এমপ্লয়ি টার্নওভার কমাতে এইচআর টিমের করণীয় কী?

এমপ্লয়ি টার্নওভার কমাতে এইচআর টিমের করণীয় কী

প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের জন্য দক্ষ ও অনুগত কর্মী গড়ে তোলা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু কখন কখনও কর্মীরা একের পর এক চাকরি ছেড়ে চলে যায়, এটা একটি প্রতিষ্ঠানের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়ায়। এই প্রবণতাকেই বলা হয় এমপ্লয়ি টার্নওভার (Employee Turnover), যা সরাসরি কোম্পানির উৎপাদনশীলতা, ইমেজ এবং আর্থিক স্থিতিশীলতাকে প্রভাবিত করে। তাই এমপ্লয়ি টার্নওভার কমানোর উপায় জানা জরুরি। 

এমপ্লয়ি টার্নওভার রেট বেড়ে যাওয়া মানে কর্মী নিয়োগ, প্রশিক্ষণ এবং পুনঃনিয়োগের জন্য অতিরিক্ত খরচ বৃদ্ধি। এছাড়া, দীর্ঘদিন কাজ করা দক্ষ কর্মী চলে গেলে কোম্পানির দক্ষতাও কমে যায়। এই সমস্যার সমাধান করতে হলে এইচআর অফিসারদের কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হয়। কর্মীদের জন্য একটি ভালো কর্মপরিবেশ তৈরি করা, উপযুক্ত প্রশিক্ষণ প্রদান এবং তাদের সন্তুষ্টি নিশ্চিত করা, এসবই এমপ্লয়ি টার্নওভার কমানোর উপায়।

এই ব্লগ পোস্টে আমরা আলোচনা করবো, এমপ্লয়ি টার্নওভার কী, কীভাবে এটি পরিমাপ করা যায়, কেন এটি বেড়ে যায় এবং কীভাবে একটি দক্ষ এইচআর টিম এই হার কমাতে পারে।

এমপ্লয়ি টার্নওভার কী?

এমপ্লয়ি টার্নওভার (Employee Turnover) বলতে একটি নির্দিষ্ট সময়ে একটি প্রতিষ্ঠান থেকে কর্মীদের চাকরি ছেড়ে যাওয়ার হারকে বোঝায়। এটি দুই ধরনের হতে পারে-

  • ইচ্ছাকৃত টার্নওভার (Voluntary Turnover): কর্মীরা নিজের ইচ্ছায় চাকরি ছাড়ে। কিছুক্ষেত্রে অফিসের পরিবেশই এমন থাকে যে কর্মীরা চাকরি ছাড়তে বাধ্য হন।
  • অনিচ্ছাকৃত টার্নওভার (Involuntary Turnover): প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে কর্মীকে বরখাস্ত বা চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। 

কীভাবে এমপ্লয়ি টার্নওভার রেট ক্যালকুলেট করবেন?

এমপ্লয়ি টার্নওভার রেট নির্ণয়ের সূত্রটি সহজ। এটি বের করার সাধারণ ফর্মুলা:

টার্নওভার রেট = একটি নির্দিষ্ট সময়ে চাকরি ছেড়ে যাওয়া কর্মীর সংখ্যা / সময়কালের গড় কর্মী সংখ্যা × ১০০

দুটি উদাহরণ দেখি-

ধরুন, 

বছরের শুরুতে কর্মী সংখ্যা = ১০০ জন

বছরের শেষে কর্মী সংখ্যা = ১২০ জন

বছরজুড়ে ৩০ জন কর্মী চাকরি ছেড়েছে

তাহলে,

গড় কর্মী সংখ্যা = (১০০ + ১২০) / ২ = ১১০

টার্নওভার রেট = (৩০ / ১১০) × ১০০ = ২৭.২৭%

আরেকটি সহজ উদাহরণ দেখি-

যদি কোনো প্রতিষ্ঠানে ২০০ জন কর্মী থাকে এবং এক বছরে ৩০ জন চাকরি ছেড়ে যায়, তাহলে টার্নওভার রেট হবে-

৩০ / ২০০ × ১০০ = ১৫%

এই হার বিশ্লেষণ করে এইচআর টিম বুঝতে পারবে প্রতিষ্ঠানের টার্নওভার সমস্যা কতটা গুরুতর। তারা এটি নিয়ন্ত্রণের জন্য এমপ্লয়ি টার্নওভার কমানোর উপায় খুঁজে বের করে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে পারবে।

কী কারণে এমপ্লয়ি টার্নওভার রেট বেড়ে যায়?

