে।

তাই পুরো বিষয়টি সহ কর্মী ব্যবস্থাপনার পুরো কাজটির জন্য এইচআর সফটওয়্যার ‘হাজিরা’ ব্যবহার করুন। আর ছুটি এবং উপস্থিতির ব্যাপারটি এমপ্লয়িদের নিজেদের নিয়ন্ত্রণে দিয়ে দিলেই সবচেয়ে ভালো। এতে করে কর্মীদের উপস্থিতি ও ছুটি সংক্রান্ত নির্ভুল রেকর্ড সয়ংক্রিয়ভাবে ইনপুট ও আপডেট হবে। কারও ভুল বোঝার ঝামেলা থাকবে না। অফিসের কাজের পরিবেশও থাকবে ঝঞ্ঝাট মুক্ত!

আপনার প্রতিষ্ঠানের জন্য হাজিরা অ্যাপই কেনো?

হাজিরা দেশের সবচেয়ে সাশ্রয়ী এমপ্লয়ি ম্যানেজমেন্ট অ্যাপগুলোর একটি। একটি অ্যাপ থেকেই আপনি পেতে পারেন কর্মী ব্যবস্থাপনার বিভিন্ন সাপোর্ট। যেমন-

  • দৈনিক হাজিরা
  • কর্মী তথ্যভাণ্ডার
  • কাজের শিফট প্লানিং
  • রিপোর্ট
  • পে-রোল ম্যানেজমেন্ট
  • ডিজিটাল চুক্তিপত্র
  • ডকুমেন্ট ভল্ট
  • কাস্টম সেটিংস
  • ফ্রি কাস্টমার সাপোর্ট

কেনো সাশ্রয়ী অ্যাপ বলছি সেটাও দেখে নেয়া যাক-  হাজিরা’র চারটি প্যাকেজ ও তাদের মূল্য

০১. বেসিক প্যাকেজ- 

কোম্পানির সাইজ-  ০ থেকে ২০ জন

  • ৳১,৫০০/ মাসিক
  • ৳১৫,০০০/ বাৎসরিক

০২. স্ট্যান্ডার্ড প্যাকেজ- 

কোম্পানির সাইজ-  ২১ থেকে ৫০ জন

  • ৳৩,০০০/ মাসিক
  • ৳৩০,০০০/ বাৎসরিক

০৩. প্রিমিয়াম প্যাকেজ-  

কোম্পানির সাইজ-  ৫০ থেকে ৯৯ জন

  • ৳৪,৫০০/ মাসিক
  • ৳৪৫,০০০/ বাৎসরিক

০৪. এন্টারপ্রাইজ প্যাকেজ-

কোম্পানির সাইজ-  ১০০+ জন

  • আলোচনা সাপেক্ষে
  • যোগাযোগ করুন- 
  • ফোন: 01967391554
  • ইমেইল: info@hazira.com

সহজ তিনটি ধাপে হাজিরা’তে যাত্রা শুরু করুন!

১ম ধাপ- হাজিরা’তে রেজিস্ট্রেশন বা সাইন আপ করুন: 

প্রথমেই কোম্পানির মালিক হিসেবে রেজিস্ট্রেশন করে হাজিরা’য় আপনার জার্নি শুরু করুন। রেজিস্ট্রেশনের পরেই আপনার ইনবক্সে একটি ভেরিফিকেশন মেইল যাবে, এটি দিয়ে আপনার ই-মেইলটি ভেরিফাই করতে হবে। (ভেরিফিকেশন মেইলটি আপনার ইনবক্সে না পাওয়া গেলে অনুগ্রহ করে স্প্যাম ফোল্ডারে চেক করুন।)

২য় ধাপ- আপনার কোম্পানি সেট-আপ করুন: 

ভেরিফিকেশন সম্পন্ন হলে লগইন করুন। এবার আপনার কোম্পানি বা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের প্রয়োজনীয় সকল তথ্য দিয়ে হাজিরা’য় আপনার কোম্পানি সেট-আপ করুন।

৩য় ধাপ- হাজিরা’র বিভিন্ন ফিচার উপভোগ করুন: 

এরপর আপনি হাজিরা’র ড্যাশবোর্ডটি দেখতে পাবেন। হাজিরা’র বিভিন্ন ফিচার উপভোগ করুন সহজে এবং সাশ্রয়ী দামে! হাজিরা’র ওয়েব এবং মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন, দুটোই আছে। 

