বাংলাদেশে মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা সেক্টরে টেকনোলজির প্রভাব

আধুনিক মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা এখন অনেকটাই টেকনোলজি বা প্রযুক্তিনির্ভর একটি সেক্টর! শুনতে অবাক লাগলেও, হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট (Human Resource Management) এর সাথে জড়িত প্রতিটি কাজেই লেগেছে ডিজিটাল প্রযুক্তির ছোঁয়া। আগের সেই হাজিরা খাতা, ছুটি বা লিভ আবেদনের কাগুজে ব্যবস্থা আর কর্মীদের রেকর্ড রাখার ফাইল এখন প্রায় বিলুপ্তির পথে!

আসলে, টেকনোলজির ব্যবহার এখন আমাদের দৈনন্দিন জীবনের সাথেই ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে গেছে। আর ব্যবসা বর্তমান সময়ে সবচেয়ে বেশি টেকনোলজি নির্ভর হয়ে পড়েছে। তাহলে যেকোনো প্রতিষ্ঠান বা ব্যবসা পরিচালনার অতি গুরুত্বপূর্ণ সেক্টর, মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনাই কেনো বাদ পড়বে? সারাবিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে বাংলাদেশেও মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনায় টেকনোলজির ব্যবহার বৃদ্ধি পেয়েছে। ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো এর সুফলও পাচ্ছে।

আমরা আজকে মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা খাতের কোন কোন সেক্টরে প্রযুক্তির অবদান সবচেয়ে বেশি সেগুলো তুলে ধরবো। চলুন তাহলে দেখে নেয়া যাক, বাংলাদেশে মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনায় টেকনোলজির প্রভাব কতটুকু?

ব্লগে যা থাকছে-

মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনায় টেকনোলজির প্রভাব কতটুকু?

২০২১ সালে বিখ্যাত মার্কেট রিসার্চ প্রতিষ্ঠান ‘এলিড মার্কেট রিসার্চ (Allied market research)’ মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা বা হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট সংক্রান্ত একটি গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করে। সেখানে তারা তুলে ধরে-

“২০২১ সালে মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনার সাথে জড়িত টেকনোলজি বা প্রযুক্তির বিশ্বব্যাপী বাজারের আকার ছিলো প্রায় ৩২.৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার! এবং তাদের গবেষণা মতে, ২০২২ থেকে ২০৩১ সালের মধ্যে মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনার সাথে জড়িত টেকনোলজি বা প্রযুক্তির বাজারটি বাৎসরিক ৯.২% চক্রবৃদ্ধি হারে বাড়বে। তারা আরও জানায়, ২০৩১ সালে এসে বাজারটির আকার প্রায় ৭৬.৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পরিণত হবে!”

এখন ভেবে দেখা দরকার, বাজাটি কেনো বাড়ছে এবং কেনো বাড়বে? কারণ, পৃথিবীব্যাপি বিজনেস ওনার বা মালিক বা উদ্যোক্তারা বুঝে গেছেন, মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা খাতে ব্যয় করলে সেটা প্রতিষ্ঠানের জন্য লাভজনক। ব্যয়টি কয়েকগুণ ফিডব্যাক দেয়! একটি প্রতিষ্ঠানের যতো ধরনের সম্পদ থাকে, তার ভেতর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ হলো মানব সম্পদ! তাই এই সেক্টরের আধুনিকায়নে প্রস্তুত হচ্ছেন সকল ব্যবসায়ী।

মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনার এমপ্লয়ি ম্যানেজমেন্ট সেক্টরে টেকনোলজি

মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনার সবচেয়ে জটিল ও গুরুত্বপূর্ণ সেক্টরটির নাম হলো কর্মী ব্যবস্থপনা বা এমপ্লয়ি ম্যানেজমেন্ট। একটি প্রতিষ্ঠানের মালিক কিংবা এইচআর ম্যানেজার এই কাজটি যত সুচারুরূপে পরিচালনা করেন, সেই প্রতিষ্ঠান ততো সফলতার সাথে এগিয়ে যায়। কর্মী ব্যবস্থাপনা মূল লক্ষ্যই থাকে, কর্মীদের থেকে তাদের পূর্ণ ‍উৎপাদনশীলতা আদায় করা। কিন্তু কর্মীরাও যেন উৎসাহ নিয়ে প্রতিষ্ঠানের কল্যাণে কাজ করেন, এটিও মাথায় রাখতে হবে।

