কর্মীদের উৎপাদনশীলতা পরিমাপ করবেন কীভাবে?

কর্মীদের উৎপাদনশীলতা পরিমাপ করবেন কীভাবে

কর্মীদের উৎপাদনশীলতা (Employee Productivity) একটি প্রতিষ্ঠানের সাফল্যের মূল চাবিকাঠি। এটি শুধু প্রতিষ্ঠানের লক্ষ্য অর্জনেই সাহায্য করে না, বরং কর্মীদের দক্ষতা এবং কাজের মানও উন্নত করে। কর্মীদের কর্মদক্ষতা ও কার্যকারিতা মূল্যায়ন করা হলে প্রতিষ্ঠান সহজেই উন্নতির পথে এগিয়ে যেতে পারে। কিন্তু প্রশ্ন হলো, কর্মীদের উৎপাদনশীলতা কীভাবে পরিমাপ করা যায়? 

এই ব্লগে আমরা আলোচনা করবো, কীভাবে আপনি আপনার প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের উৎপাদনশীলতা সঠিকভাবে পরিমাপ করবেন? সাধারণ বেশিকিছু পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা করবো এবং কর্মীদের উৎপাদনশীলতা পরিমাপের সূত্র (Employee Productivity Formulas) সম্পর্কে জানবো।

ব্লগে যা থাকছে-

কর্মীদের উৎপাদনশীলতা কী?

কর্মীদের উৎপাদনশীলতা বলতে বোঝায় একজন কর্মী নির্দিষ্ট সময়ে কতটুকু কাজ সম্পন্ন করতে পারে এবং সেই কাজের গুণগত মান কেমন। এটি শুধু কাজের পরিমাণ নয়, বরং কাজের মানও বিবেচনা করে। উৎপাদনশীলতা পরিমাপের মাধ্যমে আপনি বুঝতে পারবেন আপনার প্রতিষ্ঠানের কর্মীরা কতটা দক্ষ এবং তাদের কাজের ফলাফল বা প্রাপ্তি আসলে কেমন।

কর্মীদের উৎপাদনশীলতা পরিমাপের গুরুত্ব

কর্মীদের উৎপাদনশীলতা পরিমাপ করা কেন গুরুত্বপূর্ণ? এর উত্তর হলো, এটি প্রতিষ্ঠানের সাফল্য এবং উন্নতির জন্য অপরিহার্য। কর্মীদের উৎপাদনশীলতা নির্ধারণ করলে ব্যবসার উন্নতি হয় এবং কর্মক্ষেত্রে ইতিবাচক পরিবেশ সৃষ্টি হয়। এটি প্রতিষ্ঠানের লক্ষ্য নির্ধারণ, সঠিক পরিকল্পনা গ্রহণ এবং ব্যবসায়িক সাফল্য নিশ্চিত করতে সাহায্য করে। উৎপাদনশীলতা পরিমাপের মাধ্যমে আপনি-

  • কর্মীদের দক্ষতা মূল্যায়ন করতে পারবেন।
  • কাজের মান উন্নত করার উপায় খুঁজে পাবেন।
  • সময় এবং সম্পদ সঠিকভাবে ব্যবহার করতে পারবেন।
  • কর্মীদের কাজের প্রেরণা বাড়াতে পারবেন।

কর্মীদের উৎপাদনশীলতা পরিমাপের কিছু পদ্ধতি

কর্মীদের উৎপাদনশীলতা পরিমাপ করার জন্য বিভিন্ন পদ্ধতি রয়েছে। কিছু কার্যকর পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা করা হলো যেগুলো আপনি আপনার কর্মীদের উপর প্রয়োগ করতে পারেন।

১. কর্মীদের কাজের ফলাফল বিশ্লেষণ

প্রথমেই আপনাকে দেখতে হবে কর্মীরা তাদের কাজের মাধ্যমে কী ফলাফল  অর্জন করছে। এটি হতে পারে মাসিক বা ত্রৈমাসিক টার্গেট পূরণ, প্রোজেক্ট সম্পন্ন করা বা নির্দিষ্ট কাজের মান বজায় রাখা ইত্যাদি। কর্মীদের কাজের ফলাফল বিশ্লেষণ করে আপনি তাদের উৎপাদনশীলতা পরিমাপ করতে পারবেন।

২. কাজের সময় ট্র্যাক করা

কর্মীরা তাদের কাজে কতটা সময় ব্যয় করছে তা ট্র্যাক করাও একটি কার্যকর পদ্ধতি। এটি করার জন্য আপনি বিভিন্ন সফটওয়্যার ব্যবহার করতে পারেন। যেমন- টাইম ট্র্যাকিং অ্যাপ ‘হাজিরা’। এই টুলসের মাধ্যমে আপনি দেখতে পারবেন কর্মীরা তাদের কাজে কতটা সময় দিচ্ছে এবং সেই সময়ে তারা কতটুকু কাজ সম্পন্ন করতে পারছে।