ওয়েব অ্যাপ্লিকেশন: আপনার প্রতিষ্ঠানের প্রশাসনিক কাজগুলো সম্পাদন করার জন্য ওয়েব অ্যাপ্লিকেশনটি ব্যবহার করতে হবে।
হাজিরা ওয়েব অ্যাপ্লিকেশন

মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন: হাজিরা’র মোবাইল অ্যাপ আপনার প্রতিষ্ঠানের দৈনন্দিন কাজগুলো পরিচালনা করা আরও সহজ করবে। এমপ্লয়ি ম্যানেজমেন্ট আরও সহজ করতে ডাউনলোড করুন হাজিরা’র মোবাইল অ্যাপ- 

অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ

আইওএস অ্যাপ 

হাজিরা অ্যাপের সকল কার্যক্রম সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ডেমো ভিডিও দেখুন-
Demo of Hazira- Employee Management Application

৩০ দিনের ফ্রি ট্রায়াল!

হাজিরা’য় আপনি চাইলেই প্রথম ৩০ দিন ফ্রি ট্রায়াল শুরু করতে পারেন। তারপর প্রয়োজন মতো আপনার ব্যবসার জন্য প্যাকেজ নিয়ে ব্যবসায় সফলতা অর্জন করুন। তাহলে আর দেরি না করে চলে আসুন হাজিরা’য়!

টাইম ম্যানেজমেন্ট: কর্মজীবনে সফলতার মূলমন্ত্র!

টাইম ম্যানেজমেন্ট বা সময় ব্যবস্থাপনা এমন একটি দক্ষতা যেটা আমাদের কর্মজীবন ও ব্যক্তিজীবনে সফলতার মূলমন্ত্র হিসেবে কাজ করে। সঠিক টাইম ম্যানেজমেন্ট দক্ষতার অভাবে আপনার পরিশ্রম, মেধা এবং স্কিল সবকিছুই বৃথা যেতে পারে! এজন্যই অতি জনপ্রিয় একটি প্রবাদ লোকমুখে আজও বহুল ব্যবহৃত, “সময় গেলে সাধন হবে না!”

আপনি যদি কোনো প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন, তাহলে আপনার ক্যারিয়ারের সফলতা নির্ভর করছে টাইম ম্যানেজমেন্ট বা সময় ব্যবস্থাপনা দক্ষতার উপরে। আর আপনি যদি কোনো প্রতিষ্ঠানের মালিক হয়ে থাকেন, তাহলে আপনার প্রতিষ্ঠানের সফলতা নির্ভর করছে আপনার টাইম ম্যানেজমেন্ট দক্ষতা ও প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের টাইম ম্যানেজমেন্ট কীভাবে করা হচ্ছে সেটার উপর। তাই সার্বিকভাবে বলাই যায়, একজন মানুষের কর্মজীবনে সফলতার মূল মন্ত্রই হলো, সঠিক টাইম ম্যানেজমেন্ট বা সময় ব্যবস্থাপনা।

তাই আমারা আজকে আলোচনা করবো, সময় ব্যবস্থাপনা কী এবং কর্মজীবনে এর গুরুত্ব কতটুকু? পাশাপাশি আমরা কর্মজীবনে টাইম ম্যানেজমেন্ট দক্ষতা বাড়ানোর কিছু অসাধারণ কৌশল সম্পর্কে জানবো, যেগুলোর সঠিক ও সফল প্রয়োগ আপনার জীবন বলদে দেবে! এছাড়া কোনো প্রতিষ্ঠানের এমপ্লয়িদের সময় ব্যবস্থাপনায় মালিক বা এইচআর ম্যানেজারদের করণীয় সম্পর্কেও ধারণা নেবো এই লেখায়।

আজকের ব্লগে যা থাকছে-

টাইম ম্যানেজমেন্ট বা সময় ব্যবস্থাপনা কী?