আর মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনার এমপ্লয়ি ম্যানেজমেন্ট সেক্টরে টেকনোলজি সবচেয়ে বড় গেম চেঞ্জার হিসেবে কাজ করেছে এবং করছে। একজন এইচআর ম্যানেজারের কাছে HR সফটওয়্যারের মাধ্যমে মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা এখন খুবই স্বাভাবিক একটা চিত্র। মানব সম্পদ উন্নয়ন এবং অফিসের কর্মীদের পরিচালানায় একটি ভালো এইচআর সফটওয়্যার কোন কোন জায়গায় কাজ করবে, চলুন দেখি-

০১. অফিসে কর্মীদের উপস্থিতির ডিজিটাল রেকর্ড

হাজিরা খাতায় ‍রেকর্ড টুকে রাখার দিনে আর নেই। এখন একটি সফটওয়্যারেই এমপ্লয়িরা তাদের প্রতিদিনের উপস্থিতির রেকর্ড রাখতে পারেন। সেটাও নিজের নিয়ন্ত্রণে রেখে, ফলে ভুল বোঝাবুঝিরও ঝামেলা থাকে না। পাঞ্চ ইন এবং পাঞ্চ আউট এখন মোবাইলেও দেয়া যায়। আর একজন এইচআর ম্যানেজার একটি স্মার্টফোনেই সবকিছু দেখতে পারেন।
তাই, কর্মীদের উপস্থিতির রেকর্ড রাখতে এখন আর হাজিরা খাতা লাগে না, প্রয়োজন ‘হাজিরা’ সফটওয়্যার! হ্যাঁ, হাজিরা হলো একটি সহজ ও সাশ্রয়ী এইচআর সফটওয়্যার। যার মাধ্যমে আপনি একটি প্ল্যাটফর্ম থেকেই কর্মী ব্যবস্থাপনা সকল কাজ করতে পারবেন।

০২. ছুটি বা লিভ ম্যানেজমেন্ট এখন অনেক সহজ

কর্মীদের ছুটি সামাল দিতে হিমশিম খেতে দেখা যায় ঝানু ঝানু সব এইচআর ম্যানেজারদের! মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনার একটি ছোট্ট দিক অনেক সময় এমপ্লয়ি ও ম্যানেজমেন্ট এর মন কষাকষির কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
আর এই সমস্যার স্থায়ী সমাধান করে দিয়েছে এইচআর সফটওয়্যারগুলো। লিভ আবেদনের কাগুজে ব্যবস্থাকে বিদায় করে, সম্পূর্ণ ডিজিটাল লিভ ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম এখন প্রায় প্রতিটি প্রতিষ্ঠানে। অযথা বিড়ম্বনারও কোন উপায় নেই। লিভ অ্যাপ্লিকেশন সাবমিট এবং অ্যাপ্রুভ এখন আমাদের হাতের মুঠোয়। বাংলাদেশের কোম্পানিগুলোর জন্য সেরা এইচআর সফটওয়্যার হাজিরা’ দেবে লিভ ম্যানেজমেন্ট এর ওয়ান-স্টপ সার্ভিস।

০৩. ক্লাউডভিত্তিক এইচআর সফটওয়্যার তাই ডেটা থাকে নিরাপত্তা

মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনার জন্য এইচআর সফটওয়্যারগুলো বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ক্লাউডভিত্তিক হয়ে থাকে। তাই ব্যবসার ডেটা থাকে নিরাপদ। কর্মীদের যেকোন ডেটা ইনপুট হওয়ার সাথে সাথেই সেগুলো একটি সার্ভারে সংরক্ষিত হয়।

০৪. একাধিক কর্মস্থল নিয়ন্ত্রণ করা যায় একটি অ্যাপের মাধ্যমে

প্রতিষ্ঠানের একাধিক স্টেশন পরিচালনা করা এখন অনেক সহজ! একটি অ্যাপের মাধ্যমেই মালিক কিংবা এইচআর ম্যানেজার একাধিক স্টেশনের কর্মী ব্যবস্থাপনা করতে পারেন। তাই হাজিরা’তেও রাখা হয়েছে ওয়ান স্টেশন ফিচার

০৫. কর্মীদের শিফট প্ল্যানিং হয়েছে সহজ

কর্মীদের শিফট প্ল্যানিংয়ের মতো কঠিন কাজটিও এখন আর কঠিন নেই। কারণ এইচআর অ্যাপের মাধ্যমে বাসায় বসেই করতে পারবেন এমপ্লয়িদের শিফট প্ল্যানিং। হাজিরা অ্যাপেও আছে কর্মীদের শিফট প্ল্যানিং সুবিধা।

০৬. পে-রোল সুবিধা

এখন কর্মীদের বেতন দেয়ার জন্য রাত জাগা খাটুনির কোনো দরকার নেই। এইচআর ম্যানেজমেন্ট সফটওয়্যারে থাকে পে-রোল সুবিধা। আপনি ডিজিটালি পুরো অফিসের বেতন দিতে পারেন কয়েকটি ক্লিকে!