৩. কর্মীদের দক্ষতা মূল্যায়ন

কর্মীদের দক্ষতা মূল্যায়ন করাও উৎপাদনশীলতা পরিমাপের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। আপনি নিয়মিত দক্ষতা মূল্যায়ন টেস্ট বা প্রশিক্ষণের মাধ্যমে তাদের দক্ষতা পরিমাপ করতে পারেন। এটি আপনাকে বুঝতে সাহায্য করবে কর্মীরা তাদের কাজে কতটা দক্ষ এবং তাদের কোন ক্ষেত্রে উন্নতি প্রয়োজন।

৪. কর্মীদের ফিডব্যাক নেওয়া

কর্মীদের কাছ থেকে ফিডব্যাক নেয়াও একটি কার্যকর পদ্ধতি। এটি আপনাকে বুঝতে সাহায্য করবে কর্মীরা তাদের কাজে কতটা সন্তুষ্ট এবং তাদের কী ধরেনের  সমস্যা রয়েছে। ফিডব্যাকের মাধ্যমে আপনি কর্মীদের উৎপাদনশীলতা বাড়ানোর উপায় খুঁজে পেতে পারেন।

৫. কর্মীদের কাজের মান বিশ্লেষণ

কর্মীদের কাজের মান বিশ্লেষণ করাও উৎপাদনশীলতা পরিমাপের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এটি করার জন্য আপনি কাজের মানের একটি নির্দিষ্ট স্ট্যান্ডার্ড সেট করতে পারেন এবং সেই স্ট্যান্ডার্ড অনুযায়ী কর্মীদের কাজের মান মূল্যায়ন করতে পারেন।

উৎপাদনশীলতা পরিমাপের সূত্র (Employee Productivity Formulas)

কর্মীদের উৎপাদনশীলতা পরিমাপ করার জন্য সাধারণ কিন্তু কার্যকর একটি সূত্র রয়েছে। এই সূত্র ব্যবহার করে আপনি সহজেই আপনার দল বা টিমের উৎপাদনশীলতা পরিমাপ করতে পারবেন। দুটি গুরুত্বপূর্ণ সূত্র সম্পর্কে জানা জরুরি-

১. বেসিক প্রোডাক্টিভিটি ফর্মুলা (Basic Productivity Formula)

এই সূত্রটি সহজ কিন্তু নির্ভরযোগ্য। এটি আপনাকে বুঝতে সাহায্য করবে আপনার টিম কতটুকু কাজ করছে। এই সূত্রটি হলো-

উৎপাদনশীলতা = উৎপাদন / সময় বা সম্পদ
অথবা
Productivity = Output / Input

এই সূত্রটি আপনার টিমের আউটপুট (উৎপাদন) এবং প্রতিষ্ঠানের ইনপুট (সময় বা সম্পদ) এর মধ্যে একটি স্পষ্ট অনুপাত প্রদান করে। ধরুন, আপনি একজন কর্মীর প্রতি ঘন্টায় উৎপাদিত ইউনিটের বা কাজের ভিত্তিতে উৎপাদনশীলতা পরিমাপ করতে চান। তাহলে আপনি কর্মীর মোট উৎপাদিত ইউনিটকে বা কাজকে মোট কাজের সময় দিয়ে ভাগ করবেন।

একটা উদাহরণ দেখি-

আউটপুট: ১০০ ইউনিট উৎপাদন

ইনপুট: ২০ ঘন্টা কাজ

উৎপাদনশীলতা = ১০০ ইউনিট / ২০ ঘন্টা = ৫ ইউনিট প্রতি ঘন্টা

এই সূত্রটি আপনাকে আপনার টিমের সদস্যদের দক্ষতা বুঝতে এবং উৎপাদনশীলতা বাড়ানোর ক্ষেত্রগুলো চিহ্নিত করতে সাহায্য করবে।

২. এমপ্লয়ি প্রোডাক্টিভিটি রেট ফর্মুলা (Employee Productivity Rate Formula)

এই সূত্রটি দীর্ঘ সময় ধরে বা পুরো টিমের উৎপাদনশীলতা পরিমাপ করার জন্য ভালো। সূত্রটি হলো-

প্রোডাক্টিভিটি রেট = মোট উৎপাদন / মোট সময় বা সম্পদ

অথবা

Productivity Rate = Total Output / Total Input

এই সূত্রটি ব্যবহার করে আপনি একটি নির্দিষ্ট সময়ে একটি টিম বা ডিপার্টমেন্টের মোট আউটপুট এবং ইনপুটের অনুপাত বের করতে পারবেন।