টাইম ম্যানেজমেন্ট বা সময় ব্যবস্থাপনা হলো, আমাদের প্রতিদিনের প্রতিটি কাজের জন্য সঠিকভাবে সময় ভাগ করে নেয়া এবং সেই পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ সম্পন্ন করার করা। পরবর্তীতে আরও কৌশলি হয়ে কম সময়ে কাজগুলো সম্পাদন করার চেষ্টা করা। একদম সহজ করে বললে, সময়ের কাজ সময়ে করা এবং সময়কে কাজে লাগানোকেই টাইম ম্যানেজমেন্ট বা সময় ব্যবস্থাপনা বলে।

আসলে সময় ব্যবস্থাপনা হলো, আমাদের প্রত্যাহিক জীবনের কিছু অভ্যাস ও গুণের সমষ্টি যেগুলো আমাদের কর্মজীবন ও ব্যক্তিজীবনের কাজের মধ্যে সমন্বয় তৈরি করে। আর এই সমন্বয় আমাদের কর্মজীবন ও ব্যক্তিজীবনকে সমৃদ্ধ ও সফল করে।

তাই আমাদের প্রত্যাহিক জীবনের সেই গুরুত্বপূর্ণ অভ্যাস ও গুণগুলো সম্পর্কে জানতে হবে এবং সেগুলোর প্রয়োগ করতে হবে।

কর্মজীবনে টাইম ম্যানেজমেন্ট দক্ষতা বাড়ানোর কৌশল

আমরা এখন কর্মজীবনে টাইম ম্যানেজমেন্ট দক্ষতা বাড়ানোর জন্য প্রত্যাহিক জীবনের গুরুত্বপূর্ণ অভ্যাস নিয়ে আলোচনা করবো। এমন কিছু অসাধারণ কৌশল সম্পর্কে জানবো, যেগুলোর সঠিক ও সফল প্রয়োগ আমাদের জীবন বলদে দিতে পারে!

লক্ষ্য নির্ধারণ করুন হিসাব কষে!

পুরো কর্মজীবনের হোক আর আজকের কোনো নির্দিষ্ট কাজের হোক, লক্ষ্য নির্ধারণ করুন হিসাব কষে। কারণ, সঠিক ও যৌক্তিক লক্ষ্য সহজে অর্জন করা যায়। তাই লক্ষ্য নির্ধারণ করতে চৌকস হতে হবে। এজন্য জনপ্রিয় একটি মেথড হলো স্মার্ট (S.M.A.R.T) মেথড। স্মার্ট মেথড ব্যবহার করে লক্ষ্য নির্ধারণ করুন।

S for Specific (সুনির্দিষ্ট): লক্ষ্যটি হতে হবে সুনির্দিষ্ট।
M for Mesurable (পরিমাপযোগ্য): লক্ষ্যটি সহজে পরিমাপযোগ্য হতে হবে।
A for Attainable (অর্জনযোগ্য): লক্ষ্যটি আপনার দক্ষতা দ্বারা অর্জনযোগ্য হতে হবে।
R for Relevant (প্রাসঙ্গিক): প্রতিটি লক্ষ্যই আপনার কর্মজীবনের সাথে প্রাসঙ্গিক হতে হবে।
T for Time-bound (নির্দিষ্ট সময়ে নির্দিষ্ট কাজ করা): টাইম ম্যানেজমেন্ট এর মাধ্যমে সময়ের কাজ সময়ে করতে হবে।

গুরুত্ব অনুসারে কাজের তালিকা তৈরি করুন

প্রতিদিনের কাজের তালিকা তৈরি করার সময় কোন কাজটি বেশি গুরুত্বপূর্ণ সেটা আগে রাখুন। প্রয়োজনে কাজগুলোকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ভাগ করুন। এখানেও একটি মেথড (The Eisenhower Matrix) বা পরিকল্পনা পদ্ধতি ফলো করতে পারেন।
Important and urgent (খুবই গুরুত্বপূর্ণ ও জরুরি কাজ): মানে এখনই করতে হবে।
Important but not urgent (গুরুত্বপূর্ণ কিন্তু খুব জরুরি কাজ নয়): এটি তার পরে করুন।
Urgent but not important (জরুরি কিন্তু খুব গুরুত্বপূর্ণ কাজ নয়): এমন কাজগুলো করলে তৎক্ষণাত করুন আর না করতে চাইলে সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলুন।
Not urgent and not important (অপ্রয়োজনীয় কাজ): এই কাজগুলো করবেন না। এগুলো করলে টাইম ম্যানেজমেন্ট করতে পারবেন না। খেয়াল রাখবেন জীবনে সবকিছু করা যায় না এবং করতেও হয় না।