  • অপ্রতুল পারিশ্রমিক ও সুযোগ-সুবিধা: কর্মীদের যদি তাদের কাজের তুলনায় কম পারিশ্রমিক ও সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হয়, তাহলে তারা নতুন চাকরির সন্ধান করতেই থাকবে।
  • অফিসের পরিবেশগত সমস্যা: অফিসে টক্সিক বা বিষাক্ত পরিবেশ, নেতিবাচক ব্যবস্থাপনা বা অতিরিক্ত কাজের চাপ থাকলে কর্মীরা চাকরি ছাড়তে পারেন।
  • প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ ও উন্নতির অভাব: কর্মীরা যদি নিজেদের উন্নতির সুযোগ না পান, তাহলে তারা অন্যান্য প্রতিষ্ঠানে যোগ দিতে চাইবে।
  • কাজের ভারসাম্যহীনতা: অতিরিক্ত ওভারটাইম বা অসম কাজের ভার থাকলে কর্মীরা দ্রুত ক্লান্ত হয়ে পড়ে এবং চাকরি পরিবর্তন করতে চায়।
  • স্বীকৃতি ও প্রশংসার অভাব: কর্মীদের কাজের স্বীকৃতি না দিলে তারা নিজেদের অবমূল্যায়িত মনে করতে পারে, যা চাকরি ছাড়ার অন্যতম প্রধান কারণ।

এমপ্লয়ি টার্নওভার বেড়ে গেলে প্রতিষ্ঠানে কী কী প্রভাব পড়ে?

  • উৎপাদনশীলতা হ্রাস পায়: দক্ষ ও অভিজ্ঞ কর্মীরা চলে গেলে প্রতিষ্ঠানের উৎপাদনশীলতা কমে যায়। কারণ, নতুন কর্মীদের নতুন পরিবেশের সাথে খাপ খাওয়াতে সময় লাগে।
  • অতিরিক্ত নিয়োগ ও প্রশিক্ষণ ব্যয়: নতুন কর্মী নিয়োগ ও প্রশিক্ষণ দিতে প্রতিষ্ঠানকে প্রচুর সময় ও অর্থ ব্যয় করতে হয়। এই নতুন কর্মীদের তৈরি করার জন্য সময় ও সম্পদ ব্যয় করার পরে তাদের ধরে রাখাটাই প্রতিষ্ঠানের জন্য ভালো।
  • কর্মীদের মনোবল কমে যায়: টার্নওভার বাড়লে বিদ্যমান কর্মীরা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন এবং তাদের কাজের প্রতি আস্থাহীনতা তৈরি হয়।
  • ক্লায়েন্ট ও ব্র্যান্ড ইমেজের ক্ষতি: প্রতিষ্ঠান যদি নিয়মিত কর্মী হারায়, তাহলে গ্রাহকরা প্রতিষ্ঠানটির স্থায়িত্ব নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করতে পারে, যা ব্র্যান্ড ইমেজের জন্য মারাত্বক ক্ষতিকর।
  • প্রতিষ্ঠানের স্থিতিশীলতা বিঘ্নিত হয়: বেশি কর্মী চলে গেলে প্রতিষ্ঠান পরিকল্পনা মাফিক কাজ করতে পারে না। যার ফলে আভ্যন্তরীণ ব্যবস্থাপনা দুর্বল হয়ে পড়ে।

এমপ্লয়ি টার্নওভার ঠেকাতে এইচআর অফিসারের করণীয়

১. প্রতিযোগিতামূলক বেতন কাঠামো গঠন

প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের উচিত মার্কেট অনুযায়ী প্রতিযোগিতামূলক বেতন কাঠামো তৈরি করা। এটি কর্মীদের দীর্ঘমেয়াদে ধরে রাখার অন্যতম কার্যকর উপায়।

২. অফিসের কর্মপরিবেশ উন্নত করা

একটি স্বাস্থ্যকর ও ইতিবাচক অফিস কর্মীদের সন্তুষ্টি বৃদ্ধি করে। কর্মস্থলে খোলামেলা যোগাযোগ, পারস্পরিক শ্রদ্ধা এবং সহমর্মিতা নিশ্চিত করতে হবে।

৩. প্রশিক্ষণ ও ক্যারিয়ার ডেভেলপমেন্ট

প্রতিষ্ঠানগুলোর উচিত কর্মীদের জন্য নির্দিষ্ট প্রশিক্ষণ ও ক্যারিয়ার ডেভেলপমেন্ট পরিকল্পনা রাখা। এটি কর্মীদের দক্ষতা বাড়ানোর পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানের প্রবৃদ্ধিতেও সহায়ক হবে।