একটি উদাহরণ দেখি-

মোট আউটপুট: ২০০০ ইউনিট (এক মাসে মোট কাজ)

মোট ইনপুট: ৫০০ ঘন্টা (টিমের কাজের মোট সময়)

উৎপাদনশীলতা রেট = ২০০০ ইউনিট / ৫০০ ঘন্টা = ৪ ইউনিট প্রতি ঘন্টা

এই সূত্রটি ব্যবহার করে আপনি দীর্ঘ সময়ের জন্য উৎপাদনশীলতার লক্ষ্য নির্ধারণ করতে পারবেন এবং সেই লক্ষ্য অর্জনের অগ্রগতি মনিটর করতে পারেন।

কর্মীদের উৎপাদনশীলতা বাড়ানোর উপায়

কর্মীদের উৎপাদনশীলতা পরিমাপ করার পাশাপাশি, এটি বাড়ানোর উপায়গুলো জানাও গুরুত্বপূর্ণ। 

  • প্রশিক্ষণ এবং উন্নয়ন: কর্মীদের নিয়মিত প্রশিক্ষণ মাধ্যমে তাদের দক্ষতা বাড়ানো যায়। এটি তাদের কাজের মান এবং উৎপাদনশীলতা বাড়াতে সাহায্য করে।
  • কর্মীদের কাজের প্রতি প্রেরণা বাড়ানো: কর্মীদের প্রেরণা বাড়ানোর জন্য আপনি বিভিন্ন পদ্ধতি অবলম্বন করতে পারেন। যেমন- পুরস্কার, বোনাস বা কর্মীদের কাজের চমৎকার স্বীকৃতি দেয়া ইত্যাদি। এটি তাদের কাজের প্রতি আগ্রহ বাড়াবে এবং উৎপাদনশীলতা বাড়াতে সাহায্য করবে।
    • কাজের পরিবেশ উন্নত করা: কর্মীদের কাজের পরিবেশ উন্নত করাও উৎপাদনশীলতা বাড়ানোর একটি গুরুত্বপূর্ণ উপায়। কাজের জায়গা আরামদায়ক এবং সুবিধাজনক করতে হবে। যেমন- ভালো আলো বাতাসের ব্যবস্থা, আরামদায়ক চেয়ার এবং কাজের জায়গা পরিষ্কার রাখা ইত্যাদি।
    • কর্মীদের কাজের ভারসাম্য বজায় রাখা: কর্মীদের কাজের ভারসাম্য বজায় রাখাও উৎপাদনশীলতা বাড়ানোর একটি গুরুত্বপূর্ণ উপায়। আপনি কর্মীদের কাজের চাপ কমাতে পারেন এবং তাদের কাজের সময় সঠিকভাবে ম্যানেজ করতে পারেন।
    • কর্মীদের স্বাস্থ্য এবং সুস্থতা নিশ্চিত করা: কর্মীদের স্বাস্থ্য এবং সুস্থতা নিশ্চিত করাও উৎপাদনশীলতা বাড়ানোর একটি গুরুত্বপূর্ণ উপায়। আপনি কর্মীদের স্বাস্থ্য সুবিধা প্রদান করতে পারেন এবং তাদের কাজের সময় স্বাস্থ্যকর খাবার এবং পানীয়ের ব্যবস্থা করতে পারেন।

          এই বিষয়ে আরও বিস্তারিত জানতে পড়ুন- এমপ্লয়িদের প্রোডাক্টিভিটি বাড়ানোর ৭টি কৌশল!

          কর্মীদের উৎপাদনশীলতা পরিমাপ করা এবং তা উন্নত করা একটি প্রতিষ্ঠানের সাফল্যের জন্য অপরিহার্য। কর্মীদের উৎপাদনশীলতা পরিমাপের মাধ্যমে আপনি তাদের দক্ষতা মূল্যায়ন করতে পারবেন, কাজের মান উন্নত করতে পারবেন এবং প্রতিষ্ঠানের সাফল্য নিশ্চিত করতে পারবেন। আপনার প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের উৎপাদনশীলতা বাড়ানোর জন্য এই পদ্ধতিগুলো অনুসরণ করুন এবং দেখুন কীভাবে ধীরে ধীরে আপনার প্রতিষ্ঠানের সাফল্য নতুন উচ্চতায় পৌঁছায়!