প্রতিদিনের কাজের তালিকা আগের রাতেই করে রাখুন

প্রতিদিনের কাজের তালিকা তৈরি করতে হবে। প্রয়োজনে আগের রাতেই কাজটি করে ফেলুন। মোবাইলের নোট প্যাড বা কাগজে লিখে রাখুন। দিন শুরু করুন তালিকা দেখে, দিন শেষ করুন তালিকা দেখে। কোন কাজটি বাকি থাকলো এবং কেনো থাকলো সেটা নিয়ে চিন্তা করুন। দেখবেন টাইম ম্যানেজমেন্ট বা সময় ব্যবস্থাপনা দক্ষতা দিনদিন বাড়বে।

টাইম ম্যানেজমেন্ট দক্ষতা বাড়াতে টাইম ট্র‍্যাকিং করুন

কাজ নির্দিষ্ট সময়ে শুরু ও শেষ করতে টাইম ট্র্যাকিং করা শুরু করুন। কোন কাজটি করতে কতটুকু সময় লাগছে দেখুন। বেশি লাগলে, কেনো বেশি লাগছে বোঝার চেষ্টা করুন। আরও কম সময়ে করার চেষ্টাও করুন। এই কাজের জন্য কিছু ডিজিটাল টুল পাওয়া যায়, ব্যবহার করে সুফল নিতে পারেন।

কাজ জমিয়ে পরে করার কথা ভুলে যেতে হবে

আজকে থেকে কাজ জমিয়ে রাখাকে ভুলে যেতে হবে। পরে করবো ভাবনাটি একটি রোগ! পরে করবো ভাবনাটি আপনার কর্মজীবনের সবচেয়ে বড় শত্রু হতে পারে। এটি টাইম ম্যানেজমেন্ট দক্ষতা বৃদ্ধিরও শত্রু। তাই কাজ জমিয়ে রাখা যাবে না। কাজ জমিয়ে রেখে বিশ্রাম নেয়ার থেকে কাজ শেষ করে বিশ্রাম নেয়া শুরু করুন। দেখুন কর্মজীবন আর ব্যক্তিজীবন কত সুন্দর হয়ে ওঠে!

কাজের মধ্যে ছোট ছোট বিরতি নিতে হবে

একটানা কাজ করবেন না। এটি ক্লান্তিকর এবং আপনার কর্মজীবনের জন্য ক্ষতিকর। কাজের মাঝে ছোট ছোট বিরতি নিন। ধরুন, এক ঘন্টা কাজে ৫ – ১০ মিনিট বিরতি নিন। লম্বা সময় কাজ করলে ২০ – ৩০ মিনিটের বিরতি নিন। হাঁটুন, চা বা কফি পান করুন, পানি পান করুন। এতে আপনার কাজের গতি আরও বাড়বে। আপনার শরীরও ভালো থাকবে। এটি আপনার টাইম ম্যানেজমেন্ট দক্ষতা বাড়াতে সহায়তা করবে।

মনোযোগ ধরে রাখতে কিছু কাজ/জিনিস এড়িয়ে চলুন

বেশি প্রয়োজন না হলে কাজ করার সময় হাতের কাছে মোবাইল ফোন রাখবেন না। রাখলেও সাইলেন্ট মোডে রাখুন। সোশ্যাল মিডিয়ায় লগইন করবেন না। এই কাজগুলো আপনার টাইম ম্যানেজমেন্ট এর বারোটা বাজাতে পারে। নিজের অজান্তেই আপনি অপ্রয়োজনীয় কাজে নিজেকে ব্যস্ত করে ফেলবেন। বর্তমান সময়ে কর্মক্ষেত্রে টাইম ম্যানেজমেন্ট বা সময় ব্যবস্থাপানার বড় শত্রু সোশ্যাল মিডিয়ার প্রতি অদম্য আকর্ষণ!
মনোযোগ ধরে রাখতে অপ্রাসঙ্গিক গভীর চিন্তা থেকে নিজেকে বিরত রাখুন। অফিসে কাজের পরিবেশ নিজে বজায় রাখুন এবং মালিক বা ম্যানেজমেন্টকে কাজের পরিবেশ নিশ্চিত করতে বলুন।