০৭. এমপ্লয়ি রিপোর্টস রাখতে ফাইল সামলানো লাগে না!

এমপ্লয়িদের সকল তথ্য একটি ডেটাবেজে সংরক্ষিত থাকে। উপস্থিতি, ছুটি, কাজের পারফর্মেন্স সহ তাদের সাধারণ তথ্য রাখতে তাই আর ফাইল সামলাতে হয় না। মাস কিংবা বছর শেষে অটোমেটিক এমপ্লয়ি রিপোর্ট পাওয়া যায়। এতে করে এমপ্লয়ি পারফর্মেন্স পরিমাপ করা যায় সহজে।

এগুলোর বাহিরেও মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনার আরও অনেক সেবা নিশ্চিত করে এইচআর সফটওয়্যারগুলো। আর এই এইচআর সফটওয়্যারের বাহিরেও আছে নানান টেকনোলজি, যেগুলো মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা বা হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট এ বিশাল প্রভাব রাখছে।

মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনার কর্মী নিয়োগে টেকনোলজি

বর্তমান সময়ে প্রতিষ্ঠানের কর্মী খোঁজা থেকে শুরু করে কর্মী নিয়োগ, পুরো প্রক্রিয়াটিই ডিজিটালি সমাধান করা যায়। কর্মী খোঁজার জন্য আছে লিংকডইন সহ বিভিন্ন প্রফেশনাল জব সাইট। আবেদন বাছাই করার জন্যও আছে টুল। প্রাথমিক বাছাই করার জন্য এইচআর ম্যানেজার এখন অনলাইন ইন্টারভিউ নিয়ে থাকেন। পুরো প্রক্রিয়াটিতে উল্লেখযোগ্য সময় ও পরিশ্রম কমিয়ে দিয়েছে টেকনোলজি। মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনার অতি গুরুত্বপূর্ণ কাজ নতুন কর্মী নিয়োগ, এখন তাই অনেক বেশি প্রযুক্তিনির্ভর।

মানব সম্পদ উন্নয়নে ডিজিটাল ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা

কোনো একটি নির্দিষ্ট বিষয়ে প্রতিষ্ঠানের একজন বা একাধিক কর্মীর ট্রেনিং দরকার বা একটি পুরো টিমের ট্রেনিং দরকার বা পুরো অফিসের সবার টেনিংটি দরকার। আগে অনেক ঝামেলা করে দল ভাগ করে কোন জায়গায় ট্রেনিংয়ের জন্য পাঠানো হতো। আর এখন শুধুমাত্র প্রয়োজনীয় বিষয়ের উপর একটি ভালো ট্রেনিং কোর্স বাছাই করে সবাইকে একি সাথে ট্রেনিং করানো যায়। পুরো ব্যাপারটি অনলাইনে আয়োজন করা হয়। ফলে খরচ কমে, সময় বাঁচে, পরিশ্রম কমে এবং ট্রেনিংটির প্রতি এমপ্লয়িদের আগ্রহ থাকে।
আর এই বিষয়কে কেন্দ্র করেই পেশাদার দক্ষতা বৃদ্ধির একটি নতুন সেক্টরের জন্ম হয়েছে! যেখানে বিশ্বের নানা প্রান্তের দক্ষ প্রফেশনালরা তাদের দক্ষতা কোর্স আকারে বিক্রি করেন। যে কেউ নিজের জন্য বা প্রতিষ্ঠানের জন্য এই কোর্সগুলো কিনতে পারেন। মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা খাতে কর্মীদের উন্নয়ন বা দক্ষতা বৃদ্ধি তাই এখন অনেক সহজ ও সাশ্রয়ী।

বাংলাদেশের মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনার কিছু চ্যালেঞ্জ

প্রতিটি প্রাপ্তির কিছু চ্যালেঞ্জ থাকবে এটাই স্বাভাবিক। তাই বাংলাদেশের মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা খাতে টেকনোলজির যেমন পজেটিভ প্রভাব আছে, তেমনি আছে কিছু চ্যালেঞ্জ। যেমন-