৪. কাজের ভারসাম্য বজায় রাখা

কর্মীদের ব্যক্তিগত ও পেশাগত জীবনের মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখা গুরুত্বপূর্ণ। ওয়ার্ক-লাইফ ব্যালেন্স নষ্ট হলে কর্মীরা চাকরি ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। কর্মীদের মানসিক স্বাস্থ্য রক্ষা করতে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়া জরুরি। ওয়ার্কস্ট্রেস কমানোর জন্য ছুটির নীতিমালা ও কাউন্সেলিং প্রোগ্রাম চালু করা যেতে পারে।

৫. কর্মীদের স্বীকৃতি ও পুরস্কার দেয়ার কালচার

কর্মীদের অবদান যথাযথভাবে স্বীকৃতি দেওয়া হলে তারা আরও অনুপ্রাণিত হয়ে কাজ করবে। ইনসেনটিভ, বোনাস এবং কর্মীদের স্বীকৃতির জন্য প্রোগ্রাম চালু করলে কর্মী ধরে রাখা সহজ হয়।

৬. নিয়মিত ফিডব্যাক নেয়া ও যোগাযোগ

এইচআর টিমের উচিত কর্মীদের মতামত নিয়মিত নেওয়া এবং সমস্যা সমাধানের জন্য কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা।

৭. কর্মীদের সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়ে তোলা

যত বেশি কর্মীদের সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখা যাবে, ততো তারা প্রতিষ্ঠানের প্রতি আস্থাশীল থাকবে এবং কম চাকরি পরিবর্তনের চিন্তা করবে। নতুন কর্মীদের জন্য একটি ভালো অনবোর্ডিং প্রক্রিয়া চালু করলে তারা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে দ্রুত মানিয়ে নিতে পারবে। এতে তাদের ছেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা কমবে।

৮. প্রযুক্তির ব্যবহারে অভ্যস্ত করা

কর্মীদের কাজ সহজ করতে ও অফিস ব্যবস্থাপনা আরও উন্নত করতে প্রযুক্তির ব্যবহার করা উচিত। যেমন- একটি এমপ্লয়ি ম্যানেজমেন্ট অ্যাপ এইচআর অফিসারদের জন্য অনেক সহায়ক হতে পারে।

মেনেজমেন্ট ও এইচআর টিমের দায়িত্ব সবচেয়ে বেশি!

একটি প্রতিষ্ঠানের সাফল্যের জন্য দক্ষ কর্মীদের ধরে রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু হাই এমপ্লয়ি টার্নওভার রেট কোম্পানির খরচ বাড়ায় এবং আরও বড় ক্ষতির কারণ হতে পারে। তাই এইচআর টিমের এমপ্লয়ি টার্নওভার কমানোর উপায় জানতে হবে এবং কিছু পদক্ষেপ নিতে হবে। 

কর্মপরিবেশ উন্নত করা, প্রতিযোগিতামূলক বেতন কাঠামো তৈরি করা, প্রশিক্ষণ ও ক্যারিয়ার ডেভেলপমেন্টের সুযোগ দেওয়া, কাজের স্বীকৃতি ও পুরস্কার প্রদান, এসবই কার্যকর কৌশল। কর্মীদের মানসিক স্বাস্থ্য রক্ষা করা এবং প্রযুক্তির ব্যবহার নিশ্চিত করাও টার্নওভার কমাতে সহায়ক হতে পারে। একটি সুসংগঠিত পরিকল্পনার মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের কর্মীদের দীর্ঘমেয়াদে ধরে রাখতে পারবে। এমপ্লয়ি টার্নওভার কমানোর উপায় জানার পাশাপাশি ভালো কর্মী ধরে রাখার উপায় জানতে পড়ুন-  কর্মক্ষেত্রে দক্ষ ও কর্মঠ কর্মী ধরে রাখার উপায় কী?