এমপ্লয়িদের টাইম ম্যানেজমেন্ট দক্ষতা বাড়াতে মালিক/এইচআর ম্যানেজার যা করবেন

আপনি যদি একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালিক হন বা উদ্যোক্তা হন বা কোনো কোম্পানির এইচআর ম্যানেজার হন, তাহলে আপনাকে নিজের পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানের এমপ্লয়িদের টাইম ম্যানেজমেন্ট দক্ষতা বাড়ানোর দিকে নজর দিতে হবে। আপনি এইচআর সফটওয়্যার ব্যবহার করে এই কাজটি সহজেই করতে পারবেন।
এক্ষেত্রে আপনাকে কর্মী ব্যবস্থাপনার স্মার্ট সল্যুশন খুঁজে রেব করতে হবে। আর কর্মী ব্যবস্থাপনার ওয়ান-স্টপ সল্যুশন নিয়ে বাংলাদেশে হাজির হয়েছে এইচআর ম্যানেজমেন্ট সফটওয়্যার হাজিরা। একজন মালিক বা এইচআর ম্যানেজার হিসেবে এমপ্লয়িদের টাইম ম্যানেজমেন্ট দক্ষতা বাড়াতে হাজিরা’য় আছে-

  • প্রতিদিন কর্মীদের উপস্থিতির রেকর্ড সুবিধা
  • ইন-আউট টাইম রেকর্ড সুবিধা
  • রিমোট অফিস ম্যানেজমেন্ট সুবিধা
  • কাজের শিফট ম্যানেজমেন্ট সুবিধা
  • ভিন্ন ভিন্ন ওয়ার্ক স্টেশন ম্যানেজমেন্ট ‍সুবিধা
  • লিভ ম্যানেজমেন্টের সুবিধা
  • এমপ্লয়ি রিপোর্টস দেখার সুবিধা

আপনার প্রতিষ্ঠানের জন্য হাজিরা অ্যাপই কেনো?

হাজিরা দেশের সবচেয়ে সাশ্রয়ী এমপ্লয়ি ম্যানেজমেন্ট অ্যাপগুলোর একটি। একটি অ্যাপ থেকেই আপনি পেতে পারেন কর্মী ব্যবস্থাপনার বিভিন্ন সাপোর্ট। যেমন-

  • দৈনিক হাজিরা
  • কর্মী তথ্যভাণ্ডার
  • কাজের শিফট প্লানিং
  • রিপোর্ট
  • পে-রোল ম্যানেজমেন্ট
  • ডিজিটাল চুক্তিপত্র
  • ডকুমেন্ট ভল্ট
  • কাস্টম সেটিংস
  • ফ্রি কাস্টমার সাপোর্ট

কেনো সাশ্রয়ী অ্যাপ বলছি সেটাও দেখে নেয়া যাক-  হাজিরা’র চারটি প্যাকেজ ও তাদের মূল্য

০১. বেসিক প্যাকেজ- 

কোম্পানির সাইজ-  ০ থেকে ২০ জন

  • ৳১,৫০০/ মাসিক
  • ৳১৫,০০০/ বাৎসরিক

০২. স্ট্যান্ডার্ড প্যাকেজ- 

কোম্পানির সাইজ-  ২১ থেকে ৫০ জন

  • ৳৩,০০০/ মাসিক
  • ৳৩০,০০০/ বাৎসরিক

০৩. প্রিমিয়াম প্যাকেজ-  

কোম্পানির সাইজ-  ৫০ থেকে ৯৯ জন

  • ৳৪,৫০০/ মাসিক
  • ৳৪৫,০০০/ বাৎসরিক

০৪. এন্টারপ্রাইজ প্যাকেজ-

কোম্পানির সাইজ-  ১০০+ জন

  • আলোচনা সাপেক্ষে
  • যোগাযোগ করুন- 
  • ফোন: 01967391554
  • ইমেইল: info@hazira.com

সহজ তিনটি ধাপে হাজিরা’তে যাত্রা শুরু করুন!

১ম ধাপ- হাজিরা’তে রেজিস্ট্রেশন বা সাইন আপ করুন: 

প্রথমেই কোম্পানির মালিক হিসেবে রেজিস্ট্রেশন করে হাজিরা’য় আপনার জার্নি শুরু করুন। রেজিস্ট্রেশনের পরেই আপনার ইনবক্সে একটি ভেরিফিকেশন মেইল যাবে, এটি দিয়ে আপনার ই-মেইলটি ভেরিফাই করতে হবে। (ভেরিফিকেশন মেইলটি আপনার ইনবক্সে না পাওয়া গেলে অনুগ্রহ করে স্প্যাম ফোল্ডারে চেক করুন।)

২য় ধাপ- আপনার কোম্পানি সেট-আপ করুন: 