          আপনার প্রতিষ্ঠানের জন্য সহজ ও সাশ্রয়ী সমাধান- হাজিরা

          হাজিরা দেশের সবচেয়ে সাশ্রয়ী এমপ্লয়ি ম্যানেজমেন্ট অ্যাপগুলোর একটি। একটি অ্যাপ থেকেই আপনি পেতে পারেন কর্মী ব্যবস্থাপনার বিভিন্ন সাপোর্ট। যেমন-

          • দৈনিক হাজিরা
          • কর্মী তথ্যভাণ্ডার
          • কাজের শিফট প্লানিং
          • রিপোর্ট
          • পে-রোল ম্যানেজমেন্ট
          • ডিজিটাল চুক্তিপত্র
          • ডকুমেন্ট ভল্ট
          • কাস্টম সেটিংস
          • ফ্রি কাস্টমার সাপোর্ট

          কেনো সাশ্রয়ী অ্যাপ বলছি সেটাও দেখে নেয়া যাক-  হাজিরা’র চারটি প্যাকেজ ও তাদের মূল্য

          ০১. বেসিক প্যাকেজ- 

          কোম্পানির সাইজ-  ০ থেকে ২০ জন

          • ৳১,৫০০/ মাসিক
          • ৳১৫,০০০/ বাৎসরিক

          ০২. স্ট্যান্ডার্ড প্যাকেজ- 

          কোম্পানির সাইজ-  ২১ থেকে ৫০ জন

          • ৳৩,০০০/ মাসিক
          • ৳৩০,০০০/ বাৎসরিক

          ০৩. প্রিমিয়াম প্যাকেজ-  

          কোম্পানির সাইজ-  ৫০ থেকে ৯৯ জন

          • ৳৪,৫০০/ মাসিক
          • ৳৪৫,০০০/ বাৎসরিক

          ০৪. এন্টারপ্রাইজ প্যাকেজ- 

          কোম্পানির সাইজ-  ১০০+ জন

          • আলোচনা সাপেক্ষে
          • যোগাযোগ করুন- 
          • ফোন: 01967391554
          • ইমেইল: info@hazira.com

          সহজ তিনটি ধাপে হাজিরা’তে যাত্রা শুরু করুন!

          ১ম ধাপ- হাজিরা’তে রেজিস্ট্রেশন বা সাইন আপ করুন: 

          প্রথমেই কোম্পানির মালিক হিসেবে রেজিস্ট্রেশন করে হাজিরা’য় আপনার জার্নি শুরু করুন। রেজিস্ট্রেশনের পরেই আপনার ইনবক্সে একটি ভেরিফিকেশন মেইল যাবে, এটি দিয়ে আপনার ই-মেইলটি ভেরিফাই করতে হবে। 

          (ভেরিফিকেশন মেইলটি আপনার ইনবক্সে না পাওয়া গেলে অনুগ্রহ করে স্প্যাম ফোল্ডারে চেক করুন।)

          ২য় ধাপ- আপনার কোম্পানি সেট-আপ করুন: 

          ভেরিফিকেশন সম্পন্ন হলে লগইন করুন। এবার আপনার কোম্পানি বা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের প্রয়োজনীয় সকল তথ্য দিয়ে হাজিরা’য় আপনার কোম্পানি সেট-আপ করুন।

          ৩য় ধাপ- হাজিরা’র বিভিন্ন ফিচার উপভোগ করুন: 

          এরপর আপনি হাজিরা’র ড্যাশবোর্ডটি দেখতে পাবেন। হাজিরা’র বিভিন্ন ফিচার উপভোগ করুন সহজে এবং সাশ্রয়ী দামে! হাজিরা’র ওয়েব এবং মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন, দুটোই আছে। 

          ওয়েব অ্যাপ্লিকেশন: আপনার প্রতিষ্ঠানের প্রশাসনিক কাজগুলো সম্পাদন করার জন্য ওয়েব অ্যাপ্লিকেশনটি ব্যবহার করতে হবে।
          হাজিরা ওয়েব অ্যাপ্লিকেশন

          মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন: হাজিরা’র মোবাইল অ্যাপ আপনার প্রতিষ্ঠানের দৈনন্দিন কাজগুলো পরিচালনা করা আরও সহজ করবে। এমপ্লয়ি ম্যানেজমেন্ট আরও সহজ করতে ডাউনলোড করুন হাজিরা’র মোবাইল অ্যাপ- 

          অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ

          আইওএস অ্যাপ 

          হাজিরা অ্যাপের সকল কার্যক্রম সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ডেমো ভিডিও দেখুন-
          Demo of Hazira- Employee Management Application
          ৩০ দিনের ফ্রি ট্রায়াল!

          হাজিরা’য় আপনি চাইলেই প্রথম ৩০ দিন ফ্রি ট্রায়াল শুরু করতে পারেন। তারপর প্রয়োজন মতো আপনার ব্যবসার জন্য প্যাকেজ নিয়ে ব্যবসায় সফলতা অর্জন করুন। তাহলে আর দেরি না করে চলে আসুন হাজিরা’য়!

          সাম্প্রতিক পোস্টসমূহ
          সাবস্ক্রাইব করুন
          নতুন ফিচার ও অফারের আপডেট পেতে হাজিরা’র সাথে কানেক্ট থাকুন।