আপনার প্রতিষ্ঠানের জন্য সহজ ও সাশ্রয়ী সমাধান- হাজিরা

হাজিরা দেশের সবচেয়ে সাশ্রয়ী এমপ্লয়ি ম্যানেজমেন্ট অ্যাপগুলোর একটি। একটি অ্যাপ থেকেই আপনি পেতে পারেন কর্মী ব্যবস্থাপনার বিভিন্ন সাপোর্ট। যেমন-

  • দৈনিক হাজিরা
  • কর্মী তথ্যভাণ্ডার
  • কাজের শিফট প্লানিং
  • রিপোর্ট
  • পে-রোল ম্যানেজমেন্ট
  • ডিজিটাল চুক্তিপত্র
  • ডকুমেন্ট ভল্ট
  • কাস্টম সেটিংস
  • ফ্রি কাস্টমার সাপোর্ট

কেনো সাশ্রয়ী অ্যাপ বলছি সেটাও দেখে নেয়া যাক-  হাজিরা’র চারটি প্যাকেজ ও তাদের মূল্য

০১. বেসিক প্যাকেজ- 

কোম্পানির সাইজ-  ০ থেকে ২০ জন

  • ৳১,৫০০/ মাসিক
  • ৳১৫,০০০/ বাৎসরিক

০২. স্ট্যান্ডার্ড প্যাকেজ- 

কোম্পানির সাইজ-  ২১ থেকে ৫০ জন

  • ৳৩,০০০/ মাসিক
  • ৳৩০,০০০/ বাৎসরিক

০৩. প্রিমিয়াম প্যাকেজ-  

কোম্পানির সাইজ-  ৫০ থেকে ৯৯ জন

  • ৳৪,৫০০/ মাসিক
  • ৳৪৫,০০০/ বাৎসরিক

০৪. এন্টারপ্রাইজ প্যাকেজ- 

কোম্পানির সাইজ-  ১০০+ জন

  • আলোচনা সাপেক্ষে
  • যোগাযোগ করুন- 
  • ফোন: 01967391554
  • ইমেইল: info@hazira.com

সহজ তিনটি ধাপে হাজিরা’তে যাত্রা শুরু করুন!

১ম ধাপ- হাজিরা’তে রেজিস্ট্রেশন বা সাইন আপ করুন: 

প্রথমেই কোম্পানির মালিক হিসেবে রেজিস্ট্রেশন করে হাজিরা’য় আপনার জার্নি শুরু করুন। রেজিস্ট্রেশনের পরেই আপনার ইনবক্সে একটি ভেরিফিকেশন মেইল যাবে, এটি দিয়ে আপনার ই-মেইলটি ভেরিফাই করতে হবে। 

(ভেরিফিকেশন মেইলটি আপনার ইনবক্সে না পাওয়া গেলে অনুগ্রহ করে স্প্যাম ফোল্ডারে চেক করুন।)

২য় ধাপ- আপনার কোম্পানি সেট-আপ করুন: 

ভেরিফিকেশন সম্পন্ন হলে লগইন করুন। এবার আপনার কোম্পানি বা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের প্রয়োজনীয় সকল তথ্য দিয়ে হাজিরা’য় আপনার কোম্পানি সেট-আপ করুন।

৩য় ধাপ- হাজিরা’র বিভিন্ন ফিচার উপভোগ করুন: 

এরপর আপনি হাজিরা’র ড্যাশবোর্ডটি দেখতে পাবেন। হাজিরা’র বিভিন্ন ফিচার উপভোগ করুন সহজে এবং সাশ্রয়ী দামে! হাজিরা’র ওয়েব এবং মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন, দুটোই আছে। 

ওয়েব অ্যাপ্লিকেশন: আপনার প্রতিষ্ঠানের প্রশাসনিক কাজগুলো সম্পাদন করার জন্য ওয়েব অ্যাপ্লিকেশনটি ব্যবহার করতে হবে।
হাজিরা ওয়েব অ্যাপ্লিকেশন

মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন: হাজিরা’র মোবাইল অ্যাপ আপনার প্রতিষ্ঠানের দৈনন্দিন কাজগুলো পরিচালনা করা আরও সহজ করবে। এমপ্লয়ি ম্যানেজমেন্ট আরও সহজ করতে ডাউনলোড করুন হাজিরা’র মোবাইল অ্যাপ- 

অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ

আইওএস অ্যাপ 

হাজিরা অ্যাপের সকল কার্যক্রম সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ডেমো ভিডিও দেখুন-
Demo of Hazira- Employee Management Application
৩০ দিনের ফ্রি ট্রায়াল!

হাজিরা’য় আপনি চাইলেই প্রথম ৩০ দিন ফ্রি ট্রায়াল শুরু করতে পারেন। তারপর প্রয়োজন মতো আপনার ব্যবসার জন্য প্যাকেজ নিয়ে ব্যবসায় সফলতা অর্জন করুন। তাহলে আর দেরি না করে চলে আসুন হাজিরা’য়!

সাম্প্রতিক পোস্টসমূহ
সাবস্ক্রাইব করুন
নতুন ফিচার ও অফারের আপডেট পেতে হাজিরা’র সাথে কানেক্ট থাকুন।