০১. পরিবর্তনের সাথে কর্মী ও মালিকদের খাপ খাওয়ানো

পরিবর্তনের সাথে খাপ খাওয়ানো এবং সেটি গ্রহণে অনাগ্রহ ও অসহযোগিতা খুবই স্বাভাবিক একটি বিষয়। এটি মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা খাতে টেকনোলজি ব্যবহারের অন্যতম বড় চ্যালেঞ্জ। এই চ্যালেঞ্জটি মালিক পক্ষ থেকে যেমন আসতে পারে, তেমনি যাদের উন্নয়নে এই ব্যবস্থা, মানে কর্মীদের পক্ষ থেকেও আসতে পারে।
অনেক সময় মালিক বা ম্যানেজমেন্ট নতুন প্রযুক্তিতে অভ্যস্ত হতে চান না বা সেটার গুরুত্ব বুঝতে পারেন না। ফলে একটি নির্দিষ্ট সময় পরে তারা তাদের প্রতিযোগীদের থেকে পিছিয়ে পড়েন। আবার অনেক সময় এমপ্লয়িরা নতুন প্রযুক্তি গ্রহণে অসহযোগিতা করতে পারেন। এটিও মানব সম্পদ উন্নয়নে বড় বাধা হতে পারে। মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনার এই চ্যালেঞ্জটি মোকাবেলা করতে এইচআর ম্যানেজারকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে হয়।

০২. মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনায় টেকনোলজির খরচ

আরেকটি প্রধান চ্যালেঞ্জ হলো, মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনায় টেকনোলজির পেছনে ব্যয় করতে অনীহা। মালিক বা উদ্যোক্তারা অনেক সময় কর্মীদের পেছনে প্রয়োজনীয় ব্যয় করতে চান না। এটা যে বিনিয়োগ সেটা তারা শুরুতে বুঝতে পারেন না।
আর এটা এইচআর ম্যানেজারকে খুব ভোগায়! কারণ, প্রতিষ্ঠান চায় উন্নতি, কিন্তু প্রয়োজনীয় ব্যয় করতে অনীহা দেখানো বা কম খরচ করার ইচ্ছা থাকায় টেকনোলজির পুরো সুবিধা পাওয়া যায় না। ফলে দায় এসে পড়ে এইচআর ম্যানেজারের কাঁধে!

০৩. ডেটা নিরাপত্তা নিশ্চিত করা

মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনায় টেকনোলজির প্রভাব নিয়ে আলোচনা করলেই যে আশঙ্কাটি সবার আগে মাথায় আসে সেটি হলো, ডেটা নিরাপত্তা। কারণ, টেকনোলজি যেমন ডেটা নিরাপত্তা নিশ্চিত করার পথ দেখাচ্ছে, তেমনি টেকনোলজির অপব্যবহার ডেটা নিরাপত্তাকে হুমকির মুখে ফেলছে!
তাই যখনই মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনাকে টেকনোলজি নির্ভর করা হয়, তখন অবশ্যই ডেটা নিরাপত্তার জন্য ভালো ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। আর এটার সমাধানও আপনি পাবেন টেকনোলজি থেকে!

তারপরও প্রযুক্তিতেই স্মার্ট মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনার মুক্তি!

নিরাপত্তা ঝুঁকি এবং অন্যান্য চ্যালেঞ্জ যতই থাকুন না কেনো, টেকনোলজির সঠিক ব্যবহারেই স্মার্ট মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনার মুক্তি! আপনি যত তাড়াতাড়ি বাস্তবতাকে মেনে নেবেন ততোই মঙ্গল। আর যতো দেরি করবেন ততো আপানার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের পথ চলা কঠিন হবে। আপনার প্রতিষ্ঠান অন্যদের থেকে পিছিয়ে পড়বে।
যেখানো আপনার প্রাত্যাহিক জীবনে ডিজিটাল টেকনোলজির প্রভাব পড়েছে, সেখানে আপনার প্রতিষ্ঠান বাদ পড়বে কেন? তাই হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট বা মানব সম্পদ ব্যবস্থাপানায় টেকনোলজির প্রভাব মেনে নিতে হবে। প্রয়োজনীয় টেকনোলজি ব্যবহার করে সেগুলোর সর্বোচ্চ সুবিধা নিতে হবে, তবেই স্মার্ট মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত হবে।

সাম্প্রতিক পোস্টসমূহ
সাবস্ক্রাইব করুন
নতুন ফিচার ও অফারের আপডেট পেতে হাজিরা’র সাথে কানেক্ট থাকুন।