ভেরিফিকেশন সম্পন্ন হলে লগইন করুন। এবার আপনার কোম্পানি বা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের প্রয়োজনীয় সকল তথ্য দিয়ে হাজিরা’য় আপনার কোম্পানি সেট-আপ করুন।

৩য় ধাপ- হাজিরা’র বিভিন্ন ফিচার উপভোগ করুন: 

এরপর আপনি হাজিরা’র ড্যাশবোর্ডটি দেখতে পাবেন। হাজিরা’র বিভিন্ন ফিচার উপভোগ করুন সহজে এবং সাশ্রয়ী দামে! হাজিরা’র ওয়েব এবং মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন, দুটোই আছে। 

ওয়েব অ্যাপ্লিকেশন: আপনার প্রতিষ্ঠানের প্রশাসনিক কাজগুলো সম্পাদন করার জন্য ওয়েব অ্যাপ্লিকেশনটি ব্যবহার করতে হবে।
হাজিরা ওয়েব অ্যাপ্লিকেশন

মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন: হাজিরা’র মোবাইল অ্যাপ আপনার প্রতিষ্ঠানের দৈনন্দিন কাজগুলো পরিচালনা করা আরও সহজ করবে। এমপ্লয়ি ম্যানেজমেন্ট আরও সহজ করতে ডাউনলোড করুন হাজিরা’র মোবাইল অ্যাপ- 

অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ

আইওএস অ্যাপ 

হাজিরা অ্যাপের সকল কার্যক্রম সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ডেমো ভিডিও দেখুন-
Demo of Hazira- Employee Management Application

৩০ দিনের ফ্রি ট্রায়াল!

হাজিরা’য় আপনি চাইলেই প্রথম ৩০ দিন ফ্রি ট্রায়াল শুরু করতে পারেন। তারপর প্রয়োজন মতো আপনার ব্যবসার জন্য প্যাকেজ নিয়ে ব্যবসায় সফলতা অর্জন করুন। তাহলে আর দেরি না করে চলে আসুন হাজিরা’য়!

টাইম ম্যানেজমেন্ট দক্ষতা আপনাকে কী উপহার দেবে?

কর্মজীবনে সঠিক টাইম ম্যানেজমেন্টের মাধ্যমে আমরা অনন্য সাধারণ কিছু জিনিস অর্জন করতে পারি। যেগুলো আমাদের জীবনকে সহজ ও সুন্দর করে। যেমন-

  • পেশাগত কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি করতে পারি।
  • পেশাগত ও মানসিক চাপ কমিয়ে ব্যক্তিজীবনকে সুন্দর করতে পারি।
  • কর্মজীবন ও ব্যক্তিগত জীবনের মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখতে পারি।
  • কর্মজীবনে নতুন নতুন সুযোগ সৃষ্টি করতে পারি।
  • কর্মজীবনে ধারাবাহিক সফলতা ও উন্নতি করতে পারি।
  • আর সফল কর্মজীবন মানেই সুখি সমৃদ্ধ জীবন!

এভাবেই আমাদের কর্মজীবন ও ব্যক্তিজীবন, দুই ক্ষেত্রেই ছোট ছোট মিশন পার হয়ে নির্দিষ্ট ভিশন বা লক্ষ্য অর্জনের দিকে ছুটতে হয়।

টাইম ম্যানেজমেন্ট ছাড়া জীবনের অর্জনগুলোও যেন হতাশা!

আমাদের কর্মজীবন বা অফিসে থাকে, ডেডলাইন অনুযায়ী কাজ শেষ করার তাগাদা। আর আমাদের ব্যক্তিজীবনে থাকে, কর্মজীবনের সফলতা দিয়ে সঠিক সময়ের ভেতরে সমৃদ্ধি অর্জনের তাগাদা। তাহলে বোঝাই যাচ্ছে, কোন কাজ শেষ করা বা জীবনে কিছু অর্জন করাটাই শেষ কথা নয়! আপনাকে সেই কাজ বা অর্জনটি সঠিক সময়ের মধ্যে করতে হবে। তা না হলে সেই অর্জনটি হতাশায় পরিণত হতে পারে! কারণ, অসময়ের অর্জন আপনাকে পরিপূর্ণ তৃপ্তি দেবে না। তাই তো প্রাচীন প্রবাদ আছে,
“সময়ের এক ফোঁড় অসময়ের দশ ফোঁড়”